সময় মণ্ডল ও মানচিত্র, Chapter -2,Class-6, SEBA New Book, Social science

সময় মণ্ডল ও মানচিত্র, Chapter -2,Class-6, SEBA New Book, Social science

সময় মণ্ডল ও মানচিত্র, Chapter -2,Class-6, SEBA New Book, Social science

অনুশীলনী – ১ (পৃষ্ঠা ১৩)
১। নীচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো-
(ক) দুটি সময় মণ্ডলের মধ্যকার সময়ের ব্যবধান কত?
Ans. কাছাকাছি দুটি সময় মণ্ডলের মধ্যকার সময়ের ব্যবধান সাধারণত ১ ঘণ্টা হয়।
(খ) পৃথিবীকে কয়টি সময় মণ্ডলে ভাগ করা হয়েছে?
Ans. সমগ্র পৃথিবীকে ২৪টি সময় মণ্ডলে ভাগ করা হয়েছে।
(গ) ভারতের মধ্য দিয়ে যাওয়া কোন দ্রাঘিমরেখার সময়কে দেশটির মান সময় হিসেবে গণ্য করা হয়েছে?
Ans. ভারতের প্রায় মধ্য দিয়ে যাওয়া ৮২°৩০′ পূর্ব দ্রাঘিমারেখার সময়কে দেশটির মান সময় (Standard Time) হিসেবে ধরা হয়েছে। এই সময়কেই সমগ্র ভারতের মান সময় (Indian Standard Time) হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
২। সময় মণ্ডল কীভাবে গণনা করা হয়?
Ans. সময় মণ্ডলের গণনা দ্রাঘিমারেখার ওপর ভিত্তি করে করা হয়। লন্ডনের গ্রিনউইচ মান মন্দিরের ওপর দিয়ে যাওয়া মুখ্য দ্রাঘিমারেখাকে (০°) ভিত্তি ধরে, প্রতি ১৫° দ্রাঘিমাংশের ব্যবধানে এক ঘণ্টা যোগ বা বিয়োগ করে সময় মণ্ডল গণনা করা হয়।
অনুশীলনী – ২ (পৃষ্ঠা ১৬)
১। নীচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও-
(ক) মানচিত্রের উপাদান কতপ্রকার ও কী কী?
Ans. একটি মানচিত্র প্রস্তুত এবং অধ্যয়নের ক্ষেত্রে চারটি প্রধান উপাদানের প্রয়োজন হয়। সেই উপাদানগুলো হল- দিক, দূরত্ব, অবস্থান এবং সাংকেতিক চিহ্ন।
(খ) প্রধান চারটি দিক কী কী?
Ans. প্রধান চারটি দিক হল- উত্তর (North), দক্ষিণ (South), পূর্ব (East) এবং পশ্চিম (West)।
(গ) মানচিত্রের মাপক বলতে কী বোঝ?
Ans. ভূ-পৃষ্ঠের ওপরের প্রকৃত দূরত্বকে মানচিত্রে যে অনুপাতে হ্রাস করে দেখানো হয়, তাকেই স্কেল বা মাপক (Scale) বলা হয়।
২। গোলক থেকে মানচিত্র কিছু ক্ষেত্রে কেন বেশি সুবিধাজনক?
Ans. গোলক হল বৃহৎ পৃথিবীর একটি ক্ষুদ্র সদৃশ বস্তু বা মডেল। কিন্তু মানচিত্রে কোনো এক ধরনের বা বিভিন্ন ধরনের তথ্যের বিতরণ একই সঙ্গে দেখানো সম্ভব হয়। মানচিত্র বিশেষ বিশেষ বিষয়, যেমন – জনসংখ্যা বিতরণ, যাতায়াত ব্যবস্থা, জলবায়ু, বৃষ্টিপাত বা অরণ্য ইত্যাদি দেখানোর জন্য বিষয়ভিত্তিক মানচিত্র (Thematic Map) হিসেবে প্রস্তুত করা যায়, যা একটি গোলকের মাধ্যমে বিস্তারিতভাবে দেখানো সুবিধাজনক নয়।
৩। মানচিত্র এবং নক্সার মধ্যে পার্থক্য কী?
Ans. কাগজ বা কোনো সমতল পৃষ্ঠে দিক এবং দূরত্বের অনুপাত (মাপক বা স্কেল) সঠিক রেখে পৃথিবী বা তার কোনো অংশের ছোটো আকৃতির অঙ্কিত চিত্রই হল মানচিত্র। অন্যদিকে, নির্দিষ্ট পরিমাপ বা অনুপাত ছাড়া আঁকা একটি চিত্র শুধুমাত্র একটি সাধারণ অঙ্কন বা নক্সা।
৪। মানচিত্র অধ্যয়নের ক্ষেত্রে সাংকেতিক চিহ্নগুলো কীভাবে সাহায্য করে?
Ans. মানচিত্রে কোনো স্থানের ঘর-দুয়ার, রাস্তা-ঘাট, সেতু, গাছ-পালা, রেলপথ, পুকুর বা কুয়োর মতো তথ্যগুলো প্রকৃতরূপে এঁকে দেখানো সম্ভব নয়। তাই এই তথ্যগুলো বিভিন্ন অক্ষর, রং, রেখা বা চিহ্নের মতো সাংকেতিক চিহ্নের সাহায্যে দেখানো হয়। এই চিহ্নগুলো একটি নির্দিষ্ট স্থানের বিভিন্ন ধরনের তথ্য সম্পর্কে আমাদের সহজে অবগত করে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *