হোমি জাহাংগির ভাবা, Chapter – 13, Class – 8, SEBA, New syllabus

হোমি জাহাংগির ভাবা, পাঠ – ১৩


পাঠ – ১৩: হোমি জাহাংগির ভাবা
ক – পাঠভিত্তিক ক্রিয়াকলাপ
১। পাঠটি পড়ে নীচের প্রশ্নগুলোর উত্তর বলো ও লেখো।
(ক) ছোটোবেলায় ভাবার ঘুম কম হওয়ার কারণ কী ছিল?
* উত্তর: ছোটোবেলায় হোমি জাহাংগির ভাবার ঘুম কম হওয়ার কারণ ছিল যে তিনি খুবই তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন ছিলেন। তাঁর চিন্তা-শক্তির প্রবাহ নিরবচ্ছিন্নভাবে মস্তিষ্কে বহমান থাকত, সেজন্যই তাঁর ঘুম কম হত।
(খ) চিকিৎসককে দেখিয়ে মা-বাবা ছেলের জন্য কী ব্যবস্থা গ্রহণ করলেন?
* উত্তর: চিকিৎসকদের কাছ থেকে ছেলের তীক্ষ্ণ বুদ্ধির কথা জানতে পেরে মা-বাবা তাঁর মনোযোগ বিজ্ঞানের প্রতি আকৃষ্ট করার সিদ্ধান্ত নিলেন। তাঁরা বিজ্ঞানের বইপত্র সমৃদ্ধ একটি গ্রন্থাগার প্রস্তুত করে ছেলেকে জ্ঞান চর্চার জন্য সকল সুবিধা প্রদান করলেন।
(গ) হোমি জাহাংগির ভাবার কী কী বিষয়ে রুচি ছিল?
* উত্তর: হোমি জাহাংগির ভাবার ভৌতিকশাস্ত্র (পদার্থবিজ্ঞান) এবং গণিতশাস্ত্র ছাড়াও সংগীত এবং চিত্রাঙ্কনের প্রতিও রুচি ছিল।
(ঘ) তিনি লন্ডনে কেন গিয়েছিলেন?
* উত্তর: হোমি জাহাংগির ভাবা প্রথমে ম্যাকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার জন্য মুম্বাইয়ের স্কুল-কলেজের শিক্ষা শেষ করে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে লন্ডনে গিয়েছিলেন।
(ঙ) ডোরাবজি টাটা ট্রাস্টের সাহায্যে তিনি কী অনুষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন?
* উত্তর: ডোরাবজি টাটা ট্রাস্টের সাহায্যে তিনি ‘টাটা ইনস্টিটিউট অফ ফান্ডামেন্ট্যাল রিসার্চ’ (Tata Institute of Fundamental Research) প্রতিষ্ঠা করেন।
(চ) স্বাধীনতার পর তিনি কোথায় প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন? তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কী অনুষ্ঠান প্রতিষ্ঠা হয়েছিলেন?
* উত্তর:
   * স্বাধীনতার পর হোমি জাহাংগির ভাবা পরমাণু শক্তি আয়োগের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন।
   * তাঁর অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে মুম্বাই (বম্বে)-এ ‘ভাবা পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র’ (Bhabha Atomic Research Centre) প্রতিষ্ঠিত হয়।
২। প্রসঙ্গের সঙ্গে সংগতি রেখে ব্যাখ্যা করো।
(ক) ছেলেটিও সেই গ্রন্থাগারে বইপত্রগুলোর সদ্ব্যবহার করল এবং ধীরে ধীরে বইগুলো ছেলেটির সঙ্গী হয়ে উঠল।
* উত্তর:
   * প্রসঙ্গ: এই উক্তিটি সেই সময়ের যখন হোমি জাহাংগির ভাবার মা-বাবা তাঁর তীক্ষ্ণ বুদ্ধির পরিচর্যার জন্য বাড়িতে একটি বিজ্ঞানের বইপত্রে সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার তৈরি করে দিয়েছিলেন।
   * ব্যাখ্যা: মা-বাবার দেওয়া সুযোগের পূর্ণ ব্যবহার করেছিলেন হোমি জাহাংগির ভাবা। তিনি কেবল বইগুলি দেখেই ক্ষান্ত হননি, বরং সেগুলির সদ্ব্যবহার করেছিলেন, অর্থাৎ গভীর মনোযোগ দিয়ে অধ্যয়ন করেছিলেন। এর ফলস্বরূপ, বইগুলি তাঁর জ্ঞান চর্চার প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠেছিল। এই বইপত্র অধ্যয়নের মাধ্যমেই তাঁর চিন্তা-শক্তির প্রবাহ একটি নির্দিষ্ট দিকে চালিত হয় এবং বিজ্ঞান জগতে তিনি নিজেকে মেলে ধরার প্রস্তুতি নেন, ফলে বইগুলি তাঁর অন্তরঙ্গ সঙ্গী হয়ে ওঠে।
(খ) ছেলেটি এতই তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন যে তার চিন্তা-শক্তির প্রবাহ নিরবচ্ছিন্নভাবে মস্তিষ্কে বহমান থাকে।
* উত্তর:
   * প্রসঙ্গ: ছোটোবেলায় হোমি জাহাংগির ভাবার ঘুম কম হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে চিকিৎসকেরা এই কথাটি তাঁর মা-বাবাকে বলেছিলেন।
   * ব্যাখ্যা: উক্তিটির দ্বারা হোমি জাহাংগির ভাবার অসাধারণ মেধাকে বোঝানো হয়েছে। একজন সাধারণ শিশুর মতো তাঁর মন শান্ত থাকত না। বরং, তাঁর তীক্ষ্ণ বুদ্ধি এতটাই সক্রিয় ছিল যে মস্তিষ্কে চিন্তার স্রোত (চিন্তা-শক্তির প্রবাহ) একটানা (নিরবচ্ছিন্নভাবে) চলতে থাকত। এই অনবরত মানসিক ক্রিয়াশীলতার কারণেই তাঁর মস্তিষ্ক গভীর শান্তিতে ডুবে যেতে পারত না এবং ফলস্বরূপ তাঁর ঘুম খুবই কম হত। এটি তাঁর ভবিষ্যতে একজন মহান বিজ্ঞানী হওয়ার প্রাথমিক ইঙ্গিত বহন করে।
খ- ভাষা-অধ্যয়ন (ব্যবহারিক ব্যাকরণ)
৩। শূন্যস্থান পূর্ণ করো।
(নিম্নরেখ শব্দগুলোর বিপরীতার্থক শব্দ লিখে শূন্যস্থান পূর্ণ করো)
* উদাহরণ- হালকা ঘুম – গভীর ঘুম
* (ক) তীক্ষ্ণ বুদ্ধি – ভোতা বুদ্ধি
* (গ) কোনো বিসংগতি – কোনো সংগতি
* (ঘ) পাঠ অন্তর্ভুক্ত – পাঠ বর্জিত
* (ঙ) তাঁর মৃত্যু হয়েছিল – তাঁর জন্ম হয়েছিল
* (চ) বৃদ্ধি পেয়েছিল – হ্রাস পেয়েছিল
৪। বাক্য রচনা করো।
* অবদান: বিজ্ঞান জগতে হোমি জাহাংগির ভাবার অবদান অনবদ্য।
* গবেষণা: পারমাণবিক শক্তি নিয়ে গবেষণা করেই ভাবা পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়।
* অধ্যয়ন: উচ্চশিক্ষা লাভ করার জন্য একাগ্রভাবে অধ্যয়ন করা প্রয়োজন।
* তথ্য: মহাজাগতিক রশ্মি সম্পর্কে গবেষণা করে তিনি নতুন নতুন তথ্য আবিষ্কার করেছিলেন।
* দুর্ঘটনা: এক বিমান দুর্ঘটনায় তাঁর জীবনাবসান হয়।
৫। যুক্তবর্ণ বসিয়ে শব্দটি পূর্ণ করো।
(শব্দে যুক্তবর্ণ বসিয়ে শব্দটি পূর্ণ করো)
* অবদান
* তীক্ষ্ণ
* দায়বদ্ধতা
* আশ্বাস
* উজ্জ্বল
* কৃতজ্ঞতা
* প্রখ্যাত
* বিশেষজ্ঞ
* আকৃষ্ট
৬। নীচের শব্দগুলোর প্রতিশব্দ লেখো।
* সঙ্গী – সাথী, সহচর
* তীক্ষ্ণ – তীব্র, প্রখর
* প্রধান – মুখ্য, শ্রেষ্ঠ
* গ্রন্থ – বই, পুস্তক
* কিরণ – রশ্মি, আলো
* চিকিৎসক – ডাক্তার, বৈদ্য
৭। নীচের ব্যাসবাক্যগুলোকে সমস্ত পদে পরিবর্তন করো।
(কর্মধারয় সমাস)
* মহান যে আত্মা – মহাত্মা
* যে খোকা সেই বাবু – খোকাবাবু
* যে জিনি পিতা তিনিই ঠাকুর – পিতৃতুল্যঠাকুর (বা পিতৃতুল্য)
* যা কাঁচা তাই মিঠা – কাঁচামিঠা
* যে চালাক সেই চতুর – চালাকচতুর
৮। নীচের সমস্ত পদগুলোকে ব্যাসবাক্যে পরিণত করো।
(মধ্যপদলোপী কর্মধারয় ও দ্বিগু সমাস)
* হাতঘড়ি – হাতে পরার যে ঘড়ি (মধ্যপদলোপী কর্মধারয়)
* জলদুধ – জল মেশানো যে দুধ (মধ্যপদলোপী কর্মধারয়)
* সিংহাসন – সিংহ চিহ্নিত যে আসন (মধ্যপদলোপী কর্মধারয়)
* অষ্টধাতু – অষ্ট ধাতুর সমাহার (দ্বিগু)
* নবরত্ন – নব রত্নের সমাহার (দ্বিগু)
* ত্রিভুজ – ত্রি (তিন) ভুজ-এর সমাহার (দ্বিগু)
* সপ্তাহ – সপ্ত অহের (দিনের) সমাহার (দ্বিগু)
৯। নীচের বাক্যগুলোয় নিম্নরেখ পদের কারক-বিভক্তি নির্ণয় করো।
* (ক) এক সপ্তাহের মধ্যে আমরা দিল্লিতে যাব। – অপাদান কারকে ‘র’ বিভক্তি (যে সময় থেকে শুরু হবে) / অধিকরণ কারকে ‘র’ বিভক্তি (সময়ের ব্যাপ্তি – তবে ‘মধ্যে’ থাকায় অপাদান বা অধিকরণ দুটোই হয়)
* (খ) দাও ওকে বই কিনে। – কর্ম কারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি (কী কিনে দেব? – বই – মুখ্য কর্ম)
* (গ) চিকিৎসক ছেলের কথা বাবাকে জানাবেন। – কর্তৃকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি (কে জানাবেন? – চিকিৎসক – কর্তা)
* (ঘ) এটি আমার দেশ। – সম্বন্ধ পদে ‘র’ বিভক্তি (কার দেশ? – আমার – সম্পর্ক বোঝাচ্ছে)
* (ঙ) মাছের বাস জলে। – সম্বন্ধ পদে ‘এর’ বিভক্তি (কার বাস? – মাছের – সম্পর্ক বোঝাচ্ছে)
* (চ) হাড়ি করে মালাই এনেছে। – করণ কারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি (কী দিয়ে? – হাড়ি করে – উপকরণ)
১০। ক্রিয়ার কাল নির্ণয় করো।
* (ক) হাড়ি করে মালাই এনেছে। – পুরাঘটিত বর্তমান কাল (ক্রিয়া শেষ হয়েছে, কিন্তু ফল বর্তমান)
* (খ) দুই বন্ধু একসঙ্গে হেসে উঠল। – সাধারণ অতীত কাল (বা ঘটমান অতীত কাল, যদি হাসা শুরু হয়েছিল বোঝানো হয়)
* (গ) ঐ, ঐ, আসছে। – ঘটমান বর্তমান কাল (ক্রিয়া চলছে)
* (ঘ) সদর দরজা দিয়ে গুলি ছুঁড়লেও লাগবে না। – সাধারণ ভবিষ্যৎ কাল
গ- জ্ঞান-সম্প্রসারণ
১১। ‘হোমি জাহাংগির ভাবার মা-বাবা তার জন্য একটি গ্রন্থাগারের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন।’ এধরনের সুবিধা পেলে তুমি কী করবে?
হোমি জাহাংগির ভাবার মতো এমন একটি সুবিশাল গ্রন্থাগারের ব্যবস্থা পেলে আমিও তাঁর মতোই সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতাম।
* সুযোগের ব্যবহার: আমি নিয়মিত গ্রন্থাগারে গিয়ে বিভিন্ন বিষয়ের ভালো বইগুলি নির্বাচন করতাম এবং মনোযোগ দিয়ে সেগুলির অধ্যয়ন করতাম।
* উদ্দেশ্য: শুধুমাত্র বিজ্ঞান নয়, সাহিত্য, ইতিহাস এবং দর্শনের মতো বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করে মনের দিগন্তকে প্রসারিত করতাম।
* চিন্তার প্রবাহ: নিজের বুদ্ধিকে আরও তীক্ষ্ণ ও নিরবচ্ছিন্ন করতে, বইয়ের জ্ঞানকে বাস্তব জীবনের সমস্যার সমাধানে প্রয়োগ করার চেষ্টা করতাম, যাতে শুধু পুথিগত বিদ্যা নয়, ব্যবহারিক জ্ঞানও লাভ হয়। বইগুলিকে সঙ্গী করে আমি দেশের একজন দায়িত্ববান নাগরিক হয়ে ওঠার চেষ্টা করতাম।
১২। তুমি কীধরনের কাজ করে দেশের উন্নয়নে সাহায্য করতে ইচ্ছুক?
দেশের উন্নয়ন একটি বৃহৎ প্রক্রিয়া, যেখানে ছোটো ছোটো কাজেরও অনেক গুরুত্ব রয়েছে। আমি নিম্নলিখিত কাজগুলি করে দেশের উন্নয়নে সাহায্য করতে ইচ্ছুক:
* পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সংরক্ষণ: নিজের রাস্তা-ঘাট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা এবং অপরকে একই কাজ করতে উৎসাহিত করা। দেশের সরকারি সম্পত্তির প্রতি যত্নবান হওয়া এবং সেগুলির ক্ষতি না করা।
* শিক্ষা ও সচেতনতা: নিজের অর্জিত জ্ঞান, বিশেষত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জ্ঞান, সমাজের দুর্বল বা পিছিয়ে পড়া ছেলে-মেয়েদের মধ্যে বিনামূল্যে ছড়িয়ে দেওয়া। পরিবেশ ও স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে তাদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা।
* প্রাকৃতিক সম্পদের সংরক্ষণ: প্রাকৃতিক সম্পদের সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা, যেমন— গাছ লাগানো এবং জল অপচয় রোধ করার জন্য কাজ করা।
* দায়বদ্ধতা: সমাজে কোনো ভুল বা অন্যায় দেখলে নীরব না থেকে দায়বদ্ধতা সহকারে তার প্রতিবাদ করা, যাতে একটি সুস্থ সমাজ গঠিত হয়। আমি মনে করি, দেশের উন্নতির জন্য একজন বিজ্ঞানীর মতোই প্রত্যেককে তার নিজ নিজ জায়গা থেকে দায়িত্ব নিতে হবে।
ঘ – প্রকল্প
১৩। নোবেল পুরস্কারে সম্মানিত যে কোনো তিনজন বিজ্ঞানীর ফটো সংগ্রহ করে একটি তালিকা প্রস্তুত করে তাঁদের বিষয়ে সংক্ষিপ্ত টীকা লেখো এবং শ্রেণিতে ঝুলিয়ে রাখো।
(এটি একটি প্রকল্পমূলক কাজ। শিক্ষার্থীদের নিজে তিনজন নোবেলজয়ী বিজ্ঞানীর ফটো সংগ্রহ করে টীকা প্রস্তুত করতে হবে। নীচে একটি উদাহরণ দেওয়া হলো।)
তিনজন নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী ও সংক্ষিপ্ত টীকা
১. বিজ্ঞানী: আলবার্ট আইনস্টাইন (Albert Einstein)
* ফটো:     * সংক্ষিপ্ত টীকা: জার্মান বংশোদ্ভূত এই পদার্থবিজ্ঞানী আপেক্ষিকতার তত্ত্ব (Theory of Relativity) এবং E=mc^2 সূত্রের জন্য বিখ্যাত। ১৯২১ সালে তিনি আলোক-তড়িৎ ক্রিয়া (Photoelectric Effect) আবিষ্কারের জন্য পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পান। তিনি বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী।
২. বিজ্ঞানী: মাদাম মেরি কুরি (Marie Curie)
* ফটো:     * সংক্ষিপ্ত টীকা: পোলিশ ও ফরাসি এই বিজ্ঞানী রেডিওঅ্যাকটিভিটি (Radioactivity) নিয়ে গবেষণার জন্য পরিচিত। তিনি প্রথম মহিলা যিনি নোবেল পুরস্কার পান এবং একমাত্র ব্যক্তি যিনি দুটি ভিন্ন বিজ্ঞানের শাখায় (পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন) নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তিনি পোলনিয়াম ও রেডিয়াম নামক দুটি মৌলিক উপাদান আবিষ্কার করেন।
৩. বিজ্ঞানী: স্যার সি. ভি. রমন (C. V. Raman)
* ফটো:     * সংক্ষিপ্ত টীকা: ভারতীয় এই পদার্থবিজ্ঞানী আলোর বিক্ষেপণ (Scattering of Light) নিয়ে গবেষণার জন্য, যা ‘রমন এফেক্ট’ (Raman Effect) নামে পরিচিত, ১৯৩০ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তিনিই প্রথম ভারতীয় যিনি বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পান। তিনি ‘ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স’ ও ‘রমন রিসার্চ ইনস্টিটিউট’-এ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।
১৪। তোমার দেখা বা জানা কৃষি-বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র/ আঞ্চলিক গবেষণা কেন্দ্র/ চা-গবেষণা কেন্দ্র/ প্লাজমা গবেষণা কেন্দ্রের কাজ-কর্মের বিষয়ে একটি টীকা লেখো।
(এটিও একটি প্রকল্পমূলক কাজ। নিচে ‘চা-গবেষণা কেন্দ্র’ নিয়ে একটি উদাহরণমূলক টীকা দেওয়া হলো।)
চা-গবেষণা কেন্দ্রের কাজ-কর্মের বিষয়ে টীকা
একটি চা-গবেষণা কেন্দ্র, যেমন আসামের টোকলাই চা গবেষণা কেন্দ্র, চা শিল্পকে উন্নত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
* উদ্দেশ্য: এই কেন্দ্রগুলির প্রধান কাজ হল চা গাছের উৎপাদন, গুণগত মান এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি আবিষ্কার করা।
* গবেষণা ক্ষেত্র:
   * নতুন জাতের উদ্ভাবন: উন্নত ফলন এবং পরিবেশের সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নিতে সক্ষম চা-গাছের নতুন ক্লোন বা জাত তৈরি করা।
   * রোগ ও কীট নিয়ন্ত্রণ: চা গাছের ক্ষতিকারক রোগ ও কীট-পতঙ্গ নিয়ন্ত্রণের জন্য পরিবেশবান্ধব উপায় ও রাসায়নিকের ব্যবহার নিয়ে গবেষণা করা।
   * মাটি ও সার ব্যবস্থাপনা: চা বাগানের মাটির স্বাস্থ্য, জলের ব্যবহার এবং প্রয়োজনীয় সারের সঠিক মাত্রা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা।
   * চা প্রক্রিয়াকরণ: চা পাতার গুণগত মান বজায় রেখে এবং ফ্লেভার উন্নত করে চা তৈরি বা প্রক্রিয়াকরণের নতুন কৌশল আবিষ্কার করা।
* সম্প্রসারণ: গবেষণা থেকে পাওয়া তথ্যগুলি চা বাগানের মালিক ও শ্রমিকদের কাছে প্রশিক্ষণ ও কর্মশালার মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া, যাতে তারা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে চাষ করতে পারে।
এই গবেষণা কেন্দ্রগুলি চা শিল্পের অর্থনৈতিক উন্নতিতে এবং হাজার হাজার মানুষের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধিতে সরাসরি সাহায্য করে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *