স্থানীয় স্বায়ত্ব শাসন ব্যবস্থা , Chapter -14, Class -6, SEBA, New Book

স্থানীয় স্বায়ত্ব শাসন ব্যবস্থা , Chapter -14, Class -6, SEBA, New Book

স্থানীয় স্বায়ত্ব শাসন ব্যবস্থা , Chapter -14, Class -6, SEBA, New Book


অনুশীলনী – ১
১। নীচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো-
(ক) ভারতের শাসন ব্যবস্থাকে কয়টি স্তরে ভাগ করা যায়?
Ans. শাসন বা পরিচালনার সুবিধার্থে আমাদের দেশের প্রশাসন ব্যবস্থাকে বিভিন্ন স্তর বা পর্যায়ে ভাগ করা হয়েছে। (পূর্ববর্তী পাঠে এই স্তরগুলো সম্বন্ধে আলোচনা করা হয়েছে।)
(খ) স্থানীয় স্বায়ত্ত শাসন মানে কী?
Ans. প্রতিটি স্থানেরই অঞ্চলভিত্তিক কিছু কিছু নিজস্ব সমস্যা থাকে। এই সমস্যাগুলো স্থায়ীভাবে সমাধান করার জন্য যে বিশেষ ধরনের শাসন ব্যবস্থা থাকে, তাকে স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থা (Local Self Government) বলা হয়।
(গ) স্থানীয় স্বায়ত্ত শাসনের প্রয়োজনীয়তা কী-তা উল্লেখ করো।
Ans. স্থানীয় স্বায়ত্ত শাসনের প্রয়োজনীয়তাগুলো হলো:
* স্থানীয় সমস্যা সম্বন্ধে স্থানীয় জনগণই ভালোভাবে জানেন, সুতরাং তাঁরাই এই সমস্যাগুলোর সঠিক সমাধান করতে পারেন।
* কেন্দ্রীয় সরকারের কাজের ভার লাঘব করা।
* জনগণের প্রশাসনিক জ্ঞান ও কৌশল বৃদ্ধি করা।
* সরকার ও প্রশাসনে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
অনুশীলনী – ২
১। নীচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো –
(ক) “স্থানীয় সরকার” কাকে বলা হয়?
Ans. গ্রাম পঞ্চায়েতকে গ্রামে বসবাসকারী জনসাধারণের ‘স্থানীয় সরকার’ (Local Government) বলা হয়।
(খ) গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাকে কয়টি ভাগে ভাগ করা হয়?
Ans. গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাটিকে দশটি ভাগে ভাগ করা হয়।
(গ) গ্রাম পঞ্চায়েতের দুটি কার্য উল্লেখ করো।
Ans. গ্রাম পঞ্চায়েতের দুটি কার্য হলো:
১. বার্ষিক বাজেট প্রস্তুত করা।
২. রাস্তা-ঘাটে বৈদ্যুতিক বাতির ব্যবস্থা করা।
(ঘ) গ্রাম সভার বিষয়ে সংক্ষেপে লেখো।
Ans. গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ভোটাধিকারীরা মিলে গ্রাম সভা গঠন করেন। গ্রাম সভার বৈঠকে গ্রাম পঞ্চায়েতের সভাপতি সভাপতিত্ব করেন। এই সভায় পঞ্চায়েতের মোট ভোটারের শতকরা ১০ ভাগ বা কমপক্ষে ১০০ জন ভোটারকে উপস্থিত থাকতে হয়। এক বছরে কমপক্ষে চারবার গ্রামসভা আয়োজিত হতে হয়। গ্রাম সভার বৈঠকে এলাকার সমস্যাগুলো আলোচনা করে তার সমাধানের পথ নির্ধারণ করা হয়।
(ঙ) আঞ্চলিক পঞ্চায়েত কীভাবে গঠিত হয়?
Ans. প্রত্যেক উন্নয়ন খণ্ডে একটি করে আঞ্চলিক পঞ্চায়েত গঠন করা হয়। প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে একজন করে সদস্যকে আঞ্চলিক পঞ্চায়েতে নির্বাচিত করা হয়। এছাড়া, গ্রাম পঞ্চায়েতের সভাপতি, স্থানীয় বিধায়ক এবং সেই অঞ্চলের লোকসভার সাংসদও আঞ্চলিক পঞ্চায়েতের সদস্য হন।
(চ) ভারতবর্ষের কোন রাজ্যের কোন জেলায় প্রথম গ্রাম পঞ্চায়েত গঠন করা হয়?
Ans. ১৯৫৯ সালের ২ অক্টোবরে রাজস্থানের নাগোর জেলার বাগদরি গ্রামে ভারতবর্ষের প্রথম গ্রাম পঞ্চায়েত স্থাপন করা হয়।
অনুশীলনী – ৩
১। নীচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো-
(ক) অসমে সর্বমোট কটি জেলা পরিষদ আছে?
Ans. অসমে কয়েকটি জেলা ছাড়া ২৬টি জেলাতেই একটি করে জেলা পরিষদ আছে।
(খ) গ্রামাঞ্চলের স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনের আয়ের উৎসগুলো কী কী?
Ans. গ্রামাঞ্চলের স্বায়ত্তশাসনের আয়ের উৎসগুলো হলো:
১. হাট-বাজার থেকে সংগ্রহ করা কর, রাজস্ব, জরিমানা ইত্যাদি।
২. কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার থেকে প্রাপ্ত অনুদান।
৩. স্থানীয় সাংসদ ও বিধায়কদের প্রদত্ত অনুদান ইত্যাদি।
(গ) একটি জেলা পরিষদের কার্যকাল কত বছর?
Ans. একটি জেলা পরিষদের কার্যকাল ৫ বছর।
(ঘ) নগর অঞ্চলে কী কী স্বায়ত্ত শাসনব্যবস্থা দেখা যায়?
Ans. নগর অঞ্চলে তিন ধরনের স্বায়ত্ত শাসনব্যবস্থা দেখা যায়:
* নগর সমিতি (ছোটো নগর)
* পৌরসভা (মাঝারি নগর)
* পৌর নিগম (মহানগর)
(ঙ) ওয়ার্ড বলতে কী বোঝো?
Ans. ওয়ার্ড হলো স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থার অন্তর্গত গ্রাম এবং নগরের সবচাইতে ছোটো বা প্রাথমিক একক।
২। একটি অঞ্চলকে নগরে পরিণত হতে হলে অঞ্চলটির কী কী বৈশিষ্ট্য থাকা প্রয়োজন?
Ans. ভারতবর্ষের পরিসংখ্যা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, একটি অঞ্চলকে নগরে পরিণত হতে হলে নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলো থাকা প্রয়োজন:
* জনসংখ্যা হতে হয় কমপক্ষে ৫০০০।
* জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৪০০ জন হতে হয়।
* জনসংখ্যার ৭৫% (শতাংশ) মানুষকে কৃষিকর্মের বাইরে অন্য পেশার সঙ্গে যুক্ত থাকতে হয়।
৩। নগর অঞ্চলের স্থানীয় শাসন ব্যবস্থার স্তরগুলোর গঠন প্রণালি বর্ননা করো।
Ans. নগর অঞ্চলের স্থানীয় শাসন ব্যবস্থা (পৌর নিগম, পৌরসভা ইত্যাদি) সাধারণত স্থানীয় মানুষের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে গঠন করা হয়। জনসংখ্যার অনুপাতে নগরগুলোকে কয়েকটি ওয়ার্ডে ভাগ করা হয়। ওয়ার্ডের ভোটাররা ভোট দিয়ে এই সদস্যদের নির্বাচিত করেন।
এই স্তরগুলোর গঠন নিম্নরূপ:
* নগর সমিতি: এর সদস্য সংখ্যা ৭-২০ জন হয়। প্রধানকে সভাপতি এবং সদস্যদের ওয়ার্ড কমিশনার বলা হয়। এর কার্যকাল ৫ বছর।
* পৌরসভা: এর সদস্য সংখ্যা ১০-৩০ জন হয়। প্রধানকে পৌরপতি এবং সদস্যদের কমিশনার বলা হয়। এর কার্যকাল ৫ বছর।
* পৌর নিগম: এর সদস্য সংখ্যা সর্বাধিক ৬০ জন পর্যন্ত হতে পারে। প্রধানকে মেয়র এবং সদস্যদের কাউন্সিলর বলা হয়। এর কার্যকাল ৫ বছর।
৪। নগর অঞ্চলের স্থানীয় স্বায়ত্ব শাসন ব্যবস্থার কাজকর্ম উল্লেখ করো।
Ans. নগর অঞ্চলের স্থানীয় স্বায়ত্ত শাসন ব্যবস্থার কয়েকটি প্রধান কাজকর্ম হলো:
* হাট বাজার নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ।
* বিশুদ্ধ পানীয় জল ও স্বাস্থ্যসেবার সুনিশ্চিতকরণ।
* শ্মশান, কবরস্থান ইত্যাদির নির্মাণ।
* উদ্যান, খেলার মাঠ, আমোদ-প্রমোদ গৃহ নির্মাণ।
* রাস্তা-ঘাটের নামকরণ এবং রাস্তা-ঘাটে আলোর (street light) ব্যবস্থা করা।
* নগরের নালা-নর্দমা, রাস্তা-ঘাট, প্রস্রাবাগার, শৌচাগার ইত্যাদি নির্মাণ।
* প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা জরুরি অবস্থায় প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান।
অনুশীলনী – ৪
নীচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো-
১। ভারতীয় সংবিধানের কোন অনুসূচীর কত সংখ্যক অনুচ্ছেদের ভিত্তিতে স্বায়ত্তশাসিত জেলা পরিষদ গঠন করা হয়েছে?
Ans. ভারতীয় সংবিধানের ষষ্ঠ অনুসূচীর অনুচ্ছেদ ২৪(২) এবং ২৭৫(১)-এর ভিত্তিতে স্বায়ত্তশাসিত জেলা পরিষদ গঠন করা হয়েছে।
২। BTR-এর সম্পূর্ণরূপ কী?
Ans. BTR-এর সম্পূর্ণরূপ হলো বড়োল্যান্ড টেরিটোরিযাল রিজন (Bodoland Territorial Region)।
৩। অসমে মোট কয়টি স্বায়ত্তশাসিত পরিষদ আছে?
Ans. পাঠ্যপুস্তক অনুযায়ী, অসমে ৩টি প্রধান স্বায়ত্তশাসিত পরিষদ (কার্বি আংলং স্বায়ত্তশাসিত পরিষদ, ডিমা হাসাও স্বায়ত্তশাসিত পরিষদ, এবং বোড়োল্যান্ড টেরিটোরিয়াল কাউন্সিল) এবং সমতল অঞ্চলে বসবাসকারী উপজাতীয় মানুষের জন্য আরও ৬টি স্বায়ত্তশাসিত পরিষদ (রাভা হাসং, মিসিং, তিওয়া, দেউরি, ঠেঙাল কছারি, সোনোয়াল কছারি) গঠন করা হয়েছে। সুতরাং, মোট (৩ + ৬) = ৯টি স্বায়ত্তশাসিত পরিষদের উল্লেখ রয়েছে।
৪। অসমের কোন কোন জেলায় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা নেই?
Ans. অসমের তিনটি পার্বত্য জেলা—কার্বি আংলং, পশ্চিম কাৰ্বি আংলং এবং ডিমা হাসাও—এই জেলাগুলোতে গ্রাম পঞ্চায়েত ব্যবস্থার প্রচলন নেই।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *