
পাঠ-৪ জীবন ধারনের প্রণালী , Class 5, Environment Chapter 4, SEBA, Bengali Medium
Next Chapter
অনুশীলনী
১। উত্তর লেখো-
(ক) গ্রামের বাসিন্দাদের প্রধান জীবিকা কী? ওরা কি কি চাষ করে?
উত্তর- গ্রামের বাসিন্দাদের প্রধান জীবিকার উপায় হল কৃষি। ওরা সাধারণত ধান, ডাল, পাট, সরিষা, তিল, আখ, নানা প্রকার শাক-সবজি ইত্যাদির চাষ করে।
(খ) চর অঞ্চলের লোকেরা কি কি চাষ করে?
উত্তর- চর অঞ্চলের লোকেরা শুকনো মরশুমে প্রচুর পরিমাণে ডাল, সরিষা, লঙ্কা, বেগুন, তরমুজ ইত্যাদির চাষ করে।
(গ) জুম চাষ কাকে বলে? এই কৃষি পদ্ধতিতে কি কি চাষ করা হয়?
উত্তর- পাহাড়ের ঢালু স্থানে কোদাল দিয়ে মাটি কেটে যে চাষ করা হয়, তাকে জুম চাষ বলে। এই কৃষি পদ্ধতিতে প্রধানত ধান, ভুট্টা, তিল, আদা, হলুদ ইত্যাদি চাষ করা হয়।
(ঘ) নদীর চর অঞ্চলের লোকেরা কীভাবে জীবন নির্বাহ করে?
উত্তর- নদীর চর অঞ্চলের লোকেরা সাধারণত রবি শস্যের চাষ করে জীবন নির্বাহ করে।
(ঙ) চা-বাগানের শ্রমিকগণ কি কি কাজের সঙ্গে জড়িত?
উত্তর- চা-বাগানের শ্রমিকগণ বাগানে কচি চা-পাতা সংগ্রহ, কারখানায় জিনিসপত্র আনা-নেওয়া, যন্ত্রপাতি চালানো ইত্যাদি বিভিন্ন কাজে জড়িত থাকে।
২। ‘ক’ অংশের সঙ্গে ‘খ’ অংশ মেলাও-
* প্রাকৃতিকভাবে অসম একটি – সমৃদ্ধ রাজ্য।
* অসমের সমতল ও পাহাড় দুটি অঞ্চলেই – চাবাগান -দেখা যায়।
* আদিম মানুষ – যাযাবর জীবন যাপন করতো।
* চর অঞ্চলে বসবাসকারী লোকেরা সাধারণত – রবি শস্য চাষ করে।
৩। শূন্যস্থান পূরণ করো-
(ক) খরা মরশুমে পাহাড়ি অঞ্চলে জলের -অভাব হয়।
(খ) পাহাড়ি অঞ্চল ছাড়া বাকি অঞ্চলগুলো সাধারণত সমতল -ভূমি।
(গ) পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষরা সাধারণত জুম চাষ করে।
(ঘ) অসমের পাহাড়, সমতল দুটো স্থানেই- চা-বাগান দেখা যায়।
(ঙ) গ্রামাঞ্চলের মানুষেরা কুটির শিল্পের সঙ্গে জড়িত।
৪। নীচের বাক্যগুলো শুদ্ধ না অশুদ্ধ লেখো-
(ক) প্রাচীন কালে মানুষ স্থায়ীভাবে ঘর-বাড়ি বানিয়ে উন্নত জীবনযাপন করতো।
উত্তর- অশুদ্ধ
(খ) উদ্যোগ, চাকরি, ব্যবসা ইত্যাদি নগর অঞ্চলের লোকের জীবিকা নির্বাহের মূল উপায়।
উত্তর- শুদ্ধ
(গ) শহর অঞ্চল থেকে গ্রাম অঞ্চলে যানবাহনের সংখ্যা কম।
উত্তর- শুদ্ধ
(ঘ) কৃষিকাজ ছাড়াও গ্রাম অঞ্চলের কিছু মানুষ চাকরিজীবি হিসাবে জীবিকা নির্বাহ করে।
উত্তর- শুদ্ধ
(ঙ) চর অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষরা সাধারণত রবি শস্যের চাষ করে।
উত্তর- শুদ্ধ
৫। আগুনের আবিষ্কার কীভাবে হয়েছিলো?
উত্তর- আদিম মানুষ জঙ্গলে ঘুরে বেড়ানোর সময় ঘটনাক্রমে দুখণ্ড পাথরের ঘর্ষণে আগুনের স্ফুলিঙ্গ উৎপন্ন হতে দেখেছিলো। সেই স্ফুলিঙ্গ শুকনো ডাল-পাতার সংস্পর্শে এসে আগুনের সৃষ্টি করেছিলো।
৬। আদিম কালে মানুষ কি কি কার্যে পাথরের সরঞ্জাম ব্যবহার করতো?
উত্তর- আদিম কালে মানুষ পাথর দ্বারা নির্মিত সরঞ্জামগুলো شکار করা, খাদ্যবস্তু কাটা বা গুঁড়ো করা এবং ছবি আঁকা ইত্যাদি কাজে ব্যবহার করতো।
৭। পার্থক্য লেখো- (ক) গ্রাম ও শহর (খ) সমতল ও পাহাড়ি অঞ্চল
(ক) গ্রাম ও শহর
* গ্রাম: গ্রামের বাসিন্দাদের প্রধান জীবিকা কৃষি, কুটির শিল্প, মৎস্য পালন ইত্যাদি। এখানে যাতায়াত ব্যবস্থা তত উন্নত নয়, যানবাহনের সংখ্যাও কম এবং শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাণিজ্যের সুবিধা শহরের তুলনায় কম।
* শহর: শহরের লোকেদের জীবিকা নির্বাহের মূল উপায় হলো শিল্প, বাণিজ্য, চাকরি, ব্যবসা ইত্যাদি। এখানে রাস্তা-ঘাট চওড়া, যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো এবং যানবাহনের সংখ্যা বেশি। শহরে উন্নত শিক্ষা, চিকিৎসা, বিদ্যুৎ ও জলের ব্যবস্থাপনা থাকে এবং জনবসতি ঘন হয়।
(খ) সমতল ও পাহাড়ি অঞ্চল
* সমতল অঞ্চল: সমতল ভূমির মাটি পলিযুক্ত হওয়ায় কৃষিকার্যের জন্য বিশেষ উপযোগী হয়। এখানে প্রধানত ধান, ডাল, পাট, সরিষা, শাক-সবজি ইত্যাদি চাষ করা হয়।
* পাহাড়ি অঞ্চল: পাহাড়ি অঞ্চলে খরা মরশুমে জলের অভাব দেখা দেয়। এখানকার মানুষরা সাধারণত পাহাড়ের ঢালু স্থানে জুম চাষ করে। তারা প্রধানত ধান, ভুট্টা, তিল, আদা, হলুদ ইত্যাদি চাষ করে। এই অঞ্চলের যাতায়াত ব্যবস্থা সমতলের মতো ভালো নয় এবং জীবন নির্বাহের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হয়।
