ভারতের মানচিত্র
পৃষ্ঠা ৭৯ (ভারতের মানচিত্র)
ক্রিয়াকলাপ: মানচিত্র পর্যবেক্ষণ
(১) অসম ভারতের কোন অংশে অবস্থিত?
উত্তর: অসম ভারতবর্ষের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে অবস্থিত।
পৃষ্ঠা ৮১ (মানচিত্র অধ্যয়ন)
ক্রিয়াকলাপ: এসো, আগের পৃষ্ঠার মানচিত্র অধ্যয়ন করে লিখি-
১. অসম সীমান্তে অবস্থিত কয়েকটি বিদেশি রাষ্ট্রের নাম লেখো।
উত্তর: অসম সীমান্তে অবস্থিত দুটি বিদেশি রাষ্ট্র হলো ভূটান এবং বাংলাদেশ।
২. এই বিদেশি রাষ্ট্রগুলো অসমের কোন কোন দিকে অবস্থিত?
উত্তর: ভূটান অসমের উত্তরে অবস্থিত। বাংলাদেশ অসমের দক্ষিণ ও পশ্চিমে অবস্থিত।
পৃষ্ঠা ৮৪ (মানচিত্র অধ্যয়ন ও নদী)
ক্রিয়াকলাপ: এসো, আগের পৃষ্ঠার মানচিত্রটি লক্ষ করে লিখি-
(ক) ব্রহ্মপুত্র নদীর উপনদীসমূহের নাম।
উত্তর: (পৃষ্ঠা ৮৩-এর মানচিত্র অনুযায়ী) ব্রহ্মপুত্র নদীর কয়েকটি উপনদী হলো— সোনকোষ, মানস, সোৱণশিড়ি (সুবর্ণসিরি), জিয়াতরলি, দিবাং, লোহিত, বুড়িদিহিং, দিহিং, ধনশিড়ি এবং কপিলি।
(খ) বরাক নদীর কয়েকটি উপনদীর নাম।
উত্তর: (পৃষ্ঠা ৮৩-এর মানচিত্র অনুযায়ী) বরাক নদীর কয়েকটি উপনদী হলো— ধলেশ্বরী, লঙ্গাই এবং সোনাই।
ক্রিয়াকলাপ: দলগতভাবে আলোচনা করে লেখো-
(নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলোর উত্তর আপনার হাইলাকান্দি জেলার অবস্থানের ভিত্তিতে দেওয়া হলো।)
তুমি যে জেলায় বাস করো সেই জেলাটি কোন প্রাকৃতিক বিভাগের অন্তর্গত?
উত্তর: হাইলাকান্দি জেলা বরাক উপত্যকা প্রাকৃতিক বিভাগের অন্তর্গত।
তোমার জেলার নদী-উপনদী, পাহাড়-পর্বত, উচ্চভূমি (যদি থাকে) তবে সেসবের নামের একটি তালিকা প্রস্তুত করো।
উত্তর:
জেলাটির নাম: হাইলাকান্দি
ভূ-প্রাকৃতিক বিভাগটির নাম: বরাক উপত্যকা
নদী-উপনদীর নাম: বরাক, ধলেশ্বরী, কাটাখাল (মানচিত্রে ধলেশ্বরী ও বরাক দেখানো হয়েছে)
পাহাড়-পর্বতের নাম: (জেলার দক্ষিণে বড়াইল পর্বতের অংশবিশেষ রয়েছে।)
ক্রিয়াকলাপ: এসো, মানচিত্র অধ্যয়ন করে লিখি-
ব্রহ্মপুত্র নদীর উত্তর এবং দক্ষিণ পারের উপনদীসমূহের নামগুলোর একটি তালিকা প্রস্তুত করো।
* উত্তর: (পৃষ্ঠা ৮৩-এর মানচিত্র অনুযায়ী)
| ব্রহ্মপুত্র নদীর উত্তর পারের উপনদীসমূহ | ব্রহ্মপুত্র নদীর দক্ষিণ পারের উপনদীসমূহ |
| সোনকোষ | বুড়িদিহিং |
| মানস | দিহিং |
| সোৱণশিড়ি | ধনশিড়ি |
| জিয়াতরলি | কপিলি |
| দিবাং | |
| লোহিত | |
পৃষ্ঠা ৮৫ (বরাক নদী ও মাছ)
ক্রিয়াকলাপ: তালিকা প্রস্তুত
* ঠিক সেইভাবে বরাক নদীরও উত্তর ও দক্ষিণ পারের উপনদীসমূহের নামগুলোর একটি তালিকা প্রস্তুত করো।
* উত্তর: (পৃষ্ঠা ৮৩-এর মানচিত্র অনুযায়ী)
| বরাক নদীর উত্তর পারের উপনদীসমূহ | বরাক নদীর দক্ষিণ পারের উপনদীসমূহ |
| ধলেশ্বরী || | লঙ্গাই |
| | সোনাই |
ক্রিয়াকলাপ: মাছের তালিকা
* অসমে পাওয়া যায় এমন (স্থানীয়) মাছের তালিকা –
* উত্তর: (এটি শিক্ষার্থীদের পূরণ করার জন্য। নিচে কিছু সাধারণ উদাহরণ দেওয়া হলো।)
| আঁশযুক্ত মাছ | আঁশহীন মাছ |
|—|—|
| রুই | আড়ি |
| কাতলা | বোয়াল |
| চিতল | মাগুর |
| পুঠি | শিঙি |
পৃষ্ঠা ৮৬
ক্রিয়াকলাপ: এসো, দলগতভাবে আলোচনা করে লিখি-
* (নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলোর উত্তর আপনার হাইলাকান্দি জেলার অবস্থানের ভিত্তিতে দেওয়া হলো।)
* ভূ-প্রাকৃতিক পরিবেশ: প্রধানত সমতল ভূমি (বরাক উপত্যকা)।
* বাসিন্দাদের জীবিকা: প্রধানত কৃষিকার্য।
* অঞ্চলটির কৃষিকাজ: ধান, চা এবং অন্যান্য সবজি।
* যাতায়াত ব্যবস্থা: সড়কপথ এবং রেলপথ।
* ঘর-বাড়ি: সমতল ভূমির সাধারণ ঘর-বাড়ি, তবে নদী-পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে বন্যার জন্য মাচাঘর বা চাংঘরও দেখা যায়।
* যোগাযোগ ব্যবস্থা: (শিক্ষার্থীদের নিজস্ব পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, যেমন – মোবাইল, ইন্টারনেট ইত্যাদি।)
পৃষ্ঠা ৮৯ (মানচিত্র ভিত্তিক কাজ)
ক্রিয়াকলাপ: পাঠে দেওয়া অসমের মানচিত্রগুলো দেখে নীচের কাজগুলো করো-
(১) জেলাগুলোকে শনাক্ত করে তাদের নামগুলোর সঙ্গে সদর স্থানের নাম উল্লেখ করে নীচের তালিকাটি প্রস্তুত করো-
* উত্তর: (পৃষ্ঠা ৮৮-এর মানচিত্র অনুযায়ী)
* ধুবড়ি – ধুবড়ি
* দক্ষিণ শালমারা – হাটিঙিমারি
* কোকরাঝাড় – কোকরাঝাড়
* চিরাং – কাজলগাঁও
* গোয়ালপাড়া – গোয়ালপাড়া
* বড়াইগাঁও – বড়াইগাঁও
* বাক্সা – মছলপুর
* বরপেটা – বরপেটা
* নলবাড়ি – নলবাড়ি
* কামরূপ – আমিনগাঁও
* কামরূপ (মহানগর) – গুয়াহাটি
* ওদালগুড়ি – ওদালগুড়ি
* দরং (মঙলদৈ) – মঙলদৈ
* শোণিতপুর – তেজপুর
* বিশ্বনাথ – বিশ্বনাথ চারিআলি
* নগাঁও – নগাঁও
* মরিগাঁও – মরিগাঁও
* হাজাই – হাজাই
* পশ্চিম কার্বি আংলং – হামরেন
* কার্বি আংলং – ডিফু
* গোলাঘাট – গোলাঘাট
* যোরহাট – যোরহাট
* মাজুলি – গড়মূর
* শিবসাগর – শিবসাগর
* লখিমপুর – উত্তর লখিমপুর
* ধেমাজি – ধেমাজি
* ডিব্ৰুগড় – ডিব্ৰুগড়
* তিনসুকিয়া – তিনসুকিয়া
* কাছাড় – শিলচর
* করিমগঞ্জ – করিমগঞ্জ
* হাইলাকান্দি – হাইলাকান্দি
* ডিমা হাসাও – হাফলং
(২) অসমের যে জায়গাগুলো তুমি ভ্রমণ করেছো সেই জায়গাগুলোর নামের একটি তালিকা প্রস্তুত করো।
উত্তর: (এটি শিক্ষার্থীদের নিজস্ব অভিজ্ঞতার উপর নির্ভরশীল।)
(৩) অসমে সর্বমোট কয়টি জেলা আছে হিসাব করে লেখো।
উত্তর: পাঠ্যপুস্তকের মানচিত্র অনুযায়ী অসমে সর্বমোট ৩২টি জেলা আছে।
(৪) সদর স্থানের সঙ্গে নিজের জেলাটি খুঁজে বের করো।
উত্তর: (আপনার অবস্থানের ভিত্তিতে) জেলা: হাইলাকান্দি, সদর স্থান: হাইলাকান্দি।
(৫) অসমের রাজধানীর নামটি সাংকেতিক চিহ্নের সাহায্যে লেখো।
উত্তর: অসমের রাজধানী হলো দিশপুর। (পৃষ্ঠা ৮৮-এর মানচিত্রে ★ চিহ্নের সাহায্যে এটি দেখানো হয়েছে)।
(৬) অসমের চারসীমাতে অবস্থিত বিদেশী রাষ্ট্র এবং রাজ্যগুলোর নাম যথাস্থানে লেখো।
উত্তর: (পৃষ্ঠা ৮০ ও ৮৮-এর মানচিত্র অনুযায়ী)
উত্তরে: ভূটান এবং অরুণাচল প্রদেশ।
পূর্বে: অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড এবং মণিপুর।
দক্ষিণে: মিজোরাম, ত্রিপুরা, মেঘালয় এবং বাংলাদেশ।
পশ্চিমে: পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশ।
(৭) অসমের মানচিত্রটি দেখে তোমার জেলাটির চারসীমা লেখো।
উত্তর: (হাইলাকান্দি জেলার চারসীমা, পৃষ্ঠা ৮৮-এর মানচিত্র অনুযায়ী)
* উত্তরে: কাছাড়
* দক্ষিণে: মিজোরাম
* পূর্বে: কাছাড় ও মিজোরাম
* পশ্চিমে: করিমগঞ্জ ও বাংলাদেশ
(৮) অসমের মানচিত্রটি অধ্যয়ন করো… নিজের জেলাটির কিছুসংখ্যক তথ্য সংগ্রহ করে নীচের তালিকাটি পূরণ করো।
* উত্তর: (হাইলাকান্দি জেলার তথ্যের ভিত্তিতে)
* সদর স্থান: হাইলাকান্দি
* মহকুমা: (মানচিত্রে নেই)
* প্রধান জায়গাসমূহ: (মানচিত্রে নেই)
* নদী-উপনদী: বরাক, ধলেশ্বরী
* প্রধান শস্য: ধান (যেহেতু এটি একটি সমভূমি বা উপত্যকা অঞ্চল)
* যাতায়াত ব্যবস্থা: রেলপথ (পাঠ্যের তথ্য অনুযায়ী), সড়কপথ।
পৃষ্ঠা ৯০ (অনুশীলনী – পাঠ ১০)
১। পাঠ্যপুস্তকে সন্নিবিষ্ট অসমের মানচিত্রে তোমার নিজের জেলাটি শনাক্ত করে চারসীমা লেখো।
* উত্তর: (আপনার জেলা হাইলাকান্দির চারসীমা, পৃষ্ঠা ৮৮-এর মানচিত্র অনুযায়ী)
* উত্তরে: কাছাড়
* দক্ষিণে: মিজোরাম
* পূর্বে: কাছাড় ও মিজোরাম
* পশ্চিমে: করিমগঞ্জ ও বাংলাদেশ
২। একটি মানচিত্রের সাহায্যে আমরা কি কি জানতে পারি তা লেখো।
উত্তর: মানচিত্রের সাহায্যে আমরা যেকোনো একটি স্থানের বিভিন্ন তথ্য পেতে পারি। একটি মানচিত্র কোনো স্থান, দেশ বা রাজ্যের সীমার সঙ্গে সাগর-মহাসাগর, নদী-উপনদী, শহর-নগর, রাস্তা-ঘাট ইত্যাদি একটি সমতল পৃষ্ঠায় দেখায়। মানচিত্রে ব্যবহৃত সাংকেতিক চিহ্নের সাহায্যে আমরা পাহাড়-পর্বত, নদী, পথ, সীমা ইত্যাদিও শনাক্ত করতে পারি।
৩। অসমের প্রধান প্রাকৃতিক বিভাগ কয়টি এবং কী কী?
উত্তর: অসমকে প্রধানত তিনটি প্রাকৃতিক ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। বিভাগগুলো হচ্ছে-
* (ক) ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা
* (খ) কার্বি ও ডিমা হাসাও পাহাড়ি অঞ্চল
* (গ) বরাক উপত্যকা
৪। পার্থক্য লেখো-
নদী ও উপনদী: কোনো পাহাড়-পর্বতে উৎপন্ন হয়ে, নানা স্থানের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে সাগর বা হ্রদে পতিত জলরাশিকে নদী বলে। অন্যদিকে কোনো পাহাড়-পর্বতে উৎপন্ন হয়ে, নানা স্থানের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে কোনো নদীতে পতিত জলরাশিকে উপনদী বলে।
* পর্বত ও পাহাড়: বহু স্থান জুড়ে গাছপালায় ভরা উচ্চ শিলাময় অংশগুলোই পাহাড়। আবার পাহাড়ের চেয়ে উঁচু ও অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত শিলাময় অংশকে পর্বত বলা হয়। সাধারণত পর্বতের ঢাল পাহাড়ের থেকে বেশি খাড়া হয়।
* মালভূমি ও সমভূমি: বহু স্থান জুড়ে উচ্চ ও ওপরের অংশটি কিছুটা সমান, এমন ভূমিভাগকে মালভূমি বলা হয়। অন্যদিকে পাহাড়-পর্বত বিহীন বিস্তৃত সমতল স্থানকে সমভূমি বলে।
৫। শুদ্ধ উত্তরটিতে ✓ চিহ্ন দাও।
(ক) অসমকে প্রধানত দুটি/ তিনটি ✓ /চারটি প্রাকৃতিক বিভাগে ভাগ করা হয়।
(খ) অসমের চারসীমাতে দুটি ✓ /তিনটি/চারটি বিদেশী রাষ্ট্র আছে। (ভূটান ও বাংলাদেশ)
(গ) মানস/সোবণশিড়ি/ ধলেশ্বরী ✓ হল বরাক নদীর উপনদী।
৬। ‘ক’ অংশের সঙ্গে ‘খ’ অংশ মেলাও
উত্তর: (পৃষ্ঠা ৮৭-এর সাংকেতিক চিহ্ন অনুযায়ী)
* — (আন্তর্জাতিক সীমা symbol) → আন্তর্জাতিক সীমা
* 🚂 (রেলপথ symbol) → রেলপথ
* 🌊 (নদী symbol) → নদী
* ★ (রাজ্যের রাজধানী symbol) → রাজ্যের রাজধানী
