১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহ, পাঠের ভিতরের এবং অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তর
এখানে পাঠ্যপুস্তকের ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহ সমস্ত প্রশ্ন ও তার উত্তর প্রদান করা হলো।
ক্রিয়াকলাপ (পৃষ্ঠা ৮১-৮৫)
• বৃটিশ ঔপনিবেশিক শাসন বলতে কি বোঝ? ভারতবর্ষে এর প্রভাব সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত টীকা প্রস্তুত করো।
উত্তর: যখন কোনো শক্তিশালী দেশ ব্যবসা-বাণিজ্য বা অন্য কোনো কারণে বিদেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করে এবং সেই দেশের উপর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রভুত্ব স্থাপন করে, তখন তাকে উপনিবেশ বলা হয়। ব্রিটিশরা ভারতে ঠিক এই কাজটিই করেছিল, যা ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন নামে পরিচিত।
ভারতে এর প্রভাব:
ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের ফলে ভারতের পরম্পরাগত অর্থনীতি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যায়। ব্রিটিশরা নিজেদের দেশের শিল্প বিপ্লবের জন্য ভারত থেকে প্রচুর পরিমাণে কাঁচামাল সরবরাহ করত এবং ইংল্যান্ডে তৈরি সামগ্রী ভারতের বাজারে বিক্রি করত। এর ফলে ভারতের নিজস্ব কুটির শিল্প নষ্ট হয়ে যায়। ভূমি রাজস্বের পরিমাণ বৃদ্ধি করা হয়, কিন্তু কৃষির উন্নয়নে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এর ফলস্বরূপ, সাধারণ ভারতীয়দের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে এবং দেশে একাধিক ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়।
• পূর্বের পাঠের সাহায্যে ডালহৌসি স্বত্ববিলোপ নীতি প্রয়োগ করে যে সব রাজ্যগুলো ইংরাজদের অধীনে নিয়ে এসেছিলেন তার একটি তালিকা প্রস্তুত করো।
উত্তর: এই পাঠ্যপুস্তকে লর্ড ডালহৌসি স্বত্ববিলোপ নীতি প্রয়োগ করে কোন কোন রাজ্য অধিগ্রহণ করেছিলেন তার সম্পূর্ণ তালিকা দেওয়া নেই। তবে, এখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে তিনি এই নীতি কঠোরভাবে প্রয়োগ করে বেশ কিছু ভারতীয় রাজ্যকে ব্রিটিশদের অধীনে নিয়ে এসেছিলেন। এছাড়াও, তিনি অরাজকতার অজুহাতে অযোধ্যা রাজ্য দখল করেছিলেন।
উত্তর লেখো (পৃষ্ঠা ৮৩)
• ইংরেজদের কোন কোন কার্য ভারতীয় সিপাহিদেরকে অসন্তুষ্ট করে তুলেছিল?
উত্তর: ইংরেজদের একাধিক কার্য ভারতীয় সিপাহিদের অসন্তুষ্ট করে তুলেছিল:
* সামরিক অনুশাসনের নামে সিপাহিদের নিজস্ব কৃষ্টি ও সংস্কৃতি পালনে বাধা দেওয়া হতো।
* ১৮৫৬ সালের আইন অনুসারে সাগর যাত্রা বাধ্যতামূলক করা হয়, যা হিন্দু সিপাহিদের ধর্মের বিরোধী ছিল।
* ভারতীয় সিপাহিদের ইউরোপীয় সিপাহিদের তুলনায় কম বেতন দেওয়া হতো।
* তাদের পদোন্নতির সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হতো এবং বিদেশ সেবার জন্য প্রাপ্য ভাতাও দেওয়া হতো না।
* সবশেষে, গরু ও শূকরের চর্বি মেশানো এনফিল্ড রাইফেলের টোটা ব্যবহারের নির্দেশ তাদের ধর্মনাশের ষড়যন্ত্র বলে মনে হয়েছিল।
• সিপাহি বিদ্রোহের সময়ে ভারতের তিনটি সেনা ছাউনির নাম লেখো।
উত্তর: সিপাহি বিদ্রোহের সময়ের তিনটি সেনা ছাউনি হলো:
* দমদম (বঙ্গ)
* ব্যারাকপুর (বঙ্গ)
* মীরাট (উত্তর প্রদেশ)
ক্রিয়াকলাপ (পৃষ্ঠা ৮৫)
• ইংরেজদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহকারী প্রথম অসমিয়া কে ছিলেন?
উত্তর: ইংরেজদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহকারী প্রথম অসমিয়া ছিলেন আহোম রাজপরিবারের গোমধর কোঁয়র, যিনি ১৮২৮ খ্রিস্টাব্দে বিদ্রোহ করেছিলেন।
• কী কারণে মণিরাম দেওয়ানকে ইংরেজরা হেনস্থা করেছিল?
উত্তর: মণিরাম দেওয়ান ইংরেজদের অধীনে চাকরি ছেড়ে দিয়ে যোরহাটের কাছে দুটি চা বাগান স্থাপন করেন এবং প্রথম অসমিয়া চা ব্যবসায়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। মণিরামের এই ব্যবসায়িক সাফল্যকে ইংরেজরা সহজভাবে নেয়নি এবং এটিকে একটি প্রত্যাহ্বান হিসেবে দেখে তাঁকে বিভিন্ন উপায়ে হেনস্থা করতে শুরু করে।
• কী কারণে অসমে কৃষকরা ইংরেজদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল?
উত্তর: ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহ দমনের পর যে আর্থিক ঘাটতি হয়েছিল, তা পূরণ করার জন্য ইংরেজ সরকার নতুন নতুন কর আরোপ করে। এই অতিরিক্ত করের বোঝা সাধারণ প্রজা এবং কৃষকদের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছিল, যার ফলে তাঁরা ইংরেজদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছিল।
• অসমের মানচিত্র অঙ্কন করে কৃষক বিদ্রোহ সংঘটিত হওয়া স্থানগুলো যথাস্থানে বসাও।
উত্তর: (এটি একটি মানচিত্র-ভিত্তিক কাজ। মানচিত্রে চিহ্নিত করার জন্য স্থানগুলির তালিকা নিচে দেওয়া হলো):
* ফুলগুড়ি
* রঙিয়া
* নলবাড়ি
* বরমা
* লাসিমা (সরুক্ষেত্রী)
* গোবিন্দপুর (বজালি)
* পাথরুঘাট (মঙ্গলদৈ)
অনুশীলনী (পৃষ্ঠা ৮৭)
১। উত্তর লেখো-
(ক) কখন থেকে ভারতবর্ষ সম্পূর্ণরূপে ইংরেজ উপনিবেশে পরিণত হয়?
উত্তর: অষ্টাদশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে ভারতবর্ষ সম্পূর্ণরূপে ইংরেজ উপনিবেশে পরিণত হয়।
(খ) কোন গভর্নর জেনারেলের শাসনকালে একাংশ দেশীয় রাজার রাজকীয় মর্যাদা, উপাধি, পেনশন ইত্যাদি কেড়ে নেওয়া হয়েছিল?
উত্তর: গভর্নর জেনারেল লর্ড ডালহৌসির শাসনকালে একাংশ দেশীয় রাজার রাজকীয় মর্যাদা, উপাধি ও পেনশন কেড়ে নেওয়া হয়েছিল।
(গ) ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের সিপাহি বিদ্রোহের প্রথম শহিদ কেছিলেন?
উত্তর: ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের সিপাহি বিদ্রোহের প্রথম শহিদ ছিলেন মঙ্গল পান্ডে।
(ঘ) মণিরাম দেওয়ানের সঙ্গে কোন নেতাকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল?
উত্তর: মণিরাম দেওয়ানের সঙ্গে পিয়লি বরুয়াকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল।
(ঙ) অসমের কৃষক বিদ্রোহসমূহ কারা পরিচালনা করেছিল?
উত্তর: অসমের কৃষক বিদ্রোহসমূহ ‘গণ সম্মেলন’ বা রাইজমেলগুলো পরিচালনা করেছিল।
২। ‘ক’ অংশের সঙ্গে ‘খ’ অংশ মেলাও-
উত্তর:
| ‘ক’ অংশ | ‘খ’ অংশ |
| :— | :— |
| ক) ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দের আইন | সাগর যাত্রা বাধ্যতামূলক করা |
| খ) ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের ২৯শে মার্চ | সামরিক আধিকারিককে মঙ্গল পান্ডের আক্রমণ |
| গ) ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দ | ভারতের শাসনভার রানি ভিক্টোরিয়ার অধীন |
| ঘ) ১৮২৮ খ্রিস্টাব্দ | গোমধর কোঁয়রের বিদ্রোহ |
| ঙ) ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দ | ফুলগুড়ির যুদ্ধ (ধেয়া) |
৩। শুদ্ধ/অশুদ্ধ নির্ণয় করো-
(ক) অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, সামরিক এবং ধর্মীয় ইত্যাদি নানা কারণে সিপাহি বিদ্রোহের সূত্রপাত হয়েছিল। – শুদ্ধ
(খ) ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের সিপাহি বিদ্রোহের তৎকালীন কারণটি ছিল মঙ্গল পান্ডের ফাঁসি। – অশুদ্ধ (তৎকালীন কারণ ছিল এনফিল্ড রাইফেলের টোটার ব্যবহার)।
(গ) ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহীরা দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে ভারতবর্ষের সম্রাট হিসেবে ঘোষণা করেছিল। – শুদ্ধ
(ঘ) মণিরাম দেওয়ান আহোম শাসনভার পুরন্দর সিংহকে দেবার জন্য ইংরেজদের আবেদন জানিয়েছিলেন। – অশুদ্ধ (তিনি কন্দর্পেশ্বর সিংহের অধীনে আহোম শাসন চেয়েছিলেন)।
(ঙ) ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারিতে রঙিয়া, নলবাড়ি এবং বরমাতেও খাজনা বৃদ্ধির প্রতিবাদে কৃষকরা বিদ্রোহ করেছিল। – অশুদ্ধ (এই বিদ্রোহ ১৮৯৪ সালের জানুয়ারিতে হয়েছিল)।
৪। সংক্ষিপ্ত টীকা লেখো-
(ক) মণিরাম দেওয়ান: মণিরাম দেওয়ান ছিলেন একজন চতুর রাজনীতিক এবং সুদক্ষ প্রশাসক। প্রথমে ইংরেজ অনুরাগী হলেও পরে তিনি তাদের বৈষম্যমূলক নীতির কারণে ইংরেজ-বিদ্বেষী হয়ে ওঠেন। তিনিই প্রথম অসমিয়া যিনি চা বাগান স্থাপন করেন। ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহের সময় তিনি অসমে সশস্ত্র সংগ্রামের প্রস্তুতি নেন কিন্তু ইংরেজদের হাতে ধরা পড়েন এবং ১৮৫৮ সালের ২৬শে ফেব্রুয়ারি পিয়লি বরুয়ার সঙ্গে তাঁকে যোরহাটে ফাঁসি দেওয়া হয়।
(খ) ফুলগুড়ির যুদ্ধ: অসমে সংঘটিত প্রথম কৃষক বিদ্রোহটি ফুলগুড়ির যুদ্ধ বা ধেয়া নামে পরিচিত। ১৮৬১ সালে নগাঁও জেলার ফুলগুড়িতে এই বিদ্রোহ সংঘটিত হয়েছিল। মূলত ব্রিটিশদের চাপানো অতিরিক্ত করের বিরুদ্ধেই কৃষকরা এই বিদ্রোহ করেছিল।
(গ) সিপাহি বিদ্রোহের তৎকালীন কারণ: সিপাহি বিদ্রোহের তৎকালীন কারণ ছিল এনফিল্ড রাইফেলের টোটার ব্যবহার। এই টোটা বন্দুকে ভরার আগে দাঁত দিয়ে কাটতে হতো। গুজব রটে যে এই টোটায় গরু ও শূকরের চর্বি মেশানো আছে। হিন্দু ও মুসলমান উভয় সিপাহিদের কাছেই এটি ধর্মনাশের ষড়যন্ত্র বলে মনে হয়েছিল, যা বিদ্রোহের আগুন জ্বালিয়ে দেয়।
৫। সিপাহি বিদ্রোহের কারণগুলোকে কয় ভাগে বিভক্ত করা যায়? যেকোনো একটি কারণ সংক্ষেপে বর্ণনা করো।
উত্তর: সিপাহি বিদ্রোহের কারণগুলোকে পাঁচ ভাগে বিভক্ত করা যায়—অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, সামরিক এবং ধর্মীয়।
সামরিক কারণ: ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে ভারতীয় সিপাহিদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করা হতো। তাদের ইউরোপীয়দের তুলনায় কম বেতন দেওয়া হতো, পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত করা হতো এবং তাদের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ভাবাবেগে আঘাত করা হতো। ১৮৫৬ সালের আইন দ্বারা সাগর যাত্রা বাধ্যতামূলক করা হয়, যা হিন্দু সিপাহিদের ধর্মীয় বিশ্বাসের পরিপন্থী ছিল। এই সমস্ত কারণে সিপাহিদের মনে তীব্র ক্ষোভ জমা হয়েছিল।
৬। লর্ড ডালহৌসির নীতিসমূহ সিপাহি বিদ্রোহের জন্য কতটুকু দায়ী বলে ভাব? সংক্ষেপে লেখো।
উত্তর: সিপাহি বিদ্রোহের জন্য লর্ড ডালহৌসির নীতিসমূহ বহুলাংশে দায়ী ছিল। তাঁর আগ্রাসী সাম্রাজ্যবাদী নীতি ভারতীয়দের মনে ভয়, সন্দেহ এবং অবিশ্বাস তৈরি করেছিল। তিনি স্বত্ববিলোপ নীতি কঠোরভাবে প্রয়োগ করে বহু দেশীয় রাজ্য দখল করেন। অনেক রাজার উপাধি ও পেনশন কেড়ে নেন। অন্যায়ভাবে অযোধ্যা রাজ্য দখল করা এবং মোগল সম্রাটের পরিবারকে লালকেল্লা থেকে উৎখাত করার ঘোষণা ভারতীয়দের মনে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে তীব্র বিদ্বেষের জন্ম দেয়।
৭। কিছু সংখ্যক ইতিহাসবিদগণের মতে সিপাহি বিদ্রোহকে কেন ভারতবর্ষের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ বলা যায় না? যুক্তি দেখাও।
উত্তর: কিছু সংখ্যক ইতিহাসবিদের মতে, ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহকে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ বলা যায় না। তাঁদের যুক্তিগুলো হলো:
* জাতীয়তাবাদের অভাব: সেই সময়ে ভারতীয়দের মধ্যে ‘স্বাধীনতা’ বা ‘জাতীয়তাবাদ’-এর কোনো সুস্পষ্ট ধারণা ছিল না।
* অংশগ্রহণের সীমাবদ্ধতা: এই বিদ্রোহে দেশের সমগ্র জনসাধারণ অংশ নেয়নি। দক্ষিণ ভারতের মতো একটি বৃহৎ অঞ্চল এই বিদ্রোহ থেকে মুক্ত ছিল।
* নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর অনুপস্থিতি: গোর্খা, শিখ, জমিদার এবং বুদ্ধিজীবী শ্রেণির মতো প্রভাবশালী গোষ্ঠীগুলো এই বিদ্রোহ থেকে দূরে ছিল।
৮। সিপাহি বিদ্রোহের নেতা/নেত্রীগণের ছবি সংগ্রহ করে একটি অ্যালবাম প্রস্তুত করো।
উত্তর: (এটি একটি প্রকল্পভিত্তিক কাজ। অ্যালবামের জন্য নিম্নলিখিত নেতা-নেত্রীদের ছবি সংগ্রহ করা যেতে পারে):
* মঙ্গল পান্ডে
* দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ জাফর
* নানা সাহেব
* বেগম হজরত মহল
* কোঁয়র সিং
* তাঁতিয়া টোপি
* রানি লক্ষ্মীবাঈ
* মণিরাম দেওয়ান
৯। ভারতবর্ষের একটি মানচিত্র অঙ্কন করে সিপাহি বিদ্রোহ সংঘটিত স্থানসমূহ যথাস্থানে বসাও।
উত্তর: (এটি একটি মানচিত্র-ভিত্তিক কাজ। মানচিত্রে চিহ্নিত করার জন্য স্থানগুলির তালিকা নিচে দেওয়া হলো):
* দমদম
* ব্যারাকপুর
* মীরাট
* দিল্লি
* কানপুর
* অযোধ্যা
* বিহার
* ঝাঁসি
* গোয়ালিয়র
* এলাহাবাদ
* যোরহাট (অসম)
