অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন
প্রশ্ন ১। ১৯৪৫ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ইংল্যান্ডের কোন দল জয়ী হয়েছিল ?
উত্তরঃ শ্রমিক দল ।
প্রশ্ন ২। কত সালে ‘ কেবিনেট মিশন ’ ভারতে এসেছিল ?
উত্তরঃ ১৯৪৬ সনের মার্চ মাসে ‘ কেবিনেট মিশন ‘ ভারতে এসেছিল ।
প্রশ্ন ৩। ভারতীয় সংবিধান সভার প্রথম সভাপতি কে ছিলেন ?
উত্তরঃ ড . সদছিদানন্দ সিনহা ।
প্রশ্ন ৪। সংবিধানের খসড়া সমিতির অধ্যক্ষের নাম কী ?
উত্তরঃ ড . বি . আর . আম্বেদকর ।
প্রশ্ন ৫। ‘ সমাজবাদী ’ এবং ‘ ধর্মনিরপেক্ষ ‘ শব্দ দুটি সংবিধানের কত সংখ্যক সংশোধনে প্রস্তাবনায় সন্নিবিষ্ট হয়েছিল ?
উত্তরঃ সংবিধানের ৪২ নং সংশোধনী আইনের মাধ্যমে ১৯৭৬ সনে ‘ সমাজবাদী ’ ও ‘ ধর্মনিরপেক্ষ ‘ শব্দ দুটি প্রস্তাবনায় সন্নিবিষ্ট করা হয়েছিল ।
প্রশ্ন ৬। ইংরেজী Federation শব্দটি লেটিন কোন্ শব্দ থেকে আগত ?
উত্তরঃ ইংরেজী Federation শব্দটি লেটিন শব্দ ‘ Foedus ’ শব্দ হতে এসেছে ।
প্রশ্ন ৭। ‘ যুক্তরাষ্ট্রের গৃহভূমি ’ বললে কাকে বোঝায় ?
উত্তরঃ আমেরিকাকে ‘ যুক্তরাষ্ট্রের গৃহভূমি ’ বলা হয় ।
প্রশ্ন ৮। ভারতবর্ষে দ্বৈত নাগরিকত্বের ব্যবস্থা আছে কি ?
উত্তরঃ ভারতবর্ষে দ্বৈত নাগরিকত্বের ব্যবস্থা নাই ।
প্রশ্ন ৯। ভারতবর্ষের সংসদীয় গণতন্ত্রের ধারণা কোন দেশের সংবিধানের অনুকরণে গঠিত হয়েছে ?
উত্তরঃ ভারতবর্ষের সংসদীয় গণতন্ত্রের ধারণাটি কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান থেকে অনুসরণ করা হয়েছে ।
সংক্ষেপে উত্তর দাও
প্রশ্ন ১। ব্রিটিশ সরকার কেন ভারতবর্ষে ‘ কেবিনেট মিশন ’ প্রেরণ করেছিল ?
উত্তরঃ ভারতবর্ষের একটি সংবিধান রচনার জন্য ‘ কেবিনেট মিশন’কে ভারতবর্ষে পাঠিয়েছিল । এই ‘ কেবিনেট মিশন ’ ইংল্যান্ডের তিনজন কেবিনেট মন্ত্রীর দ্বারা গঠিত একটি দল । এই কেবিনেট মিশনের তৎপরতায় সংবিধান সভা ( Constituent Assembly ) গঠন হয়েছিল এবং এর প্রথম বৈঠকটি বসেছিল ১৯৪৬ সনের ৯ ডিসেম্বর তারিখে ।
প্রশ্ন ২। ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারী পর্যন্ত ভারতবর্ষের শাসন ব্যবস্থা কোন আইনের ভিত্তিতে চলেছিল এবং আইনটি কে প্রস্তুত করেছিল ?
উত্তরঃ ১৯৪৭ সনের ১৫ আগস্ট হতে ১৯৫০ সনের ২৬ জানুয়ারী পর্যন্ত ভারতবর্ষের শাসন ব্যবস্থা চলেছিল ১৯৩৫ সনের “ভারত সরকার আইন” অনুসারে ।
প্রশ্ন ৩। প্রস্তাবনায় ‘ আমরা ভারবাসী জনগণ ’ বলে কেন উল্লেখ করা হয়েছে ?
উত্তরঃ ‘ আমরা ভারতবাসী জনগণ ‘ বলে প্রস্তাবনায় উল্লেখ করে সংবিধানের প্রণেতাগণ স্পষ্ট করেছেন যে সংবিধানটি রচনা করে ভারতীয় জনগণ , সংবিধানটি ভারতীয় জনগণের এবং ভারতীয় জনগণই সংবিধানের মূলে থাকা বৃহৎ শক্তি ।
প্রশ্ন ৪। ‘ সার্বভৌম ’ কথার মানে কী ?
উত্তরঃ সার্বভৌমত্ব হল রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ক্ষমতা । রাষ্ট্র গঠনের সর্বপ্রধান উপাদান হল সার্বভৌমিকতা । এটি রাষ্ট্রের প্রাণস্বরূপ । সার্বভৌমিকতা বলতে চূড়ান্ত ক্ষমতাকে বুঝায় । এর অর্থ : রাষ্ট্রের হাতে এমন এক ক্ষমতা থাকবে যা বৈদেশিক প্রভাব মুক্ত হবে ।
প্রশ্ন ৫। কোন সালের কত সংখ্যক সংশোধন অনুসারে সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘ সমাজবাদী ’ এবং ‘ ধর্মনিরপেক্ষ ‘ শব্দ দুটি সন্নিবিষ্ট করা হয়েছে ?
উত্তরঃ ১৯৭৬ সনের সংবিধানের ৪২ নম্বর সংশোধনী আইনের মাধ্যমে ভারতবর্ষে সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘ সমাজবাদী ’ ও ‘ ধর্মনিরপেক্ষ ’ শব্দ দুটি সন্নিবিষ্ট করা হয়েছে ।
প্রশ্ন ৬। ‘ অর্ধ – যুক্তরাষ্ট্র ’ কাকে বলে ?
উত্তরঃ ভারতবর্ষের যুক্তরাষ্ট্রের প্রকৃত চরিত্র অথবা বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে একটি যুক্তরাষ্ট্রে থাকা কয়েকটি বৈশিষ্ট্য থাকা সত্ত্বেও আমাদের ব্যবস্থাটি প্রকৃত যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা হয় নি । এখানে এককেন্দ্রীয় সরকারের বহু বৈশিষ্ট্য একাত্ম হয়ে আছে । সেইজন্য সংবিধান প্রণেতা পণ্ডিতগণ আমাদের শাসন ব্যবস্থাটিকে ‘ অর্ধ – যুক্তরাষ্ট্র ‘ বলে অভিহিত করেছেন ।
প্রশ্ন ৭। কোন আইন ভারতবর্ষে সীমিত সংসদীয় শাসন – পদ্ধতির প্রবর্তন করেছিল ?
উত্তরঃ ১৯৩৫ সনের ভারত সরকার আইনটি সীমিতরূপে পরাধীন ভারতবর্ষে সংসদীয় সরকারের পদ্ধতির প্রবর্তন করেছিল । যদিও ইংল্যান্ডের সংসদীয় পদ্ধতির প্রভাব আমাদের সংবিধানে পড়েছে তথাপি সংবিধান প্রণেতাগণ অন্ধভাবে ইংল্যান্ডের সংবিধান অনুকরণ না করে ভারতবর্ষের রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা তথা পরিবেশের প্রতি লক্ষ্য রেখে সকল কথাকে ভারতীয়করণ করে সংবিধানের পাতায় স্থাপন করেছিলেন ।
দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্ন
প্রশ্ন ১। ভারতবর্ষের সংবিধানের প্রস্তাবনায় সংবিধানের আদর্শ কীভাবে প্রতিফলিত হয়েছে আলোচনা করো ।
উত্তরঃ প্রস্তাবনাকে মূল সংবিধানের প্রহরী, বিবেক বা আত্মা বলে বলা হয় । প্রস্তাবনায় সংবিধানের আদর্শ , দর্শন , লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বর্ণনা করা হয়েছে । প্রস্তাবনায় সংবিধানের উদ্দেশ্য , মূলনীতি ও আইনগত ভিত্তি নির্দেশ থাকে ।
প্রস্তাবনায় ‘ আমরা ভারতীয় জনসাধারণ ’ বলে উল্লেখ করে সংবিধান প্রণেতাগণ স্পষ্ট করেছেন যে সংবিধানটির রচক ভারতীয় জনগণ , সংবিধানটি ভারতীয় জনগণের এবং ভারতীয় জনগণই সংবিধানের মূলে থাকা বৃহৎ শক্তি । প্রস্তাবনায় থাকা গুরুত্বপূর্ণ শব্দ কয়টি হ’ল – ‘ সার্বভৌম ‘ ( Sovereign ) , ‘ সমাজবাদী ’ ( Socialist ) , ‘ ধর্মনিরপেক্ষ ’ ( Secular ) , ‘ গণতান্ত্রিক ’ ( Democratic ) ও ‘ প্রজাতন্ত্র ‘ ( Republic ) । এই সবগুলি শব্দের মধ্যে সংবিধানের আদর্শ প্রতিফলিত হয়েছে ।
তদুপরি প্রস্তাবনায় উল্লেখ আছে যে ভারতের জনগণই দেশটিতে ন্যায় , স্বাধীনতা , সমতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ প্রতিষ্ঠা করবে । ন্যায় , স্বাধীনতা , সমতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ প্রতিষ্ঠার উল্লেখ করে সংবিধান প্রণেতাগণ সংবিধানের আদর্শ ও লক্ষ্যকে বিশেষভাবে প্রতিফলিত করেছেন ।
প্রশ্ন ২। ‘ সার্বভৌম ’ , ‘ সমাজবাদী ’ , ‘ ধর্মনিরপেক্ষ ’ , ‘ গণতান্ত্রিক ’ এবং ‘ গণরাজ্য ’ বলতে কী বোঝ , বিশদভাবে বর্ণনা করো ।
উত্তরঃ সার্বভৌম ( Sovereign ) :- ভারতবর্ষ একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র।সার্বভৌমত্ব হল রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ক্ষমতা । অর্থাৎ বাহ্যিকভাবে ভারতবর্ষ কোনো বিদেশী শক্তির অধীনে নয় এবং আভ্যন্তরীণভাবেও ভারতবর্ষ কোনো শক্তির দ্বারা পরিচালিত হয় না ।
সমাজবাদী ( Socialist ) :- ভারতবর্ষ একটি সমাজবাদী রাষ্ট্র । ১৯৭৬ সনের ৪২ তম সংশোধনী আইনের মাধ্যমে ‘ সমাজবাদী ‘ শব্দটি প্রস্তাবনায় সংযোজন করা হয়েছে । কারণ এর দ্বারা জনগণের মধ্যে অর্থনৈতিক সমতা প্রতিষ্ঠার সংকল্প সূচিত হয়েছে ।
ধর্মনিরপেক্ষ ( Secular ) :- ভারতবর্ষ একটি ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র । সরকারের দৃষ্টিতে সকল ধর্ম সমান এবং ধর্মের নামে কোনো বৈষম্য থাকবে না । সরকার কোনো ধর্মের প্রতি অনুগ্রহ প্রদর্শন করবে না । ‘ ধর্মনিরপেক্ষ ’ শব্দটি প্রস্তাবনার ৪২ নং সংশোধনী মতে সন্নিবিষ্ট হয়েছে ।
গণতান্ত্রিক ( Democratic ) :- ভারতবর্ষ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র । দেশের শাসন ব্যবস্থা জনসাধারণের প্রতিনিধি দ্বারা পরিচালিত হয় ।
গণরাজ্য ( Republic ) :- ভারতবর্ষ একটি গণরাজ্য । ভারতবর্ষের রাষ্ট্রপ্রধান হবে রাষ্ট্রপতি এবং তিনি পরোক্ষভাবে জনসাধারণের দ্বারা নির্বাচিত ব্যক্তি হবে ।
প্রশ্ন ৩। নেহেরুর উদ্দেশ্য সম্পর্কিত প্রস্তাবসমূহ আলোচনা করো।
উত্তরঃ জওহরলাল নেহেরুর উল্লেখ করা উদ্দেশ্য সম্পর্কিত প্রস্তাবের মূল বিষয়সমূহ হল—
( ১ ) গণপরিষদে ভারতবর্ষকে স্বাধীন , সার্বভৌম , প্রজাতন্ত্র ( Independent , Sovereign , Republic ) হিসেবে ঘোষণা করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ । পরে স্বাধীন শব্দটি বাদ দেওয়া হয় ।
( ২ ) ব্রিটিশ শাসিত ভারতবর্ষের ভূখণ্ড ও ভারতের অন্তর্ভুক্ত হতে চাওয়া দেশীয় রাজ্যগুলিকে নিয়ে রাজ্যসমূহের সংঘ ( Union of states ) গঠিত হবে ।
( ৩ ) ভারতবর্ষের জনসাধারণের সামাজিক , অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায় , সমতা , ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষা , চিন্তা ও মতামত প্রকাশের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি প্রদান করা হবে ।
( ৪ ) অনুসূচিত জাতি , জনজাতি , অনুন্নত সম্প্রদায় এবং সংখ্যালঘু জনসাধারণের সুরক্ষার ব্যবস্থা থাকবে ।
( ৫ ) দেশের স্বাধীনতা , সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষা করার উপরে গুরুত্ব প্রদান করা হবে ।
( ৬ ) আন্তর্জাতিক সু – সম্পর্ক , বিশ্বশান্তি রক্ষা এবং জনগণের কল্যাণের জন্য ভারতবর্ষই সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবে ।
( ৭ ) জনসাধারণই হবে সকল ক্ষমতার উৎস । সার্বভৌম দেশটির সরকার এবং সকল অঙ্গই জনসাধারণ হতে বা থেকে ক্ষমতা লাভ করবে।
( ৮ ) সংঘে যোগ দেওয়া সহযোগী দেশীয় রাজ্যসমূহ অবশিষ্ট ক্ষমতার সঙ্গে স্বায়ত্তশাসনের মাধ্যমে অঙ্গরাজ্যের মর্যাদা লাভ করবে ।
প্রশ্ন ৪৷ ভারতবর্ষের যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা করো ।
উত্তরঃ ভারতবর্ষের যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্যসমূহ নীচে উল্লেখ করা হল—
( ১ ) একটি কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারগুলি পাশাপাশি অবস্থান করে ।
( ২ ) কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের মধ্যে ক্ষমতার ভাগ বণ্টন হয়েছে ।
( ৩ ) সংবিধান অনুসারে সাধারণ বিষয়গুলি কেন্দ্রীয় সরকার এবং স্থানীয় বিষয়গুলি রাজ্য সরকার শাসন করে থাকে ।
( ৪ ) ভারতবর্ষে শাসন ব্যবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে বিরোধ মীমাংসার জন্য একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় সুপ্রীম কোর্ট আছে ।
( ৫ ) ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রে নাগরিকগণ এক নাগরিকত্ব লাভ করে ।
( ৬ ) অন্যান্য যুক্তরাষ্ট্রের থেকে ভারতবর্ষের কেন্দ্রীয় সরকার অধিক শক্তিশালী ।
প্রশ্ন ৫। ভারতবর্ষের সংসদীয় পদ্ধতির সরকারের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে একটি আলোচনা প্রস্তুত করো ।
উত্তরঃ ভারতবর্ষের সংসদীয় পদ্ধতির সরকারের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য সমূহের ব্যাখ্যা নীচে উল্লেখ করা হল—
( ১ ) ভারতবর্ষের সংসদীয় শাসন ব্যবস্থায় রাষ্ট্রপতি পরোক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন ।
( ২ ) ভারতবর্ষের সংসদীয় শাসন ব্যবস্থায় সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতৃবর্গের দ্বারা মন্ত্রীপরিষদ গঠিত হয় ।
( ৩ ) ভারতবর্ষের সংসদীয় শাসন ব্যবস্থায় মন্ত্রীসভার বিরুদ্ধে অনাস্থা পাশ হলে সকল যন্ত্রীকে একসঙ্গে পদত্যাগ করতে হয় । এই ধরনের সরকারের মন্ত্রীসভার গর্যকাল সুনির্দিষ্ট থাকে না ।
( ৪ ) ভারতবর্ষের সংসদের উচ্চ সদন হল রাজ্যসভা । ভারতের সংসদীয় শাসন ব্যবস্থায় আইন সভার সাথে শাসন বিভাগের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকে । ভারতে আইন সভার অর্থাৎ রাজ্যসভার সম্মতি ও অনুমোদন নিয়ে মন্ত্রীসভাই আইন – কানুন রচনা করেন ।
( ৫ ) ভারতবর্ষের সংসদীয় শাসন ব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্রাধান্য দেখা যায় । কেবিনেট বা মন্ত্রীপরিষদ তাঁর নেতৃত্বে পরিচালিত হয় । তিনি তাঁর ইচ্ছামত যে কোনো মন্ত্রীকে নিয়োগ বা বরখাস্ত করতে পারেন ।
( ৬ ) ভারতবর্ষের সংসদীয় শাসন ব্যবস্থায় রাষ্ট্রপতি মন্ত্রীসভার বা কেবিনেটের পরামর্শ অনুযায়ী আইনসভা ভেঙ্গে দিয়ে পুনরায় নির্বাচনের নির্দেশ দিতে পারেন ।