শাক-সবজির বাগান, Chapter -4, Class -4, SEBA, EVS New Book

শাক-সবজির বাগান


পৃষ্ঠা ২৯ (পাঠ-৪ শাক-সবজির বাগান)
ক্রিয়াকলাপ: ছবি পর্যবেক্ষণ

প্রশ্ন: পাশের শাক-সবজির বাগানের ছবিটি লক্ষ করো। সেখানে কী কী শাক-সবজি এবং ফল-মূল দেখতে পাচ্ছো?

উত্তর: ছবিটিতে বেগুন, কুমড়ো, পেঁপে, আম, কলা, নারকেল ইত্যাদি শাক-সবজি ও ফল-মূল দেখতে পাচ্ছি।


ক্রিয়াকলাপ: তালিকা পূরণ

প্রশ্ন: তোমাদের দেখা সেই শাক-সবজিগুলোর নাম বের করে এবং সেগুলোর কোন অংশ খাওয়া হয় তা নীচের তালিকার ধরনে নিজের খাতায় লেখো।

উত্তর: (পাঠ্যপুস্তকের তথ্য এবং সাধারণ জ্ঞানের ভিত্তিতে)
(১) গাজর – পালং – ওলকপি – পেঁপে – মটরশুঁটি
(২) মূলা – লাইপাতা – আখ – বেগুন – শিমের বীজ
(৩) বিট – কলমি শাক – কচুর লতি – কুমড়ো – ভুট্টা


পৃষ্ঠা ৩০ (শাক-সবজি)
ক্রিয়াকলাপ: তালিকা প্রস্তুত

প্রশ্ন: তোমাদের বাড়িতে কোন কোন শাক-সবজি তোমরা রেঁধে খাও এবং কোন কোন শাক-সবজি তোমরা কাঁচা খাও তা লেখো-

উত্তর: (পাঠ্যপুস্তকের তথ্যের ভিত্তিতে)

রেঁধে খাওয়া শাক-সবজি: ওলকপি, পালং শাক, বেগুন, লাউ, মিষ্টি কুমড়ো, চালকুমড়ো, ঝিঙ্গে, মটরশুঁটি ইত্যাদি।

কাঁচা খাওয়া শাক-সবজি: গাজর, টমেটো, শশা, মূলা, পেঁপে (পাকা) ইত্যাদি।

(পাঠ্যপুস্তক অনুযায়ী, পেঁপে, গাজর, টমেটো, শশা ইত্যাদি রেঁধে এবং কাঁচাও খাওয়া যায়।)



ক্রিয়াকলাপ: এসো, লিখি

প্রশ্ন: নীচে দেওয়া শাক-সবজিগুলো বর্ষা কালে না শীতকালে হয় লেখো-
লাইপাতা, বেগুন, গাজর, লাউ, মূলা, শশা, মিষ্টি কুমড়ো, চালকুমড়ো, ঝিঙ্গে, পেঁপে।

উত্তর:
বর্ষা কালে হওয়া শাক-সবজি – বেগুন, লাউ, শশা, মিষ্টি কুমড়ো, চালকুমড়ো, ঝিঙ্গে
শীতকালে হওয়া শাক-সবজি – লাইপাতা, গাজর, মূলা, পেঁপে (সারা বছর হয়)


পৃষ্ঠা ৩১ (শস্য খেতে)
ক্রিয়াকলাপ: ছবি পর্যবেক্ষণ

প্রশ্ন: উপরের ছবিগুলো লক্ষ করো। ছবিগুলোতে কী কী কাজ করা হচ্ছে বলো।

উত্তর:

প্রথম ছবিতে (বামদিকে): একটি সবজি বাগানে শিশুরা গাছের যত্ন নিচ্ছে, জল দিচ্ছে এবং নিড়ানি দিচ্ছে।

দ্বিতীয় ছবিতে (মাঝখানে): একজন বয়স্ক লোক একটি শিশুর হাত ধরে বাজার থেকে শাক-সবজি ও অন্যান্য জিনিস কিনে বাড়ি ফিরছেন।

তৃতীয় ছবিতে (ডানদিকে): রান্নাঘরে মা ও মেয়ে মিলে রান্না করছেন।



পৃষ্ঠা ৩২ (শস্য উৎপাদন)
ক্রিয়াকলাপ: দলগত আলোচনা ও ক্রমপর্যায়

প্রশ্ন: নীচের ছবিগুলো দেখে এবং দলগতভাবে আলোচনা করে শস্য উৎপাদন থেকে রান্না করে খাদ্য খাওয়া পর্যন্ত ক্রমানুসারে নম্বরগুলো দাও এবং কাজগুলোর নাম লেখো।

উত্তর: (ছবিগুলোর ক্রম এবং কাজের নাম)

লাঙল দিয়ে জমি চষা: কৃষক বলদ ও লাঙল দিয়ে জমি চাষ করছেন।

মই দেওয়া: কৃষক বলদ দিয়ে জমিতে মই দিচ্ছেন।

ধান রোপণ: মহিলা কৃষক ধান রোপণ করছেন।

সার ছড়ানো: কৃষক জমিতে সার ছড়াচ্ছেন।

ধান কাটা: কৃষক কাস্তে দিয়ে পাকা ধান কাটছেন।

ধান মাড়াই ও ঝাড়া: কৃষকরা ধান মাড়াই করছেন এবং কুলো দিয়ে ধান ঝেড়ে পরিষ্কার করছেন।

(পৃষ্ঠা ৩১-এর ছবিগুলো এই ক্রমের পরে আসবে: বাজার করা এবং রান্না করা)



পৃষ্ঠা ৩৩ (কৃষিকার্য)
ক্রিয়াকলাপ: অভিভাবকদের থেকে জেনে লেখো

প্রশ্ন: কৃষিকার্যের জন্য উন্নত ব্যবস্থাসমূহ অভিভাবকদের কাছ থেকে জেনে নেবে এবং কৃষিকার্যের সরঞ্জাম/যন্ত্রগুলোর নাম লেখবে।

উত্তর: কৃষিকার্যের উন্নত সরঞ্জাম বা যন্ত্রগুলো হলো:

ট্র্যাকটর (জমি চষার জন্য)

পাওয়ার টিলার (জমি চষা ও বীজ বপনের জন্য)

জল সেচের পাম্প (ডিজেল বা বিদ্যুৎ চালিত)

কীটনাশক ছড়ানোর যন্ত্র (স্প্রে মেশিন)

ধান কাটার যন্ত্র (হারভেস্টার)



ক্রিয়াকলাপ: ছবির যন্ত্রের নাম

প্রশ্ন: নীচের ছবিতে দেওয়া কৃষি যন্ত্রগুলোর নাম লেখো।

উত্তর: (বাম থেকে ডানে, উপর থেকে নিচে)

লাঙল

কাস্তে

ট্র্যাকটর

মই

কোদাল

ঘাস/খড় আঁকড়ানোর যন্ত্র

নিড়ানি/খুরপি



পৃষ্ঠা ৩৫ (মাটি ও সার)
ক্রিয়াকলাপ: এসো, করে দেখি (পরীক্ষা)

প্রশ্ন: তিনটি খালি টিনের পাত্র বা প্লাস্টিকের গ্লাসে তিনপ্রকারের মাটি (বেলে, কাদা, পলিযুক্ত) ভরে নাও। … কী পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছো, তা নীচের তালিকাটিতে লেখো।

উত্তর: (এটি একটি পরীক্ষার পর্যবেক্ষণ। একটি সম্ভাব্য ফলাফল নিচে দেওয়া হলো।)
বেলে মাটি – ৫ দিন পর অল্প বৃদ্ধি (২ সেমি), ১২ দিন পর মাঝারি বৃদ্ধি (৫ সেমি)
কাদা মাটি – ৫ দিন পর খুব কম বৃদ্ধি (১ সেমি), ১২ দিন পর অল্প বৃদ্ধি (৩ সেমি)
পলিযুক্ত মাটি – ৫ দিন পর ভালো বৃদ্ধি (৪ সেমি), ১২ দিন পর খুব ভালো বৃদ্ধি (১০ সেমি)

প্রশ্ন: কোন প্রকার মাটিতে চারাটির বৃদ্ধি ভালো হয়েছে এবং কোন প্রকারে ভালো হয়নি তা লক্ষ করো এবং কেনো হয়েছে তা ভাবো।

উত্তর: পলিযুক্ত মাটিতে চারাটির বৃদ্ধি সবচেয়ে ভালো হয়েছে। কারণ এই মাটিতে গাছের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় জৈবিক সার (হিউমাস) থাকে, যা বেলে বা কাদা মাটিতে কম থাকে।


পৃষ্ঠা ৩৮ (অনুশীলনী – পাঠ ৪)
১। সংক্ষিপ্ত উত্তর লেখো-

(ক) দুই প্রকার সবজির নাম লেখো যেগুলো কাঁচা খাওয়া যায়।
উত্তর: গাজর এবং শশা কাঁচা খাওয়া যায়।

(খ) বর্ষাকালের দুপ্রকার সবজির নাম লেখো।
উত্তর: বর্ষাকালের দুপ্রকার সবজি হলো লাউ এবং ঝিঙ্গে। (পৃষ্ঠা ৩০-এর তালিকা থেকে)

(গ) শীতকালের দুপ্রকার সবজির নাম লেখো।
উত্তর: শীতকালের দুপ্রকার সবজি হলো লাইপাতা এবং মূলা। (পৃষ্ঠা ৩০-এর তালিকা থেকে)

(ঘ) দুপ্রকার ডাল জাতীয় শস্যের নাম লেখো।
উত্তর: দুপ্রকার ডাল জাতীয় শস্য হলো মাষকলাই এবং মুগ।

(ঙ) দুপ্রকার তেলজাতীয় শস্যের নাম লেখো।
উত্তর: দুপ্রকার তেলজাতীয় শস্য হলো তিল এবং সরিষা।

(চ) দুপ্রকার ধানজাতীয় শস্যের নাম লেখো।
উত্তর: দুপ্রকার ধানজাতীয় শস্য হলো আউস এবং শালি।

(ছ) দুপ্রকার মশলাজাতীয় শস্যের নাম লেখো।
উত্তর: দুপ্রকার মশলাজাতীয় শস্য হলো আদা এবং রসুন।

(জ) কৃষিকার্যে ব্যবহৃত দুটি সরঞ্জাম বা যন্ত্রের নাম লেখো।
উত্তর: কৃষিকার্যে ব্যবহৃত দুটি সরঞ্জাম হলো লাঙল এবং কাস্তে (বা ট্র্যাকটর ও কোদাল)।


২। শুদ্ধ না অশুদ্ধ লেখো-

(ক) কৃষিকার্য বা চাষ করতে হলে প্রথমে জমিকে ভালো করে চষতে হয়। উত্তর: শুদ্ধ

(খ) গম অসমের প্রধান শস্য। উত্তর: অশুদ্ধ (ধান অসমের প্রধান শস্য)

(গ) সরিষা একপ্রকার ডালজাতীয় শস্য। উত্তর: অশুদ্ধ (সরিষা তেলজাতীয় শস্য)

(ঘ) আজকাল জমি চাষ করার জন্য ট্র্যাকটর ব্যবহার করা হয়। উত্তর: শুদ্ধ

(ঙ) কৃষিকার্য করে বহুলোক জীবিকা নির্বাহ করে। উত্তর: শুদ্ধ


৩। ধান চাষের জন্য কি কি করতে হয়?

উত্তর: ধান চাষের জন্য প্রথমে লাঙল বা ট্র্যাকটর দিয়ে জমিকে ভালোভাবে চষতে হয়। তারপর জমিতে মই দিয়ে সমান করা হয়। জমিতে প্রয়োজনমতো সার (গোবর, পচনসার বা কৃত্রিম সার) প্রয়োগ করা হয়। এরপর জমিতে পরিমাণমতো জল দিয়ে চারা রোপণ করা হয়। ধানগাছকে কীট-পতঙ্গ থেকে রক্ষা করতে কীটনাশক দেওয়া হয়। ধান পেকে গেলে তা কেটে মাড়াই করে শস্য সংগ্রহ করা হয়। (পৃষ্ঠা ৩২-এর ছবি অনুযায়ী)


৪। কি কি উপায়ে শস্যখেতে জল সরবরাহ করা হয়?

উত্তর: শস্যখেতে বিভিন্ন উপায়ে জল সরবরাহ করা হয়:

প্রাকৃতিকভাবে বৃষ্টির জলের ওপর নির্ভর করে।

কৃত্রিমভাবে জল সরবরাহ করা হয়, যেমন— বিদ্যুৎ বা ডিজেল চালিত পাম্পের সাহায্যে নদী, পুকুর বা নলকূপ থেকে জল খেতে দেওয়া হয়।

‘জল ছেটানো’ (Sprinkler) প্রণালিতেও জলসিঞ্চন করা হয়।



৫। শীতল ভান্ডার কী? শীতল ভান্ডারে কি কি খাদ্যবস্তু রাখা হয় এবং কেনো রাখা হয়?

উত্তর: শীতল ভান্ডার হলো এমন একটি গোলা বা ভাণ্ডার, যেখানে একটি নির্দিষ্ট উষ্ণতায় বা ঠাণ্ডায় খাদ্য সামগ্রী শীতল করে রাখা যায়।
তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায় এমন খাদ্য সামগ্রী, যেমন— শাক-সবজি, ফল-মূল ইত্যাদি শীতল ভান্ডারে রাখা হয়।
এইসব খাদ্যবস্তু যাতে নষ্ট না হয়ে অনেকদিন ধরে ভালো থাকে, সেজন্য শীতল ভান্ডারে রাখা হয়।


৬। পার্থক্য লেখো- ডালজাতীয় শস্য এবং মশলাজাতীয় শস্য।

উত্তর:

ডালজাতীয় শস্য: এই শস্যগুলো আমরা প্রধানত ডাল হিসাবে বা প্রোটিনের উৎস হিসাবে খাই। যেমন— মাষকলাই, মুগ, অড়হর, মসুর ইত্যাদি।

মশলাজাতীয় শস্য: এই শস্যগুলো রান্নার স্বাদ ও গন্ধ বাড়ানোর জন্য অল্প পরিমাণে ব্যবহার করা হয়। যেমন— আদা, রসুন, গোলমরিচ, জিরা, ধনিয়া ইত্যাদি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *