মন্ত্রের সাধন, Chapter – 7, Class – 8, SEBA, New Syllabus



পাঠ–৭ : মন্ত্রের সাধন

(প্রশ্ন ও উত্তর)




ক – পাঠভিত্তিক

১। উত্তর দাও।

(ক) সোয়ার্জ কোন দেশের অধিবাসী ছিলেন?
Ans– সোয়ার্জ ছিলেন জার্মান দেশের অধিবাসী।

(খ) সোয়ার্জ কোন ধাতু দিয়ে বেলুন তৈরি করেছিলেন?
Ans– সোয়ার্জ অ্যালুমিনিয়াম ধাতু দিয়ে বেলুন তৈরি করেছিলেন।

(গ) কে প্রথম পাখার সাহায্যে আকাশে উড়তে চেষ্টা করেছিলেন? তিনি কোন দেশের অধিবাসী ছিলেন?
Ans– প্রথম পাখার সাহায্যে আকাশে উড়তে চেষ্টা করেছিলেন লিলিয়েনথাল। তিনি জার্মান দেশের অধিবাসী ছিলেন।

(ঘ) ল্যাঙলি কে ছিলেন?
Ans– ল্যাঙলি ছিলেন মার্কিন দেশের একজন অধ্যাপক। তিনি পাখা–সংযুক্ত উড়বার কল প্রস্তুত করেছিলেন।

(ঙ) উইলবার রাইট কোন দেশের অধিবাসী ছিলেন?
Ans– উইলবার রাইট ছিলেন মার্কিন দেশের (ল্যাঙলির) স্বদেশী।




৩। প্রসঙ্গের সঙ্গে সংগতি রেখে ব্যাখ্যা করো।

যাঁহারা ভীরু তাঁহারাই বহু ব্যর্থ সাধনা ও মৃত্যুভয়ে পরাঙ্গুখ হইয়া থাকেন। বীর পুরুষেরাই নির্ভীক চিত্তে মৃত্যুভয়ের অতীত হইতে সমর্থ হন।
Ans– আলোচ্য অংশে লেখক বিজ্ঞানী ও আবিষ্কারকদের চারিত্রিক দৃঢ়তা ও মানসিকতা তুলে ধরেছেন। যারা ভীরু (কাপুরুষ) তারা বার বার ব্যর্থতার কারণে এবং মৃত্যুভয়ে গবেষণা বা কঠিন কাজ থেকে বিমুখ হয়। কিন্তু বীর পুরুষেরা মৃত্যুকে ভয় করেন না। তাঁরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, নির্ভীক মনে সমস্ত ব্যর্থতাকে অতিক্রম করে তাঁদের সাধনার পথে এগিয়ে যেতে সমর্থ হন। সোয়ার্জ, লিলিয়েনথাল বা রাইট ভ্রাতৃগণের মতো বিজ্ঞানীরা এই নির্ভীক চারিত্রিক দৃঢ়তার জন্যই সফল হয়েছিলেন।




৪। শূন্যস্থান পূর্ণ করো।

(ক) বেলুন যে ধাতু নির্মিত হইতে পারে, ইহা কেহ বিশ্বাস করিল না।
(খ) যেসব কল অনাবশ্যক বলিয়া কাটিয়া ফেলা হইল তাহা আবিষ্কার করিতে অনেক বৎসর লাগিয়াছিল।
(গ) জার্মান দেশে লিলিয়েনথাল মনে করিলেন, আমরা কেন পাখির মতো আকাশ ভ্রমণ করিতে পারিব না।




৫। উত্তর বলো ও লেখো।

(ক) ল্যাঙলি ‘ভগ্নহৃদয়ে মৃত্যুগ্রস্ত’ হয়েছিলেন কেন?
Ans– অধ্যাপক ল্যাঙলি পাখা–সংযুক্ত উড়িবার কল তৈরি করেছিলেন। পরীক্ষার সময় কর্মকারের শৈথিল্যবশতঃ একটি স্ক্রু ঢিলা ছিল। কলটি আকাশে উঠলেও, ঢিলা স্ক্রুটি খুলে যাওয়ায় কলটি নদীগর্ভে পতিত হয়। এই বিফলতার দুঃখে ল্যাঙলি ভগ্নহৃদয়ে মৃত্যুগ্রস্ত হয়েছিলেন।

(খ) লিলিয়েনথাল পাখির মতো ‘উড়িবার ইচ্ছা’ কীভাবে কার্যকরী করেছিলেন? তার পরিণতি কী হয়েছিল?
Ans– লিলিয়েনথাল নানা প্রকার পাখা প্রস্তুত করেছিলেন এবং সেগুলি বাহুতে বাঁধিয়া পাহাড় থেকে ঝাঁপ দিয়ে পাখার সাহায্যে নিচে নামতে শুরু করেন। তিনি বুঝতে পারেন, দুইখানার বদলে অধিক সংখ্যক পাখা ব্যবহার করলে উড়তে বেশি সুবিধা হতে পারে। তিনি ত্রিশ বছর ধরে অতি সাবধানে পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। জীবনের অধিকাংশ সময় কেটে যাওয়ায়, তিনি কার্য শেষ করতে তাড়াহুড়ো করলেন। তাড়াহুড়োতে প্রস্তুত করা তাঁর অসম্পূর্ণ কলটি পূর্বের মতো দৃঢ় ছিল না। সেই অসম্পূর্ণ কল নিয়েই উড়তে চেষ্টা করার সময় হঠাৎ বাতাসের ঝাপ্টা এসে উপরের একটি পাখা ভেঙে দেওয়ায় তিনি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন।

(গ) সোয়ার্জ রেশমের তৈরি বেলুন পছন্দ করেননি কেন?
Ans– সোয়ার্জ রেশমের তৈরি বেলুন পছন্দ করেননি, কারণ রেশমের তৈরি বেলুন বা ব্যোমযানে শূন্যে ওঠা গেলেও, তার কয়েকটি অসুবিধা ছিল –
১. বাতাসের প্রতিকূলে চলতে পারে না।
২. অল্প সময়ের মধ্যেই গ্যাস বাহির হয়ে যায়, ফলে বেলুন অধিকক্ষণ শূন্যে থাকতে পারে না।
– এই অসুবিধা দূর করার জন্য সোয়ার্জ অ্যালুমিনিয়াম ধাতুর বেলুন প্রস্তুত করেন, যা কাগজের মতো হালকা হলেও ভেদ করে গ্যাস বের হতে পারে না।




খ – ভাষা–অধ্যয়ন

৬। এবার শব্দ বা ধাতুর সঙ্গে প্রত্যয় যোগ করে শূন্যস্থান পূর্ণ করো।
– শিখা + ইল = শিখাইল
– বল্ + অন = সাধন
– ধরি + আ = ধরিয়া
– পা + ইব = পাইব
– কাট্ + ইয়া = কাটিয়া
– কর্ + ইল = করিল




৭। ‘অক’, ‘ইয়া’, ‘ইব’, ‘আই’ প্রত্যয় যোগ করে নতুন শব্দ গঠন করো।
– অক্ + শাস্ = শাসক
– অক্ + দেখ্ = দেখক
– ইয়া + চল্ = চলিয়া
– ইয়া + কর্ = করিয়া
– ইব + বল্ = বলিব
– ইব + চল্ = চলিব
– আই + হাস্ = হাসাই
– আই + চল্ = চালাই




৮। নীচের শব্দগুলো প্রত্যয় ভেঙে দেখাও।
– ঢিলা = ঢিল্ + আ
– ঝাপটা = ঝাঁপ্ + টা
– নির্মিত = নির্মা + ইত
– যাইতে = যা + ইতে
– নির্ভীক = নির + ভী + ক
– কর্মকার = কর্ম + কার
– বাঁধিয়া = বাঁধ্ + ইয়া




৯। অতীত কালের কয়েকটি উদাহরণ দাও।

সাধারণ বা নিত্য অতীত কাল
– আমি বইটি পড়লাম।
– তিনি রোজ সেখানে যেতেন।

ঘটমান অতীত কাল
– বৃষ্টি পড়ছিল।
– আমি তখন মাঠে খেলছিলাম।

পুরাঘটিত অতীত কাল
– আমি খাবার খেয়েছিলাম।
– তারা বাড়ি পৌঁছেছিল।

নিত্যবৃত্ত বা পুরানিত্যবৃত্ত অতীত কাল
– আমি রোজ সকালে হাঁটতে বেরোতাম।
– আমার বাবা গল্প বলতেন।




১০। বাক্য পড়ে বুঝে অতীত কালের চারটি রূপ উল্লেখ করো।
– গল্পটি পড়লাম – সাধারণ অতীত কাল
– আমরা সকলে নদীর ধারে বেড়াতাম – নিত্যবৃত্ত অতীত কাল
– বঙ্কিমচন্দ্র আনন্দমঠ রচনা করেছিলেন – পুরাঘটিত অতীত কাল
– প্রিয়াংকা নাচছিল – ঘটমান অতীত কাল
– শান্ত স্কুলে গেল – সাধারণ অতীত কাল
– রাজকন্যা চুল বাঁধছিলেন – ঘটমান অতীত কাল
– সেবার বন্যায় সমস্ত দেশ দৈনন্দিন হবে গিয়েছিল – পুরাঘটিত অতীত কাল
– দিদিমা প্রত্যেকদিন গঙ্গাস্নান করতেন – নিত্যবৃত্ত অতীত কাল




গ – জ্ঞান–সম্প্রসারণ

১৪। নীচের বাক্যগুলো পড়ো এবং বুঝে বলো তুমি কী করবে।

(ক) ঘর থেকে বেরোবার সময় কেউ হাঁচি দিলে।
– হাঁচি একটি স্বাভাবিক জৈবিক প্রক্রিয়া। এটিকে কু–সংস্কার বলে মানি না। তাই আমি স্বাভাবিকভাবে আমার কাজ চালিয়ে যাব।

(খ) একটি বেড়াল তোমার রাস্তা কাটলে।
– বেড়াল রাস্তা কাটা কোনো অমঙ্গলের লক্ষণ নয়। এটিও একটি কু–সংস্কার। আমি আমার গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাব।

(গ) ঘর থেকে বেরোবার সময় কেউ পেছন থেকে ডাকলে।
– পেছনে ডাকার সঙ্গে কাজের সফলতার কোনো সম্পর্ক নেই। যদি গুরুত্বপূর্ণ কেউ ডাকে, তবে ফিরে দেখব, অন্যথায় কাজ বন্ধ না করে এগিয়ে যাব।




ঘ – প্রকল্প

১৬। পাঁচজন বিজ্ঞানী, তাঁদের আবিষ্কৃত সামগ্রী এবং আবিষ্কারের সাল লিখো।

– আলেকজান্ডার ফ্লেমিং – পেনিসিলিন – ১৯২৮
– টমাস আলভা এডিসন – বৈদ্যুতিক বাতি – ১৮৭৯
– গ্যালিলিও গ্যালিলি – উন্নত দূরবীন – ১৬০৯
– চার্লস ব্যাবেজ – অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিন (কম্পিউটারের আদি রূপ) – ১৮৩৪
– স্যার আইজ্যাক নিউটন – গতিসূত্র ও মহাকর্ষ সূত্র – ১৬৮৭




চাইলে আমি এর পরের অংশে (শব্দার্থ, কবিতার ভাব, অথবা লেখকের সংক্ষিপ্ত পরিচয়) সংযোজন করেও সম্পূর্ণ পাঠ–নির্ভর সংকলন প্রস্তুত করে দিতে পারি — আপনি কি সেটি চান?

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *