বিভিন্ন প্রাণী
পৃষ্ঠা ৮ (পাঠ – ২ বিভিন্ন প্রাণী)
ক্রিয়াকলাপ: তালিকা পূরণ
প্রশ্ন: তোমাদের বাড়িতে বা আশপাশে যে প্রাণীগুলোকে দেখতে পাও সেই প্রাণীগুলো কি কি খায় তা লক্ষ করে নীচের দেওয়া তালিকাটি পূরণ করো।
উত্তর: (পাঠ্যপুস্তকের ৯-১৩ পৃষ্ঠার তথ্যের ভিত্তিতে)
(১) গোরু — ঘাস, গাছের পাতা
(২) ছাগল — ঘাস, গাছের পাতা
(৩) পায়রা — শস্য (ধান, ডাল), কীট-পতঙ্গ
(৪) বিড়াল — সব ধরনের আহার
(৫) হাঁস — কেঁচো, কেন্নো, পোকা-মাকড়, শামুক
(৬) কুকুর — সব ধরনের আহার
(৭) মুরগি — (তথ্যে নেই)
(৮) কাক — সব ধরনের আহার, মৃতদেহ
(৯) কেঁচো — (তথ্যে নেই, তবে হাঁস কেঁচো খায়)
(১০) টিকটিকি — কীট-পতঙ্গ
(১১) ইঁদুর — (তথ্যে নেই)
(১২) সাপ — (তথ্যে নেই)
(১৩) বাঁদর — (তথ্যে নেই)
(১৪) শামুক — (তথ্যে নেই, তবে বক ও হাঁস শামুক খায়)
(১৫) ঘোড়া — ঘাস, গাছের পাতা
(১৬) শকুন — মৃতদেহ, মাংস
(১৭) হাতি — (তথ্যে নেই)
(১৮) কাঠবেড়ালি — (তথ্যে নেই)
(১৯) মৌমাছি — ফুলের মধু
(২০) বক — মাছ, ব্যাঙ, কাঁকড়া, শামুক
—
পৃষ্ঠা ৯ (খাদ্যাভ্যাস)
ক্রিয়াকলাপ: খাদ্যাভ্যাস অনুযায়ী শ্রেণিবিভাগ
প্রশ্ন: তোমার চেনা প্রাণীগুলোর খাদ্যাভ্যাস অনুযায়ী নামগুলো নীচের তালিকায় দেওয়া ধরনে ভাগ করো।
উত্তর:
তৃণভোজী — গোরু, ছাগল, মহিষ, ঘোড়া, উট
মাংসভোজী — বাঘ, সিংহ, শিয়াল
সর্বভোজী — মানুষ, কুকুর, বিড়াল, কাক, ভালুক
—
পৃষ্ঠা ১০ (পাখির আহার)
ক্রিয়াকলাপ: ভেবে লেখো
প্রশ্ন: জঙ্গলের তৃণভোজী প্রাণীরা সবসময় দল বেঁধে থাকে কেন?
উত্তর: জঙ্গলে বাঘ, সিংহ ইত্যাদি মাংসভোজী প্রাণী তৃণভোজী প্রাণীদের শিকার করে খায়। তাই তৃণভোজী প্রাণীরা শিকারি প্রাণীর আক্রমণ থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য দল বেঁধে থাকে।
—
পৃষ্ঠা ১২ (পাখির আহার)
ক্রিয়াকলাপ: ঠোঁট দেখে খাদ্য চেনা
প্রশ্ন: নীচে কতগুলো পাখির ঠোঁটের ছবি দেওয়া হয়েছে। ঠোঁটগুলো দেখে কোন পাখিগুলো কী খাদ্য খায় তা লেখো।
উত্তর:
চড়ুই / দোয়েল (ছোটো ঠোঁট) — শস্যভোজী পাখি, ধান, ডাল, কীট-পতঙ্গ খায়।
বাজ (বাঁকা, ধারালো ঠোঁট) — মাংসভোজী বা শিকারি পাখি, মাংস ছিঁড়ে খায়।
ক্রিয়াকলাপ: নিরীক্ষণ করে লিখি
প্রশ্ন: তোমাদের চারপাশের পাখিগুলো কী কী খাদ্য খায় তা লক্ষ করে নীচের তালিকাটিতে লেখো।
উত্তর:
পায়রা — ধান, ডাল, শস্য
টিয়া — ফল-মূল, শক্ত ফল (যেমন কাঠবাদাম)
মৌটুসি — ফুলের মধু, ফড়িং, কীট-পতঙ্গ
বক — মাছ, ব্যাঙ, কাঁকড়া, শামুক
শকুন / চিল — মাংস
হাঁস — কেঁচো, কেন্নো, পোকা-মাকড়, শামুক
—
পৃষ্ঠা ১৩ (অন্যান্য প্রাণী ও বাসস্থান)
ক্রিয়াকলাপ: পর্যবেক্ষণ করে লেখো
প্রশ্ন: নীচের প্রাণীগুলো কী খাদ্য খায় তা জেনে নিয়ে লেখো।
উত্তর:
মৌমাছি — ফুলের মধু চুষে খায়।
মাকড়সা — (তথ্যে নেই)
প্রজাপতি — (তথ্যে নেই)
কাক — সব ধরনের আহার গ্রহণ করে এবং পচা-গলা মৃতদেহও খায়।
—
পৃষ্ঠা ১৪ (বাসস্থান)
ক্রিয়াকলাপ: ভেবে বলো
প্রশ্ন: গৃহপালিত প্রাণীর মতো বন্যপ্রাণীরাও আমাদের নানা ধরনে সাহায্য করে। এই উপকারী প্রাণীগুলো না থাকলে আমাদের কী কী অসুবিধা হতে পারে?
উত্তর:
শকুন, কাক, শিয়াল ইত্যাদি প্রাণী মৃতদেহ খেয়ে পরিবেশ পরিষ্কার রাখে; এরা না থাকলে রোগ ছড়াবে।
মৌমাছি, প্রজাপতি ফুলে পরাগযোগ ঘটায়; এরা না থাকলে ফসল কমে যাবে।
বাঘ, সিংহ তৃণভোজীদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে, ফলে প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় থাকে।
—
পৃষ্ঠা ১৬ (পাখির বাসা ও পরিযায়ী পাখি)
ক্রিয়াকলাপ: পর্যবেক্ষণ করে করি
প্রশ্ন: তোমাদের চারপাশের পাখিগুলো কোথায় বাসা তৈরি করে এবং কী কী সামগ্রী দিয়ে বাসা তৈরি করে তা পর্যবেক্ষণ করে নীচের তালিকাটি পূরণ করো।
উত্তর:
কাঠঠোকরা — নিজে গর্ত করে, গাছে বাসা বানায়।
টুনটুনি — গাছের পাতা, খড়কুটো, তুলো-সুতো দিয়ে দুটি পাতা জোড়া লাগিয়ে বাসা বানায়।
বাবুই — কাঁচা লম্বা ঘাস, নারিকেল/খেজুর আঁশ দিয়ে সুপারি বা খেজুর গাছে বাসা বানায়।
দোয়েল — গাছের পাতা দিয়ে বাসা বানায়।
বুলবুলি — ঝোপযুক্ত গাছের ডালে বাসা বানায়।
সারস / মাছরাঙা — নদী বা বিলের ধারে গাছে বাসা বানায়।
—
পৃষ্ঠা ১৮ (পরিযায়ী পাখি)
ক্রিয়াকলাপ: মানচিত্র দেখে তালিকা পূরণ
প্রশ্ন: আগের পৃষ্ঠার মানচিত্রটি দেখে নীচের তালিকাটি পূরণ করো।
উত্তর:
দীপর বিল পক্ষী উদ্যান — কামরূপ (মহানগর)
পবিতরা অভয়ারণ্য — মরিগাঁও
সোণাই-রূপাই অভয়ারণ্য — শোণিতপুর
কাজিরঙা রাষ্ট্রীয় উদ্যান — গোলাঘাট / নগাঁও
বরদৈবাম-বিলমুখ পক্ষী উদ্যান — লখিমপুর
ডিব্রু-সৈখোরা রাষ্ট্রীয় উদ্যান — তিনিসুকিয়া / ডিব্ৰুগড়
জাটিঙ্গা পক্ষী উদ্যান — ডিমা-হাসাও
—
পৃষ্ঠা ১৯ (অনুশীলনী – পাঠ ২)
১। উত্তর লেখো
(ক) মানুষকে কেন সর্বভোজী প্রাণী বলা হয়?
→ মানুষ উদ্ভিদ ও প্রাণী উভয়ের ওপর নির্ভর করে।
(খ) পরিযায়ী পাখিগুলো কেন দেশ-বিদেশ ঘুরে বেড়ায়?
→ খাদ্যের সন্ধানে বা অতিরিক্ত গরম/শীত এড়াতে।
(গ) মাংসভোজী প্রাণী কাকে বলে?
→ যে প্রাণী মাংস খেয়ে বেঁচে থাকে।
(ঘ) তৃণভোজী প্রাণী কাকে বলে?
→ যে প্রাণী ঘাস ও গাছের পাতা খায়।
(ঙ) প্রাণীর বাসস্থানের কেন প্রয়োজন?
→ রোদ, বৃষ্টি ও শত্রুর আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে।
(চ) ব্যাঙ কীভাবে কীট-পতঙ্গ ধরে খায়?
→ ব্যাঙের লম্বা আঠালো জিহ্বা দিয়ে।
(ছ) প্রাণীর আহারের প্রয়োজন কেন?
→ শক্তি ও বৃদ্ধির জন্য।
(জ) বাবুই পাখি কীভাবে বাসা তৈরি করে?
→ ঘাস ও আঁশ পাকিয়ে কলসের মতো ঝুলন্ত বাসা বানায়।
(ঝ) মাছ কোন কোন জায়গা বাসস্থান হিসাবে ব্যবহার করে?
→ জল, কচুরিপানা, নদীর গর্ত বা পাথরের ফাঁক।
২। শুদ্ধ করে লেখো
(ক) টুনটুনি/কোকিল/বুলবুলি পাখি বাসা তৈরি করে না।
(খ) ধৃতরাজ/বুলবুলি/ময়ূর একটি পরিযায়ী পাখি।
৩। শূন্যস্থান পূরণ করো
(ক) দেশ-বিদেশ থেকে অসমে পরিযায়ী পাখি দেখতে আসা লোককে বলে পর্যটক।
(খ) হাঁসের ঠোঁট মোটা ও চ্যাপটা।
৪। ছবি দেখে মেলাও
টিয়া → ফল-মূল খায়
শকুন → মাংস খায়
সারস → মাছ খায়
