জীবদেহে শ্বসন, Chapter-10, Class-7, Science, SEBA

জীবদেহে শ্বসন, Chapter-10, Class-7, Science,SEBA

জীবদেহে শ্বসন, Chapter-10, Class-7, Science,SEBA

অনুশীলনী
(১) দৌড়ানোর পর খেলোয়াড়রা কেন দীর্ঘ এবং ঘন ঘন শ্বাস নেয়?
উত্তর: দৌড়ানোর সময় শরীরের অতিরিক্ত শক্তির প্রয়োজন হয়। এই শক্তি উৎপাদনের জন্য কোষের মধ্যে খাদ্য কণার ভাঙন দ্রুত হতে হয়, যার জন্য বেশি অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়। দৌড়ানোর পর খেলোয়াড়রা দীর্ঘ এবং ঘন ঘন শ্বাস নেয় যাতে শরীরে আরও বেশি পরিমাণ অক্সিজেন প্রবেশ করে এবং কোষগুলিতে অক্সিজেনের যোগান বাড়ে, ফলে অধিক শক্তি নির্গত হয়।

(২) সবাত শ্বসন ও অবাত শ্বসনের সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্যগুলো উল্লেখ করো।
উত্তর:
সাদৃশ্য:
* উভয় প্রক্রিয়াতেই খাদ্য (গ্লুকোজ) ভেঙে শক্তি নির্গত হয়।
* উভয় প্রক্রিয়াই জীবের কোষে সংঘটিত হয়।
বৈসাদৃশ্য:
| বৈশিষ্ট্য | সবাত শ্বসন | অবাত শ্বসন |

১| অক্সিজেনের ব্যবহার | অক্সিজেন ব্যবহৃত হয়। | অক্সিজেন ব্যবহৃত হয় না। |
২| উৎপন্ন পদার্থ | কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও জল উৎপন্ন হয়। | জীবের ধরনের উপর নির্ভর করে । |
২| শক্তির পরিমাণ | বেশি শক্তি নির্গত হয়। | কম শক্তি নির্গত হয়। |

(৩) ধূলামিশ্রিত বায়ু শ্বাস নেওয়ার পর আমরা কেন হাঁচি দিতে থাকি?
উত্তর: আমাদের চারপাশের বায়ুতে ধোঁয়া, ধূলিকণা ইত্যাদি অবাঞ্ছিত পদার্থ থাকে। শ্বাস নেওয়ার সময় নাসিকা গহ্বরে থাকা লোম এই কণাগুলোকে আটকে দেয়। কিন্তু কখনও কখনও এই কণাগুলো লোম অতিক্রম করে ভেতরে প্রবেশ করে নাসিকা গহ্বরের ভেতরের আবরণটিকে উত্তেজিত করে তোলে, যার ফলস্বরূপ আমাদের হাঁচি আসে ,হাঁচির মাধ্যমে এই অবাঞ্ছিত কণাগুলো শ্বাস নেওয়া বায়ু থেকে বেরিয়ে যায়।

(৪) তিনটি টেষ্ট টিউব নাও। প্রত্যেকটিতে 3/4 অংশ জল দ্বারা পূর্ণ করো। প্রত্যেকটিকে A,B,C হিসাবে শনাক্ত করো। A টেস্ট টিউবে একটি শামুক, B তে একটি জলজ উদ্ভিদ এবং C তে শামুক এবং জলজ উদ্ভিদ রাখো। কোন টেষ্টটিউবে সবথেকে বেশি CO2 উৎপন্ন হবে?
উত্তর: টেস্টটিউব A-তে সবথেকে বেশি CO2 উৎপন্ন হবে।
কারণ:
* শামুক শ্বসন প্রক্রিয়ায় অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইড (CO_{2}) ত্যাগ করে।
* জলজ উদ্ভিদ শ্বসন প্রক্রিয়ায় CO_{2} ত্যাগ করে, কিন্তু সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় CO_{2} গ্রহণ করে।
* টেস্টটিউব A-তে কেবল শামুক থাকায় শুধুমাত্র শ্বসনের ফলে CO_{2} উৎপন্ন হবে।
* টেস্টটিউব B-তে উদ্ভিদ শ্বসনে CO_{2} উৎপন্ন করলেও সালোকসংশ্লেষণে তা ব্যবহার করবে।
* টেস্টটিউব C-তে শামুক CO_{2} উৎপন্ন করবে, কিন্তু উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণে সেই CO_{2} ব্যবহার করবে।
   সুতরাং, টেস্টটিউব A-তেই CO_{2}-এর পরিমাণ সর্বাধিক হবে।

(৫) শুদ্ধ উত্তরটিতে চিহ্ন দাও:
(ক) আরশোলার শরীরে বায়ু ঢোকে-
(i) ফুসফুস দিয়ে
(ii) ফুলকা দিয়ে
(iii) বায়ুছিদ্র দিয়ে ✓ (শ্বাস নলীকা বায়ুছিদ্রের সাথে যুক্ত)
(iv) ত্বক দিয়ে

(খ) ভারী ব্যায়াম করার সময় পায়ের মাংশ পেশিতে খিচুনি ধরে যে বস্তুর জমা হওয়ার ফলে, তা হল-
(i) কার্বন-ডাই-অক্সাইড
(ii) ল্যাকটিক অ্যাসিড ✓
(iii) এলকোহল
(iv) জল জমা হওয়ার জন্য

(গ) একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ বিশ্রামের সময় শ্বাস প্রশ্বাসের হার প্রতি মিনিটে-
(i) 9-12 বার
(ii) 15-18 বার ✓
(iii) 21 – 24 বার
(iv) 30-33 বার

(ঘ) শ্বাস ছেড়ে দেওয়ার সময় পাঁজর-
(i) বাইরের দিকে যায়
(ii) নীচের দিকে নামে ✓
(iii) উপরের দিকে উঠে
(iv) কোনদিকেই উঠানামা করে না।

(৬) ‘ক’ অংশের সঙ্গে ‘খ’ অংশ যুক্ত কর
উত্তর:
| ‘ক’ অংশ | ‘খ’ অংশ |

| (ক) ইষ্ট | (iii) এলকোহল |
| (খ) মধ্যচ্ছদা | (iv) বক্ষ গহ্বর |
| (গ) ত্বক | (i) কেঁচো |
| (ঘ) পাতা | (v) পত্ররন্ধ্র |
| (ঙ) মাছ | (ii) ফুলকা |
| (চ) ব্যাঙ | (vi) ফুসফুস ও ত্বক |

(৭) শুদ্ধ উত্তরটিতে T এবং অশুদ্ধ উত্তরটিতে F বসাও:
(i) দীর্ঘ সময় ব্যায়ামের পর একজন লোকের শ্বাস প্রশ্বাসের হার কমে যায় (T/F)।
উত্তর: F (মিথ্যা)
(ii) গাছে শুধু দিনের বেলা সালোক সংশেণ এবং রাত্রিতে শ্বাস প্রশ্বাস সংগঠিত হয়ে থাকে (T/F)।
উত্তর: F (মিথ্যা) (গাছপালা সব সময়ই শ্বসন কার্য চালায়)।
(iii) ব্যাঙ তাদের চামড়া ও ফুসফুসের সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায় (T/F)।
উত্তর: T (সত্য)
(iv) শ্বাসপ্রশ্বাসের জন্য মাছের ফুসফুস আছে (T/F)।
উত্তর: F (মিথ্যা) (মাছের ফুলকা আছে)।
(v) শ্বাস নেওয়ার সময় বক্ষগহ্বর আয়তনে বাড়ে (T/F)।
উত্তর: T (সত্য)
(৮) জীবের শ্বাস প্রশ্বাসের সঙ্গে জড়িত কিছু শব্দ নীচের বর্ণের বর্গটিতে দেওয়া আছে। এই শব্দগুলো পাশাপাশি, উপরনীচ, কোনাকোণিভাবে দেওয়া আছে। শ্বসন তন্ত্রের সঙ্গে জড়িত শব্দগুলো বেছে বের করো। নীচে ইঙ্গিত দেওয়া হল।
উত্তর:
উত্তর:
(i) পতঙ্গের বায়ু নলী – শ্বাসনলীকা
(ii) বক্ষ গহ্বরের চারপাশের কঙ্কাল – পাঁজর
(iii) বক্ষ গহ্বরের মাংসপেশি যুক্ত স্থান – মধ্যচ্ছদা
(iv) গাছের পাতায় থাকা ছোট ছোট ছিদ্র – পত্ররন্ধ্র
(v) পতঙ্গের শরীরের পার্শ্বে থাকা ছোট ছোট ছিদ্র – বায়ুছিদ্র
(vi) মানুষের শ্বসন অঙ্গ – ফুসফুস
(vii) আমরা যে ছিদ্রের সাহায্যে শ্বাসক্রিয়া করি – নাসারন্ধ্র (বর্ণের বর্গে নেই, কিন্তু প্রাসঙ্গিক)
(viii) একটি অবাত শ্বসন প্রক্রিয়া চলা জীব – ইষ্ট
(ix) শ্বাসনলী থাকা একটি পতঙ্গ – আরশোলা

(৯) পর্বতারোহীরা তাদের সঙ্গে অক্সিজেন নিয়ে যায় কারণ-
(ক) ৫ কি.মি. এর বেশি উচ্চতায় থাকা স্থানে বাতাস থাকে না।
(খ) একজন লোকের যতটুকু বাতাসের প্রয়োজন তার থেকে কম থাকে। ✓
(গ) নীচের তুলনায় উপরের বায়ুর উষ্ণতা অনেক বেশি।
(ঘ) নীচের তুলনায় উপরের বায়ুর চাপ অনেক বেশি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *