পাঠ্যবইয়ের ভিতরের এবং অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তর
পাঠ-৯: মানব সম্পদ উন্নয়ন, মানব সম্পদ উন্নয়নের নির্দেশক এবং মানব সম্পদ উন্নয়নে বৃত্তিমূলক শিক্ষার ভূমিকা
১। সংক্ষেপে উত্তর দাও-
(ক) মানব সম্পদ কাকে বলে?
উত্তর: সুস্বাস্থ্যের অধিকারী কোনো ব্যক্তি যখন শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণে কৌশলী এবং দক্ষতাসম্পন্ন হয়ে উৎপাদনমূলক কাজে নিজেকে জড়িত করে, তখনই তাকে মানব সম্পদ বলা হয়।
(খ) কে দেশের উৎপাদন কার্যে অংশগ্রহণ করতে পারে?
উত্তর: উৎপাদন প্রক্রিয়ার এক অন্যতম কারণ হল শ্রম, যেখানে একমাত্র মানুষই অংশগ্রহণ করতে পারে। তবে সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হতে হলে মানুষকে শারীরিক এবং মানসিক শ্রম করতে সক্ষম হতে হবে।
(গ) মানব সম্পদ উন্নয়নের নির্দেশক মানে কী?
উত্তর: যে সকল দিক লক্ষ করলে একটি দেশের মানব সম্পদ উন্নয়নের আভাস পাওয়া যায়, সেগুলো দিককে মানব সম্পদ উন্নয়নের নির্দেশক বলা হয়।
(ঘ) বৃত্তিমূলক শিক্ষা কাকে বলে?
উত্তর: আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াও যে শিক্ষার দ্বারা উপার্জনের পথ উন্মুক্ত হয় তাকে বৃত্তিমূলক শিক্ষা বলে।
(ঙ) মানব সম্পদের মূল চালিকা শক্তি কী?
উত্তর: মানব সম্পদের মূল চালিকা শক্তি হচ্ছে স্বাস্থ্য, উপযুক্ত শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ।
২। বিশদভাবে আলোচনা করো-
(ক) মানব সম্পদ উন্নয়নের জন্য গৃহীত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাবলী।
উত্তর: মানব সম্পদ উন্নয়নের মূল চালিকা শক্তি হলো স্বাস্থ্য, উপযুক্ত শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ। এই দিকগুলোর উন্নতি ঘটাতে সরকার নিম্নলিখিত ব্যবস্থাসমূহ গ্রহণ করে:
* আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা: সরকারের প্রবর্তিত আধুনিক এবং বিজ্ঞানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থা, বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রদানের ব্যবস্থা, এবং প্রশিক্ষণের সুবিধা দেওয়া।
* স্বাস্থ্য নীতি ও পরিকাঠামো: উন্নত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা যেমন স্বাস্থ্য নীতি এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রকল্প (যেমন টীকাকরণ) প্রবর্তন করা, যা মানুষের কর্মশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
* অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা: বৃত্তির ব্যবস্থা এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার ফলে দেশের মানব সম্পদ উন্নয়নের দিকটি সবল হয়।
* উপযুক্ত পরিকল্পনা: সমাজের সব শ্রেণির লোকের জন্য শিক্ষা, সুস্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান ইত্যাদির ব্যবস্থা যথাযথভাবে নিশ্চিত করার জন্য সরকারের উপযুক্ত পরিকল্পনা থাকা দরকার।
(খ) মানব সম্পদ উন্নয়নের নির্দেশকসমূহ।
উত্তর: একটি দেশের মানব সম্পদ কতখানি উন্নত বা গুণগত তা জানবার জন্য ব্যবহৃত কয়েকটি উল্লেখযোগ্য নির্দেশক হলো:
* শিক্ষার হার: উন্নত শিক্ষা মানব সম্পদ উন্নয়নের প্রাথমিক সোপান। শিক্ষার উচ্চ হার উন্নত মানব সম্পদকেই বোঝায়।
* জীবনের প্রত্যাশা: একটি শিশুর জন্মের পর থেকে কত বছর বয়স পর্যন্ত সুস্থ, সবলভাবে বেঁচে থাকবে তাকে জীবনের প্রত্যাশা নির্ণয় করে। এই প্রত্যাশা যত বেশি হবে, মানুষের সম্পদে রূপান্তরিত হওয়াও ততোই বেশি হবে।
* জন্মকালীন শিশু মৃত্যুর হার: জন্মকালীন শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস পাওয়াটা সেই দেশটির মানব সম্পদ উন্নয়নের একটি প্রধান নির্দেশক।
* মাথাপিছু আয়: একটি দেশের মোট রাষ্ট্রীয় আয়কে দেশের মোট জনসংখ্যা দিয়ে ভাগ করলে যে আয় উপলব্ধ হয় তাকেই মাথাপিছু আয় বলা হয়। মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পাওয়াটা উন্নত মানব সম্পদকেই বোঝায়।
* বিদ্যালয়ে ভর্তি এবং বিদ্যালয় ত্যাগের হার: প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চ শিক্ষার স্তর পর্যন্ত বিদ্যালয়-মহাবিদ্যালয়সমূহতে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তিকরণের উচ্চ হার এবং ত্যাগের নিম্ন হার মানব সম্পদ উন্নয়নের আরও একটি উল্লেখযোগ্য নির্দেশক।
* প্রতিষেধক টীকাকরণের হার: প্রতিষেধক টীকাকরণের হারও দেশটির মানব সম্পদ উন্নয়নের সাক্ষ্য বহন করে, কারণ টীকাকরণ শিশুর স্বাস্থ্য এবং দীর্ঘ জীবনের সুরক্ষা প্রদান করে।
(গ) মানব সম্পদ উন্নয়ন এবং বৃত্তিমূলক শিক্ষার মধ্যে সম্পর্ক।
উত্তর: মানব সম্পদ উন্নয়ন এবং বৃত্তিমূলক শিক্ষা একে অপরের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত:
* দক্ষতা বৃদ্ধি: বৃত্তিমূলক শিক্ষা মানুষের কারিগরি দক্ষতা, কুশলতা ইত্যাদির মতো গুণগুলো বিকাশের মাধ্যমে তাকে উৎপাদন কার্যে জড়িত হতে সাহায্য করে।
* আত্মনির্ভরশীলতা: বৃত্তিমূলক শিক্ষা মানুষকে উপার্জনক্ষম করে তোলে, স্ব-নির্ভরশীল করে স্ব-নিয়োজনে উৎসাহ যোগায়, এবং বেকার সমস্যা লাঘবে সাহায্য করে।
* উৎপাদনশীলতা: উচ্চ শিক্ষা লাভ করেও যদি ব্যক্তি উৎপাদন কার্যে জড়িত না হয় তবে সে মানব সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হয় না। বৃত্তিমূলক শিক্ষা এই শিক্ষিত বেকারদের উৎপাদনমুখী কাজে যুক্ত করে মানব সম্পদকে উন্নত করে তোলে।
* অর্থনৈতিক উন্নতি: আর্থিকভাবে আত্মনির্ভরশীল হয়ে উৎপাদনমুখী কাজ করলে, দেশের রাষ্ট্রীয় আয় বৃদ্ধি পায়, যা মানব সম্পদ উন্নয়নের পথ সুগম করে।
(ঘ) বৃত্তিমূলক শিক্ষা কীভাবে বেকার সমস্যা লাঘবে সাহায্য করে?
উত্তর: বৃত্তিমূলক শিক্ষা নিম্নলিখিতভাবে বেকার সমস্যা লাঘবে সাহায্য করে:
* স্ব-নিয়োজনের পথ উন্মুক্তকরণ: বৃত্তিমূলক শিক্ষা মানুষকে উপার্জনক্ষম করে তোলে এবং স্ব-নির্ভরশীল করে স্ব-নিয়োজনের পথ উন্মুক্ত করতে সাহায্য করে। যেমন, কাপড় সেলাই বা কম্পিউটার মেরামতের প্রশিক্ষণ নিয়ে মানুষ নিজের ব্যবসা শুরু করতে পারে।
* উৎপাদন কার্যে যোগদান: উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করেও যখন শিক্ষিত ব্যক্তি সরকারি চাকরি না পেয়ে বেকার হয়ে বসে থাকে, তখন বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ তাকে উৎপাদন কার্যে জড়িত হওয়ার দক্ষতা প্রদান করে।
* আত্মনির্ভরশীল মানসিকতা: এই শিক্ষা বেকারদের মধ্যে আর্থিক দিক থেকে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার মানসিকতা তৈরি করে এবং সরকারি চাকরির ওপর নির্ভরশীলতা হ্রাস করে।
৩। শুদ্ধ/অশুদ্ধ নির্ণয় করো-
(ক) প্রাকৃতিক সম্পদের বৃদ্ধি হলেই দেশের উৎপাদন বৃদ্ধি হয়।
উত্তর: অশুদ্ধ (প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক সম্পদ থাকলেই উৎপাদন বৃদ্ধি পায় না, যদি না উৎপাদনমূলক কার্য সংঘটিত না হয়)।
(খ) মানুষ মাত্রেই মানব সম্পদ নয়।
উত্তর: শুদ্ধ (সম্পদ হিসেবে পরিগণিত হতে হলে মানুষকে সু-স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের অধিকারী হতে হবে, কেবল জনসংখ্যার বৃদ্ধি মানব সম্পদের বৃদ্ধি বোঝায় না)।
(গ) জনসংখ্যা বৃদ্ধি মানব সম্পদের বৃদ্ধিকে বোঝায় না।
উত্তর: শুদ্ধ (জনসংখ্যার বৃদ্ধি বলতে জনসংখ্যার সংখ্যাগত পরিবর্তনকে বোঝায়, কিন্তু মানব সম্পদ মানে গুণগত উৎকর্ষ সাধন)।
(ঘ) উচ্চ জীবন প্রত্যাশা অনুন্নত মানব সম্পদকে বোঝায়।
উত্তর: অশুদ্ধ (উচ্চ জীবন প্রত্যাশা উন্নত মানব সম্পদকে নির্দেশ করে)।
(ঙ) রাষ্ট্রীয় আয় বৃদ্ধি একটি দেশকে স্বাবলম্বী হতে সাহায্য করে।
উত্তর: শুদ্ধ (রাষ্ট্রীয় আয় বৃদ্ধি একটি দেশকে স্বাবলম্বী করে তুলতে সাহায্য করে)।
(চ) জন্মকালীন শিশু মৃত্যুর হার মানব সম্পদ উন্নয়নে বাধার সৃষ্টি করে।
উত্তর: শুদ্ধ (জন্মকালীন শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস পাওয়া মানব সম্পদ উন্নয়নের নির্দেশক, তাই উচ্চ হার বাধার সৃষ্টি করে)।
৪। শূন্যস্থান পূর্ণ করো-
(ক) একটি দেশের উৎপাদন প্রক্রিয়ার এক অন্যতম কারণ হল শ্রম যেখানে কেবল মানুষই অংশগ্রহণ করতে পারে।
(খ) রাষ্ট্রীয় আয়ের বৃদ্ধিই একটি দেশে স্বাবলম্বী হওয়াতে সাহায্য করে।
(গ) উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের পরও সব শিক্ষিত ব্যক্তিকে সরকারি চাকরি যোগান দেওয়াটা সম্ভব নয়।
(ঘ) বৃত্তিমূলক শিক্ষা মানব সম্পদ উন্নয়নের সোপান।
(ঙ) বৃত্তিমূলক শিক্ষা মানুষকে কেবল উপার্জনক্ষম করে না তার সঙ্গে সঙ্গে দেশের বেকার সমস্যা লাঘব করে স্ব-নিয়োজনের পথ উন্মুক্ত করতে সাহায্য করে।
৫। সংক্ষিপ্ত টীকা লেখো-
(ক) মানব সম্পদ
উত্তর: মানব সম্পদ হলো দেশের সেইসব জনগণ যারা সুস্বাস্থ্য, উপযুক্ত শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণে কৌশলী ও দক্ষতাসম্পন্ন হয়ে উৎপাদনমূলক কাজে নিজেকে জড়িত করে। কেবল মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধিই মানব সম্পদ নয়। এই সম্পদকে শ্রেষ্ঠ সম্পদ বলা হয়, কারণ সব ধরনের সম্পদ আহরণ এবং ব্যবহারের মূলে এর বুদ্ধি বৃত্তি, কারিগরি কৌশল, কর্মদক্ষতা এবং শিক্ষা থাকে।
(খ) মানব সম্পদ উন্নয়ন
উত্তর: মানব সম্পদ উন্নয়ন হলো মানব সম্পদ হিসেবে মানুষের গুণগত উৎকর্ষ সাধন। এর মূল উদ্দেশ্য হলো দেশের মানুষের শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং প্রশিক্ষণের মতো মৌলিক ক্ষেত্রগুলোতে উন্নতি ঘটিয়ে তাদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা। মানব সম্পদের উন্নয়ন হলে দেশ উৎপাদন কার্যে সফলতা লাভ করে এবং রাষ্ট্রীয় আয় বৃদ্ধি হয়।
(গ) মানব সম্পদ উন্নয়নের নির্দেশক
উত্তর: যেসকল দিক পর্যবেক্ষণ করলে একটি দেশের মানব সম্পদের গুণগত মানের বা উন্নতির আভাস পাওয়া যায়, সেগুলোকে মানব সম্পদ উন্নয়নের নির্দেশক বলা হয়। কয়েকটি উল্লেখযোগ্য নির্দেশক হলো:
* শিক্ষার হার।
* জীবনের প্রত্যাশা।
* জন্মকালীন শিশু মৃত্যুর হার।
* মাথাপিছু আয়।
* বিদ্যালয়ে ভর্তি এবং বিদ্যালয় ত্যাগের হার।
* প্রতিষেধক টীকাকরণের হার।
(ঘ) বৃত্তিমূলক শিক্ষা
উত্তর: বৃত্তিমূলক শিক্ষা হলো আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াও যে শিক্ষার মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি উপার্জনের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা এবং কারিগরি কৌশল অর্জন করে। এই শিক্ষা মানুষকে স্ব-নির্ভরশীল করে তোলে এবং সরকারি চাকরির ওপর নির্ভরশীল না হয়ে স্ব-নিয়োজনের পথ উন্মুক্ত করতে সাহায্য করে। এটি বেকার সমস্যা লাঘবে এবং মানব সম্পদ উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
৬। প্রকল্প-
(ক) তোমার নিজের অঞ্চলে জীবিকা অর্জনে সক্ষম পাঁচজন বিভিন্ন বৃত্তিধারী লোকের সাক্ষাৎকার নিয়ে; তাঁদের জীবিকা অর্জনে বৃত্তিমূলক শিক্ষা কী ধরনের অবদান যুগিয়েছে, সে বিষয়ে একটি সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত করো।
উত্তর: এটি একটি ব্যবহারিক কাজ, যার জন্য আপনাকে আপনার এলাকার পাঁচজন পেশাদার ব্যক্তির সাক্ষাৎকার নিতে হবে। নিচে একটি নমুনা কাঠামো দেওয়া হলো:
প্রতিবেদনের শিরোনাম: জীবিকা অর্জনে বৃত্তিমূলক শিক্ষার অবদান
ভূমিকা: আমার অঞ্চলে জীবিকা অর্জনে সক্ষম পাঁচজন বিভিন্ন বৃত্তিধারী লোকের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের জীবিকা এবং তাতে বৃত্তিমূলক শিক্ষার ভূমিকা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
সাক্ষাৎকার থেকে প্রাপ্ত তথ্য:
| ক্রমিক সংখ্যা | ব্যক্তির বৃত্তি (পেশা) | বৃত্তিমূলক শিক্ষার ধরন (যদি থাকে) | জীবিকা অর্জনে অবদান |
| :—: | :—: | :—: | :—: |
| ১ | দর্জি (Tailor) | সেলাই প্রশিক্ষণ / দর্জির কাজ | দর্জির কাজ শিখে স্ব-নির্ভরশীল হয়েছেন, নিজের দোকান পরিচালনা করে উপার্জন করেন। |
| ২ | ইলেকট্রিশিয়ান (Electrician) | পলিটেকনিক বা ITI থেকে বৈদ্যুতিক কাজ শেখা | বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি এবং তারের কাজ জানা থাকায় সহজে কাজ পান, যা তাঁর উপার্জনের পথ খুলে দিয়েছে। |
| ৩ | বিউটিশিয়ান (Beautician) | বিউটিশিয়ানের প্রশিক্ষণ (৬ মাসের কোর্স) | প্রশিক্ষণ নিয়ে গ্রামে নিজের বিউটি পার্লার খুলেছেন এবং ভালো উপার্জন করেন। |
| ৪ | মোটর মেকানিক (Motor Mechanic) | গাড়ির যন্ত্রপাতির মেরামত প্রশিক্ষণ | গাড়ির মেকানিক হিসেবে কাজ করে চাহিদা অনুযায়ী উপার্জন করেন। |
| ৫ | কৃষি কাজ (উন্নত পদ্ধতি) | কৃষি বা Power Tiller চালানোর প্রশিক্ষণ | আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহার ও উন্নত চাষের পদ্ধতি শিখেছেন, যা উৎপাদন ও আয় বৃদ্ধি করেছে। |
উপসংহার: এই সাক্ষাৎকারগুলি থেকে স্পষ্ট হয় যে, প্রচলিত উচ্চশিক্ষা ছাড়াও বৃত্তিমূলক শিক্ষা মানুষকে আত্মনির্ভরশীল এবং উপার্জনক্ষম করে তোলে। যেমনটি দ্বিতীয় পরিবারের ছেলে-মেয়েরা করেছিল। এই শিক্ষা বেকার সমস্যা লাঘব করতে এবং দেশের মানব সম্পদ উন্নয়নে এক সবল ভূমিকা গ্রহণ করে।
