প্রাকৃতিক সম্পদ, Chapter -12, Science, Class-6 ,SEBA

প্রাকৃতিক সম্পদ, Chapter -12, Science, Class-6 ,SEBA

2. শুদ্ধ উত্তরের বৃত্তটি সম্পূর্ণ করে পূর্ণ করো
(i) যেসব সম্পদ ব্যবহার করার পর আবার সৃষ্টি করা যায় না সেই সম্পদগুলোকে বলে-
(a) জৈবিক সম্পদ
(b) নবায়ন-অযোগ্য সম্পদ
(c) নবায়নযোগ্য সম্পদ
(d) প্রাকৃতিক সম্পদ
উত্তর: (b) নবায়ন-অযোগ্য সম্পদ

(ii) পৃথিবীকে যে শুষ্ক পৃষ্ঠভাগ আবৃত করে আছে তাকে বলে-
(a) শিলা
(b) মাটি
(c) জল
(d) বায়ু
উত্তর: (b) মাটি

(iii) প্রকৃতিতে পাওয়া যেসব পদার্থ জীবকুলের জন্য আবশ্যকীয় সেগুলোকে বলে-
(a) পেট্রোল
(b) প্রাকৃতিক সম্পদ
(c) প্রাকৃতিক গ্যাস
(d) জীবাশ্ম
উত্তর: (b) প্রাকৃতিক সম্পদ

(iv) ভূ-পৃষ্ঠের থেকে অনেক কি.মি. ওপর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে থাকা বায়ুর পাতলা স্তরটিকে বলে-
(a) জলমণ্ডল
(b) বায়ুমণ্ডল
(c) আকাশ মণ্ডল
(d) উপরের একটিও না
উত্তর: (b) বায়ুমণ্ডল

3. একটি শব্দে উত্তর দাও-
(a) বায়ুমণ্ডলে কত শতাংশ অক্সিজেন আছে?
উত্তর: ২১% (একুশ শতাংশ)
(b) একটি জলজ উদ্ভিদের নাম লেখো।
উত্তর: পদ্ম (বা কচুরিপানা)
(c) একটি জলজ প্রাণীর নাম লেখো।
উত্তর: মাছ (বা সুসু/ডলফিন)
(d) শক্তির প্রধান উৎস কী?
উত্তর: সূর্য

4. শুদ্ধ এবং অশুদ্ধ শনাক্ত করো-
(a) অরণ্য প্রাকৃতিক সম্পদ।
উত্তর: শুদ্ধ
(b) শিলা নবায়নযোগ্য সম্পদ।
উত্তর: অশুদ্ধ (শিলা নবায়ন-অযোগ্য)
(c) পুকুর নবায়ন-অযোগ্য সম্পদ।
উত্তর: অশুদ্ধ (পুকুরের জল নবায়নযোগ্য)
(d) যান-বাহনে বহুলভাবে ব্যবহৃত ইন্ধন হলো কেরোসিন।
উত্তর: অশুদ্ধ (বহুলভাবে ব্যবহৃত হয় পেট্রোল ও ডিজেল)
(e) বায়ুমণ্ডলে সবচেয় বেশি পরিমাণে থাকা গ্যাস হলো অক্সিজেন।
উত্তর: অশুদ্ধ (সবচেয়ে বেশি থাকে নাইট্রোজেন)

5. সংক্ষেপে উত্তর দাও –
(a) প্রাকৃতিক সম্পদ কাকে বলে?
উত্তর: প্রকৃতিতে পাওয়া যেসব পদার্থ বা উপাদান জীবের বেঁচে থাকার জন্য আবশ্যক এবং সমাজের জন্য প্রয়োজনীয়, সেগুলোকে প্রাকৃতিক সম্পদ বলে। যেমন – মাটি, জল, বায়ু, সৌরশক্তি, অরণ্য, খনিজ পদার্থ ইত্যাদি।

(b) প্রাকৃতিক সম্পদকে কতটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে এবং কী কী?
উত্তর: প্রাকৃতিক সম্পদকে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে:
* নবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ
* নবায়ন-অযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ

(c) নবায়নযোগ্য এবং নবায়ন-অযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ কাকে বলে? উদাহরণ সহ লেখো।
উত্তর:
* নবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ: যেসব সম্পদ ব্যাপক ব্যবহারের পরেও প্রকৃতি থেকে কখনও নিঃশেষ হয়ে যায় না বা প্রকৃতিতে সহজে পুনরায় সৃষ্টি হয়, সেগুলোকে নবায়নযোগ্য সম্পদ বলে। উদাহরণ: সূর্যের আলো, জল, বায়ু, গাছপালা, জীবজন্তু ইত্যাদি।
* নবায়ন-অযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ: যেসব সম্পদ একবার ব্যবহার করার পর পুনরায় সৃষ্টি করা যায় না বা সৃষ্টি হতে বহু বছর সময় লাগে এবং ব্যবহারের ফলে নিঃশেষ হয়ে যায়, সেগুলোকে নবায়ন-অযোগ্য সম্পদ বলে। উদাহরণ: প্রাকৃতিক গ্যাস, পেট্রোল, ডিজেল, কেরোসিন, কয়লা, খনিজ পদার্থ ইত্যাদি।

(d) সূর্যকে শক্তির প্রধান উৎস বলা হয় কেন?
উত্তর: পৃথিবীর প্রায় সকল শক্তির মূল উৎস হলো সূর্য। উদ্ভিদ সূর্যের আলো ব্যবহার করে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় খাদ্য তৈরি করে। সকল প্রাণী প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে খাদ্যের জন্য উদ্ভিদের উপর নির্ভরশীল। এছাড়া জলচক্র, বাতাসের প্রবাহ এবং জীবাশ্ম জ্বালানির শক্তিও পরোক্ষভাবে সৌরশক্তি থেকেই আসে। সূর্য পৃথিবীর সকল জীবকে আলো ও তাপ প্রদান করে। তাই সূর্যকে শক্তির প্রধান উৎস বলা হয়।

(e) বৃষ্টির জল কেন সংরক্ষণ করা দরকার?
উত্তর: পৃথিবীতে ব্যবহারযোগ্য মিষ্টি বা অলবণাক্ত জলের পরিমাণ খুবই কম। জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং জলের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার কারণে জলের অভাব দেখা দিতে পারে। বৃষ্টির জল একটি নির্মল জলের উৎস। এই জল সংগ্রহ করে সংরক্ষণ করলে জলের অভাব পূরণ করা যায় এবং ভূ-গর্ভস্থ জলের স্তরও ঠিক থাকে। সংরক্ষিত জল ঘরোয়া কাজ, চাষবাস ইত্যাদিতে ব্যবহার করা যায়। তাই বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করা দরকার।

6. বিকল্প শক্তির ব্যবহার করা উচিত কেন?
উত্তর: পেট্রোল, ডিজেল, কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাসের মতো জীবাশ্ম ইন্ধনগুলি প্রকৃতিতে সীমিত পরিমাণে আছে এবং এগুলি নবায়ন-অযোগ্য সম্পদ। এগুলির অত্যধিক ব্যবহার করলে একদিন শেষ হয়ে যাবে। এছাড়া, জীবাশ্ম ইন্ধন ব্যবহারে পরিবেশ দূষণ হয়। তাই, পরিবেশ রক্ষা করতে এবং শক্তির চাহিদা মেটাতে সৌরশক্তি, বায়ুশক্তির মতো বিকল্প, নবায়নযোগ্য এবং দূষণহীন শক্তির উৎস ব্যবহার করা উচিত।

7. সূর্যের তাপ ব্যবহার করে পাওয়া শক্তিকে কী শক্তি বলা হয়?
উত্তর: সূর্যের তাপ ব্যবহার করে পাওয়া শক্তিকে সৌর শক্তি বলা হয়।

8. বায়ুকল কী? বায়ুকলে কোন্ শক্তি ব্যবহার করা হয়েছে?
উত্তর: বায়ুকল হলো একটি যন্ত্র যা বাতাসের গতিশক্তিকে ব্যবহার করে পাখা ঘোরানোর মাধ্যমে শক্তি উৎপন্ন করে। এই শক্তি সাধারণত বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়। বায়ুকলে বায়ু শক্তি (বাতাসের গতিশক্তি) ব্যবহার করা হয়েছে।

9. বায়ু ব্যবহার হওয়া দুটা কার্যের বিষয়ে লেখো?
উত্তর: বায়ু ব্যবহার হওয়া দুটি কার্য হলো:
* শ্বসন: সকল প্রাণী বেঁচে থাকার জন্য বায়ু থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে।
* শক্তি উৎপাদন: বায়ুকলের সাহায্যে বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন করা হয়। (অন্যান্য উত্তর: পালতোলা নৌকা চালানো, প্যারাসুট ওড়ানো, বেলুন ফোলানো, সাইকেলের চাকায় হাওয়া ভরা ইত্যাদি)

10. বাতাস যে এক ধরনের শক্তি তার একটি উদাহরণ দাও।
উত্তর: কাগজের চরকি বাতাসের প্রভাবে ঘোরে। বাতাস না থাকলে চরকি ঘুরত না। এটি প্রমাণ করে বাতাস এক ধরনের শক্তি। (অন্যান্য উত্তর: বায়ুকলের পাখা ঘোরা, পালতোলা নৌকা চলা)

11. রোদ থাকা অবস্থায় একটি জল ভর্তি পাত্র বাইরে রেখে দিলে তা গরম হয়ে যায় বলে তোমরা জানো। সূর্যের থেকে পাওয়া এই তাপ ব্যবহার করে আরও কী কাজ করা যায়?
উত্তর: সূর্যের থেকে পাওয়া তাপ ব্যবহার করে আরও অনেক কাজ করা যায়, যেমন:
* ভেজা কাপড় শুকানো
* খাদ্য শস্য (ধান, সরিষা) ও অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য (আম, আমলকী, মরিচ) শুকিয়ে সংরক্ষণ করা
* সৌর চুল্লি বা সোলার কুকারে রান্না করা
* সৌর ফলক (সোলার প্যানেল) ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা

12. পেট্রোল, ডিজেল ইত্যাদিকে নবায়ন-অযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদকে বলা হয় কেন?
উত্তর: পেট্রোল, ডিজেল ইত্যাদি জীবাশ্ম ইন্ধন, যা লক্ষ লক্ষ বছর ধরে মৃত জীবের দেহাবশেষ থেকে মাটির নীচে উচ্চ চাপ ও তাপে তৈরি হয়। প্রকৃতিতে এগুলির ভাণ্ডার সীমিত এবং একবার ব্যবহার করে ফেললে তা পুনরায় সহজে বা দ্রুত সৃষ্টি করা যায় না। তাই এগুলিকে নবায়ন-অযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ বলা হয়।

13. নবায়ন-অযোগ্য সম্পদ সংরক্ষণ করার জন্য তুমি নিজের ঘরে কী পদক্ষেপ নিতে পারবে।
উত্তর: নবায়ন-অযোগ্য সম্পদ (যেমন বিদ্যুৎ, এলপিজি গ্যাস, পেট্রোল) সংরক্ষণ করার জন্য ঘরে নিম্নলিখিত পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে:
* প্রয়োজন না থাকলে লাইট, ফ্যান ও অন্যান্য বৈদ্যুতিক যন্ত্র বন্ধ রাখা।
* কাছাকাছি দূরত্বে হেঁটে বা সাইকেলে যাওয়া।
* রান্নার সময় গ্যাসের অপচয় কমানো (যেমন – পাত্র ঢেকে রান্না করা)।
* গণপরিবহন ব্যবহার করা।

14. পৃথিবীর বেশির ভাগ অংশ যদিও বা জল দ্বারা আবৃত কিন্তু ব্যবহারযোগ্য জলের পরিমাণ খুবই কম। সেইজন্য জলের অপচয় কমানোর জন্য তুমি নিজের বন্ধু-বান্ধবীদের কীভাবে সজাগ করবে?
উত্তর: বন্ধুদের জলের অপচয় কমানোর জন্য সজাগ করতে আমি যা করতে পারি:
* তাদের বোঝাব যে পৃথিবীতে পানের ও ব্যবহারের যোগ্য মিষ্টি জলের পরিমাণ খুবই কম (মাত্র ৩%) এবং এর অপচয় করলে ভবিষ্যতে জলের সংকট দেখা দেবে।
* জল ব্যবহারের ভালো অভ্যাসগুলি নিয়ে আলোচনা করব, যেমন – ব্রাশ করার সময় বা সাবান মাখার সময় ট্যাপ বন্ধ রাখা, পাইপের লিক ঠিক করা, বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করা।
* বিদ্যালয়ে পোস্টার তৈরি করে বা ছোট নাটিকার মাধ্যমে জলের গুরুত্ব ও সংরক্ষণের উপায় তুলে ধরব।
* তাদের বলব জলের অপচয় দেখলে অন্যদেরও সচেতন করতে।

15. বর্তমানে সরকার প্রচুর পরিমাণে গাছ-পালা রোপণের জন্য বিভিন্ন ধরনের কার্যসূচি করে চলেছে। তোমাদের বিদ্যালয়ে সরকারি কার্যসূচি ছাড়া অন্যান্য সময়ে গাছ-পালা রোপণ করা হয় কি? যদি রোপণ করো, তবে কেন করো?
উত্তর: হ্যাঁ, আমাদের বিদ্যালয়ে সরকারি কার্যসূচি ছাড়াও অন্যান্য সময়ে, যেমন – বিশ্ব পরিবেশ দিবস, বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা দিবস বা অন্য কোনো বিশেষ অনুষ্ঠানে গাছ-পালা রোপণ করা হয়। গাছ আমাদের অক্সিজেন দেয়, পরিবেশকে শীতল রাখে, মাটির ক্ষয় রোধ করে এবং বিদ্যালয়ের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। পরিবেশের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকে এবং একটি সবুজ সুন্দর বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ গড়ে তোলার জন্য আমরা গাছ লাগাই।

16. প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষেণের জন্য সরকারের গ্রহণ করা কোনো কার্য অথবা কোনো একটি দিবসের নাম লেখো।
উত্তর: প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের জন্য সরকার কর্তৃক পালিত একটি দিবস হলো বিশ্ব পরিবেশ দিবস (৫ই জুন)। (অন্যান্য উত্তর: বন মহোৎসব, ধরিত্রী দিবস, বৃষ্টির জল সংরক্ষণ প্রকল্প ইত্যাদি)

17. বর্তমান সময়ে ক্রমান্বয়ে পৃথিবীতে উষ্ণতার পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই উষ্ণতা বৃদ্ধি রোধ করার জন্য তুমি তোমার বন্ধু-বান্ধবীদের সাথে নিয়ে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে তার একটি যোজনা তৈরি করো।
উত্তর: পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধি রোধ করার জন্য বন্ধুদের সাথে নিয়ে নিম্নলিখিত পদক্ষেপ নেওয়ার যোজনা তৈরি করব:
* বৃক্ষরোপণ: বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে এবং বাড়ির আশেপাশে বেশি করে গাছ লাগানো ও তাদের যত্ন নেওয়া। গাছ কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে উষ্ণতা কমাতে সাহায্য করে।
* শক্তি সংরক্ষণ: অপ্রয়োজনে লাইট, ফ্যান বন্ধ রাখা এবং অন্যদেরও তা করতে উৎসাহিত করা। জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমলে গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন কমবে।
* পুনর্ব্যবহার ও বর্জ্য কমানো: প্লাস্টিক ও অন্যান্য সামগ্রীর ব্যবহার কমানো, জিনিসের পুনর্ব্যবহার করা এবং রিসাইকেল করা।
* সচেতনতা বৃদ্ধি: পোস্টার, আলোচনা বা ছোট সভার মাধ্যমে উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণ ও তার ফলাফল সম্পর্কে অন্যদের সচেতন করা এবং তাদেরও পরিবেশবান্ধব কাজ করতে উৎসাহিত করা।
* জল সংরক্ষণ: জলের অপচয় বন্ধ করা, কারণ জল শোধন ও সরবরাহেও শক্তি খরচ হয়।

18. তোমার বাড়িতে বা ঘরে যাতে জলের অপচয় না-হয় তার জন্য তোমার পদক্ষেপমূলক চিন্তা-ভাবনা কী? এই বিষয়ে তুমি তোমার পরিবারের সদস্যদের কীভাবে সজাগ করবে?
উত্তর: বাড়িতে জলের অপচয় রোধ করার জন্য আমার চিন্তা-ভাবনা ও পদক্ষেপ:
* অভ্যাস পরিবর্তন: নিজে ব্রাশ করার সময়, হাত ধোয়ার সময় বা স্নানের সময় অপ্রয়োজনে ট্যাপ খোলা রাখব না।
* লিক পরীক্ষা: বাড়ির কল বা পাইপে কোনো লিক আছে কিনা তা পরীক্ষা করা এবং থাকলে তা দ্রুত সারানোর ব্যবস্থা করা।
* কম জল ব্যবহার: ফ্ল্যাশে, কাপড় কাচা বা বাসন মাজার সময় প্রয়োজনের অতিরিক্ত জল ব্যবহার না করা। সম্ভব হলে কম জল লাগে এমন সরঞ্জাম ব্যবহার করা।
* পুনরায় ব্যবহার: সবজি ধোয়া জল বা RO ফিল্টারের বাতিল জল ফেলে না দিয়ে গাছের গোড়ায় বা ঘর মোছার কাজে ব্যবহার করা।
* বৃষ্টির জল সংরক্ষণ: সম্ভব হলে বৃষ্টির জল সংগ্রহ করে বাগান বা গাড়ি ধোয়ার কাজে ব্যবহার করা।
পরিবারের সদস্যদের সজাগ করার উপায়:
* তাদের সাথে জলের গুরুত্ব এবং অপচয়ের ফলাফল নিয়ে আলোচনা করব।
* বাড়ির জলের বিল দেখিয়ে বোঝাতে পারি অপচয় কমালে কীভাবে খরচও কমবে।
* জল সংরক্ষণের সহজ উপায়গুলো তাদের বলব এবং নিজে করে দেখাব।
* ছোট ভাইবোন থাকলে তাদের খেলার ছলে বা গল্পের মাধ্যমে জলের গুরুত্ব বোঝাব।
* সবাই মিলে জল সংরক্ষণের অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য একে অপরকে উৎসাহিত করব।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *