আমার ছেলেবেলা, Chapter -12,Class -7, SEBA
‘আমার ছেলেবেলা’ পাঠের প্রশ্ন ও উত্তরগুলি নিচে সমাধান করে দেওয়া হলো।
পৃষ্ঠা নং – ১০৪
১। উত্তর দাও।
(ক) ‘আমার ছেলেবেলা’ পাঠটির লেখকের নাম কী?
উত্তর: ‘আমার ছেলেবেলা’ পাঠটির লেখকের নাম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
(খ) পাঠটিতে কোন্ কোন্ ঋতুর কথা উল্লেখ আছে?
উত্তর: পাঠটিতে বর্ষা ঋতুর কথা উল্লেখ আছে।
(গ) লেখকের বাবা কোথা থেকে বাড়ি ফিরেছিলেন?
উত্তর: লেখকের বাবা পর্বত থেকে অনেকদিন পর বাড়ি ফিরেছিলেন।
(ঘ) লেখকের বাবা লেখককে খোলা ছাদে নিয়ে গিয়ে কী শেখাতেন?
উত্তর: লেখকের বাবা লেখককে খোলা ছাদে নিয়ে গিয়ে রাতের আকাশে গ্রহ-তারা চিনিয়ে দিতেন।
(ঙ) পাঠটিতে কোন্ বিখ্যাত উদ্যানের নাম উল্লেখ আছে?
উত্তর: পাঠটিতে কোনো বিখ্যাত উদ্যানের নাম উল্লেখ নেই।
২। সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও।
(ক) লেখকের ছেলেবেলার জগৎটি কেমন ছিল?
উত্তর: লেখকের ছেলেবেলার জগৎটি ছিল মূলত বাড়ির অন্দরমহলে এবং চাকরদের মহলে সীমাবদ্ধ। তাঁর জগৎ জুড়ে ছিল বাড়ির ভিতরের বাগান, পুকুরঘাট, একপাশে আস্তাবল আর বিশাল এক পুরোনো বটগাছ। বাইরের জগৎ তিনি দেখতেন জানলার ফাঁক দিয়ে, তাই তাঁর ছেলেবেলার জগৎ ছিল কল্পনাময় ও কৌতূহলী।
(খ) বৃষ্টির দিনে লেখকের মনে কীরূপ আনন্দের সঞ্চার হত?
উত্তর: বৃষ্টির দিনে লেখকের মনে ખૂબ আনন্দের সঞ্চার হত, কারণ সেদিন মাস্টারমশাই আসতে পারতেন না, ফলে পড়াশোনা থেকে ছুটি মিলত। তিনি খোলা ছাদে বৃষ্টির শব্দ শুনতেন এবং বৃষ্টিতে ভেজার আনন্দ উপভোগ করতেন। এই দিনগুলি তাঁর কাছে ছিল মুক্তির দিন।
(গ) নতুন বাংলা শিক্ষকের পড়ানোর কৌশলটি কেমন ছিল?
উত্তর: নতুন বাংলা শিক্ষকের পড়ানোর কৌশলটি ছিল অত্যন্ত আকর্ষণীয়। তিনি বেত ব্যবহার করতেন না। তিনি ‘সহজপাঠ’ থেকে পড়ানোর সময় ছড়া বা পাঠ্যাংশের সাথে মিলিয়ে নানা রকমের গল্প বলতেন, যা লেখকের কল্পনাকে উসকে দিত এবং পড়াটাকে আনন্দদায়ক করে তুলত।
(ঘ) লেখকের বাবা তাঁকে সঙ্গে নিয়ে কোথায় বেড়াতে গিয়েছিলেন?
উত্তর: লেখকের বাবা তাঁকে সঙ্গে নিয়ে পূজার ছুটিতে হিমালয়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন।
পৃষ্ঠা নং – ১০৫
৩। ‘ক’ অংশের সঙ্গে ‘খ’ অংশ মেলাও।
* সীতানাথ দত্ত – লেখকের গৃহশিক্ষক
* আস্তাবল – ঘোড়া রাখার স্থান
* চণ্ডীমণ্ডপ – বাড়ির সামনের দিকে ঠাকুরদালান
* পালকি – মানুষবাহিত যানবিশেষ
* গ্রহ-নক্ষত্র – জ্যোতিষ্ক
৪। ‘…আমার জীবনে বাইরের খোলা ছাদ ছিল প্রধান ছুটির দেশ।’ – তাৎপর্য বুঝিয়ে লেখো।
উত্তর: লেখকের ছেলেবেলা ছিল বাড়ির চার দেওয়ালের মধ্যে বন্দী। তাঁর জীবন ছিল নিয়ম ও অনুশাসনে বাঁধা। এই বন্দী জীবনে বাড়ির বাইরের খোলা ছাদটি ছিল তাঁর কাছে মুক্তির এক টুকরো জগৎ। ছাদে দাঁড়ালে তিনি বিশাল আকাশ, মেঘ, বৃষ্টি এবং রাতের তারাভরা আকাশের সংস্পর্শে আসতেন। এই ছাদই তাঁকে প্রকৃতির সাথে মেশার সুযোগ করে দিত এবং তাঁর কল্পনাকে ডানা মেলার সুযোগ দিত। তাই ছাদকে তিনি ‘প্রধান ছুটির দেশ’ বলেছেন, যা তাঁর কাছে ছিল স্বাধীনতা ও আনন্দের প্রতীক।
৫। সমার্থক শব্দ লেখো।
* জল – নীর, বারি
* বাড়ি – গৃহ, আলয়
* বাবা – পিতা, জনক
* পৃথিবী – জগৎ, ভুবন
* গাছ – বৃক্ষ, তরু
* ছুটি – অবকাশ, অবসর
৬। বিপরীত শব্দ লেখো।
* বাইরে – ভিতরে
* আনন্দ – নিরানন্দ/দুঃখ
* নতুন – পুরোনো
* গ্রহণ – বর্জন
* দিন – রাত
* স্বাধীন – পরাধীন
*
