পাঠ ৫, কাচ আবিষ্কার, chapter: 5, Class: 4, SEBA New book, Bengali

ক- পাঠভিত্তিক

(ক) সওদাগরের সঙ্গী-সাথিরা ডাঙায় নেমেছিলেন কেন?
উত্তর: সওদাগরের সঙ্গী-সাথিরা রান্নাবান্নার আয়োজন করার জন্য ডাঙায় নেমেছিলেন।
(খ) কাচ কী ভাবে তৈরি হয়?
উত্তর: বালির সঙ্গে চুনাপাথর আর ক্ষার (যেমন সোডা, পটাশ, চুন) মিশিয়ে জ্বাল দিলে মিশ্রণটি গলে যায়, আর ঠান্ডা হলেই তা জমাট বেঁধে কাচ হয়ে যায়।
(গ) প্রথম দিকে লোকেরা অনেক দাম দিয়ে কাচ কিনত কেন?
উত্তর: কাচ তৈরির সময় তাতে ধাতুর মশলা মিশিয়ে রঙিন করা হতো। লোকেরা সেই রঙিন কাচের পুঁতিকে মূল্যবান রত্ন ভেবে প্রচুর দামে কিনে নিত।
(ঘ) পরিষ্কার কাচ তৈরির কৌশল কারা আবিষ্কার করেছিলেন?
উত্তর: প্রায় তিনশ বছর আগে ইংল্যান্ডের কয়েকজন বিজ্ঞানী প্রথম পরিষ্কার স্বচ্ছ কাচ তৈরির কৌশল আবিষ্কার করেছিলেন।
(ঙ) কাচে কী ভাবে বিভিন্ন রং আনা যায়?
উত্তর: কাচ তৈরি করার সময় মিশ্রণটিতে নানা রকম ধাতুর মশলা মিশিয়ে কাচে বিভিন্ন রং আনা যায়।

প্রশ্ন: বাক্য রচনা করো।
উত্তর:
* আয়োজন – কাল আমাদের বাড়িতে পূজার আয়োজন করা হয়েছে।
* রান্নাবান্না – মা দুপুরে রান্নাবান্না করছেন।
* মাঝে-মাঝে – মাঝে-মাঝে বৃষ্টি হলে গরম কমে।
* স্বচ্ছ – পুকুরের জল খুব স্বচ্ছ দেখাচ্ছে।
* রত্ন – সমুদ্রের তলায় অনেক রত্ন পাওয়া যায়।

প্রশ্ন: পাশের বাক্সো থেকে শব্দ এনে মিলিয়ে দাও
উত্তর:
(ক) বেল বাজলে – টিং টিং
(খ) জল ফুটলে – টগ্ বগ্
(গ) টিকটিকি ডাকলে – টিক্ টিক্
(ঘ) [cite_start]ঝড়ে গাছ ভেঙে গেলে – মড় মড়
(ঙ) অনেক দিনের বন্ধ দরজা-জানালা খুললে – ক্যাচ ক্যাচ

প্রশ্ন: ছবির ভিত্তিতে নীচের বাক্যটি বুঝিয়ে লেখো- “বাষ্প হয়ে আকাশে উড়ে আবার বৃষ্টি হয়ে মাটির বুকে নেমে আসি”
উত্তর: এই বাক্যটি জলচক্রকে বোঝাচ্ছে। সূর্যের তাপে নদী, খাল, বিল ও সমুদ্রের জল গরম হয়ে বাষ্পে পরিণত হয়। সেই বাষ্প হালকা হওয়ায় আকাশে উড়ে যায় এবং সেখানে ঠান্ডা হয়ে মেঘে পরিণত হয়। পরে সেই মেঘ থেকেই বৃষ্টি হয়ে জল আবার মাটির বুকে নেমে আসে।
প্রশ্ন: তোমরা জলের কথা শুনলে। সূর্য নিজের বিষয়ে বললে কীভাবে বলবে, লেখো।
উত্তর: আমি সূর্য। আমি এক বিরাট নক্ষত্র। আমি তোমাদের আলো ও তাপ দিই। আমার তাপেই জল বাষ্প হয়ে মেঘ হয় এবং পরে বৃষ্টি হয়। আমার আলো ব্যবহার করেই গাছপালা খাদ্য তৈরি করে, যা খেয়ে তোমরা বেঁচে থাকো। পৃথিবী আমার চারপাশেই ঘোরে।
প্রশ্ন: নীচের ঘরগুলো থেকে বর্ণ বেছে নিয়ে বাড়িতে প্রতিদিন ব্যবহার কর এমন কয়েকটি বাসনের নাম খুঁজে বের করো।
উত্তর:
* হাঁড়ি
* থালা
* বাটি
* গ্লাস
* খুন্তি
* চামচ
* কড়া

প্রশ্ন: ছবি দেখে নীচের বৃত্তিগুলোর নাম লেখো।
উত্তর:
* (উপরের সারি, বাম থেকে ডানে): ধোপা, হকার (বা দুধওয়ালা), ঠেলাগাড়ি চালক
* (মাঝের সারি, বাম থেকে ডানে): ফেরিওয়ালা, নাপিত, মাঝি
* (নীচের সারি, বাম থেকে ডানে): অটো চালক, চুড়ি বিক্রেতা, ভারবাহক (বা কুলি)

প্রশ্ন: নীচের ঘরগুলোতে কাচের তৈরি জিনিসের নাম লেখো।
উত্তর:
(পাঠের এবং ছবির উপর ভিত্তি করে)
* চশমা
* আরশি (আয়না)
* শার্সি (জানালার কাচ)
* গ্লাস
* বাটি
* শিশি-বোতল
* ফটো ফ্রেম
* বাসন-কোসন
প্রশ্ন: এখন নীচের বাগ্ধারাগুলোর অর্থ শিক্ষকের কাছ থেকে জেনে নিয়ে বাক্য রচনা করো।
উত্তর:
* জলের আলপনা – (অর্থ: ক্ষণস্থায়ী জিনিস) – দুদিনের এই জীবনটা যেন জলের আলপনা।
* বালির বাঁধ – (অর্থ: ক্ষণস্থায়ী বা ভঙ্গুর জিনিস) – অসৎ উপায়ে অর্জিত সম্মান বালির বাঁধের মতো ভেঙে যায়।
* গভীর জলের মাছ – (অর্থ: খুব ধূর্ত বা চালাক ব্যক্তি) – লোকটাকে সহজ ভেবো না, ও একটা গভীর জলের মাছ।

প্রশ্ন: ধাঁধা বলো-
উত্তর:
(ক) পাখা মোর নাই শূন্যেতে বেড়াই
 উত্তর: ধোঁয়া (বা বাষ্প)
(খ) দেখলে তা পায় না, পেলে কিন্তু দেখে না।
 উত্তর: ঘুম
(গ) একটা শোল মাছের দুটো মাথা, শোল মাছ চলে গেল কলকাতা।
 উত্তর: চিঠি

ঘ – প্রকল্প

প্রশ্ন: কী কী কাজে কাচের প্রয়োজন হয় তার একটি তালিকা প্রস্তুত করো।
উত্তর:
১। চশমা তৈরি করতে।
২। আয়না (আরশি) তৈরি করতে।
৩। বাসন-কোসন (গ্লাস, বাটি) বানাতে।
৪। শিশি-বোতল তৈরি করতে।
৫। জানালার শার্সি বানাতে।
৬। ফটো ফ্রেমে ছবি বাঁধাতে।
৭। বৈদ্যুতিক বাতি (Bulb) তৈরি করতে।
৮। ঘড়ির কাচ বানাতে।
৯। অ্যাকুরিয়াম তৈরি করতে।
১০। গবেষণাগারের যন্ত্রপাতি (যেমন টেস্ট টিউব) বানাতে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *