১। উত্তর লেখো (Answer the following)
(ক) পরিবেশকে প্রধানত কয়টি ভাগে ভাগ করা যায়? উত্তর – পরিবেশকে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা যায়:
প্রাকৃতিক পরিবেশ
মানবসৃষ্ট বা সাংস্কৃতিক পরিবেশ
(খ) মানুষের উপকারে আসে এবং আর্থিক মূল্য রয়েছে এমন সামগ্রীকে কী বলে?
উত্তর – মানুষের উপকারে আসে এবং আর্থিক মূল্য রয়েছে এমন সামগ্রীকে সম্পদ বলে ।
(গ) ভারত সরকারের কোন মন্ত্রালয়টি দেশের মানব সম্পদ উন্নয়নের দিকটি তদারক করে?
উত্তর – ভারত সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় দেশের মানব সম্পদ উন্নয়নের দিকটি তদারক করে ।
(ঘ) ভূ-প্রকৃতির ভিত্তিতে অসমকে কয়টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে?
উত্তর – ভূ-প্রকৃতির ভিত্তিতে অসমকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে ।
(ঙ) উত্তর কাছাড় পার্বত্য জেলাকে বর্তমানে কি নাম দেওয়া হয়েছে?
উত্তর – উত্তর কাছাড় পার্বত্য জেলাকে বর্তমানে ডিমা হাসাও জেলা নাম দেওয়া হয়েছে ।
২। শূন্যস্থান পূর্ণ করো (Fill in the blanks)
(ক) মানবসৃষ্ট পরিবেশকে সাংস্কৃতিক পরিবেশ বলে । (খ) শারীরিক ও মানসিকভাবে কাজ করতে সক্ষম ব্যক্তিকে মানব সম্পদ বলে ।
(গ) অন্য সব সম্পদের তুলনায় মানব সম্পদ শ্রেষ্ঠ সম্পদ ।
(ঘ) অসম দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি জলবায়ুর গতিপথে অবস্থিত ।
(ঙ) অসমের কৃষি উৎপাদিত শস্যকে তিনটি প্রধান ভাগে ভাগ করা যায় ।
৩। শুদ্ধ উত্তরটি নির্ণয় করো (Choose the correct answer)
(ক) মানবসৃষ্ট পরিবেশের একটি উপাদান হচ্ছে ঘর-বাড়ি ।
(খ) জাপান পৃথিবীর ভেতর উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ প্রধান দেশ ।
(গ) অসমের নদী উপত্যকা অঞ্চলের অধিবাসীদের মুখ্য জীবিকা কৃষি ।
(ঘ) পাহাড়ি অঞ্চলে জনবসতি কম ।
(ঙ) উত্তর কাছাড় পার্বত্য জেলার বর্তমান নাম ডিমা-হাসাও ।
৪। শুদ্ধ অশুদ্ধ নির্ণয় করো (Determine True or False)
(ক) মানবসৃষ্ট পরিবেশকে কৃত্রিম পরিবেশ বলে। শুদ্ধ (খ) প্রাকৃতিক পরিবেশের উপাদানগুলো ব্যবহার করে মানবসৃষ্ট পরিবেশের উপাদান সৃষ্টি করা হয়। শুদ্ধ
(গ) মানব সৃষ্ট পরিবেশ পরিবর্তনশীল। শুদ্ধ
(ঘ) শারীরিক এবং মানসিকভাবে উৎপাদনমুখী কাজ করতে সক্ষম ব্যক্তিগণই মানব সম্পদ। শুদ্ধ
(ঙ) ভূ-প্রকৃতির ভিত্তিতে অসমকে দুটো পৃথক খণ্ডে ভাগ করা যায়। শুদ্ধ
৫। সংক্ষেপে উত্তর লেখো (Answer briefly)
(ক) সমাজ উন্নয়নে মানব সম্পদের ভূমিকা।
উওর- সমাজ উন্নয়নে মানব সম্পদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের জ্ঞান, বুদ্ধি ও কর্মক্ষমতার ফলেই সভ্যতার অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে । মানুষ মুদ্রণযন্ত্র, কম্পিউটার, কৃত্রিম উপগ্রহের মতো জিনিস উদ্ভাবন করে জীবনযাত্রার মান উন্নত করেছে । এছাড়াও পরিবহণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটিয়ে সমগ্র পৃথিবীকে একটি বিশাল গ্রামে পরিণত করেছে ।
(খ) অসমের জনবসতি বিস্তারের ওপর নদী উপত্যকার সমভূমির প্রভাব।
উত্তর – অসমের নদী উপত্যকার সমভূমি অঞ্চল নদীর পলিমাটি দ্বারা গঠিত এবং কৃষিকাজের জন্য খুবই উর্বর, যা এখানকার মানুষের প্রধান জীবিকা । এই অঞ্চলে পরিবহণ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারিত হয়েছে এবং বিভিন্ন শহর ও নগর গড়ে উঠেছে । এই সব সুবিধাজনক জীবনধারণ প্রণালীর জন্য নদী উপত্যকার সমভূমি অঞ্চলে জনবসতি অত্যন্ত ঘন ।
৬। বিশদভাবে লেখো (Write in detail)
(ক) মানবসৃষ্ট পরিবেশ কাকে বলে এবং এর উপাদানগুলো কী কী? এই পরিবেশ গঠনে মানুষে কী ভূমিকা গ্রহণ করে?
মানবসৃষ্ট পরিবেশ: মানুষ তার জ্ঞান, বুদ্ধি ও কৌশল ব্যবহার করে প্রাকৃতিক উপাদানগুলোকে নিজের প্রয়োজনে কাজে লাগায় । মানুষের এই কাজকর্ম যখন কোনো একটি স্থানে বসবাসের জন্য এক আলাদা ও অনুকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে, তখন তাকে সেই স্থানের মানবসৃষ্ট পরিবেশ বলা হয় ।
এর উপাদানগুলো হলো:
বস্তুগত উপাদান: রাস্তা-ঘাট, সেতু, ঘর-বাড়ি, শিল্পোদ্যোগ, নগর, শহর ইত্যাদি ।
অবস্তুগত উপাদান: পরিবার, সামাজিক রীতি-নীতি, কৃষ্টি-সভ্যতা, ধর্মীয় আচরণ, শিক্ষা ব্যবস্থা, রাজনৈতিক কার্যকলাপ ইত্যাদি ।
মানুষের ভূমিকা: মানুষ প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে উপাদান সংগ্রহ করে নিজের জ্ঞান ও দক্ষতার মাধ্যমে সেগুলোকে সম্পদে রূপান্তরিত করে । এভাবেই মানুষ ঘর-বাড়ি, রাস্তাঘাট ইত্যাদি নির্মাণ করে প্রাকৃতিক পরিবেশকে পরিবর্তন করে নিজের বসবাসের উপযোগী একটি নতুন পরিবেশ তৈরি করে ।
(খ) কী কী কারণে অসমে বন্যা হয়?
উত্তর – বন্যার সঙ্গে সহাবস্থান করার ফলপ্রসূ যুক্তি দিয়ে দুটো ব্যবস্থার উল্লেখ করো। অসমে বন্যার প্রধান কারণগুলো হলো:
অসমের নদীগুলো পাহাড় থেকে প্রচুর মাটি ও বালি বয়ে এনে সমতল অংশে জমা করে, যার ফলে নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে যায় এবং জলধারণ ক্ষমতা কমে যায় ।
ব্রহ্মপুত্র ও তার উত্তর পারের উপনদীগুলো বর্ষাকালে বৃষ্টির জলের পাশাপাশি হিমালয়ের বরফগলা জলও বহন করে, ফলে অতিরিক্ত জলের চাপে দুই পার ছাপিয়ে বন্যার সৃষ্টি হয় ।
১৯৫০ সালের ভয়াবহ ভূমিকম্পের ফলে ব্রহ্মপুত্র নদের তলদেশ উঁচু হয়ে যাওয়ায় প্রতি বছর অসমে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয় ।
বন্যার সঙ্গে সহাবস্থানের দুটি ফলপ্রসূ ব্যবস্থা:
বন্যাক্রান্ত অঞ্চলে উঁচু জায়গায় ঘর-বাড়ি নির্মাণ করা এবং বন্যার সময় মানুষ ও গৃহপালিত পশুদের নিয়ে সুরক্ষিত উঁচু স্থানে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নেওয়ার ব্যবস্থা করা ।
বন্যার আগেই প্রয়োজনীয় ঔষধ, খাদ্যসামগ্রী, বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা এবং জীবাণুনাশক দ্রব্য মজুত রাখা, যাতে বন্যার সময় জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যায় ।
