পাঠ-৬: মানবসৃষ্ট পরিবেশ এবং মানব সম্পদ , শ্রেণী – ০৭

পাঠ-৬: মানবসৃষ্ট পরিবেশ এবং মানব সম্পদ (পৃষ্ঠা ৬৪)https://utsaho.in/পাঠ-৬-মানবসৃষ্ট-পরিবেশ-এব/

অনুশীলনী: (পৃষ্ঠা ৬৬)

 

১। উত্তর লেখো-

 

(ক) পরিবেশকে প্রধানত কয়টি ভাগে ভাগ করা যায়?

উত্তরঃ  পরিবেশকে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা যায়: প্রাকৃতিক পরিবেশমানবসৃষ্ট পরিবেশ

(খ) মানুষের উপকারে আসে এবং আর্থিক মূল্য রয়েছে এমন সামগ্রীকে কী বলে?

উত্তরঃ মানুষের উপকারে আসে এবং আর্থিক মূল্য রয়েছে এমন সামগ্রীকে সম্পদ বলে

(গ) ভারত সরকারের কোন মন্ত্রালয়টি দেশের মানব সম্পদ উন্নয়নের দিকটি তদারক করে?

উত্তরঃ দেশের মানব সম্পদ উন্নয়নের দিকটি তদারক করে ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়’

(ঘ) ভূ-প্রকৃতির ভিত্তিতে অসমকে কয়টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে?

উত্তরঃ  ভূ-প্রকৃতির ভিত্তিতে অসমকে দুটি পৃথক ভূখণ্ডে ভাগ করা হয়েছে: ব্রহ্মপুত্র ও বরাক নদী উপত্যকার সমতল এবং পাহাড়ি অঞ্চল

(ঙ) উত্তর কাছাড় পার্বত্য জেলাকে বর্তমানে কি নাম দেওয়া হয়েছে?

উত্তরঃ  উত্তর কাছাড় পার্বত্য জেলাকে বর্তমানে ডিমা-হাসাও নাম দেওয়া হয়েছে


 

২। শূন্যস্থান পূর্ণ করো

 

(ক) মানবসৃষ্ট পরিবেশকে সাংস্কৃতিক পরিবেশ বলে

(খ) শারীরিক ও মানসিকভাবে কাজ করতে সক্ষম ব্যক্তিকে মানব সম্পদ বলে

(গ) অন্য সব সম্পদের তুলনায় মানব সম্পদ শ্রেষ্ঠ সম্পদ

(ঘ) অসম দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি জলবায়ুর গতিপথে অবস্থিত

(ঙ) অসমের কৃষি উৎপাদিত শস্যকে তিনটি প্রধান ভাগে ভাগ করা যায়


 

৩। শুদ্ধ উত্তরটি নির্ণয় করো:

 

(ক) মানবসৃষ্ট পরিবেশের একটি উপাদান হচ্ছে গাছ-পালা/ঘর-বাড়ি ()

(খ) জাপান পৃথিবীর ভেতর উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ প্রধান () দেশ

(গ) অসমের নদী উপত্যকা অঞ্চলের অধিবাসীদের মুখ্য জীবিকা চাকুরি/কৃষি ()

(ঘ) পাহাড়ি অঞ্চলে জনবসতি ঘন/কম ()

(ঙ) কার্বি আংলং/উত্তর কাছাড় পার্বত্য জেলার () বর্তমান নাম ডিমা-হাসাও


 

৪। শুদ্ধ অশুদ্ধ নির্ণয় করো:

 

(ক) মানবসৃষ্ট পরিবেশকে কৃত্রিম পরিবেশ বলে। শুদ্ধ

(খ) প্রাকৃতিক পরিবেশের উপাদানগুলো ব্যবহার করে মানবসৃষ্ট পরিবেশের উপাদান সৃষ্টি করা হয়। শুদ্ধ

(গ) মানব সৃষ্ট পরিবেশ পরিবর্তনশীল। শুদ্ধ

(ঘ) শারীরিক এবং মানসিকভাবে উৎপাদনমুখী কাজ করতে সক্ষম ব্যক্তিগণই মানব সম্পদ। শুদ্ধ

(ঙ) ভূ-প্রকৃতির ভিত্তিতে অসমকে দুটো পৃথক খণ্ডে ভাগ করা যায়। শুদ্ধ


 

৫। সংক্ষেপে উত্তর লেখো: (৪০টি শব্দের ভেতরে)

 

(ক) সমাজ উন্নয়নে মানব সম্পদের ভূমিকা।

উত্তরঃ  মানব সম্পদ হলো জ্ঞান, বুদ্ধি ও কারিগরি কৌশলের অধিকারী ব্যক্তি তারা প্রাকৃতিক সম্পদকে ব্যবহারে উপযোগী করে তোলে এবং নতুন সম্পদের সৃষ্টি ও রূপান্তরের মাধ্যমে দেশের উন্নতিতে সাহায্য করে ।

(খ) অসমের জনবসতি বিস্তারের ওপর নদী উপত্যকার সমভূমির প্রভাব।

উত্তরঃ  অসমের নদী উপত্যকার সমভূমি পলিমাটি দিয়ে গঠিত এবং কৃষিকাজের উপযোগীএখানকার পরিবহণ ব্যবস্থা উন্নত এবং জীবন-ধারণ সুবিধাজনক । এই কারণে এই অঞ্চলে মানুষের জনবসতি অতি ঘন


 

৬। বিশদভাবে লেখো: (৮০টি শব্দের ভেতরে)

 

(ক) মানবসৃষ্ট পরিবেশ কাকে বলে এবং এর উপাদানগুলো কী কী? এই পরিবেশ গঠনে মানুষে কী ভূমিকা গ্রহণ করে?

উত্তরঃ মানুষ তার জ্ঞান, বুদ্ধি ও কৌশলকে কাজে লাগিয়ে প্রাকৃতিক উপাদানগুলো নিজের প্রয়োজনে ব্যবহার করে যে আলাদা ধরনের অনুকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে, তাকে মানবসৃষ্ট পরিবেশ বলে এর উপাদানগুলো হলো: ঘর-বাড়ি, রাস্তাঘাট, সেতু, শিল্পোদ্যোগ (ভৌত উপাদান) এবং পরিবার, সামাজিক রীতি-নীতি, শিক্ষা ব্যবস্থা (সাংস্কৃতিক উপাদান) । মানুষই এই পরিবেশের সৃষ্টিকর্তা ও প্রধান কারক

(খ) কী কী কারণে অসমে বন্যা হয়? বন্যার সঙ্গে সহাবস্থান করার ফলপ্রসূ যুক্তি দিয়ে দুটো ব্যবস্থার উল্লেখ করো।

উত্তরঃ  অসমে বন্যা হওয়ার প্রধান কারণগুলো হলো:

১. নদীগুলো ভূমি ক্ষয়ের মাটি ও বালি বোঝাই করে জমা করার ফলে গভীরতা কমে যাওয়া

২. হিমালয়ের বরফগলা জল বহন করে আনা

৩. ভূমিকম্পের ফলে ব্রহ্মপুত্র নদীর তলদেশ উঠে আসা

সহাবস্থানের ব্যবস্থা: ১. বন্যা না হওয়ার সময়ে কৃষিকাজে গুরুত্ব দেওয়া এবং উপার্জন থেকে প্রয়োজনীয় ধান চাল ক্রয় করা । ২. উঁচু জায়গায় ঘর-বাড়ি বানানো ও বন্যার সময়ে মানুষ ও গৃহপালিত জীব-জন্তুদের নিয়ে উঁচু সুরক্ষিত স্থানে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নেওয়া

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *