হে ভারতের শ্রমজীবী’ পাঠের প্রশ্নাবলী ও তার সমাধান নিচে দেওয়া হলো।
পৃষ্ঠা নং – ১১৬
২। উত্তর দাও।
(ক) ‘হে ভারতের শ্রমজীবী’ কবিতাটির কবি কে?
উত্তর: ‘হে ভারতের শ্রমজীবী’ কবিতাটির কবি কাজী নজরুল ইসলাম।
(খ) কবি কাদের ‘ভাই’ এবং ‘সখা’ বলে সম্বোধন করেছেন?
উত্তর: কবি ভারতের শ্রমজীবী মানুষদের ‘ভাই’ এবং ‘সখা’ বলে সম্বোধন করেছেন।
(গ) শ্রমজীবী মানুষেরা কী দিয়ে পাহাড় কাটে?
উত্তর: শ্রমজীবী মানুষেরা হাতুড়ি, শাবল ও গাঁইতি দিয়ে পাহাড় কাটে।
(ঘ) কাদের হাড় দিয়ে বাষ্প-শকট চলে?
উত্তর: শ্রমজীবী মানুষদের হাড় দিয়ে বাষ্প-শকট চলে।
(ঙ) শুভদিন আসছে বলে কবি কাদের বলেছেন?
উত্তর: কবি শ্রমজীবী মানুষদের বলেছেন যে তাদের দুঃখের দিন শেষ হয়ে শুভদিন আসছে।
পৃষ্ঠা নং – ১১৭
৩। সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও।
(ক) কবি শ্রমজীবী মানুষদের কী বলে জাগিয়ে তুলতে চেয়েছেন?
উত্তর: কবি শ্রমজীবী মানুষদের ‘ভাই’ ও ‘সখা’ বলে সম্বোধন করে তাদের আত্মশক্তিকে চিনে নিতে বলেছেন। তিনি তাদের বলেছেন যে, নতুন যুগ আসছে এবং যুগ যুগ ধরে চলে আসা বঞ্চনা ও শোষণের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য তাদের শাবল ও গাঁইতি হাতে তুলে নিতে হবে।
(খ) ‘পাষাণ-স্তূপে তোমাদেরই অস্থি-‘ কথাটির তাৎপর্য কী?
উত্তর: এই কথাটির তাৎপর্য হল—সভ্যতার যত বড় বড় ইমারত, রাস্তাঘাট বা নগর তৈরি হয়েছে, তার মূলে রয়েছে শ্রমজীবী মানুষের হাড়ভাঙা খাটুনি ও আত্মত্যাগ। তাদের শ্রম ও প্রাণের বিনিময়েই এই পাষাণ-স্তূপ বা সভ্যতা গড়ে উঠেছে।
(গ) ‘তোমাদের ভগবান…’ কবিতায় এই কথাটি কাদের উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে?
উত্তর: কবিতায় এই কথাটি শোষক বা অত্যাচারী ধনী শ্রেণিকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে, যারা শ্রমজীবী মানুষদের তৈরি করা অট্টালিকায় বাস করে তাদেরকেই ঘৃণা করে।
(ঘ) ‘এবার মহানিশার শেষে…’ কবি মহানিশার শেষে কী ঘটবে বলে আশা করেছেন?
উত্তর: কবি আশা করেছেন যে, ‘মহানিশার শেষে’ অর্থাৎ বহুদিনের শোষণ-বঞ্চনারূপ অন্ধকার রাতের শেষে নতুন দিনের সূর্য উঠবে। শ্রমজীবী মানুষদের জীবনে এক নতুন অরুণ সকাল আসবে, যা তাদের জন্য সাম্য ও মুক্তির বার্তা বয়ে আনবে।
৪। ‘ক’ অংশের সঙ্গে ‘খ’ অংশ মেলাও।
* শ্রমজীবী – যারা শ্রমের দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করে
* শকট – গাড়ি
* পাষাণ – পাথর
* অট্টালিকা – বড়ো দালান
* নবযুগ – নতুন زمانہ
পৃষ্ঠা নং – ১১৮
৫। এক কথায় প্রকাশ করো।
* (ক) যারা শ্রমের দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করে – শ্রমজীবী
* (খ) যারা শোষণ করে – শোষক
* (গ) মাটির নীচে যে জগৎ – পাতাল
* (ঘ) যা ছোঁয়া যায় না – অস্পৃশ্য
৬। সমার্থক শব্দ লেখো।
* সখা – বন্ধু, মিত্র
* পাহাড় – পর্বত, গিরি
* পথ – রাস্তা, সড়ক
* দেহ – শরীর, তনু
* হাত – কর, পাণি
৭। বিপরীত শব্দ লেখো।
* ভাই – বোন
* ছোটো – বড়ো
* শুভ – অশুভ
* দেনা – পাওনা
* শেষে – শুরুতে
৮। বাক্য রচনা করো।
* শ্রমজীবী: দেশের উন্নয়নে শ্রমজীবী মানুষের অবদান অনস্বীকার্য।
* অট্টালিকা: শ্রমিকের রক্ত-ঘামে তৈরি হয় বড় বড় অট্টালিকা।
* অভিযান: পর্বতারোহীরা হিমালয় অভিযানে গেছেন।
* লজ্জা: নিজের ভুল স্বীকার করতে লজ্জা পাওয়া উচিত নয়।
* নবযুগ: একুশ শতক বিজ্ঞানের নবযুগ।
পৃষ্ঠা নং – ১১৯
৯। কবিতাটির মূলভাব নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তর: ‘হে ভারতের শ্রমজীবী’ কবিতায় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ভারতের শ্রমিক ও মেহনতী মানুষদের জয়গান গেয়েছেন। কবি দেখিয়েছেন যে, এই শ্রমজীবী মানুষদের কঠোর পরিশ্রম আর আত্মত্যাগের উপরেই গড়ে উঠেছে মানব সভ্যতা, বিশাল অট্টালিকা, রাস্তাঘাট এবং সাম্রাজ্য। অথচ যুগ যুগ ধরে শোষক শ্রেণি তাদের শ্রমের ফল ভোগ করেছে এবং তাদেরকেই অবহেলা ও ঘৃণা করে এসেছে। কবি এই অন্যায়ের অবসানের ডাক দিয়েছেন। তিনি শ্রমিকদের নিজেদের শক্তি തിരിച്ചറിഞ്ഞ് متحد হয়ে জেগে ওঠার আহ্বান জানিয়েছেন এবং এক নতুন শোষণহীন যুগের আগমনের কথা বলেছেন।
১২। শ্রমজীবী মানুষদের সম্মান জানানোর জন্য তোমরা কী কী করতে পারো, তার একটি তালিকা তৈরি করো।
উত্তর: শ্রমজীবী মানুষদের সম্মান জানানোর জন্য আমরা যা যা করতে পারি তার একটি তালিকা নিচে দেওয়া হল:
* তাদের সঙ্গে সবসময় নম্রভাবে ও সম্মানের সঙ্গে কথা বলা।
* তাদের কাজের সঠিক ও সময়মতো পারিশ্রমিক দেওয়া।
* কাজের সময় তাদের জল বা সামান্য বিশ্রামের সুযোগ করে দেওয়া।
* তাদের কাজকে ছোটো না করে তার প্রশংসা করা।
* তাদের “কুলি” বা “মজুর” না বলে সম্মানজনকভাবে সম্বোধন করা।
* তাদের সন্তানদের শিক্ষার জন্য উৎসাহিত করা বা সাহায্য করা।
*
