আশার আলো, Chapter -6, Class -7, SEBA board

আশার আলো

এখানে পাঠ্যপুস্তকের ৫০, ৫১ এবং ৫২ নং পৃষ্ঠার প্রশ্ন ও উত্তরগুলি দেওয়া হল।
পৃষ্ঠা নং – ৫০

২। নীচের প্রশ্নগুলোর উত্তর বলো ও লেখো।
(ক) কীসের গন্ধে মন ভরে ওঠে?
উত্তর: বকুল ফুলের গন্ধে মন ভরে ওঠে।
(খ) ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষক-শিক্ষয়িত্রীদের কী উপহার দিয়েছিল?
উত্তর: ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষক-শিক্ষয়িত্রীদের বকুল ফুলের মালা উপহার দিয়েছিল।
(গ) সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরু কোন গান দিয়ে হয়েছিল?
উত্তর: সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরু হয়েছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ও আমার দেশের মাটি’ এই রবীন্দ্র সংগীতটি দিয়ে।
(ঘ) ‘দেখো, ফুলগুলো কত সতেজ ও সজীব।’- এই কথা কে কাকে বলেছিল?
উত্তর: এই কথাটি মিলি তার বান্ধবী তিতলি ও মিতালিকে বলেছিল।
(ঙ) অনুষ্ঠানে যে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়েছিল তার নাম কী?
উত্তর: অনুষ্ঠানে যে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়েছিল তার নাম মিলি।
(চ) মিলি বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়লে মিলির মা কী করতেন?
উত্তর: মিলি বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়লে তার মা তাকে মাদুলি ধোয়া জল খাওয়াতেন এবং জুতো শোঁকাতেন।
(ছ) মিলি যে অসুখে ভুগছিল, সেই অসুখটির নাম কী?
উত্তর: মিলি স্নায়ুর অসুখে ভুগছিল।
(জ) মিলিকে পরীক্ষা করে ডাক্তারবাবু কী বলেছিলেন?
উত্তর: মিলিকে পরীক্ষা করে ডাক্তারবাবু বলেছিলেন যে, ভয়ের কোনো কারণ নেই, মিলি আধ ঘণ্টার মধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠবে। তিনি আরও বলেন যে, মিলির স্নায়ুর অসুখ হয়েছে এবং এখন থেকে ঠিকমতো চিকিৎসা করালে সে ভবিষ্যতে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবে।
(ঝ) ‘সময় নদীর স্রোতের মতো বয়ে চলে’- এই বাক্যটি কোন প্রসঙ্গে বলা হয়েছিল?
উত্তর: সকালে ফুল তোলার সময় কথা বলে সময় নষ্ট না করে তাড়াতাড়ি স্নান-খাওয়া সেরে স্কুলে যাওয়ার জন্য তৈরি হতে হবে, এই প্রসঙ্গে বাক্যটি বলা হয়েছিল।
পৃষ্ঠা নং – ৫১
৩। সপ্রসঙ্গ ব্যাখ্যা করো।
“এখন থেকে ঠিকমতো চিকিৎসা করালে ভবিষ্যতে ও সুস্থ স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে পারবে।”
উত্তর:
* উৎস: উদ্ধৃত উক্তিটি ‘আশার আলো’ নাটিকা থেকে নেওয়া হয়েছে।
* বক্তা: উক্তিটির বক্তা হলেন ডাক্তারবাবু।
* প্রসঙ্গ: বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে মিলি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে ডাক্তারবাবুকে ডেকে আনা হয়। মিলিকে পরীক্ষা করার পর তিনি মিলির মা এবং প্রধান শিক্ষয়িত্রীকে আশ্বস্ত করে এই কথাটি বলেন।
* ব্যাখ্যা: মিলির মা কুসংস্কারের বশে মেয়ের অসুস্থতার জন্য কোনো ডাক্তারি চিকিৎসা না করিয়ে ঝাড়ফুঁক, তাবিজ-কবচের উপর নির্ভর করতেন। ডাক্তারবাবু তাঁর এই ভুল ধারণা ভাঙিয়ে দিয়ে বলেন যে, মিলির রোগটি হল স্নায়ুর অসুখ এবং সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে এটি সম্পূর্ণ সেরে যেতে পারে। এই উক্তির মাধ্যমে তিনি বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসার গুরুত্ব বুঝিয়েছেন এবং কুসংস্কার দূর করে আধুনিক চিকিৎসার প্রতি আস্থা রাখার কথা বলেছেন।
৪। মিলি বিদ্যালয়ে অসুস্থ হলে মিলির মা প্রধান শিক্ষয়িত্রীকে ডাক্তার ডাকতে কেন বাধা দিয়েছিলেন?
উত্তর: মিলি বিদ্যালয়ে অসুস্থ হলে তার মা প্রধান শিক্ষয়িত্রীকে ডাক্তার ডাকতে বাধা দিয়েছিলেন কারণ তিনি ভয় পেয়েছিলেন যে, ডাক্তারের কাছে গেলে সবাই মিলির রোগের কথা জেনে যাবে এবং এর ফলে সমাজে তাদের কোনো সমস্যা হতে পারে।
৫। ‘মিলি অসুস্থ হয়ে পড়লে মিলির মা মাদুলি ধোয়া জল খাওয়াতেন আর জুতো শোঁকাতেন’ — এই কথা শুনে ডাক্তারবাবু কী বলেছিলেন?
উত্তর: এই কথা শুনে ডাক্তারবাবু আশ্চর্য হয়ে বলেছিলেন যে, আজকের বিজ্ঞানের যুগেও এই ধরনের তাবিজ-মাদুলিতে বিশ্বাস করাটা খুবই দুঃখজনক। তিনি আরও বলেন যে, এই ভুলের জন্য এতদিন মেয়েটা অনেক কষ্ট পেয়েছে এবং আর দেরি না করে ভালোভাবে তার চিকিৎসা শুরু করা উচিত।
৬। উপযুক্ত সময়ে রোগের চিকিৎসা না করালে তার পরিণাম কী হতে পারে?
উত্তর: উপযুক্ত সময়ে রোগের চিকিৎসা না করালে রোগটি আরও জটিল আকার ধারণ করতে পারে। এর ফলে শারীরিক কষ্ট বাড়তে থাকে, রোগটি পুরোপুরি সারিয়ে তোলা কঠিন হয়ে পড়ে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা প্রাণঘাতীও হতে পারে। এর পরিণামস্বরূপ, রোগীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়।
৭। ক) বাক্য রচনা করো।
* কার্যক্রম – বিদ্যালয়ের বার্ষিক সাংস্কৃতিক কার্যক্রম খুব সুন্দরভাবে শেষ হলো।
* অনুষ্ঠান – আগামীকাল আমাদের পাড়ায় একটি রক্তদান শিবিরের অনুষ্ঠান আছে।
* সতীর্থ – আমি আমার সকল সতীর্থদের খুব ভালোবাসি।
* আবৃত্তি – সোমা অনুষ্ঠানে খুব সুন্দর একটি কবিতা আবৃত্তি করেছে।
* মাদুলি – আজকের দিনেও অনেক মানুষ রোগের জন্য মাদুলির ওপর বিশ্বাস করে।
খ) বিপরীত শব্দ লেখো।
* বৈজ্ঞানিক – অবৈজ্ঞানিক
* গ্রাম – শহর
* সুস্থ – অসুস্থ
* স্বাভাবিক – অস্বাভাবিক
* দূরে – কাছে
পৃষ্ঠা নং – ৫২
৮। নীচে কয়েকটি শব্দের ভুল বানান দেওয়া হল। তোমরা বানানগুলো শুদ্ধ করো এবং কী নিয়মে শুদ্ধ করলে তা লেখো।
* ভুল বানান: বিনষ্ট
   * শুদ্ধ বানান: বিনষ্ট (এই বানানটি শুদ্ধই আছে।)
   * নিয়ম: ‘ট’ বর্গ (ট, ঠ, ড, ঢ, ণ)-এর পূর্ববর্তী ‘স’ ‘ষ’ হয়।
* ভুল বানান: ওঠ
   * শুদ্ধ বানান: ওষ্ঠ
   * নিয়ম: ‘ঠ’-এর পূর্ববর্তী ‘স’ ‘ষ’ হয়।
* ভুল বানান: তৃষা
   * শুদ্ধ বানান: তৃষ্ণা
   * নিয়ম: ‘ঋ’ কারের পরে ‘ষ’ হয়।
* ভুল বানান: বন্ধুবরেসু
   * শুদ্ধ বানান: বন্ধুবরেষু
   * নিয়ম: অ-কার বা আ-কার ভিন্ন অন্য স্বরবর্ণের (যেমন – এ-কার) পরে ‘স’ থাকলে তা ‘ষ’ হয়।
* ভুল বানান: কৃশি
   * শুদ্ধ বানান: কৃষি
   * নিয়ম: ‘ঋ’ কারের পরে সর্বত্রই ‘ষ’ থাকে।
* ভুল বানান: সুচরিতাসু
   * শুদ্ধ বানান: সুচরিতাসু (এই বানানটি শুদ্ধই আছে।)
   * নিয়ম: ‘আ’ কারের পরবর্তী ‘স’-এর কোনো পরিবর্তন হয় না (যেমন – কল্যাণীয়াসু)।
৯। নাটকের প্রথম দৃশ্যে যে ছবি দেওয়া হয়েছে, সেটি ভালো করে দেখো, তারপর ছবিটি বর্ণনা করো।
উত্তর: নাটকের প্রথম দৃশ্যের ছবিটি একটি শস্য-শ্যামল গ্রামের ভোরের দৃশ্য। ছবিতে দেখা যাচ্ছে কয়েকজন শিশু একটি ফুলের বাগানে আনন্দের সঙ্গে ফুল তুলছে। তাদের সাথে দুটি কুকুর এবং কয়েকটি পাখিও রয়েছে। ছবির  গাছপালা, মাটির রাস্তা এবং কয়েকটি গ্রাম্য ঘর দেখা যাচ্ছে, যা একটি শান্ত ও মনোরম পরিবেশের চিত্র তুলে ধরেছে।
১০। ‘ফুল বলে ধন্য আমি’ গানটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোন নৃত্যনাট্য থেকে নেওয়া হয়েছে?
উত্তর: ‘ফুল বলে ধন্য আমি’ গানটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘চণ্ডালিকা’ নৃত্যনাট্য থেকে নেওয়া হয়েছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *