প্রত্যাহ্বান, Chapter -10, Class-7, SEBA board

প্রত্যাহ্বান, Chapter -10, Class-7, SEBA board

এখানে পাঠ্যপুস্তকের প্রত্যাহ্বান প্রশ্ন ও উত্তরগুলি দেওয়া হল।
পৃষ্ঠা নং – ৮৭

১। পাঠটির তিনটি খণ্ড মনোযোগসহকারে পড়ো এবং নীচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
(ক) পঙ্কজ চক্রবর্তীর প্রতিষ্ঠিত সংগীত বিদ্যালয়টির নাম কী?
উত্তর: পঙ্কজ চক্রবর্তীর প্রতিষ্ঠিত সংগীত বিদ্যালয়টির নাম ‘নজরুল মেমোরিয়াল মিউজিক একাডেমি’।
(খ) গান ও তবলা ছাড়া পঙ্কজ চক্রবর্তীর আর কোন বিষয়ে আগ্রহ রয়েছে?
উত্তর: গান ও তবলা ছাড়া পঙ্কজ চক্রবর্তীর হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতি, সমসাময়িক বিষয় এবং গান ও কবিতা রচনার প্রতি আগ্রহ রয়েছে।
(গ) কারা পঙ্কজ চক্রবর্তীকে সব ধরনের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে শিখিয়েছিলেন?
উত্তর: পঙ্কজ চক্রবর্তীকে তাঁর বাবা পূর্ণেন্দু চক্রবর্তী, মা রেণুকা চক্রবর্তী, আত্মীয়-স্বজন এবং বিশেষ করে বড়োমামা নারায়ণ চক্রবর্তী সব ধরনের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে শিখিয়েছিলেন।
(ঘ) ছোটোবেলা প্রিন্সি গগৈ প্রতিবেশী এবং সমাজের কাছ থেকে কীধরনের ব্যবহার পেয়েছিলেন?
উত্তর: ছোটোবেলায় প্রিন্সি গগৈ কিছু লোকের কাছ থেকে সহমর্মিতা পেয়েছিলেন, আবার কিছু লোক তাকে অমঙ্গলের প্রতীক বলেও মনে করত।
(ঙ) লেখাপড়া ছাড়া প্রিন্সি গগৈর আরও কী কী বিষয়ে আগ্রহ আছে?
উত্তর: লেখাপড়া ছাড়া প্রিন্সি গগৈ পায়ের আঙুলের সাহায্যে ছবি আঁকতে এবং গান গাইতে ভালোবাসেন।
(চ) দুর্ঘটনার পর জুলি বরুয়ার মানসিক অবস্থা কেমন হয়েছিল?
উত্তর: দুর্ঘটনার পর জুলি বরুয়া নিজেকে খুব অসহায় মনে করতেন। সীমাহীন বিষাদ ও বেদনা তাঁকে ঘিরে ধরেছিল এবং নানা ধরনের দুশ্চিন্তা তাঁর মনকে আচ্ছন্ন করে রেখেছিল।
(ছ) ‘আপনাদের মতো আমারও দুটি হাত ছিল’ কবিতাটি কে রচনা করেছিলেন?
উত্তর: ‘আপনাদের মতো আমারও দুটি হাত ছিল’ কবিতাটি জুলি বরুয়া রচনা করেছিলেন।
২। উত্তর লেখো।
(ক) প্রিন্সি গগৈ ছোটোবেলায় কী ধরনের সামাজিক পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলেন?
উত্তর: প্রিন্সি গগৈ ছোটোবেলায় এক মিশ্র সামাজিক পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলেন। একদিকে কিছু মানুষ তাঁকে সহানুভূতির চোখে দেখতেন, অন্যদিকে কিছু মানুষ তাঁকে অশুভ মনে করতেন। এমনকি একটি বিদ্যালয় তাঁকে শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কারণে ভর্তি করতেও অস্বীকার করেছিল।
(খ) ‘একটি বড়ো গাছ হয়ে ছায়া দিতে চাই’। – এখানে জুলি বরুয়া কাদের কথা বলেছেন এবং তিনি তাঁদের কেন ছায়া দিতে চেয়েছেন?
উত্তর: এখানে জুলি বরুয়া অনাদর ও অবহেলায় বেঁচে থাকা অন্য দিব্যাঙ্গদের কথা বলেছেন। তিনি তাঁদের ‘ছায়া দিতে চেয়েছেন’ কারণ তিনি তাঁদের খাদ্য, বস্ত্র ও বাসস্থানের মতো মৌলিক চাহিদাগুলি নিশ্চিত করে এবং তাঁদের সম্ভাবনা বিকাশে সাহায্য করে তাঁদের জীবনে सहारा বা আশ্রয় হয়ে উঠতে চান।
৩। পঙ্কজ চক্রবর্তীর সংগীত শিক্ষা সম্বন্ধে লেখো।
উত্তর: পঙ্কজ চক্রবর্তীর সংগীতে হাতেখড়ি হয় শ্রী শ্যামাদাস চক্রবর্তীর কাছে। এরপর তিনি শ্রীমতি সুপ্রিয়া রায় এবং শ্রীমতি আরতি চৌধুরীর কাছে সংগীত শিক্ষা নেন। পরবর্তীকালে তিনি সংগীত গুরু স্বর্গীয় ধীরেন্দ্রলাল নাথ মহাশয়ের কাছে দীর্ঘদিন ধরে যত্ন সহকারে সংগীতের তালিম নেন। তিনি ‘ভাতখণ্ড সংগীত বিদ্যাপীঠ’ থেকে গান ও তবলায় বিশারদ ডিগ্রি এবং ‘বঙ্গীয় সংগীত পরিষদ’ থেকে শাস্ত্রীয় সংগীতে ‘সংগীত রত্ন’ ও নজরুল গীতিতে ‘সংগীত প্রবর’ ডিগ্রি লাভ করেন।
পৃষ্ঠা নং – ৮৮
৪। বিপরীতার্থক শব্দ লেখো।
* পরবর্তী – পূর্ববর্তী
* সফল – বিফল
* বিশ্বাস – অবিশ্বাস
* উত্তীর্ণ – অনুত্তীর্ণ
* অমঙ্গল – মঙ্গল
* সক্ষম – অক্ষম
* আনুষ্ঠানিক – অনানুষ্ঠানিক
৫। বাক্য রচনা করো।
* আনুষ্ঠানিক – স্বাধীনতা দিবসে বিদ্যালয়ে একটি আনুষ্ঠানিক পতাকা উত্তোলন কর্মসূচী হয়।
* গতিপথ – জীবনের গতিপথ সবসময় সরল হয় না।
* প্রচেষ্টা – কঠোর প্রচেষ্টা ছাড়া সাফল্য লাভ করা কঠিন।
* যন্ত্রণা – অসুস্থতার যন্ত্রণা কেবল রোগীই বোঝে।
* কর্তব্য – বাবা-মায়ের সেবা করা সন্তানের কর্তব্য।
* প্রশংসা – জুলি বরুয়ার অদম্য সাহস সকলের প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য।
৬। কারক ও বিভক্তি দ্বারা শূন্যস্থান পূর্ণ করো।
* (ক) মেঘ থেকে বৃষ্টি হয়। – অপাদান কারকে পঞ্চমী বিভক্তি
* (খ) প্রিন্সি গগৈ নেমকেয়ার হসপিটালে চাকরি করেন। – অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি
* (গ) বনে বাঘ আছে। – অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি
* (ঘ) দিব্যাঙ্গকে সম্মান দাও। – কর্ম কারকে দ্বিতীয়া বিভক্তি
* (ঙ) এ কলম দিয়ে লেখা যায় না। – করণ কারকে তৃতীয়া বিভক্তি
* (চ) জুলিকে ডাকো। – কর্ম কারকে দ্বিতীয়া বিভক্তি
পৃষ্ঠা নং – ৮৯
৭। আত্মবিশ্বাস যে মানুষকে বেঁচে থাকার প্রেরণা দেয় এই কথাটি পাঠের সাহায্যে বুঝিয়ে লেখো।
উত্তর: ‘প্রত্যাহ্বান’ পাঠের তিনটি চরিত্র—পঙ্কজ চক্রবর্তী, প্রিন্সি গগৈ এবং জুলি বরুয়ার জীবনকাহিনী থেকে আমরা বুঝতে পারি যে আত্মবিশ্বাসই মানুষকে বেঁচে থাকার প্রেরণা জোগায়। দৃষ্টিশক্তিহীন হয়েও পঙ্কজ চক্রবর্তী সংগীতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। জন্ম থেকে দুটি হাত না থাকা সত্ত্বেও প্রিন্সি গগৈ পা দিয়ে লেখা ও আঁকা শিখে স্বনির্ভর হয়েছেন। দুর্ঘটনার পর দুটি হাত হারিয়েও জুলি বরুয়া হতাশ না হয়ে কবিতা লিখেছেন এবং অন্য দিব্যাঙ্গদের পাশে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন। তাঁদের প্রত্যেকের জীবনেই কঠিন প্রতিবন্ধকতা ছিল, কিন্তু প্রবল আত্মবিশ্বাসের জোরেই তাঁরা সেই প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে সমাজে নিজেদের এক স্বতন্ত্র পরিচয় তৈরি করতে পেরেছেন। তাঁদের জীবন প্রমাণ করে যে, শারীরিক অক্ষমতা নয়, মনের জোর আর আত্মবিশ্বাসই আসল শক্তি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *