পাঠ – ৫: মহৎ লোকের মহৎ কথা, Class 5, Chapter 5, Bengali, SEBA New Book, Bengali Medium

ক – পাঠভিত্তিক (পৃষ্ঠা ৩৮-৩৯)
উত্তর দাও।
(ক) একান্ত সাধনার ফলে মানুষ কী অর্জন করতে পারে?
উত্তর: নিষ্ঠা ও সাধনার বলে মানুষ সুখ্যাতি অর্জন করতে পারে।
(খ) নতুন ডাক্তার কাকে বলা হয়েছে?
উত্তর: ডক্টর বাণীকান্ত কাকতিকে ‘নতুন ডাক্তার’ বলা হয়েছে। তিনি প্রকৃত অর্থে ভাষাবিজ্ঞানের ডক্টরেট ডিগ্রিধারী ছিলেন।
(গ) বিভূতিভূষণ মায়ের কাছে অনুনয় বিনয় করছিলেন কেন?
উত্তর: বিভূতিভূষণ মায়ের কাছে প্রদীপ জ্বালাতে আরেকটু তেল চাইছিলেন, কারণ তাকে তাড়াতাড়ি বইটি পড়ে শেষ করে কালই বন্ধুকে ফেরত দিতে হবে।
(ঘ) হ্যালিডে সাহেব ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে পোশাক পাল্টাতে হবে কেন বলেছিলেন?
উত্তর: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ধুতি-চাদর আর চটিজুতো পরে গভর্নর হ্যালিডে সাহেবের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন বলে সাহেব তাঁকে ইউরোপীয় পোশাক পরতে বলেছিলেন।
(ঙ) মহম্মদ মহসিন যে দয়ালু ব্যক্তি ছিলেন, তার পরিচয় দাও?
উত্তর: গভীর রাতে এক কুঁড়েঘরে বৃদ্ধার নাতি-নাতনিদের কান্নার শব্দ শুনে তিনি জানতে পারেন যে হাঁড়িতে চাল-ডাল কিছুই নেই, শুধু জল চাপিয়ে বৃদ্ধা তাদের ফাঁকি দিচ্ছেন। ভদ্রলোক তাড়াতাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবার এনে দেন এবং পরে সেই পরিবারটির মাসোহারার ব্যবস্থাও করে দেন। এই ঘটনাতেই তাঁর দয়ালু স্বভাবের পরিচয় পাওয়া যায়।
(চ) প্রফুল্লচন্দ্র রায় নিজের মাইনে থেকে মাত্র চল্লিশ টাকা রেখে বাকিটা দান করে দিতেন কেন?
উত্তর: আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় ছাত্রবৎসল ও মানবদরদি বিজ্ঞানী ছিলেন। তাই তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজার টাকা মাইনে পেয়েও নিজের জন্য চল্লিশ টাকা রেখে বাকিটা দান করে দিতেন।
ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করার পর ডক্টর বাণীকান্ত কাকতিকে নিয়ে কী ঘটনা ঘটেছিল, সংক্ষেপে লেখো।
উত্তর: ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করার পর, দুজন লোক ব্যঙ্গ করে কয়েকজন রোগীকে ‘নতুন ডাক্তার’ বলে বাণীকান্ত কাকতির ঘর দেখিয়ে দেয়। রোগীরা বিভ্রান্ত হয়েছে বুঝতে পেরেও তিনি পিছিয়ে যাননি। তিনি খুব অল্পদিনের মধ্যেই হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার বই কিনে এনে, পড়াশোনা করে সেই চিকিৎসায় পারদর্শী হয়ে ওঠেন এবং রোগীদের বিধান দিতে শুরু করেন।
‘তাহলে আপনাকে কিছুই ছাড়তে হবে না, নিজের পোশাকেই আপনি আসবেন’- উক্তিটি কে, কার উদ্দেশে, কেন করেছিলেন।
উত্তর: এই উক্তিটি গভর্নর হ্যালিডে সাহেব, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের উদ্দেশে করেছিলেন। বিদ্যাসাগর যখন বলেন যে তিনি ধুতি-চাদর ছাড়তে পারবেন না, তাই আর দেখাও করতে আসবেন না, তখন হ্যালিডে সাহেব হেসে এই কথাটি বলেন।
শব্দের অর্থ লেখো। (শব্দ-সম্ভারের সাহায্যে)
* বিভ্রান্ত – দিশাহারা, পথভ্রষ্ট
* পারদর্শী – নিপুণ, দক্ষ
* স্পৃহা – ইচ্ছা, আকাঙ্ক্ষা
* নিষ্ঠা – একাগ্রতা, ভক্তি
* ইতস্তত – সংকোচ, দ্বিধা
* মাসোহারা – প্রতিমাসের বৃত্তি
* গণ্যমান্য – মানী, प्रतिष्ठित
* তৎক্ষণাৎ – তখনি, সঙ্গে সঙ্গে
* মেধাবী – ধীসম্পন্ন
* প্রখর – তীব্র, তীক্ষ্ণ
* নিরাময় – রোগমুক্তি
* বিদ্রূপ – ব্যঙ্গ, ঠাট্টা
* নাছোড়বান্দা – একগুঁয়ে, যে সহজে ছাড়ে না
* মহানুভব – উদারচেতা
* বৎসল – স্নেহশীল
খ- ভাষা-অধ্যয়ন (ব্যবহারিক ব্যাকরণ) (পৃষ্ঠা ৩৯)
নীচের শব্দগুলো থেকে যুক্তবর্ণগুলো বেছে নিয়ে ভেঙে দেখাও।
* নিষ্ঠা – ষ্ঠ = ষ + ঠ
* বিজ্ঞানী – জ্ঞ = জ + ঞ
* ডক্টর – ক্ট = ক + ট
(পৃষ্ঠা ৪০)
নীচের রেখাঙ্কিত পদগুলোর পরিবর্তে সর্বনাম পদ ব্যবহার করে বাক্যগুলো আবার লেখো।
(ক) ডক্টর বাণীকান্ত কাকতি একজন ভাষা-বিজ্ঞানী ছিলেন।
উত্তর: তিনি একজন ভাষা-বিজ্ঞানী ছিলেন।
(খ) রহিম মনোযোগ সহকারে পড়া-শোনা করে।
উত্তর: সে মনোযোগ সহকারে পড়া-শোনা করে।
(গ) মিতা গান গাইতে ভালোবাসে।
উত্তর: সে গান গাইতে ভালোবাসে।
বাক্য রচনা করো।
* ছাত্রবৎসল – প্রফুল্লচন্দ্র রায় খুব ছাত্রবৎসল ছিলেন।
* বিখ্যাত – আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিখ্যাত অধ্যাপক ছিলেন।
* ইতস্তত – মা গরিব ছেলেটিকে সাহায্য করতে একটুও ইতস্তত করেননি।
* স্বনামধন্য – ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর একজন স্বনামধন্য ব্যক্তি ছিলেন।
* বুদ্ধিদীপ্ত – বাণীকান্ত কাকতি একজন প্রখর বুদ্ধিদীপ্ত ব্যক্তি ছিলেন।
বিপরীতার্থক শব্দ লেখো।
* হেসে – কেঁদে
* শেষ – শুরু
* গরিব – ধনী
* আসা – যাওয়া
* অচেনা – চেনা
* অল্প – বেশি
একটি শব্দে প্রকাশ কর।
* (ক) যিনি শিক্ষাদান করেন – শিক্ষক
* (খ) যিনি রোগীর শুশ্রূষা করেন – সেবিকা / সেবক
* (গ) যিনি ভাষা চর্চা করেন – ভাষাবিদ / ভাষাবিজ্ঞানী
* (ঘ) যিনি বিজ্ঞান চর্চা করেন – বিজ্ঞানী
(পৃষ্ঠা ৪১)
ওপরের উদাহরণ অনুযায়ী নীচের শব্দগুলোকে সাজিয়ে খাতায় লেখো।
(ক) নিষ্ঠা ও সাধনা বল মানুষ যে সুখ্যাতি অর্জন করত পার।
উত্তর: নিষ্ঠা ও সাধনার বলে মানুষ যে সুখ্যাতি অর্জন করতে পারে।
(খ) এক সময় শেষ কর ফেল বইটি।
উত্তর: এক সময় বইটি শেষ করে ফেলল।
(গ) এই ভদ্রলোক নাম কী?
উত্তর: এই ভদ্রলোকের নাম কী?
(ঘ) এমন সময় একটি ছেলে চিঠি এল তাঁর হাত।
উত্তর: এমন সময় তাঁর হাতে একটি ছেলের চিঠি এল।
গ- জ্ঞান-সম্প্রসারণ (পৃষ্ঠা ৪২)
(ক) নানক শিক্ষককে কী প্রশ্ন করেছিলেন?
উত্তর: নানক শিক্ষককে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘আচ্ছা ঈশ্বর যে আছেন, তার কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেন।’
(খ) শিখদের পবিত্র গ্রন্থের নাম কী?
উত্তর: শিখদের পবিত্র গ্রন্থের নাম ‘গ্রন্থসাহেব’।
(গ) নানক তীর্থে গিয়ে কী ঝামেলায় পড়েছিলেন?
উত্তর: তীর্থে গিয়ে নানক পশ্চিম দিকে পা রেখে শুয়েছিলেন। তখন একজন মোল্লা তাঁকে তিরস্কার করে জিজ্ঞাসা করেন, “তুমি পবিত্র মক্কার দিকে পা রেখে শুয়ে আছ কেন?”
(পৃষ্ঠা ৪৩)
ধাঁধাটি বলো।
গাছে হয়
ঘরে আনি
রান্না হয়
খাওয়ার সময় ফেলা হয়।
উত্তর: কলাপাতা।
‘মহাভারত’ শব্দটি দেখো। এই শব্দটি থেকে ব্যঞ্জনবর্ণগুলো দিয়ে বিভিন্ন অর্থপূর্ণ শব্দ লেখো।
* ম – মন, মা, মমতা, মহান
* হ – হয়, হাত, হার
* ভ – ভয়, ভাত, ভারত, ভাবা
* র – রব, রাত, রঙ
* ত – তব, তাল, তিন
ঘ – প্রকল্প (পৃষ্ঠা ৪৩)
বিভিন্ন মহাপুরুষের ছবি সংগ্রহ করে, প্রত্যেকের বিষয়ে দুই-তিনটি বাক্য লেখো।
