বলো বলো বলো সবে
বলো বলো বলো সবে পাঠের প্রশ্নের উত্তর নিচে দেওয়া হলো। পাঠ -1
পাঠভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর (Page 3-4)
১। নীচের প্রশ্নগুলোর শুদ্ধ উত্তরটি বেছে সঠিক বৃত্তটি পূরণ করো-
১. কবিতাটিতে কোন বাঙালি মহাপুরুষের নাম উল্লেখ রয়েছে?
(ক) নিমাই
২. ‘নব-দিনমণি উদিবে আবার পুরাতন এ পুরবে।’- উদ্ধৃত পঙ্ক্তিটির মধ্য দিয়ে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?
(গ) ভারতে নতুন ভালো দিন আবার ফিরে আসবে।
২। ওপরের দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরের কারণ
আমি এই উত্তরটি বেছে নিয়েছি কারণ, পঙক্তিটির আক্ষরিক অর্থ সূর্য উদিত হওয়া জানালেও, এখানে কবি পরাধীনতার সময়ে গানটি রচনা করেছেন। তাই ‘নব-দিনমণি উদিবে আবার’ পঙক্তিটির মাধ্যমে কবি বোঝাতে চেয়েছেন যে ভারতে আবার গৌরব ও ঐশ্বর্যের নতুন ভালো দিন ফিরে আসবে এবং ভারত জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন লাভ করবে।
৩। নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর মুখে-মুখে বলি ও লিখি-
(ক) ‘নব দিনমণি উদিবে আবার’- এখানে কবি কীসের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন?
Ans.এখানে কবি ইঙ্গিত করেছেন যে পরাধীন ভারত আবার স্বাধীন হবে এবং গৌরব ও সাফল্যের নতুন দিন শুরু হবে।
(খ) যেসব স্মরণীয় রমণীদের কথা কবি কবিতায় উল্লেখ করেছেন, তাঁদের নাম লেখো। তাঁদের যে দুটি গুণের বর্ণনা রয়েছে এখানে, সেগুলির উল্লেখ করো।
Ans. স্মরণীয় রমণীদের নাম: বিদুষী মৈত্রেয়ী, খনা, লীলাবতী, সতী সাবিত্রী, সীতা, অরুন্ধতী।
দুটি গুণের বর্ণনা: তাঁরা অনলে দহিয়া মান রক্ষা করেছেন এবং পতি-পুত্র-তরে সুখে প্রাণ ত্যাগ করেছেন।
(গ) কবি কাকে ভারতবর্ষের প্রহরী বলেছেন?
Ans. কবি গিরিরাজকে ভারতবর্ষের প্রহরী বলেছেন।
(ঘ) ‘ঘিরি তিন দিক নাচিছে লহরি’-‘লহরি’ বলতে এখানে কী বোঝানো হয়েছে?
Ans. ‘লহরি’ বলতে এখানে ঢেউ বা জলরাশির আন্দোলন বোঝানো হয়েছে। এটি দ্বারা ভারতের তিনদিকে থাকা সমুদ্রকে বোঝানো হয়েছে।
(ঙ) কবিতায় উল্লিখিত দুটি নদীর নাম করো।
Ans.কবিতায় উল্লিখিত দুটি নদীর নাম হলো গঙ্গা ও গোদাবরী।
(চ) এই কবিতা রচনাকালে ভারতের জনসংখ্যা কত ছিল?
Ans .কবিতা রচনাকালে ভারতের জনসংখ্যা ত্রিশ কোটি ছিল।
(ছ) ‘ভোলেনি ভারত, ভোলেনি সে কথা’- কী ভোলেনি, তা তোমার নিজের ভাষায় লেখো।
Ans.ভারত ভোলেনি যে এই দেশেই একদিন অহিংসার বাণী উঠেছিল। ভারত ভোলেনি যে নানক ও নিমাই (শ্রীচৈতন্য) সকল ভারত-সন্তানকে ভাই বলে একতার বন্ধনে বেঁধেছিলেন।
(জ) ‘জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরীয়সী’- এর অর্থ নির্দেশ করো।
Ans.এর অর্থ হলো জননী জন্মভূমি সবার চেয়ে বড়ো, এমনকি স্বর্গের চেয়েও।
(ঝ) গিরিরাজ বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে? তাকে প্রহরী বলা হয়েছে কেন?
Ans.গিরিরাজ বলতে হিমালয় পর্বতকে বোঝানো হয়েছে।
তাকে প্রহরী বলা হয়েছে কারণ হিমালয় পর্বতমালা ভারতবর্ষের উত্তর দিকে প্রাচীরের মতো দাঁড়িয়ে থেকে দেশকে রক্ষা করে আসছে।
৪। ‘বলো বলো সবে’ কবিতায় কবি কীভাবে ভারতের মাহাত্ম্য বর্ণনা করেছেন ব্যাখ্যা করো।
Ans.’বলো বলো সবে’ কবিতায় কবি অতুলপ্রসাদ সেন ভারতের মহিমা ও মাহাত্ম্য বর্ণনা করেছেন দেশকে আবার জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন লাভ করার আহ্বান জানিয়ে।
ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক শ্রেষ্ঠত্ব: কবি বলেছেন ভারত আবার ধর্মে ও কর্মে মহান হবে। এই দেশে অহিংসার বাণী উঠেছিল এবং নানক-নিমাই সকল ভারত-সন্তানকে প্রেমবন্ধনে আবদ্ধ করেছিলেন।
বীরত্ব ও নারীশক্তির আদর্শ: ভারত বিদুষী মৈত্রেয়ী, লীলাবতী এবং সতী সাবিত্রী, সীতা, অরুন্ধতী-র মতো স্মরণীয় রমণীদের জন্মভূমি, যাঁরা মান রক্ষার্থে অনলে দগ্ধ হয়েছেন এবং পতি-পুত্রের জন্য সুখে প্রাণ ত্যাগ করেছেন।
প্রাকৃতিক ও ভৌগোলিক সম্পদ: ভারতের গিরিরাজ (হিমালয়) প্রহরী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে এবং তিনদিক সমুদ্রের লহরি দ্বারা ঘেরা। গঙ্গা-গোদাবরীর মতো নদী এখনো অমৃতবাহিনী হিসেবে বয়ে চলেছে। প্রতিটি প্রান্তর, গুহা-বন, জনপদ ও তীর্থ গৌরব-কাহিনি বর্ণনা করছে।
৫। কবিতাটির ভাবের সঙ্গে সংগতি রেখে ‘ক’ অংশের সাথে ‘খ’ অংশ দাগ টেনে মেলাও-
Ans.
অহিংসার বাণী উঠেছিল হেথা
আমাদের দেশ যুদ্ধের নয়, বুদ্ধের। হিংসা শান্তি স্থাপনের পথ নয়। বুদ্ধ, মহাবীর, নানক, নিমাই থেকে শুরু করে আধুনিক ভারতের মহাত্মা গান্ধী পর্যন্ত সকলেই এই অহিংসার অমৃত বাণীকে বিশ্বব্যাপী প্রচার করে বিশ্বশান্তির পথ প্রশস্ত করেছিলেন।
এখনো অমৃতবাহিনী
আমাদের দেশ নদী সম্পদে সমৃদ্ধ। উত্তরে গিরিরাজ হিমালয় থেকে গঙ্গা, যমুনা, সিন্ধু, বিতস্তা, বিঝলম, রবি, চন্দ্রভাগা, বিপাসা, শতদ্রু, ব্রহ্মপুত্র ইত্যাদি নদ নদী ধরিত্রীকে উর্বর করে তুলেছে। আবার অন্যদিকে দক্ষিণে রয়েছে গোদাবরী, কৃষ্ণা, কাবেরী, নর্মদা, তৃঙ্গভদ্রা ইত্যাদি নদী। রয়েছে তিস্তা, মানস, বরাক ইত্যাদি যা অমৃতের মতো প্রবাহিত হয়ে চলেছে।
বহু বীরবালা বীরেন্দ্র প্রসূতি
ভারতের বিদুষী মহীয়সী নারীদের কৃতিত্ব ও ত্যাগের জন্য আমরা চিরকাল তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করি। গার্গী, মৈত্রেয়ী, খনা, লীলাবতী, সতী সাবিত্রী, সীতা, অরুন্ধতী, জয়মতী, লক্ষ্মীবাই, মাতঙ্গিনী হাজরা, ভগিনী নিবেদিতা প্রমুখ নারী এক মহান আদর্শ প্রতিষ্ঠা করে গেছেন।
ভাষা অধ্যয়ন (Page 5)
৬। বাক্য রচনা
অহিংসা: মহাত্মা গান্ধী অহিংসার পথে স্বাধীনতা এনেছিলেন।
সাবিত্রী: সাবিত্রী ছিলেন মহাভারতের এক সতী ও আদর্শ নারী।
মহান্: ভারত আবার ধর্মে ও কর্মে মহান্ হবে।
৭। ধ্বনিগত মিল
প্রাণ: গান, মান, দান
সবে: লবে, রবে, কবে
দিনমণি: জননী, ধরণী, লহরি
অনল: চঞ্চল, সরল, কমল
পুত্র: সূত্র, শত্রু, মিত্ৰ
প্রেম: হেম, নেম, জেন
৮। সমার্থক শব্দ
দিনমণি: সূর্য, রবি, দিবাকর, সবিতা, ভাস্কর
অনল: আগুন, বহ্নি, অগ্নি, পাবক, হুতাশন
পুত্র: ছেলে, তনয়, সুত, নন্দন, আত্মজ
প্রেম: ভালোবাসা, প্রীতি, অনুরাগ, স্নেহ, প্রণয়
৯। নীচের প্রশ্নোত্তরটি মন দিয়ে পড়ি-
প্রশ্ন: সূর্য কি পশ্চিম দিকে উদিত হয়?
উত্তর: না।
