আমাদের ঘরোয়া উৎপাদন, Chapter -13, Class -3, SEBA, EVS New Book
আমাদের ঘরোয়া উৎপাদন, Chapter -13, Class -3, SEBA, EVS New Book
পৃষ্ঠা ৮৮ (ক্রিয়াকলাপ ১)
* প্রশ্ন: ছবি দেখে জিনিস গুলোর নাম বাক্সের ভিতরে লেখো।
* উত্তর: (ছবি অনুযায়ী) ১. চালুনী, ২. কুলা, ৩. পাখা, ৪. শরাই, ৫. জাপি, ৬. পলো।
* প্রশ্ন: বাঁশ বেতের আর কি কি বস্তু প্রস্তুত করতে পারি?
* উত্তর: বাঁশ বেত দিয়ে ঘর সাজানোর জিনিস যেমন ফুলদানি, শরাই, জাপি ইত্যাদি প্রস্তুত করা যায়। এছাড়া মাছ ধরার সরঞ্জাম যেমন- ঝাঁকি, খলই, চেপা, পলো এবং বাদ্যযন্ত্র যেমন- বাঁশি, টকা, গগণা ইত্যাদিও বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হয়।
পৃষ্ঠা ৮৯
* প্রশ্ন: বাঁশ দিয়ে আরও কী কী তৈরি করা হয়?
* উত্তর: বাঁশ দিয়ে থাকার ঘর, ধান রাখার শস্য ভাণ্ডার, হাঁস-মুরগি রাখার খাঁচা, গোয়ালঘর ইত্যাদি তৈরি করা হয়। কৃষিকাজে ব্যবহার করা সরঞ্জাম যেমন মই, ওখোইত ও জোয়ালও বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হয়।
পৃষ্ঠা ৯০
* প্রশ্ন: প্লাষ্টিকের ব্যবহার কেনো কমানো উচিত?
* উত্তর: পাঠ অনুযায়ী, প্লাষ্টিকের ব্যবহার কেনো কমানো উচিত তা শিক্ষক ও বড়োদের থেকে জেনে নিতে বলা হয়েছে।
* প্রশ্ন: (ক্রিয়াকলাপ) তোমাদের বাড়িতে বাঁশ ও বেতের তৈরি কী কী বস্তু আছে নিচের তালিকায় লেখো।
* উত্তর: (এটি ছাত্রছাত্রীদের নিজেদের লেখার জন্য। পাঠ অনুযায়ী উদাহরণ:)
* বাঁশের তৈরি সামগ্রী – চালুনী, কুলা, পাখা, পলো, ঝাঁকি, খলই, মই, জোয়াল, টুকরি, ডুলি, তোম, সিন্দুক, চিরুণী, ফুলদানি, জাপি।
* বেতের তৈরি সামগ্রী – পাটি ও বেতের তৈরি অন্যান্য জিনিস (যেমন আসবাব)।
* প্রশ্ন: কুটির শিল্প কাকে বলা হয়?
* উত্তর: যে উৎপাদন ব্যবস্থায় দৈনন্দিন ব্যবহার্য সামগ্রী স্থানীয়ভাবে সহজলভ্য কাঁচামাল থেকে তৈরি করা হয়, যন্ত্রপাতির ব্যবহার কম হয় এবং কম সংখ্যক মানুষ শারীরিক পরিশ্রমে ঘরোয়াভাবে সামগ্রী উৎপাদন করে, তাকে কুটির শিল্প বলা হয়।
* প্রশ্ন: অসমের কুটির শিল্পের উদাহরণ দাও।
* উত্তর: পাট, মুগা, এড়ি কাপড়ের বয়নশিল্প, মৃৎশিল্প, কাঁসা-পিতল শিল্প, বাঁশ-বেতের শিল্প প্রভৃতি অসমের কুটির শিল্পের উদাহরণ।
পৃষ্ঠা ৯২ (অনুশীলনী)
১। উত্তর লেখো
* প্রশ্ন: (ক) বাঁশের তৈরি দুটো বাদ্যযন্ত্রের নাম লেখো।
* উত্তর: বাঁশের তৈরি দুটো বাদ্যযন্ত্রের নাম হলো বাঁশি ও গগণা (বা টকা)।
* প্রশ্ন: (খ) বাঁশ, বেতের তৈরি দুটো ঘর সাজানো সামগ্রীর নাম লেখো।
* উত্তর: বাঁশ, বেতের তৈরি দুটো ঘর সাজানো সামগ্রীর নাম হলো ফুলদানি ও জাপি (বা শরাই)।
* প্রশ্ন: (গ) তাঁত-শিল্প ব্যবহার হয়, এমন চারপ্রকার বাঁশের সরঞ্জামের নাম লেখো।
* উত্তর: তাঁত-শিল্পে ব্যবহৃত হয়, এমন চারপ্রকার বাঁশের সরঞ্জাম হলো উঘা, চরকী, শানা ও মরকা।
২। প্রশ্ন: নিচে নাম দেওয়া জায়গাগুলো কী কী উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত-
* (ক) শুয়ালকুচি – শুয়ালকুচি পাট-মুগা কাপরের জন্য বিখ্যাত।
* (খ) কাছাড় – কাছাড় জেলা পাটি ও বেতের জিনিস উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত।
* (গ) নলবাড়ী – নলবাড়ী জেলা বাঁশ বেতের বিভিন্ন জিনিস ও জাপি উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত।
* (ঘ) ঢকুয়াখনা – ঢকুয়াখনা পাট-মুগা কাপরের জন্য বিখ্যাত।
৩। প্রশ্ন: নিচে উল্লেখিত সামগ্রী গুলো কী কী কাজে ব্যবহার হয় লেখো-
* (ক) হাতপাখা – হাতপাখা বাতাস করার কাজে ব্যবহার হয়।
* (গ) চালুনী – চালুনী কোনো কিছু চালার কাজে ব্যবহার হয়।
* (ঘ) জাপি – জাপি ঘর সাজানোর কাজে বা মাথায় দেওয়ার জন্য ব্যবহার হয়।
* (ঙ) ঝাঁকি – ঝাঁকি মাছ ধরার সরঞ্জাম।
* (চ) চরকা – চরকা তাঁত-শিল্পে সুতা গোছানোর কাজে ব্যবহার হয়।
৪। ‘ক’ অংশের সঙ্গে ‘খ’ অংশ মেলাও-
* চেপা – মাছ ধরার সরঞ্জাম
* লাঙল – একটি কৃষি কাজের সরঞ্জাম
* জাপি – ঘর সাজানো সামগ্রী
* ডুলি – ধান জাতীয় শস্য রাখার বাঁশের সামগ্রী
* পাটী – বসার আসন
