ক্রিয়াকলাপ (ক – পাঠভিত্তিক)
প্রশ্ন: (ক) মজার দেশে কখন রোদ দেখা যায়?
উত্তর: মজার দেশে রাত্তিরে রোদ দেখা যায়।
প্রশ্ন: (খ) কোথায় আকাশের রং সবুজ?
উত্তর: মজার দেশে আকাশের রং সবুজ।
প্রশ্ন: (গ) মজার দেশে গাছের পাতার রং কী?
উত্তর: মজার দেশে গাছের পাতার রং নীল।
প্রশ্ন: (ঘ) মজার দেশে জিলিপি, কচুরি আর রসগোল্লা কী করে?
উত্তর: মজার দেশে জিলিপি তেড়ে এসে কামড় দিতে চায় এবং কচুরি আর রসগোল্লা ছেলে ধরে খায়।
প্রশ্ন: (ঙ) মজার দেশকে কীভাবে দেখা যায়?
উত্তর: মজার দেশকে চোখ বন্ধ করলে (মুদলে) পরিষ্কার দেখা যায়।
প্রশ্ন: কবিতা থেকে উত্তর খুঁজে নিয়ে বলো ও লেখো।
(ক) পাঠে উল্লিখিত বিভিন্ন ধরনের খাদ্য দ্রব্যের নাম।
উত্তর: (ক) জিলিপি, কচুরি আর রসগোল্লা।
(খ) পদ্যটিতে উল্লেখ করা হয়েছে এমন দুটি মাছের নাম।
উত্তর: (খ) রুই, কাতলা।
(গ) পদ্যটিতে আছে এমন যানবাহনের নাম।
উত্তর: (গ) নৌকা, জাহাজ, গাড়ি।
প্রশ্ন: শব্দ-সম্ভার দেখে নীচের শব্দগুলোর অর্থ লেখো।
* বরন – রং
* তেড়ে – দ্রুতবেগে তাড়া করে
* মুদলে – বন্ধ করলে
* ডাঙা – স্থলভাগ, উঁচু জমি
প্রশ্ন: পদ্যটি গদ্য রূপে লেখো।
উত্তর: এমন একটি মজার দেশ আছে যা সবদিক থেকেই ভালো। সেখানে রাতে খুব রোদ থাকে আর দিনে চাঁদের আলো দেখা যায়। সেই দেশে আকাশের রং সবুজ আর গাছের পাতাগুলো নীল। সেখানে রুই-কাতলা মাছ ডাঙায় চরে বেড়ায় আর চিল জলের মাঝে থাকে। জিলিপি তেড়ে এসে কামড় দিতে চায়, আর কচুরি ও রসগোল্লা ছেলেদের ধরে খায়। লোকেরা সেখানে পায়ে ছাতা দিয়ে হাতে ভর দিয়ে হেঁটে চলে। ডাঙায় নৌকা ও জাহাজ ভাসে এবং গাড়ি জলের মধ্যে ছোটে। এই মজার দেশের কথা আর কত বলব; এই দেশ চোখ খুললে দেখা যায় না, কিন্তু চোখ বন্ধ করলেই পরিষ্কার দেখা যায়।
পৃষ্ঠা ১২৮: ক্রিয়াকলাপ
প্রশ্ন: শূন্যস্থান পূর্ণ করো ও শব্দগুলো পড়ো।
* (ক) রাত্তিরেতে বেজায় রোদ।
* (খ) ডাঙায় চরে রুই কাতলা।
* (গ) কচুরি আর রসগোল্লা ছেলে ধরে খায়।
* (ঘ) মুদলে পরিষ্কার।
প্রশ্ন: ভালো, নীল, চিল- এই শব্দ দুটির মতো নীচের খালি ঘরে উপযুক্ত শব্দ বসাও।
* চলে – জলে
* চায় – খায়
প্রশ্ন: মজার দেশের মজার কাণ্ড-কারখানা সম্বন্ধে পাঁচটি বাক্য লেখো।
উত্তর:
১. মজার দেশে রাতে রোদ ওঠে এবং দিনে চাঁদের আলো থাকে।
২. সেখানে আকাশের রং সবুজ এবং গাছের পাতা নীল।
৩. রুই-কাতলা মাছ ডাঙায় চরে এবং চিল পাখি জলে থাকে।
৪. লোকেরা পায়ে ছাতা দিয়ে হাতে ভর দিয়ে চলে।
৫. ডাঙায় নৌকা-জাহাজ ভাসে আর জলে গাড়ি ছোটে।
প্রশ্ন: খ – ভাষা-অধ্যয়ন (ব্যবহারিক ব্যাকরণ)
প্রশ্ন: পদ্যের যুক্তবর্ণগুলো ভেঙে দেখাও এবং দুটি করে নতুন শব্দ লেখো। (ন্দ্র, ল্ল, ষ্ক)
* ন্দ্র = ন্ + দ্ + র (নতুন শব্দ: কেন্দ্র, চন্দ্র)
* ল্ল = ল্ + ল (নতুন শব্দ: উল্লাস, দিল্লি)
* ষ্ক = ষ্ + ক (নতুন শব্দ: শুষ্ক, আবিষ্কার)
প্রশ্ন: যুক্তবর্ণ গঠন করো। (ছবি দেখে)
* ন্ + দ্ + র = ন্দ্র
* ষ্ + ক = ষ্ক
* ল্ + ল = ল্ল
পৃষ্ঠা ১২৯: ক্রিয়াকলাপ
প্রশ্ন: পদ্যটি থেকে খুঁজে বের করে লেখো।
(ক) বিশেষ্য পদগুলো
উত্তর: দেশ, রোদ, চাঁদের, আলো, আকাশ, গাছের, পাতা, রুই, কাতলা, চিল, জিলিপি, কচুরি, রসগোল্লা, ছেলে, ছাতি, নৌকা, জাহাজ, গাড়ি, কথা।
(খ) বিশেষণ পদগুলো
উত্তর: মজার, ভালো, সবুজ, নীল, পরিষ্কার।
(গ) ক্রিয়া পদগুলো
উত্তর: আছে, চরে, চায়, খায়, চলে, ভাসে, ছোটে, বলব, যায়, দেখা, মুদলে।
প্রশ্ন: নীচের প্রত্যেকটি শব্দ দিয়ে একটি করে বাক্য রচনা করো।
* মজা – আজ আমরা খুব মজা করেছি।
* চাঁদ – আকাশে গোল চাঁদ উঠেছে।
* আলো – দিনে সূর্যের আলো থাকে।
* জাহাজ – জাহাজ জলে ভাসে।
* ছাতি – বৃষ্টিতে ছাতি ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্ন: খালি ঘরে বিপরীতার্থক শব্দ লেখো।
* দিন – রাত
* আলো – অন্ধকার
* জল – স্থল
* খোলা – বন্ধ
পৃষ্ঠা ১৩০: ক্রিয়াকলাপ (গ – জ্ঞান-সম্প্রসারণ)
প্রশ্ন: (ক) কবিতাটিতে একটি ইন্দ্রিয়ের নাম আছে, সেটি কী?
উত্তর: চোখ।
প্রশ্ন: (খ) অন্যান্য ইন্দ্রিয়গুলো আমাদের শরীরে কোথায় কোথায় আছে?
উত্তর: অন্যান্য ইন্দ্রিয়গুলি হলো কান (মাথার দুপাশে), নাক (মুখে), জিভ (মুখের ভেতরে) এবং ত্বক (সারা শরীর জুড়ে)।
প্রশ্ন: (গ) কোন কোন ইন্দ্রিয় আমাদের কী কী কাজে সাহায্য করে?
উত্তর: চোখ দেখতে সাহায্য করে, কান শুনতে সাহায্য করে, নাক গন্ধ নিতে সাহায্য করে, জিভ স্বাদ নিতে সাহায্য করে এবং ত্বক স্পর্শ অনুভব করতে সাহায্য করে।
প্রশ্ন: (ঘ) ইন্দ্রিয়গুলো না থাকলে আমাদের কী অবস্থা হত?
উত্তর: ইন্দ্রিয়গুলো না থাকলে আমরা দেখতে, শুনতে, গন্ধ নিতে, স্বাদ গ্রহণ করতে বা কোনো কিছু অনুভব করতে পারতাম না। আমাদের জীবন খুব কঠিন হয়ে যেত।
প্রশ্ন: (ঙ) ইন্দ্রিয়গুলোর যত্ন কীভাবে নিতে হয় তা জেনে নাও।
উত্তর: চোখ পরিষ্কার জল দিয়ে ধুতে হয়, কানে নোংরা কিছু ঢোকানো উচিত নয়, নাক ও জিভ নিয়মিত পরিষ্কার রাখা উচিত এবং ত্বক পরিষ্কার রাখতে প্রতিদিন স্নান করা উচিত।
প্রশ্ন: নীচে যে সব খাদ্যদ্রব্য রয়েছে সেগুলোর মধ্যে কোনটার সঙ্গে কোনটা মিশিয়ে খেতে চাও তা প্রত্যেকের নিজের নিজের পছন্দ অনুযায়ী খাতায় লেখো।
উত্তর: (এটি শিক্ষার্থীর পছন্দের কাজ। একটি নমুনা উত্তর।)
* রুটি, সব্জি ও মাখন।
* ভাত, ডাল ও ভাজা।
* দই ও কলা।
প্রশ্ন: ধাঁধা ভাঙো।
* ধাঁধা: গাছের ওপর ফল / ফলের ওপর গাছ / কে আমি বলো / না ভেবে আগ-পাছ।
* উত্তর: আনারস।
প্রশ্ন: ভেবে বলো। যদি সত্যিই আমাদের দেশে মজার দেশের মতো আজব ঘটনা ঘটে তবে কী হবে বলো দেখি?
উত্তর: (এটি শিক্ষার্থীর কল্পনার কাজ। একটি নমুনা উত্তর।)
যদি সত্যিই আমাদের দেশে এমন আজব ঘটনা ঘটত, তবে খুব মুশকিল হতো। রাতে রোদের তাপে আমরা ঘুমাতে পারতাম না, আর দিনের চাঁদের আলোয় কাজ করতে পারতাম না। মাছ ডাঙায় উঠে মরে যেত আর গাড়ি জলে ডুবে যেত। মানুষের হাঁটতে খুব কষ্ট হতো।
পৃষ্ঠা ১৩১: ক্রিয়াকলাপ
প্রশ্ন: নীচের ছবিগুলো দেখে এগুলো সম্বন্ধে দুটি করে বাক্য তোমার খাতায় লেখো। (ছবিতে মাছি, মশা ও প্রজাপতি আছে)
উত্তর:
* (মাছি): মাছি একটি ক্ষতিকারক পতঙ্গ। এটি নোংরা জায়গায় বসে রোগ ছড়ায়।
* (মশা): মশা আমাদের রক্ত খায়। মশার কামড়ে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু ইত্যাদি রোগ হয়।
* (প্রজাপতি): প্রজাপতি খুব সুন্দর পতঙ্গ। এটি ফুলের মধু খেয়ে বেঁচে থাকে।
(এই পৃষ্ঠার বাকি কাজগুলি প্রকল্প ভিত্তিক – ছবি আঁকা ও পাতা সংগ্রহ করা।)
