বায়ু ও আমাদের চারদিক, Chapter -6, Class -4, SEBA, EVS New Book

বায়ু ও আমাদের চারদিক


পৃষ্ঠা ৪৭ (পাঠ – ৬ বায়ু ও আমাদের চারদিক)
ক্রিয়াকলাপ: ফুঁ দাও
প্রশ্ন: হাতে কিছু অনুভব করছো কি?
  উত্তর: হ্যাঁ, মুখ থেকে বেরিয়ে আসা হাওয়া হাতে বাতাসের মতো লেগেছে, এটা অনুভব করছি।
ক্রিয়াকলাপ: পলিব্যাগ
  প্রশ্ন: দেখবে পলিথিনের ব্যাগটি ফুলে উঠেছে। কেনো ফুলে উঠেছে?
  উত্তর: ব্যাগটির ভেতরে বায়ু ঢোকার জন্য ফুলে উঠেছে।
ক্রিয়াকলাপ: বোতল ডোবানো
  প্রশ্ন: জল থেকে বুদবুদ বেরোচ্ছে কী? যদি বেরোয়, কেনো?
  উত্তর: হ্যাঁ, বুদবুদ বেরোচ্ছে। বোতলের ভেতরের বায়ু বুদবুদ আকারে বেরিয়ে যাচ্ছে।
পৃষ্ঠা ৪৮ (বায়ু)
ক্রিয়াকলাপ: মাটি ডোবানো
প্রশ্ন: জলে বুদবুদ ওঠা দেখছো? এই বুদবুদ কীসের জন্য?
  উত্তর: হ্যাঁ, দেখছি। মাটির টুকরোর ভেতরের বায়ু বেরিয়ে আসছে আর সেই শূন্য জায়গা জল দিয়ে পূর্ণ হচ্ছে। এর থেকে বোঝা যায় যে মাটির ভেতরও বায়ু আছে।
ক্রিয়াকলাপ: বেলুন
প্রশ্ন: বেলুনটির ভেতরে কী ঢুকলো?
উত্তর: বেলুনটির ভেতরে বায়ু ঢুকলো।
  প্রশ্ন: কোনো শব্দ শুনছো কী? এই শব্দটি কীসের?
উত্তর: হ্যাঁ, শব্দ শুনছি। বেলুনটির মুখ খুলে দেওয়ায় ভিতরের বায়ু বেরিয়ে আসার ফলেই এই শব্দের সৃষ্টি হয়েছিলো।
ক্রিয়াকলাপ: চরকি
  প্রশ্ন: চরকিটি ঘুরছে কেনো?
উত্তর: বায়ু চলাচলের জন্যই চরকিটি ঘুরে।
পৃষ্ঠা ৪৯ (বায়ুর উপাদান)
ক্রিয়াকলাপ: মোমবাতি পরীক্ষা
  প্রশ্ন: কী দেখলে? গ্লাস দিয়ে ঢেকে দেওয়া মোমবাতি কিছুক্ষণ পর নিভে গেলো নাকি? যদি নিভে গেছে তবে এর কারণ কী?
  উত্তর: হ্যাঁ, গ্লাস দিয়ে ঢেকে দেওয়া মোমবাতি কিছুক্ষণ পর নিভে গেলো। এর কারণ হলো, গ্লাসের ভেতরে বায়ুর (অক্সিজেনের) পরিমাণ কমে যাওয়ায় মোমবাতিটি নিভে গেলো, কারণ বাইরে থেকে বায়ু প্রবেশ করতে পারেনি। এই পরীক্ষা থেকে বোঝা যায় যে বায়ুতে এমন একটি গ্যাস (অক্সিজেন) রয়েছে যা আগুন জ্বলতে সাহায্য করে।
ক্রিয়াকলাপ: শ্বাস-প্রশ্বাস
  প্রশ্ন: নাকের সামনে হাতটি ধরে শ্বাস ছাড়ো। হাতে কিছু অনুভব করছো কী?
  উত্তর: হ্যাঁ, হাতে গরম বাতাস অনুভব করছি।
প্রশ্ন: এবার গভীরভাবে নিঃশ্বাস নাও। নাকের ভেতর কী প্রবেশ করলো, বলোতো?
উত্তর: নাকের ভেতর বায়ু প্রবেশ করলো।
পৃষ্ঠা ৫০ (বায়ুর ব্যবহার)
ক্রিয়াকলাপ: ভেবে বলো
  প্রশ্ন: বায়ুতে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে গেলে কী হবে?
  উত্তর: বায়ুতে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে গেলে প্রাণী এবং উদ্ভিদের বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে, কারণ শ্বাসকার্যের জন্য অক্সিজেন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। পর্বতোরোহনকারী বা রোগীদের যেমন নিঃশ্বাসে কষ্ট হলে অক্সিজেন সিলিন্ডার লাগে, তেমনই অক্সিজেনের পরিমাণ কমে গেলে আমাদের সবার শ্বাসকষ্ট হবে।
ক্রিয়াকলাপ: কার্বন-ডাই-অক্সাইড
প্রশ্ন: এসো, কী কী কাজে কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস ব্যবহার করা হয় জেনে নিই-
উত্তর:আগুন নেভানোর জন্য কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস ব্যবহার করা হয়।
  উদ্ভিদ নিজের আহার তৈরি করার জন্য কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস ব্যবহার করে।

পৃষ্ঠা ৫১ (বায়ু দূষণ)
ক্রিয়াকলাপ: আলোচনা করে উত্তর দিই
  প্রশ্ন: বায়ুর মধ্যের কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস উদ্ভিদের জন্য কেনো প্রয়োজন? এই গ্যাস উদ্ভিদকে কোন কাজে সাহায্য করে? এই গ্যাসের অভাব হলে উদ্ভিদের কী ক্ষতি হতে পারে?
উত্তর: উদ্ভিদের নিজের আহার তৈরি করার জন্য কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস প্রয়োজন।
    এই গ্যাস উদ্ভিদকে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় আহার তৈরিতে সাহায্য করে।
   এই গ্যাসের অভাব হলে উদ্ভিদ নিজের আহার তৈরি করতে পারবে না, ফলে উদ্ভিদের বৃদ্ধি ব্যাহত হবে এবং উদ্ভিদটি মারাও যেতে পারে।
প্রশ্ন:
প্রশ্ন: বায়ু প্রদূষিত হলে আমাদের কী কী অসুবিধা হতে পারে-
উত্তর: বায়ু প্রদূষণের ফলে অ্যালার্জি, হাঁপানি, সর্দি-কাশি-জ্বর, শ্বাস-প্রশ্বাসের কষ্ট, চোখ জ্বালা-পোড়া করা বা লাল হওয়া, চোখ থেকে জল পড়া, নাক ও গলায় জ্বলাভাব, ফুসফুসের রোগ ইত্যাদি হতে পারে।
পৃষ্ঠা ৫২ (বায়ু দূষণ রোধ)
ক্রিয়াকলাপ: ভেবে সিদ্ধান্ত নিই
  প্রশ্ন: স্বল্প দূরত্বে যাওয়ার সময় গাড়ি অথবা মোটর সাইকেল ব্যবহার করা কী উচিত?
উত্তর: না, স্বল্প দূরত্বে যাওয়ার সময় গাড়ি অথবা মোটর সাইকেল ব্যবহার করা উচিত নয়, কারণ মোটর গাড়ি কম ব্যবহার করে বায়ু প্রদূষণ রোধ করা যায়।
ক্রিয়াকলাপ: পোস্টার তৈরি
  প্রশ্ন: ‘বায়ু প্রদূষণ কিভাবে রোধ করতে পারি?’ এই বিষয়ে সজাগতা আনার জন্য শ্লোগান লিখে পোস্টার তৈরি করো।
উত্তর: (এটি একটি ব্যবহারিক কাজ। পোস্টারের জন্য কিছু নমুনা শ্লোগান:)
    “বেশি করে গাছ লাগান, বায়ু প্রদূষণ কমান।”
    “গাড়ির ব্যবহার কমাও, বিশুদ্ধ বাতাস পাও।”
    “আবর্জনা পোড়াবেন না, পরিবেশ দূষিত করবেন না।”
    “হাঁচি-কাশির সময় রুমালে মুখ ঢাকুন, জীবাণু ছড়ানো বন্ধ করুন।”

পৃষ্ঠা ৫৩ (অনুশীলনী – পাঠ ৬)
১। উত্তর লেখো –
  (ক) বায়ু কী?
   উত্তর: বায়ু হলো মিশ্র গ্যাসীয় পদার্থ যা আমাদের চারদিকে সব জায়গায় আছে। বায়ুতে প্রধানত অক্সিজেন, কার্বন-ডাই-অক্সাইড, নাইট্রোজেন গ্যাস ছাড়াও জলীয় বাষ্প, ধূলিকণা ইত্যাদি মিশ্রিত থাকে।
(খ) আগুন জ্বালানোয় সাহায্যকারী গ্যাসটির নাম কী?
   উত্তর: আগুন জ্বালানোয় সাহায্যকারী গ্যাসটির নাম অক্সিজেন।
  (গ) নিঃশ্বাসের সঙ্গে নেওয়া বায়ু কেমন হতে হবে?
   উত্তর: নিঃশ্বাসের সঙ্গে নেওয়া বায়ু বিশুদ্ধ বা দূষণমুক্ত হতে হবে, কারণ দূষিত বায়ু স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর।
  (ঘ) কোন গ্যাস চুন-জলকে সাদা করে?
   উত্তর: (এই তথ্যটি পাঠ্যপুস্তকের এই অংশে দেওয়া নেই।)
(ঙ) বাতাস কাকে বলে?
   উত্তর: বায়ু চলাচলকে বাতাস বলে।
২। শূন্য স্থান পূরণ করো-
  (ক) বায়ুকে আমরা চোখে দেখতে পাই না।
(খ) জোরে বয়ে চলা বায়ুকে ঝড় বলা হয়।
(গ) উদ্ভিদ বায়ু থেকে নাইট্রোজেন গ্যাস সংগ্রহ করে (বৃদ্ধি লাভ করে)।
  (ঘ) দূষিত বায়ু স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক।
৩। শুদ্ধ উত্তরটিতে ‘✓’ দাও।
  (ক) নির্মল / বিশুদ্ধ বায়ুর বর্ণ আছে / নেই ✓।
  (খ) বায়ু আমরা দেখি / অনুভব করি ✓।
  (গ) বেঁচে থাকার জন্য সব প্রাণী এবং উদ্ভিদের বায়ুর প্রয়োজন আছে ✓ / নেই।
  (ঘ) প্রদূষিত বায়ু স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক ✓ / ক্ষতিকারক নয়।
৪। বায়ুর চারটি ব্যবহার লেখো।
  উত্তর: প্রাণী ও উদ্ভিদ নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের কাজে বায়ু (অক্সিজেন) ব্যবহার করে।
   * আগুন জ্বালানোর কাজে বায়ু (অক্সিজেন) সাহায্য করে।
   * উদ্ভিদ আহার তৈরির জন্য বায়ু (কার্বন-ডাই-অক্সাইড) ব্যবহার করে।
   * রাসায়নিক সার প্রস্তুত করার জন্য বায়ু (নাইট্রোজেন) ব্যবহার করা হয়।
৫। (ক) দূষিত বায়ু থেকে হওয়া তিন প্রকার অসুখের নাম লেখো।
উত্তর: দূষিত বায়ু থেকে হওয়া তিন প্রকার অসুখ হলো অ্যালার্জি, হাঁপানি এবং ফুসফুসের রোগ।
৫। (খ) বায়ু প্রদূষণ রোধ করার চারটি উপায় লেখো।
উত্তর: বেশি করে গাছপালা রোপণ করা।
   * কল-কারখানা থেকে নির্গত দূষিত পদার্থগুলো নিয়ন্ত্রণের উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
   * সহজে পচে যায় না এমন বস্তু (পলিথিন, প্লাস্টিক) নালা-নর্দমায় না ফেলা।
   * মোটর গাড়ি কম করে ব্যবহার করা।
৫। (গ) পার্থক্য লেখো – ঝড় এবং মলয় বাতাস।
  উত্তর: ঝড়: প্রবল বেগে বয়ে যাওয়া বাতাসকে ঝড় বলে।
   মলয় বাতাস: মৃদু মৃদু বয়ে যাওয়া বাতাসকে মলয় বাতাস বলে।
৬। একটি শুকনো মাটির টুকরো জলে ফেলে দিলে বুদবুদ কেনো ওঠে?
  উত্তর: শুকনো মাটির টুকরোর ভেতরে বায়ু থাকে। মাটির টুকরোটি জলে ফেলে দিলে সেই ভেতরের বায়ু বুদবুদ আকারে বেরিয়ে আসে এবং সেই শূন্য জায়গা জল দিয়ে পূর্ণ হয়, তাই বুদবুদ ওঠে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *