পাঠ: ১১, মহাবাহু ব্রহ্মপুত্র, Chapter: 11, Class: 4, SEBA New book, Bengali

ক্রিয়াকলাপ (ক – পাঠভিত্তিক)
প্রশ্ন: (ক) ব্রহ্মপুত্রের অন্য নাম কী?
উত্তর: ব্রহ্মপুত্রের অন্য নাম বরলুইত।
প্রশ্ন: (খ) ব্রহ্মপুত্রের বুকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড়ো নদীদ্বীপটি রয়েছে। তার নাম কী?
উত্তর: তার নাম মাজুলি।
প্রশ্ন: (গ) ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে গড়ে উঠেছে এমন কয়েকটি শহরের নাম লেখো।
উত্তর: ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে গড়ে ওঠা কয়েকটি শহর হলো ডিব্রুগড়, তেজপুর, গোয়ালপাড়া, ধুবড়ি।
প্রশ্ন: (ঘ) নুরুলের মামাতো দিদি ব্রহ্মপুত্র নদকে ভয় করে কেন?
উত্তর: বন্যার সময় ব্রহ্মপুত্রের চেহারা দেখলে ভীষণ ভয় করে, কারণ তখন এই নদ কত মানুষ, ঘর-বাড়ি, পশু-পাখি, গাছ-পালা ভাসিয়ে নিয়ে যায়, তার হিসেব নেই।
প্রশ্ন: শব্দ-সম্ভার দেখে নীচের শব্দগুলোর অর্থ লেখো।
* বিস্মিত – আশ্চর্য
* পরমাত্মীয় – অতি আপনার জন
প্রশ্ন: উত্তর লেখো।
প্রশ্ন: (ক) ”দেখে নাও ব্রহ্মপুত্র কোথা থেকে কোথায় যাচ্ছে।”- কে কাকে এই কথাটি বলেছিলেন?
উত্তর: কথাটি নুরুলের বড়োমামা নুরুলকে বলেছিলেন।
প্রশ্ন: (খ) “এই নদী আমাদের পরমাত্মীয়।”- বক্তা কে? এখানে ‘পরমাত্মীয়’ বলতে বক্তা কী বোঝাতে চেয়েছেন।
উত্তর:
* বক্তা: বক্তা হলেন নুরুলের মামি।
* অর্থ: ‘পরমাত্মীয়’ বলতে বক্তা বোঝাতে চেয়েছেন যে ব্রহ্মপুত্র নদ অসমের মানুষের অনেক উপকার করে এবং এই নদের সাথে অসমের মানুষের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও আপনজনের মতো।
প্রশ্ন: ব্রহ্মপুত্র আমাদের কী কী উপকার ও অপকার করে, তার একটি তালিকা তৈরি করো।
* উপকার – বন্যার পলি ফসলের উৎপাদন বাড়ায়।
* অপকার – বন্যার সময় ব্রহ্মপুত্র বহু মানুষ, ঘর-বাড়ি, পশু-পাখি ও গাছ-পালা ভাসিয়ে নিয়ে যায়।
পৃষ্ঠা ১০৩: ক্রিয়াকলাপ (খ – ভাষা-অধ্যয়ন)
প্রশ্ন: যুক্তবর্ণ গঠন করো।
* ল + গ = ল্গ
* ণ + ঠ = ণ্ঠ
* ষ + প = ষ্প
* ত + ম + য = ত্ম্য
* ষ + প + র = ষ্প্র
* ষ + ক + র = স্ক্র
* ন + ত + র = ন্ত্র
প্রশ্ন: নীচের যুক্তবর্ণ দিয়ে এক একটি শব্দ গঠন করো।
* ল্গ – বল্গা
* ণ্ঠ – কণ্ঠ
* ষ্প – পুষ্প
* ত্ম্য – মাহাত্ম্য
* ষ্প্র – দুষ্প্রাপ্য
* স্ক্র – নিষ্ক্রিয়
* ন্ত্র – যন্ত্র
পৃষ্ঠা ১০৪: ক্রিয়াকলাপ
প্রশ্ন: যুক্তবর্ণ ভেঙে লেখো।
* ক্ত – ক্ + ত
* ন্ত্র – ন্ + ত্ + র
* হ্ম – হ্ + ম
* ত্ম – ত্ + ম
* ণ্ঠ – ণ + ঠ
* স্থ – স্ + থ
প্রশ্ন: বাক্য কয়টি পড়ো ও সেখানে যে শব্দগুলো নাম বোঝাচ্ছে সেই শব্দগুলো খুঁজে নিয়ে লেখো।
* বাক্য: “ব্রহ্মপুত্র নদীটি বরাক, কুশিয়ারার চেয়ে অনেক বড়ো। ব্রহ্মপুত্রের বুকে উমানন্দ দ্বীপটি বর্ষার জল পেয়ে সবুজে সবুজ হয়ে ওঠে।”
* নাম বোঝানো শব্দ (বিশেষ্য): ব্রহ্মপুত্র, নদী, বরাক, কুশিয়ারা, উমানন্দ, দ্বীপ, বর্ষা, জল।
প্রশ্ন: নীচের বাক্যগুলোতে ব্যবহৃত মূল শব্দের সঙ্গে যুক্ত শব্দ বিভক্তিগুলোকে আলাদা করে দেখাও।
* (উদাহরণ) অসমের – অসম – এর
* নদীতে (বাক্য খ) – নদী – তে
* অসমের (বাক্য ক, খ) – অসম – এর
পৃষ্ঠা ১০৫: ক্রিয়াকলাপ (গ – জ্ঞান-সম্প্রসারণ)
প্রশ্ন: জেনে রাখো:
(ক) যে ছোটো নদী বড়ো নদীতে গিয়ে মেশে – উপনদী
(খ) কোনো বড়ো নদী থেকে যে নদীর জন্ম – শাখানদী
(গ) যে ছোটো জলধারা পাহাড়ের গা বেয়ে নেমে আসে – ঝরনা
(ঘ) যে চার কোণ-বিশিষ্ট জলাশয় মানুষ খনন করে – পুকুর
(ঙ) চতুর্দিকে স্থলবেষ্টিত বৃহৎ স্বাভাবিক জলাশয় – হ্রদ
(চ) পর্বত বা ওইরকম উঁচু জায়গা থেকে সবেগে নীচে পড়ে যে জলধারা – জলপ্রপাত
প্রশ্ন: অনুচ্ছেদটি থেকে নীচের প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করো ও লেখো।
প্রশ্ন: (ক) ব্রহ্মপুত্র নদীকে নদ বলার কারণ কী?
উত্তর: পৌরাণিক আখ্যান মতে ব্রহ্মপুত্র ব্রহ্মার পুত্র, তাই ব্রহ্মপুত্রকে নদ বলা হয়।
প্রশ্ন: (খ) ব্রহ্মপুত্র নদীর উপনদীগুলোর নাম কী?
উত্তর: ব্রহ্মপুত্রের উপনদীগুলোর মধ্যে সুবণশিরি, কপিলি, দিচাং, দিখৌ, দিহিং, দিবং, ভোগদৈ, ধনশিরি, ভরলি, পাগলাদিয়া, মানাহ, বেকি, আই ইত্যাদি প্রধান।
প্রশ্ন: (গ) জেলেরা এখানে কীভাবে জীবিকা নির্বাহ করে?
উত্তর: জেলেরা এই নদীগুলোতে মাছ মারে। এই মাছ বিক্রি করে তারা জীবিকা নির্বাহ করে।
প্রশ্ন: (ঘ) ব্রহ্মপুত্র নদীর ওপর যে তিনটি সেতু রয়েছে সেগুলোর নাম কী?
উত্তর: ব্রহ্মপুত্র নদীর ওপর থাকা তিনটি সেতু হলো শরাইঘাট সেতু, কলিয়া ভোমোরা সেতু ও নরনারায়ণ সেতু।
পৃষ্ঠা ১০৬: ক্রিয়াকলাপ
প্রশ্ন: গোরুর বিষয়ে নীচের বাক্যগুলো রচনার ক্রম অনুযায়ী সাজিয়ে লেখো।
উত্তর (সঠিক ক্রম):
১. গোরু একটি চতুষ্পদ গৃহপালিত জন্তু।
২. গোরু বিভিন্ন রঙের আছে।
৩. গোরুর দুটি কান, দুটি চোখ আছে।
৪. গোরুর একটি লেজ আছে।
৫. গোরুর প্রধান খাদ্য ঘাস।
৬. গোরু দুধ দেয়।
৭. গোরু হাল চাষে ব্যবহৃত হয়।
৮. গোরুর গোবর সার হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
৯. গোরু শান্ত প্রকৃতির উপকারী জন্তু।
পৃষ্ঠা ১০৭: ক্রিয়াকলাপ
প্রশ্ন: কে কোন কাজের সঙ্গে জড়িত, তা দাগ টেনে মেলাও –
(ক) জলে ডুবলে যে উদ্ধার করে – ডুবুরি
(খ) আগুন নেভাতে যারা সাহায্য করে – অগ্নিনির্বাপক বাহিনী
(গ) যে নৌকা চালায় – মাঝি
(ঘ) আইন শৃঙ্খলা যে রক্ষা করে – পুলিশ
(ঙ) যে রোগীর চিকিৎসা করে – ডাক্তার
প্রশ্ন: শিলচর, নগাঁও, করিমগঞ্জ, বদরপুর, ধুবরি শহরগুলো কোন কোন নদীর তীরে অবস্থিত বলো।
* শিলচর – বরাক নদী
* নগাঁও – কলং নদী
* করিমগঞ্জ – কুশিয়ারা নদী
* বদরপুর – বরাক নদী
* ধুবরি – ব্রহ্মপুত্র নদী
পৃষ্ঠা ১০৮: ক্রিয়াকলাপ
প্রশ্ন: ছবিটি পর্যবেক্ষণ করে একটি গল্প সাজিয়ে বলো।
উত্তর: (ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের মতো করে গল্প বলবে। একটি নমুনা নিচে দেওয়া হলো।)
ছবিতে সূর্যাস্তের সময় ব্রহ্মপুত্র নদের এক সুন্দর দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। আকাশ লাল এবং হলুদ রঙে ভরে গেছে, সূর্য ডুবতে চলেছে। দূরে একটি সেতু (সম্ভবত শরাইঘাট সেতু) দেখা যাচ্ছে এবং নদীর মাঝে উমানন্দ দ্বীপের মতো একটি দ্বীপ রয়েছে। সামনের দিকে, একজন মাঝি তার ছোটো নৌকা বেয়ে চলেছে। সারাদিন কাজ করে বা মাছ ধরে সে হয়তো এখন বাড়ির দিকে ফিরছে। নদীর জল শান্ত এবং আকাশের সোনালী আলো তাতে প্রতিফলিত হচ্ছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *