ক – পাঠভিত্তিক
(ক) কামলাং নদী কোন প্রদেশে?
উত্তর: কামলাং নদী অরুণাচল প্রদেশে অবস্থিত।
(খ) কামলাং নদীতে কে মাছ ধরতে গিয়েছিল?
উত্তর: অনাথ যুবক কোয়ান্না কামলাং নদীতে মাছ ধরতে গিয়েছিল।
(গ) কোয়ান্সা নদীতে খলুই পেতে রেখে কী পেয়েছিল?
উত্তর: কোয়ান্সা নদীতে খলুই পেতে রেখে দুটো অচেনা মাছ পেয়েছিল—একটা ছোটো আর একটা বড়ো।
(ঘ) বড়ো মাছটি কোয়ান্সা কোথায় জিইয়ে রেখেছিল?
উত্তর: বড়ো মাছটি কোয়ান্সা লাউয়ের খোলায় জিইয়ে রেখেছিল।
(ঙ) কোয়ান্সার ঘর কোন জিনিসে ভরে গিয়েছিল?
উত্তর: কোয়ান্সার ঘর ঝলমলে কাপড়ে ভরে গিয়েছিল।
(চ) তাঁতে খঙ্খট্ করে কে কাপড় বুনছিল?
উত্তর: মাছটি যে ছিপছিপে সুন্দরী মেয়ে (হামব্রুমাই) হয়ে গিয়েছিল, সে তাঁতে খঙ্খট্ করে কাপড় বুনছিল।
(ছ) কে হামব্রুমাই-কে কাপড় বুনতে বলেছিলেন?
উত্তর: আদিমানবী নিকে হামব্রুমাই-কে কাপড় বুনতে বলেছিলেন।
কে কাকে বলেছিল লেখো।
(ক) “তুমি কে গো? কোথা থেকে এসেছ? কাপড় বুনতে শিখলে কী করে? এই ফুলগুলোর নকশাই-বা পেলে কোথায়?’
উত্তর: কোয়ান্সা এই কথাগুলো হামব্রুমাইকে বলেছিল।
(খ) “আকাশের নানা রং, মেঘের লুকোচুরি খেলা আর মাছের আঁশের চেকনাই আমার কাপড়ে ফুল হয়ে ফুটে উঠেছে।”
উত্তর: হামব্রুমাই এই কথাগুলো কোয়ান্সাকে বলেছিল।
খ- ভাষা-অধ্যয়ন (ব্যবহারিক ব্যাকরণ)
Q. বাক্য রচনা করো।
* মেঘের লুকোচুরি – আকাশে মেঘের লুকোচুরি খেলা দেখতে খুব ভালো লাগে।
* চোখ কপালে ওঠা – লোকটার কান্ড দেখে আমার চোখ কপালে উঠল।
* আহ্লাদে আটখানা – পরীক্ষার ফল ভালো হওয়ায় সে আহ্লাদে আটখানা।
* দমকা হাওয়া – হঠাৎ দমকা হাওয়া এসে সব ধুলো উড়িয়ে দিল।
Q. এসো, পাঠটির যুক্তবর্ণযুক্ত শব্দগুলো বের করে লিখি।
উত্তর: পাঠটিতে থাকা যুক্তবর্ণযুক্ত শব্দগুলো হলো:
শস্যক্ষেত্রে, তক্ষুনি, বিস্ময়ে, ঝলমলে, কিছুক্ষণ, খঙ্খট্, বুদ্বুদ, চেকনাই, মুগ্ধ, সঙ্গে, মনোবাঞ্ছা, জিজ্ঞেস।
Q. নীচের বাক্যগুলো পড়ো এবং ওই বাক্যগুলোকে প্রশ্নবোধক বাক্যে পরিবর্তন করো।
* উদাহরণ: আমি হামব্রুমাই – তুমি কে?
* আমার ঘর কামলাং-এ – তোমার ঘর কোথায়?
* আমি হামব্রুফৈদের মেয়ে – তুমি কার মেয়ে?
* আমি বাজার থেকে এসেছি – তুমি কোথা থেকে এসেছ?
* আমি রূপকথা শুনতে ভালোবাসি – তুমি কী শুনতে ভালোবাসো?
* কোয়ান্সা মাছ ধরতে ভালোবাসে – কোয়ান্সা কী করতে ভালোবাসে?
Q. নীচের শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ পাঠ থেকে খুঁজে বের করে লেখো।
* সন্ধেবেলা – দিন (অথবা) বিকেলে
* চেনা – অচেনা
* বড়ো – ছোটো
* অপকার – উপকার
গ- জ্ঞান-সম্প্রসারণ
প্রশ্ন: কোয়ান্সা কামলাং নদীতে খলুই দিয়ে মাছ ধরেছিল। খলুই ছাড়া অন্য কী কী উপায়ে মাছ ধরা যায় লেখো।
উত্তর: খলুই ছাড়া জাল, বড়শি ও কোঁচ দিয়ে মাছ ধরা যায়।
প্রশ্ন: হামব্রুমাই তাঁতে কাপড় বুনেছিল। এছাড়া অন্য কোন উপায়ে কাপড় বোনা যায়? তোমাদের আশপাশে অথবা দূরদর্শনে কোন পদ্ধতিতে তাঁত বোনা দেখেছ লেখো।
উত্তর: তাঁত ছাড়া মেশিনে বা যন্ত্র-চালিত তাঁতে (Power loom) কাপড় বোনা যায়। আমি দূরদর্শনে দেখেছি কীভাবে বড়ো বড়ো কারখানায় মেশিনের সাহায্যে খুব দ্রুত কাপড় বোনা হয়।
প্রশ্ন: অরুণাচল অসমের পার্শ্ববর্তী রাজ্য। অসমের চারপাশে অবস্থিত অন্য রাজ্যগুলোর নাম লেখো।
উত্তর: অসমের চারপাশে অবস্থিত অন্য রাজ্যগুলো হলো মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গ।
প্রশ্ন: কামলাং নদী অরুণাচলে অবস্থিত। অরুণাচল থেকে অসমের দিকে প্রবাহিত অন্যান্য নদীগুলোর নাম লেখো।
উত্তর: অরুণাচল থেকে অসমের দিকে প্রবাহিত অন্যান্য প্রধান নদীগুলি হলো লোহিত, দিবাং, সিয়াং (যা অসমে ব্রহ্মপুত্র নামে পরিচিত) এবং সুবনসিরি।
প্রশ্ন: মাছ কতো রকমভাবে খাওয়া যায় বলো ও লেখো?
উত্তর: মাছ ভেজে, ঝোল রেঁধে, পুড়িয়ে এবং পাতায় মুড়ে (পাতুরি) খাওয়া যায়।
এবার নীচের প্রশ্নগুলোতে ‘কি’ অথবা ‘কী’ বসিয়ে বাক্যটি সম্পূর্ণ করো।
(ক) তোমার বাবার নাম ………. ?
উত্তর: তোমার বাবার নাম কী?
(খ) তুমি স্কুলে যাবে ………. ?
উত্তর: তুমি স্কুলে যাবে কি?
(গ) আজ বৃষ্টি আসবে ………. ?
উত্তর: আজ বৃষ্টি আসবে কি?
(ঘ) অসমের পার্শ্ববর্তী রাজ্যের নাম ………. ?
উত্তর: অসমের পার্শ্ববর্তী রাজ্যের নাম কী?
প্রশ্ন:এসো, মাছ ধরার বিভিন্ন সরঞ্জামের কোনটির সঙ্গে কোন শব্দ ব্যবহার করা হয় জেনে নিই
উত্তর:
* খলুই পাতা
* জাল মারা
* বড়শি মারা
* কোঁচ মারা
ঘ- প্রকল্প
প্রশ্ন: অসমের ভিন্ন ভিন্ন জনগোষ্ঠীর দ্বারা ব্যবহৃত যুবক-যুবতীর পরিচ্ছদের নাম সংগ্রহ করে লেখো।
উত্তর: অসমের ভিন্ন ভিন্ন জনগোষ্ঠীর পরিচ্ছদ:
* অহম: (যুবক) ধুতি-পাঞ্জাবি, গামোছা; (যুবতী) মেখেলা-চাদর।
* বড়ো: (যুবক) গামোছা, ধুতি; (যুবতী) দখন, ফালি।
* মিশিং: (যুবক) গনৰ’, উগন; (যুবতী) এগে, ৰিঃবি, গাচেং।
প্রশ্ন: বিভিন্ন পরিস্থিতি অনুযায়ী কে কী ধরনের পোশাক ব্যবহার করছে ছবি দেখে সেই পোশাকগুলোর নাম বলো ও লেখো।
উত্তর: ছবি অনুযায়ী:
* ফুটবল খেলোয়াড়: হাফ প্যান্ট, টি-শার্ট।
* জল বহনকারী মহিলা: শাড়ি।
* মাছ ধরা মহিলা: মেখেলা (বা কাজের শাড়ি)।
* সैनिक বা রক্ষী: ইউনিফর্ম (প্যান্ট, শার্ট, টুপি)।
* বিহু নৃত্যরত: (পুরুষ) ধুতি, গামোছা, ফতুয়া; (মহিলা) মেখেলা-চাদর।
