পাঠ-৭ অসমের সংস্কৃতি, Class 5, Chapter 7,

এখানে পাঠ-৭ অসমের সংস্কৃতি, Class 5, Environment Chapter 7, SEBA, Bengali Medium

Next Chapter 

অনুশীলনী
১। উত্তর লেখো
(ক) অসমিয়া সংস্কৃতিতে মহাপুরুষ শ্রীমন্ত শঙ্করদেবের যেকোনো দুটো অবদানের বিষয়ে লেখো।
উত্তর- অসমিয়া সংস্কৃতিতে মহাপুরুষ শ্রীমন্ত শঙ্করদেবের দুটি প্রধান অবদান হলো:
* তিনি ‘নামঘর’ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যাকে ‘জাতীয় নাট্যশালা’ বলা হয়।
* তিনি ‘সত্রীয়া নৃত্য’ সৃষ্টি করেছিলেন, যা বর্তমানে ভারতীয় নৃত্যকলার একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হিসাবে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা লাভ করেছে।
(খ) গলায় পরে সে রকম চারপ্রকারের অসমিয়া অলংকারের নাম লেখো।
উত্তর- গলায় পরা চারপ্রকার অসমিয়া অলংকার হলো- ডুগডুগি, সাতসরি, মাদুলি এবং গলপতা।
(গ) তিন ধরনের নৃত্যের নাম এবং সেগুলোর সঙ্গে জড়িত তিন ধরনের বাদ্যযন্ত্রের নাম লেখো।
উত্তর- তিন ধরনের নৃত্য হলো- সত্রীয়া নৃত্য, ঝুমুর নৃত্য এবং খেরাই নৃত্য। এই নৃত্যগুলির সঙ্গে জড়িত তিন ধরনের বাদ্যযন্ত্র হলো- খোল, ঢোল এবং পেঁপা।
(ঘ) চালের গুড়ো থেকে প্রস্তুত হয় এমন চার প্রকার খাদ্যবস্তুর নাম লেখো।
উত্তর- চালের গুড়ো থেকে প্রস্তুত হয় এমন চার প্রকার খাদ্যবস্তু হলো- তিল পিঠা, চোঙা পিঠা, ভাপা পিঠা এবং সান্দহ।
(ঙ) শিবসাগর জেলার প্রাচীন কীর্তিচিহ্ন দুটোর নাম লেখো।
উত্তর- শিবসাগর জেলার প্রাচীন কীর্তিচিহ্ন দুটোর নাম হলো- রংঘর এবং তলাতলঘর।
(চ) অসমের দুটি মন্দির, দৌল ও সত্রের নাম লেখো।
উত্তর-
* দুটি মন্দির: কামাখ্যা মন্দির এবং হয়গ্রীব-মাধব মন্দির।
* দুটি দৌল: শিবদৌল এবং জয়দৌল।
* দুটি সত্র: আউনিআটি সত্র এবং দক্ষিণপাট সত্র।
২। শূন্যস্থান পুরণ করো-
(ক) বৈশাখে- ‘বহাগ বিহু’ বা ‘রঙালি বিহু’ -পালন করা হয়।
(খ) খেরাই পূজা- বোড়ো -দের পালিত উৎসব।
(গ) বিহু- কৃষি ভিত্তিক জাতীয় উৎসব।
(ঘ) মিসিংরা- ‘আলি-আই-লৃগাঙ’ পালন করে।
(ঙ) করম পূজা- আদিবাসী -রা পালন করে।
৩। অসমিয়া সংস্কৃতিতে মহাপুরুষ শঙ্করদেবের অবদানের বিষয়ে দশটি বাক্য লেখো।
উত্তর- অসমিয়া সংস্কৃতিতে মহাপুরুষ শঙ্করদেবের অবদানগুলি হলো:
১. অসমিয়া সংস্কৃতিতে মহাপুরুষ শ্রীমন্ত শঙ্করদেবের অবদান উল্লেখযোগ্য।
২. তিনি বৈষ্ণব ধর্ম প্রচার করে অসমিয়া সমাজকে সমন্বিত করেছেন।
৩. তিনি অসমিয়া সংস্কৃতিকে এক স্বকীয় রূপে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
৪. তিনি কীর্তন, গীত-পদ এবং ভাওনা-সভার সৃষ্টি করেন।
৫. তিনি অসমিয়া সমাজে নামঘর প্রতিষ্ঠা করেন।
৬. তাঁর সৃষ্ট ‘নামঘর’কে ‘জাতীয় নাট্যশালা’ বলা হয়।
৭. নামঘরে ভাওনা-সভা ছাড়াও সমাজের অগ্রগতির বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
৮. তিনি খোল-তাল বা করতাল ইত্যাদি বাদ্যযন্ত্রের সৃষ্টি করেছেন।
৯. তাঁর সৃষ্ট ‘সত্রীয়া নৃত্য’ ভারতীয় নৃত্যকলার এক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ।
১০. সত্রীয়া নৃত্য ওডিসি বা কথাকলি নৃত্যের মতো রাষ্ট্রীয় মর্যাদা পেতে সক্ষম হয়েছে।
৪। সংক্ষিপ্ত টীকা লেখো-
(ক) বিহু
উত্তর- বিহু অসমের জাতীয় উৎসব। এটি একটি কৃষি ভিত্তিক উৎসব। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে অসমের সকলেই এই উৎসব পালন করে। বিহু মোট তিনটি- বৈশাখ মাসে ‘বহাগ বিহু’ বা ‘রঙালি বিহু’, মাঘ মাসে ‘মাঘ বিহু’ বা ‘ভোগালি বিহু’ এবং কার্তিক মাসে ‘কাতি বিহু’।
(খ) পুতুলনাচ
উত্তর- পুতুল নাচ অসমের সাংস্কৃতিক জগতের একটি অতি প্রাচীন নাট্য অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানে সুতোর সাহায্যে পুতুল নাচানো হয়। পুতুল নাচের মাধ্যমে সাধারণত রামায়ণ ও মহাভারতের কাহিনি রূপায়ণ করা হয়।
(গ) অসমিয়া ভাষা
উত্তর- অসমিয়া হলো অসমের স্থানীয় ভাষা। এই ভাষা অসমের সংস্কৃতির ভিত্তি মজবুত করেছে এবং সবাইকে একত্রিত করে একটি বৃহৎ সমাজ গড়ে তুলেছে। এর দুটি রূপ আছে- একটি কথিত এবং একটি লিখিত। অসমিয়া ভাষায় বিভিন্ন লোকগীত, বিহুনাম, ছড়া, ধাঁধা ও রূপকথা প্রচলিত আছে, যা আমাদের সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছে।
(ঘ) সত্রীয়া নৃত্য
উত্তর- সত্রীয়া নৃত্য মহাপুরুষ শ্রীমন্ত শঙ্করদেবের সৃষ্টি। এটি ভারতীয় নৃত্যকলার একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। কেরলের কথাকলি এবং ওড়িশার ওডিসি নৃত্যের মতো সত্রীয়া নৃত্যও রাষ্ট্রীয় মর্যাদা পেতে সক্ষম হয়েছে। এই নৃত্য বর্তমানে সমগ্র ভারতে সম্মান লাভ করেছে।
(ঙ) উৎসব-পার্বণ
উত্তর- অসম বিভিন্ন জাতি-উপজাতির মিলনভূমি, তাই এখানকার উৎসব-পার্বণ বৈচিত্র্যপূর্ণ। অসমের প্রধান জাতীয় উৎসব হলো বিহু। এছাড়াও বিভিন্ন উপজাতি যেমন বোড়োরা ‘বৈশাগু’, মিসিংরা ‘আলি-আই-লৃগাঙ’, কার্বিরা ‘হাছাকেকান’, রাভারা ‘বাইখো’ এবং ডিমাসারা ‘বুসু ডিমা’ উৎসব পালন করে। অসমে কিছু ধর্মীয় উৎসবও পালন করা হয়, যেমন- ইসলামধর্মীরা ইদ, খ্রিস্টানরা বড়দিন এবং আদিবাসীরা করম পূজা পালন করে।
৫। ‘ক’ অংশের সঙ্গে ‘খ’ অংশ মেলাও-
* তেজপুর – অগ্নিগড়
* কামরূপ – পোয়ামক্কা
* গোয়ালপাড়া – সূর্য পাহাড়
* ধুবড়ি – তেগবাহাদুরের গুরুদ্বার
* কাছাড় – ভুবন পাহাড়ের মন্দির

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *