বসতি, ভূগোল Chapter – 3, Class – 3, SEBA

পাঠ-৩: বসতি সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর (পৃষ্ঠা ২২-২৯)

পৃষ্ঠা ২৩-এর প্রশ্ন
উত্তর লেখো

১. মানুষ কৃষিকে কেন্দ্র করে স্থায়ীভাবে বসতি আরম্ভ করার কারণ কী বলে ভাবে লেখো।
Ans. মানুষ কৃষিকার্য শুরু করার পরই স্থায়ী বসতির সূচনা হয়। এর প্রধান কারণগুলি হলো:

শস্য দেখাশোনা: বিশেষ ভাবে চাষ-বাস এবং শস্য দেখাশোনা করার স্বার্থে মানুষ এক স্থানে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে আরম্ভ করে।

শস্য মজুত: ভবিষ্যতে খেতের শস্য মজুত করার জন্যও মানুষকে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে হয়।

নিরাপত্তা: যাযাবর জীবন যাপনের সময় মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতো; স্থায়ীভাবে ঘর তৈরি করে বাস করার ফলে রোদ, বাতাস, বৃষ্টিপাত এবং বন্যপ্রাণীদের কাছ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।


২. মানুষ নদীর ধারে স্থায়ী বসতি নির্বাচন করার কারণ কী?
Ans. মানুষের বসতি স্থাপনের জন্য নদীর ধারকে বেছে নেওয়ার কারণগুলি হলো:

জলের সহজলভ্যতা: মানুষ ও কৃষিকাজ উভয়েরই জলের প্রয়োজন হওয়ায় মানুষ নদীর তীরবর্তী অঞ্চল বসতির জন্য বেছে নিয়েছিল। নদীর জল খাওয়া-দাওয়া, রান্না-বান্না, কাপোড়-চোপড় ধোওয়া, কৃষিকার্য ইত্যাদি বিভিন্ন কাজে ব্যবহার হয়।

উর্বর মাটি: সাধারণত নদীর ধারের মাটি উর্বর হওয়ার জন্য সেখানে গ্রাম গড়ে তোলা সহজ হয়।

যোগাযোগ ও জীবিকা: জলাশয়গুলো থেকে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করা যায় এবং নদীতে নৌকা চালিয়ে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত করা যায়।


৩. শহুরে বসতি বলতে কী বোঝ?
Ans. যেখানে ব্যবসা, বাণিজ্য, উদ্যোগ, অধিক যোগাযোগ এবং যাতায়াত ব্যবস্থার সুবিধা গড়ে ওঠে এবং তুলনামূলকভাবে গ্রাম থেকে বেশি সুযোগ-সুবিধা উপলব্ধ হয়, তখন সেই স্থানের বসতিকে শহুরে বসতি বা পৌর বসতি বলে জানা যায়। শহরবাসী লোকেদের জন্য ব্যবসা-বাণিজ্য, উদ্যোগ, শিক্ষানুষ্ঠান, অফিস-আদালতে চাকরি ইত্যাদি প্রধান বৃত্তি হয়ে উঠে।

পৃষ্ঠা ২৫-এর প্রশ্ন
ক্রিয়াকলাপ-

১. তোমাদের অঞ্চলে কোন ধরনের বসতি দেখা যায়? অঞ্চলটির বসতির ধরন তেমনটা হওয়ার কারণ কী হতে পারে, দলগতভাবে আলোচনা করো।
উত্তর: (এটি ছাত্র-ছাত্রীর ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ ও আলোচনার বিষয়। তবে, আলোচনার জন্য নিম্নলিখিত দিকগুলি বিবেচনা করা যেতে পারে:)

যদি সমভূমি হয়: কেন্দ্রীভূত বসতি বা রৈখিক বসতি দেখা যেতে পারে। কারণ: উর্বর মাটি, জলের সুবিধা, সুগম পরিবহন ব্যবস্থা।

যদি পাহাড়ি অঞ্চল হয়: পাতলা বসতি দেখা যেতে পারে। কারণ: এবড়ো-খেবড়ো ভূ-প্রকৃতি, যাতায়াত ও কৃষির অসুবিধা।


পৃষ্ঠা ২৭-এর প্রশ্ন
ক্রিয়াকলাপ-

১. গ্রাম থেকে শহরের জনসংখ্যা বেশি হওয়ার কারণ কী আলোচনা করো।
উত্তর: গ্রামের তুলনায় শহরে জনসংখ্যা বেশি হওয়ার প্রধান কারণগুলি হলো:

কর্মসংস্থানের সুযোগ: শহরে উদ্যোগ, কল-কারখানা, সরকারি-বেসরকারি কার্যালয় ইত্যাদি থাকার জন্য নিয়োগের সুবিধা বেশি। ফলে কাজের সন্ধানে গ্রামাঞ্চল থেকে মানুষ শহরে প্রব্রজন করে।

উন্নত সুযোগ-সুবিধা: শহরে শিক্ষা, চিকিৎসা, যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থা সুগম এবং উন্নত।

বাণিজ্য ও উদ্যোগের কেন্দ্র: শহরগুলি ব্যবসা-বাণিজ্যের কেন্দ্র বিন্দু, যেখানে বিভিন্ন প্রকারের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থাকে।

জনসংখ্যার বৃদ্ধি: গ্রাম থেকে মানুষের প্রব্রজনের ফলে শহরাঞ্চলে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার অধিক।


পৃষ্ঠা ২৭-এর প্রশ্ন
ক্রিয়াকলাপ-

১. গ্রাম ও শহরের মধ্যে সম্পর্ক না থাকলে আমাদের কী ধরনের অসুবিধা হতো আলোচনা করো।
উত্তর: গ্রাম এবং শহরের মধ্যে একটি অঙ্গাঙ্গি সম্পর্ক আছে এবং তারা পরস্পর নির্ভরশীল। এই সম্পর্ক না থাকলে নিম্নলিখিত অসুবিধাগুলো সৃষ্টি হতো:

খাদ্য সংকট: গ্রামবাসীরা তাদের উৎপাদিত কৃষিজাত সামগ্রী শহরকে যোগান দেয়। এই সম্পর্ক ছিন্ন হলে শহরে খাদ্য সংকট দেখা দিত।

দ্রব্যের অভাব: শহর ঔদ্যোগিক দ্রব্য এবং অন্যান্য সেবা গ্রামকে প্রদান করে। সম্পর্ক না থাকলে গ্রামে আধুনিক সরঞ্জাম, কল-কারখানার জিনিসপত্র এবং সেবার (যেমন ব্যাঙ্ক, শিক্ষা, চিকিৎসা) অভাব হতো।

অর্থনৈতিক স্থবিরতা: ব্যবসা-বাণিজ্যই গ্রাম এবং শহরের মাঝে সম্পর্ক বজায় রাখে। এই বন্ধন না থাকলে সামগ্রিকভাবে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ব্যাহত হতো।


পৃষ্ঠা ২৮-এর প্রশ্ন
ক্রিয়াকলাপ-

১. ওপরের আলোচনার ভিত্তিতে উচ্চভূমির বসতি এবং নিম্নভূমির বসতি সমন্ধে নীচের তালিকাটিতে দেওয়া ধরনে বসতি, কৃষি এবং উদ্ভিদের মধ্যের পার্থক্যগুলো বের করার চেষ্টা করো।

বিষয় – উচ্চভূমির বসতি
বসতি – বসতি পাতলা। মাচাঘর নির্মাণ করা হয়। গৃহ নির্মাণের সামগ্রী: কাঠ, বাঁশ, খড়।
কৃষি – চাষের জন্য স্থান পরিবর্তন করে। প্রধান শস্য: ধান, ভুট্টা, তিল, আলু, শাক-সবজি, কমলা, আনারস ইত্যাদি। শুকনো দিনে জলের অভাবে উৎপাদন কম হয়।
উদ্ভিদ – পাহাড়-পর্বতের প্রকৃতি অনুসারে বিভিন্ন উদ্ভিদ জন্মায়। বনাঞ্চল সাধারণত ঘন বা পাতলা হতে পারে। বিভিন্ন ধরনের ফলের গাছ বা ঔষধি গাছ জন্মায়।

বিষয় – নিম্নভূমির বসতি
বসতি – বসতি ঘন। উঁচু ভিতের ওপর যুক্ত ঘর-বাড়ি তৈরি হয় (বন্যাক্রান্ত অঞ্চলে মাচাঘরও দেখা যায়)। গৃহ নির্মাণের সামগ্রী: স্থানীয় বা আধুনিক সামগ্রী।
কৃষি – স্থায়ী কৃষি করা হয়। প্রধান শস্য: ধান, পাট, সরিষা, কুশিয়ার ইত্যাদি। বন্যার ফলে শস্য নষ্ট হলেও শুকনো দিনে বুরো ধান, ইরি ধানের চাষ হয়।
উদ্ভিদ – কৃষিভূমির পরিমাণ বেশি। জলাশয়গুলোতে বিভিন্ন জলজ উদ্ভিদ থাকে। বনাঞ্চল তুলনামূলকভাবে কম।

পৃষ্ঠা ২৯-এর অনুশীলনী

১। শূন্যস্থান পূর্ণ করো-
(ক) কৃষি কার্য আরম্ভ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষ এক স্থানে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে শুরু করে।
(খ) জলের উৎসকে ভিত্তি করে গ্রামবাসীরা বেশ কিছু সুবিধা ভোগ করে।
(গ) রাস্তা-ঘাট, রেলপথ, নদীর ধারে কাছে গড়ে ওটা বসতিকে রৈখিক বসতি বলে।
(ঘ) বর্তমানে অসমে ২৬,৩৯৫ টি গ্রাম আছে।

২। শুদ্ধ উত্তরটি বেছে বের করো-
(ক) গ্রাম্য বসতির মূল বৃত্তি হলো ব্যবসা-বাণিজ্য/ উদ্যোগ/কৃষি।
(খ) গ্রাম্য অঞ্চল থেকে নগর অঞ্চলে জনসংখ্যার ঘনত্ব কম/বেশি/সমান।
(গ) ভারতের প্রায় ৭০/৮০/৬০ শতাংশ লোকে গ্রামে বাস করে।
(ঘ) কোনো স্থানে কেন্দ্রীভূত হয়ে থাকা বসতি হলো রৈখিক/কেন্দ্রীভূত/ পাতলা বসতি।
উত্তর সংক্ষেপে: (ক) কৃষি
(খ) বেশি
(গ) ৭০ শতাংশ
(ঘ) কেন্দ্রীভূত বসতি ✅

৩। উত্তর লেখো: (৪টি বা ৫টি বাক্যের মধ্যে)

(ক) মানুষ স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করার কারণ কী?
Ans. মানুষ মূলত কৃষিকার্যকে কেন্দ্র করে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। এর কারণ হলো: চাষ করা শস্যের দেখাশোনা করা, ফসল মজুত করে রাখা, এবং নিরাপত্তা বোধ করা। এছাড়াও কৃষি ও জীবনযাপনের জন্য নদীর ধারে জলের সুবিধা লাভের উদ্দেশ্যেও তারা স্থায়ী বসতি তৈরি করে।

(খ) গ্রাম্য বসতির মূল বৈশিষ্ট্য সম্বন্ধে আলোচনা করো।
Ans. গ্রাম্য বসতি সাধারণত নদ-নদী, খাল-বিল, হ্রদ ইত্যাদির কাছাকাছি অঞ্চলে গড়ে ওঠে। বাসিন্দাদের মূল বৃত্তি হলো প্রাথমিক বৃত্তি (কৃষি, পশুপালন, বনজ দ্রব্য সংগ্রহ)। বসতি পাতলা ও বিস্তৃত হয়। ঘর-বাড়ির নমুনা সাধারণত স্থানীয় এবং পরম্পরাগত হয়। যাতায়াত ব্যবস্থা তুলনামূলকভাবে ভালো নয় এবং যানবাহনের সংখ্যা কম থাকে।

(গ) কেন্দ্রীভূত বসতি কীভাবে সৃষ্টি হয়?
Ans. যেসব স্থানে উর্বর মাটি, জলের সুবিধা, গৃহ নির্মাণের সরঞ্জাম সহজে পাওয়া যায় এবং পরিবহন ব্যবস্থা সুগম, সেইসব স্থানে মানুষের বসতি ঘন হয়। বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকার জন্য মানুষের বসতি একই জায়াগায় একত্রিত হয়ে কেন্দ্রীভূত হয়। ফলে এটিকে কেন্দ্রীভূত বসতি (Nucleated settlement) বলা হয়। যেমন, সমতল উপত্যকা অঞ্চলগুলোতে এই ধরনের বসতি দেখা যায়।

(ঘ) পৌর বসতির মানুষের জীবিকার উপায়।
Ans. পৌর বসতির মানুষের জীবিকার প্রধান উপায় হলো:

দ্বিতীয় বৃত্তি: কল-কারখানার কাজ-কর্ম, ঘরোয়া শিল্পকর্ম ইত্যাদি।

তৃতীয় বৃত্তি: ব্যবসা-বাণিজ্য, ওকালতি, ব্যাঙ্কসেবা, শিক্ষকতা, চাকরি ইত্যাদি।

চতুর্থ বৃত্তি: ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা, গবেষণা, উদ্যোক্তা ইত্যাদি।
মোদ্দা কথা, পৌর বসতির বাসিন্দারা প্রধানত কৃষি বাদে অন্যান্য উপার্জনমুখী কাজে নিয়োজিত থাকে।


(ঙ) গ্রাম এবং নগরের মধ্যের সম্পর্ক আলোচনা করো।
Ans. গ্রাম এবং শহরের বসতির মধ্যে অনেক পার্থক্য থাকলেও তারা পরস্পর নির্ভরশীল এবং এদের মধ্যে অঙ্গাঙ্গি সম্পর্ক আছে।

পণ্য সরবরাহ: গ্রামবাসীরা তাদের উৎপাদিত কৃষিজাত সামগ্রী শহরকে যোগান দেন।

সেবা প্রদান: শহর ঔদ্যোগিক দ্রব্য এবং অন্যান্য সেবা (ব্যাঙ্ক, ডাক, বিমা, শিক্ষা, চিকিৎসা) গ্রামকে প্রদান করে।

দৈনন্দিন লেনদেন: গ্রামের লোক দৈনন্দিন কাজের জন্য শহরে আসে এবং প্রয়োজনীয় বস্তু কিনে গ্রামে ফিরে যায়।


৪। সংক্ষিপ্ত টীকা লেখো
(ক) রৈখিক বসতি, (খ) উচ্চভূমির বসতি।

(ক) রৈখিক বসতি (Linear settlement):
যে জনবসতি পথের ধারে ধারে লম্বভাবে বিস্তারিত হয়ে থাকে, তাকে রৈখিক বসতি বলে। এই ধরনের বসতি সাধারণত রাস্তা-ঘাট, রেলপথ বা নদীর ধারে গড়ে ওঠে। কোনো কোনো স্থানে দু-তিনটে পথের সংযোগ হলে এ ধরনের রৈখিক বসতি প্রসারিত হয়ে তারারূপী বসতিও গড়ে উঠতে পারে।

(খ) উচ্চভূমির বসতি (Highland settlement): উচ্চভূমি অঞ্চলে বসতি সাধারণত পাতলা হয়। এই অঞ্চলে স্থলভাগের ঢাল খাড়া এবং ভূ-পৃষ্ট উঁচু-নিচু হয়, ফলে যাতায়াত, পরিবহন, চাষ-বাস ইত্যাদি সব ধরণের সুবিধার অভাব থাকে। এখানকার লোক সাধারণত পাহাড়ের ঢালে মাচাঘর নির্মাণ করে এবং তাদের প্রধান জীবিকা স্থান পরিবর্তনকারী কৃষি (যেমন ঝুম চাষ)। উঁচু ভিতের উপর ঘর তৈরি করার ফলে বন্যা বা ভেজা পরিবেশ থেকে দূরে থাকা যায়।

৫। পার্থক্য লেখো-

(ক) গ্রাম্য বসতি এবং শহুরে বসতি
Ans. গ্রাম্য বসতি – বৃত্তি: বাসিন্দাদের বৃত্তি মূলত প্রাথমিক বৃত্তি (কৃষি, পশুপালন)।
ঘনত্ব: বসতি পাতলা ও বিস্তৃত। জনসংখ্যার ঘনত্ব কম।
ঘর-বাড়ি: ঘর-বাড়ির নমুনা স্থানীয় এবং পরম্পরাগত।
যোগাযোগ: যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো নয় এবং যানবাহনের সংখ্যা কম।

শহুরে বসতি – বৃত্তি: বাসিন্দাদের বৃত্তি মূলত দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ বৃত্তি (ব্যবসা-বাণিজ্য, উদ্যোগ, চাকরি)।
ঘনত্ব: বসতি ঘন ও কেন্দ্রীকৃত। জনসংখ্যার ঘনত্ব বেশি।
ঘর-বাড়ি: ঘর-বাড়ির নমুনা আধুনিক এবং উঁচু অট্টালিকার প্রাধান্য বেশি।
যোগাযোগ: যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো এবং যানবাহনের সংখ্যা বেশি।

(গ) উচ্চভূমির বসতি এবং নিম্নভূমির বসতি
Ans. উচ্চভূমির বসতি – বসতি পাতলা। ঘর-বাড়ি সাধারণত মাচাঘর।
ভূমি: স্থলভাগের ঢাল খাড়া এবং ভূ-পৃষ্ট উঁচু-নিচু।
কৃষি: স্থান পরিবর্তনশীল কৃষি (যেমন ঝুম চাষ)। জলের অভাবে শুকনো দিনে উৎপাদন কম।

নিম্নভূমির বসতি – বসতি ঘন। ঘর-বাড়ি উঁচু ভিতের উপর তৈরি হয়।
ভূমি: সমতল বা মৃদু ঢালের হওয়ায় চাষবাস ও যাতায়াতের সুবিধা।
কৃষি: স্থায়ী কৃষি। উর্বর মাটি ও জলের সুবিধার কারণে কৃষি উৎপাদন বেশি।


Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *