হারানো সভ্যতার খোঁজে , Chapter – 10, Class – 8, SEBA New Syllabus

হারানো সভ্যতার খোঁজে, পাঠ ১০


হারানো সভ্যতার খোঁজে

১। শিক্ষক/শিক্ষয়িত্রীর কাছ থেকে অর্থ জেনে নাও

পোড়ামাটি: আগুনে পোড়ানো মাটি বা কাদা দিয়ে তৈরি জিনিস

ভাস্কর্য: পাথর, কাঠ বা ধাতু খোদাই করে তৈরি মূর্তি বা শিল্পকর্ম

সংগ্রহালয়: যে স্থানে ঐতিহাসিক, শৈল্পিক বা বৈজ্ঞানিক নিদর্শন সংগ্রহ ও প্রদর্শন করা হয়, জাদুঘর

বৌদ্ধস্তূপ: বৌদ্ধদের দ্বারা নির্মিত অর্ধ-গোলাকার সমাধি বা স্মৃতিস্তম্ভ

রোমাঞ্চ: শিহরণ, উত্তেজনা

ভগ্নাবশেষ: ভেঙে যাওয়া বা ধ্বংসপ্রাপ্ত অংশ, ধ্বংসের চিহ্ন


২। শিক্ষক/শিক্ষয়িত্রীর কাছ থেকে তাৎপর্য জেনে নাও

নষ্ট-কোষ্ঠী: হারানো ইতিহাস বা তথ্য পুনরুদ্ধার করার প্রত্নতাত্ত্বিক প্রক্রিয়া

কীর্তিচিহ্ন: অতীতের সংস্কৃতি, ধর্ম ও জীবনযাত্রার গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ বহন করে

নটরাজ শিব: নৃত্যের রাজা শিব, বিশ্ব-সৃষ্টি, স্থিতি ও লয়ের প্রতীক, প্রাচীন শিল্পকলা ও ধর্মীয় ঐতিহ্যের নিদর্শন


৩। নীচের কথাগুলো পড়ো এবং বুঝে নাও

পাঠটি সংলাপ-নির্ভর আলোচনা। চরিত্রদের কথোপকথনের মাধ্যমে প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্যের ওপর আলোকপাত করা হয়েছে। দলগত আলোচনায় অংশগ্রহণ করলে দ্রুত ও সহজে জ্ঞান অর্জন সম্ভব।


৪। উত্তর বলো ও লেখো
ক) ভারতীয় সভ্যতা যে প্রাচীন তা বিশ্ববাসী কখন জেনেছিল?

Ans.মহেঞ্জোদারো ও হরপ্পার খননকার্যের পরই বিশ্ববাসী ভারতীয় সভ্যতাকে খুব পুরোনো সভ্যতা হিসেবে মেনে নিয়েছিল।


খ) সিন্ধু সভ্যতার যে-কোনো তিনটি কেন্দ্রবিন্দুর নাম কী?

Ans. মহেঞ্জোদারো, হরপ্পা, লোথাল


গ) প্রত্নতত্ত্ব কী? প্রত্নতত্ত্ববিদ কাদের বলা হয়?

Ans.প্রত্নতত্ত্ব: মাটির তলা থেকে প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন বা ঐতিহাসিক কীর্তিচিহ্ন নিয়ে গবেষণা করা বিজ্ঞান

প্রত্নতত্ত্ববিদ: যারা প্রত্নতত্ত্ব নিয়ে গবেষণা করে হারানো ইতিহাস উদ্ধার করেন


ঘ) অসমের কোন কোন অঞ্চলে প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে?

Ans.সূর্যপাহাড় (গোয়ালপাড়া জেলা)

চরাইদেও (শিবসাগর)

আমবাড়ি (গুয়াহাটি)

বরাচুবুরি গ্রাম (তেজপুর)

ডুবরনি (গোলাঘাট জেলার বড়পাথারের কাছে)

পাগলাটেক (গোয়ালপাড়া জেলা)

বরভিটা গ্রাম (গোয়ালপাড়া জেলা)


ঙ) তেজপুরের কাছে কোন গ্রাম থেকে পোড়ামাটির কুয়োর ভগ্নাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে?

Ans.বরাচুবুরি গ্রাম থেকে


চ) আমবাড়ির খনন স্থানটিকে কেন ‘প্রাচীন শিল্পের সংগ্রহালয় বা শিল্পীর কর্মস্থল’ বলা হয়েছে?

Ans.প্রচুর পাথরের ভাস্কর্য, পোড়ামাটির মূর্তি, বাসনকোসন এবং শিল্পসামগ্রী উদ্ধার হওয়ায়


ছ) আহোমরা কোন অঞ্চল থেকে অসমে এসেছিলেন?

Ans.দক্ষিণ চিন থেকে


জ) সবার মন অতীতচারী হয়ে উঠল কেন?

Ans.প্রত্নতত্ত্বের গবেষক রণদীপের কাছে বিভিন্ন অঞ্চলের প্রত্ন-সামগ্রীর ছবি দেখে সবাই অতীতের দিকে মনোযোগী হলো


৫। দলে আলোচনা করে লেখো
ক) গোয়ালপাড়া জেলার দুটি খননস্থল এবং বৈশিষ্ট্য

Ans.সূর্যপাহাড় ও পাগলাটেক

ধর্মীয় সহাবস্থান, বৌদ্ধ নিদর্শন, হিন্দু নিদর্শন, জৈন নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে


খ) তোমাদের অঞ্চলের ইতিহাস-প্রসিদ্ধ স্থান বা খনন

স্থান: দ-পরবতীয়া মন্দির, তেজপুর

Ans.ঐতিহাসিক তাৎপর্য: গুপ্তযুগের শিল্পকলা ও স্থাপত্য

খনন/আবিষ্কার: পাথরের মন্দিরের ভিত্তি, প্রবেশদ্বারের কাঠামো

নিদর্শন: গঙ্গা ও যমুনা দেবীর মূর্তি, লতা ও জ্যামিতিক নকশা

বৈশিষ্ট্য: প্রাচীন কামরূপ রাজ্যের স্থাপত্য ও ভাস্কর্য শিল্পের পরিচয়


৬। শূন্যস্থান পূর্ণ করো

সূর্যপাহাড়ের প্রত্নতাত্ত্বিক খনন অসমের ইতিহাসে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে প্রথম-দ্বিতীয় শতকের পাথরের বৌদ্ধস্তূপ, সপ্তম-অষ্টম শতকের মন্দিরের পাদবিন্যাস ও পোড়ামাটির ভাস্কর্য আবিষ্কৃত হয়েছে। প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগের খননে একটি ইটের এবং আরেকটি ইট ও পাথর দিয়ে তৈরি মন্দিরের অবশেষ উদ্ধার হয়েছে।


৭। নীচের ব্যাসবাক্যগুলোকে সমস্ত পদে পরিবর্তন করো

বীণা পাণিতে যার: বীণাপাণি

চন্দ্র শিখরে যার: চন্দ্রশেখর

দশ আনন যার: দশানন

ত্রি লোচন যার: ত্রিলোচন


৮। নীচের সমস্ত পদগুলোকে ব্যাস বাক্যে পরিবর্তন করো

পীতাম্বর: পীত অম্বর যার

পূণ্যশ্লোক: পূণ্য শ্লোক যার

কৃতবিদ্য: কৃত বিদ্যা যার

নীলবসনা: নীল বসন যার

ত্রিনয়ন: ত্রি নয়ন যার

পাপমতি: পাপে মতি যার

নীলকণ্ঠ: নীল কণ্ঠ যার

কেশাকেশি: কেশে কেশে ধরে যে যুদ্ধ

কোলাকুলি: কোলে কোলে যে ক্রিয়াকরণ

মৃগনয়না: মৃগের নয়নের মতো নয়ন যার

স্বর্ণাভ: স্বর্ণের মতো আভা যার

গায়েহলুদ: গায়ে হলুদ দেওয়া হয় যে অনুষ্ঠানে

হাতেখড়ি: হাতে খড়ি দেওয়া হয় যে অনুষ্ঠানে

বেপরোয়া: নাই পরোয়া যার

অজ্ঞান: নাই জ্ঞান যার


৯। নীচের শব্দগুলোর বিপরীতার্থক শব্দ

প্রাচীন: নবীন/আধুনিক

পুরোনো: নতুন

ধ্বংস: সৃষ্টি/নির্মাণ

বিশাল: ক্ষুদ্র/ছোট


১০। বাক্য রচনা করো

ইতিহাস: প্রত্নতাত্ত্বিক খনন ইতিহাস অধ্যয়নের এক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ

পোড়ামাটি: তেজপুরের কাছে পোড়ামাটির কুয়োর ভগ্নাবশেষ পাওয়া গেছে

উদ্ধার: প্রত্নতত্ত্ববিদেরা বহু গবেষণা করে প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন উদ্ধার করেন

খনন: মহেঞ্জোদারো ও হরপ্পার খননের ফলে সিন্ধু সভ্যতা আবিষ্কৃত হয়েছিল

নির্মাণ: খ্রিস্টীয় ষষ্ঠ শতকের ইটের নির্মিত একটি মন্দিরের ভিত্তি ডুবরনি অঞ্চলে পাওয়া গেছে


১১। সপ্তমী বিভক্তি প্রয়োগ করে বাক্য রচনা

কর্তৃ কারক: পাগলে কী না বলে!

কর্ম কারক: তাঁহাকে ডেকো না

করণ কারক: টাকায় সব হয় না

অপাদান কারক: বিপদে মোরে রক্ষা করো

অধিকরণ কারক: অসমে প্রাচীন সভ্যতার চিহ্ন ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে


১২। অনুচ্ছেদ থেকে পাঁচটি প্রশ্ন

ট্রেনটি অসমের সীমানা ছাড়িয়ে কোন দিকে ছুটেছে?

একই কামরায় থাকা যাত্রীদের মধ্যে কাদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে?

অনিন্দিতা ও বীণাপাণি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী?

চন্দ্রশেখর ও আব্দুল দেশ দেখতে কোথায় কোথায় যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে?

রণদীপ কোন বিষয়ে গবেষক এবং কোথায় যাচ্ছে?


১৩। ঐতিহাসিক স্থান বিষয়ে দলগত আলোচনা

আলোচনা শুরু: ঐতিহাসিক স্থান কী এবং সংরক্ষণ প্রয়োজন

কে কী বলল: প্রতিটি সদস্যের বক্তব্য

আলোচনা কীভাবে এগিয়েছে: প্রত্নতত্ত্বের গুরুত্ব, খননকার্য, স্থানীয় তথ্য

সিদ্ধান্ত: অঞ্চল পরিদর্শন ও সচেতনতা বৃদ্ধি

বিবরণ: খাতায় লিপিবদ্ধ পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন


১৪। ভাঙচুরের বিষয়ে ভাবো

বন্ধুরা যদি ঐতিহাসিক স্থাপত্যের গায়ে নাম লেখে বা খোদাই করে, তা জাতীয় সম্পদের ক্ষতি

আমি নিজে লিখব না, বন্ধুদের বারণ করব, শিক্ষককে জানাব


১৫। “প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদগুলোর বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ এবং সংরক্ষণের অতি আবশ্যক” বিষয়ে বিতর্ক

সপক্ষে যুক্তি: ঐতিহাসিক সত্য প্রতিষ্ঠা, সাংস্কৃতিক পরিচয় সংরক্ষণ, পর্যটন ও অর্থনীতি, গবেষণা ও জ্ঞান

বিপক্ষে যুক্তি: অর্থনৈতিক ব্যয়, স্থানান্তরের বিতর্ক, নিদর্শনের অপূরণীয় ক্ষতি, গুরুত্বপূর্ণ নয়


১৬। মাঠ ভ্রমণ এবং প্রতিবেদন

স্থানের নাম ও অবস্থান

ঐতিহাসিক পরিচিতি ও সময়কাল

পর্যবেক্ষণ: স্থাপত্যশৈলী, নির্মাণ সামগ্রী, ভাস্কর্য/শিল্পকর্ম

তাৎপর্য: ধর্মীয়, ঐতিহাসিক বা সামাজিক গুরুত্ব

সংরক্ষণ অবস্থা: সংরক্ষণ ও জনসাধারণের আচরণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *