গাছপালার কথা
পৃষ্ঠা ১ (পাঠ – ১ গাছপালার কথা)
ক্রিয়াকলাপ: ছবির গাছপালা
প্রশ্ন: উপরের ছবিটিতে কোন কোন গাছপালা দেখতে পাচ্ছো, বলো।
উত্তর: ছবিটিতে নারকেল গাছ, আম গাছ, কলা গাছ, পেঁপে গাছ, কুমড়ো, বেগুন, লঙ্কা, সূর্যমুখী, গাঁদা, অপরাজিতা (নীল ফুল) এবং আরও অন্যান্য গাছপালা ও ফুল দেখা যাচ্ছে।
ক্রিয়াকলাপ: পর্যবেক্ষণ করে শ্রেণি বিভাজন নীচের তালিকাটি প্রথম পৃষ্ঠার ছবির উপর ভিত্তি করে পূরণ করা হলো —
নারকেল গাছ — বৃক্ষ — ফল (ডাব, নারকেল), পাতা
আম গাছ — বৃক্ষ — ফল (আম), কাঠ
কলা গাছ — গুল্ম — ফল (কলা), ফুল (মোচা)
কুমড়ো — লতা — ফল (সবজি)
বেগুন — গুল্ম — ফল (সবজি)
লঙ্কা — গুল্ম — ফল (মশলা)
সূর্যমুখী — গুল্ম — ফুল, বীজ (তেল)
পৃষ্ঠা ২ (উদ্ভিদের অংশ)
ক্রিয়াকলাপ: এসো, করি (জল শোষণ পরীক্ষা)
প্রশ্ন: শিকড়সহ উদ্ভিদটিতে কোনো পরিবর্তন লক্ষ করেছো কি?
উত্তর: হ্যাঁ, শিকড়সহ উদ্ভিদটির পাতা এবং কাণ্ড লাল কালি মেশানো জল শুষে নেওয়ার ফলে লাল হয়ে উঠবে। এর থেকে বোঝা যায় যে, শিকড়ই মাটি থেকে জল শুষে নিয়ে কাণ্ডের মাধ্যমে পাতায় পাঠায়।
ক্রিয়াকলাপ: উদ্ভিদের ছবি আঁকা
প্রশ্ন: একটি উদ্ভিদের ছবি এঁকে উদ্ভিদটির বিভিন্ন অংশকে শনাক্ত করে নামগুলো লেখো।
উত্তর: এই কাজটি আপনাকে খাতায় করতে হবে। একটি উদ্ভিদের প্রধান অংশগুলো হলো —
শিকড় (মাটির নীচে থাকে)
কাণ্ড (মাটির ওপরে থাকে)
ডাল
পাতা
ফুল
ফল
পৃষ্ঠা ৩ (সালোকসংশ্লেষণ)
ক্রিয়াকলাপ: পর্যবেক্ষণ করি লিখি
প্রশ্ন: উপরের ছবিটি দেখে পাতা আহার তৈরি করার জন্য কী কী ব্যবহার করেছে লেখো।
উত্তর: ছবিটি [এবং পাঠ্য] অনুসারে, পাতা আহার তৈরি করার জন্য ব্যবহার করেছে —
সূর্যের আলো
কার্বন-ডাই-অক্সাইড (বায়ু থেকে)
জল (মাটি থেকে)
খনিজ লবণ (মাটি থেকে)
পৃষ্ঠা ৪ (উদ্ভিদ ও প্রাণী)
ক্রিয়াকলাপ: দলগতভাবে করি
প্রশ্ন: গাছ লাগানোর সজাগতা আনার জন্য শ্লোগান লেখে পোস্টার প্রস্তুত করো।
উত্তর: এটি একটি দলগত কাজ। আপনারা পাঠ্যবইয়ের তথ্যের উপর ভিত্তি করে এই শ্লোগানগুলো লিখতে পারেন —
“গাছ লাগান, প্রাণ বাঁচান।”
“গাছ লাগাও, পরিবেশ বাঁচাও।”
“গাছের শিকড় মাটিকে ধরে, ভূমিক্ষয় রোধ করে।”
“অক্সিজেন পেতে চাও? বেশি করে গাছ লাগাও।”
পৃষ্ঠা ৫ (ফুল ও ফল)
ক্রিয়াকলাপ: পর্যবেক্ষণ করে লিখি (ফুলের তালিকা) এই তালিকাটি পাঠ্যবইয়ের তথ্যের উপর ভিত্তি করে পূরণ করা হলো —
গোলাপ — সব সময় ফোঁটে — রঙীন — গন্ধ আছে
জবা — সব ঋতুতে — রঙীন — গন্ধ নেই (সাধারণত)
গাঁদা — শীত ঋতু — রঙীন — গন্ধ আছে
শেফালি — (শরৎকালে) / রাতে ফোঁটে — সাদা — গন্ধ আছে
টগর — বসন্ত ঋতু — সাদা — গন্ধ আছে (কিছু প্রজাতিতে)
প্রশ্নোত্তর:
প্রশ্ন: গরমের সময়ে তোমরা কী কী ফল খাও? উত্তর: গরমের সময়ে আমরা আম, কাঁঠাল, জাম, লিচু, বুবি, পানিফল ইত্যাদি ফল খাই।
প্রশ্ন: সব ফলের স্বাদ কী একই ধরনের? উত্তর: না, সব ফলের স্বাদ এক ধরনের নয়। বিভিন্ন ফলের আকৃতি, বর্ণ, স্বাদ ও গন্ধ আলাদা আলাদা হয়।
পৃষ্ঠা ৬ (ফলের শ্রেণিবিভাগ)
ক্রিয়াকলাপ: পর্যবেক্ষণ করি (ফলের তালিকা) এই তালিকাটি পাঠ্যবইয়ের তথ্যের উপর ভিত্তি করে পূরণ করা হলো —
কমলা — শীতকালে — গোলাকার — কমলা — বহুবীজি — গন্ধ আছে
আম — গ্রীষ্ম ঋতু — বিভিন্ন (যেমন-লম্বাটে) — কাঁচা সবুজ, পাকা হলুদ — একবীজি — গন্ধ আছে
কাঁঠাল — গ্রীষ্ম ঋতু — বড়ো — কাঁচা সবুজ, পাকা হলুদ — বহুবীজি — গন্ধ আছে
কুল — শীত ঋতু — ছোটো, গোলাকার — কাঁচা সবুজ, পাকা হলুদ/লাল — একবীজি — গন্ধ আছে
(পৃষ্ঠা ৬-এর অন্য ক্রিয়াকলাপগুলো, যেমন ‘পাতার অ্যালবাম তৈরি করা’ এবং ‘গাছগুলো লক্ষ করি’, ব্যবহারিক কাজ যা শিক্ষার্থীদের নিজেদের করতে হবে।)
পৃষ্ঠা ৭ (অনুশীলনী)
১। উত্তর লেখো —
(ক) একটি উদ্ভিদের অংশসমূহের নাম লেখো। উত্তর: একটি উদ্ভিদের প্রধান অংশসমূহ হলো— শিকড়, কাণ্ড, ডাল, পাতা, ফুল এবং ফল।
(খ) তিন প্রকার উদ্ভিদের নাম লেখো যেগুলোর শিকড়কে সবজি হিসাবে খাওয়া যায়? উত্তর: তিন প্রকার উদ্ভিদ যাদের শিকড় সবজি হিসাবে খাওয়া যায়, সেগুলি হলো— গাজর, মূলা এবং বিট।
(গ) উদ্ভিদের পাতার রং সবুজ হওয়ার কারণ কী? উত্তর: উদ্ভিদের পাতায় ‘পত্রহরিৎ’ নামে একটি রঙীন পদার্থ থাকে, যার কারণে উদ্ভিদের পাতার রং সবুজ হয়।
(ঘ) দুই প্রকার ফুলের নাম লেখো যেগুলো বছরের সব ঋতুতে ফোঁটে? উত্তর: বছরের সব ঋতুতে ফোঁটে এমন দুই প্রকার ফুল হলো— গোলাপ এবং জবা (বা নয়নতারা)।
(ঙ) তিন প্রকার ফলের নাম লেখো যেগুলো গ্রীষ্ম ঋতুতে পাওয়া যায়? উত্তর: গ্রীষ্ম ঋতুতে পাওয়া যায় এমন তিন প্রকার ফল হলো— আম, কাঁঠাল এবং লিচু।
(চ) চার প্রকার বহুবীজি ফলের নাম লেখো। উত্তর: চার প্রকার বহুবীজি ফল হলো— কাঁঠাল, ডালিম, কমলা এবং বুবি।
২। শূন্যস্থান পূরণ করো —
(ক) উদ্ভিদ আহার প্রস্তুত করার জন্য কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস ব্যবহার করে।
(খ) লিচু, জলপাই ইত্যাদির একটি বীজ থাকে।
(গ) উদ্ভিদ বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেন গ্যাস এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাসের ভারসাম্য রক্ষা করে।
(ঘ) ফুল থেকেই ফল উৎপন্ন হয়।
(ঙ) ফুলের রং এবং গন্ধ কীট-পতঙ্গকে আকর্ষণ করে।
৩। শুদ্ধ উত্তরটিতে ‘✓’ চিহ্ন দাও —
(ক) উদ্ভিদ আহার তৈরি করার সময় বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড ✓ / অক্সিজেন গ্যাস আহরণ করে।
(খ) শেফালি, রজনিগন্ধা ইত্যাদি দিনে/রাতে ✓ ফোঁটে।
(গ) কমলা, কুল ইত্যাদি গ্রীষ্ম ঋতু/শীত ঋতুর ✓ ফল।
(ঘ) আনারস, তরমুজ ইত্যাদির আকৃতি ছোটো/বড়ো ✓।
৪। তুমি ভালোবাসো এমন একটি ফলের ছবি এঁকে রং করো।
উত্তর: এটি একটি আঁকার কাজ, যা শিক্ষার্থীদের নিজেদের খাতায় করতে হবে।
পৃষ্ঠা ৮ (পাঠ – ২ বিভিন্ন প্রাণী)
ক্রিয়াকলাপ: পর্যবেক্ষণ করে তালিকা পূরণ
প্রশ্ন: প্রাণীগুলো কী খায় তা লক্ষ করে নীচের তালিকাটি পূরণ করো।
উত্তর: পাঠ্যবইয়ের (পৃষ্ঠা ৯-১৩) তথ্যের উপর ভিত্তি করে তালিকাটি পূরণ করা হলো —
গোরু — ঘাস, গাছের পাতা
ছাগল — ঘাস, গাছের পাতা
পায়রা — শস্য (ধান, ডাল)
বিড়াল — সব ধরনের আহার
হাঁস — কেঁচো, কেন্নো, পোকা-মাকড়, শামুক
কুকুর — সব ধরনের আহার
মুরগি — (তথ্যে নেই)
কাক — সব ধরনের আহার, মৃতদেহ
কেঁচো — (তথ্যে নেই)
টিকটিকি — কীট-পতঙ্গ
ইঁদুর — (তথ্যে নেই)
সাপ — (তথ্যে নেই)
বাঁদর — (তথ্যে নেই)
শামুক — (তথ্যে নেই)
ঘোড়া — ঘাস, গাছের পাতা
শকুন — মৃতদেহ, মাংস
হাতি — (তথ্যে নেই)
কাঠবেড়ালি — (তথ্যে নেই)
মৌমাছি — ফুলের মধু
বক — মাছ, ব্যাঙ, কাঁকড়া, শামুক
