পাঠ – ৯: রচনা লেখার চাবিকাঠি, Class 5, Chapter 9, Bengali, SEBA New Book, Bengali Medium

ক – পাঠভিত্তিক (পৃষ্ঠা ৭১)
প্রশ্ন: এবার পাঠের সাহায্য নিয়ে ঘোড়ার বিষয়ে লেখো।
উত্তর: ঘোড়াও একটি পোষ্য প্রাণী। ওর দুটো চোখ, দুটো খাড়া কান, একটি নাক ও চারটে শক্ত পা আছে। ঘোড়ার শিং নেই। ওর লেজটা একগুচ্ছ লম্বা চুল দিয়ে তৈরি এবং ঘাড়ে ঢেউয়ের মতো সুন্দর কেশর আছে। ঘোড়ার গায়ের রঙ বাদামি, সাদা, ঘন-বাদামি বা ধূসর হয়। ঘোড়া খুব দ্রুত দৌড়াতে পারে। ঘোড়া কচি ঘাস, ছোলা এবং কলাই খায়। ঘোড়া মনিবকে পিঠে নিয়ে দৌড়ায় এবং গাড়ি টানে। সৈনিকেরাও ঘোড়া ব্যবহার করেন।
(পৃষ্ঠা ৭২)
উত্তর দাও।
(ক) মনু আর ভানুর মধ্যে কী নিয়ে লড়াই?
উত্তর: মনু (গোরু) আর ভানু (ঘোড়া) – এই দুই বন্ধুর মধ্যে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে লড়াই হচ্ছিল।
(খ) ভানুকে পেলে কে আহ্লাদে আটখানা হন?
উত্তর: ভানুর মনিবের একজন সৈনিক বন্ধু আছেন, তিনি ভানুকে পেলে আহ্লাদে আটখানা হন।
(গ) দুজনের লড়াই কেন থেমে যায়?
উত্তর: মনু আর ভানুর মনিব এসে ওদের দুজনকে নিয়ে গেলে ওদের লড়াই থেমে যায়।
উত্তর লেখো।
(ক) গোরু ও ঘোড়ার আকৃতি ও স্বভাবের কী কী মিল এবং কী কী অমিল আছে?
উত্তর:
* মিল: গোরু ও ঘোড়া দুজনেই চতুষ্পদ প্রাণী। দুজনেরই দুটো চোখ, একটি নাক ও চারটে পা আছে। দুজনেরই মুখ লম্বাটে এবং গায়ের রঙ বাদামি হতে পারে। দুজনেই কচি ঘাস খায় এবং মানুষের পোষা প্রাণী।
* অমিল: গোরুর শিং আছে, ঘোড়ার শিং নেই। গোরুর লেজের আগায় একগুচ্ছ চুল থাকে, কিন্তু ঘোড়ার লেজ পুরোটাই লম্বা চুলে তৈরি। ঘোড়ার ঘাড়ে কেশর আছে, যা গোরুর নেই। ঘোড়া খুব দ্রুত দৌড়াতে পারে, যা গোরু পারে না।
(খ) গোরু ও ঘোড়া মানুষের কী কী উপকার সাধন করে?
উত্তর:
* গোরু: গোরু দুধ দেয়, যা খেয়ে মানুষ সুস্থ থাকে। গোরু চাষবাসের কাজে মানুষকে সাহায্য করে। গোরুর গোবর দিয়ে ঘুঁটে এবং সার তৈরি হয়।
* ঘোড়া: ঘোড়া মনিবকে পিঠে নিয়ে দৌড়ায়। ঘোড়া গাড়ি টানে। সৈনিকেরা যুদ্ধের কাজেও ঘোড়া ব্যবহার করেন।
শব্দ-সম্ভারের সাহায্য নিয়ে নীচের শব্দগুলোর অর্থ লেখো।
* শ্রেষ্ঠত্ব – বড়ো বা মহান ভাব
* গুচ্ছ – গোছা, আঁটি
* ধূসর – ছাই রঙের
* আহ্লাদ – আনন্দ, খুশি
* ঘুঁটে – গোবর শুকিয়ে তৈরি জ্বালানি
* কেশর – ঘোড়ার ঘাড়ের চুল
* কলাই – এক প্রকার ডাল
* মনিব – প্রভু, মালিক
* পাটকিলে – পাট বা খয়েরি রঙের
* স্বতন্ত্র – আলাদা, ভিন্ন
খ- ভাষা-অধ্যয়ন (ব্যবহারিক ব্যাকরণ) (পৃষ্ঠা ৭৩)
নীচের যুক্তবর্ণগুলো ভেঙে দেখাও এবং সেই যুক্তবর্ণ দিয়ে দুটো করে শব্দ গঠন করো।
* স্থ (স্ + থ) – সুস্থ, স্থান
* ন্ধ (ন্ + ধ) – অন্ধ, বন্ধন
* ঙ্গ (ঙ্ + গ) – মঙ্গল, সঙ্গীত
* দ্ধ (দ্ + ধ) – শুদ্ধ, যুদ্ধ
* শ্ব (শ্ + ব) – বিশ্বাস, শ্বাস
* ন্তু (ন্ + ত + উ) – কিন্তু, সন্তু
শব্দগুলো থেকে অর্থ জেনে নিয়ে প্রত্যেকটি দিয়ে একটি করে বাক্য রচনা করো।
* একগুচ্ছ: আমার বাগানে একগুচ্ছ রজনীগন্ধা ফুটেছে।
* লিক-লিকে: সাপের বাচ্চাটি লিক-লিকে।
* নাদুস-নুদুস: গোরুর দুধ খেয়ে মনিবের ছেলে-মেয়েরা নাদুস-নুদুস হয়েছে।
* আহ্লাদে আটখানা: মনিবের সৈনিক বন্ধু ঘোড়াটিকে পেয়ে আহ্লাদে আটখানা হন।
* মনিব-বউ: মনিব-বউ গোবর দিয়ে ঘুঁটে বানান।
* ঘন-বাদামি: ঘোড়াটির গায়ের রঙ ঘন-বাদামি।
* চাষ-বাস: গোরু চাষ-বাসের কাজে সাহায্য করে।
* কচি-কচি: গোরু কচি-কচি ঘাস খায়।
* লম্বা-লম্বা: ঘোড়ার লেজটি লম্বা-লম্বা চুল দিয়ে তৈরি।
* ছেলে-মেয়ে: মনিবের ছেলে-মেয়েরা খুব ভালো।
(পৃষ্ঠা ৭৫)
নীচের অনুচ্ছেদটি পড়ে নির্দিষ্ট স্থানে বিরাম চিহ্ন বসাও।
উত্তর: মানুষ ঘোড়া পোষে। ওর চারটা পা, দুটি চোখ, দুটি খাড়া কান, একটি দীর্ঘ চুলবিশিষ্ট লেজ আছে। ঘাড়েও রয়েছে চমৎকার কেশর। এর গায়ের রঙ সাদা, কালো, ধূসর, বাদামি। ঘোড়া ঘাস, ছোলা, কলাই খেয়ে বেঁচে থাকে। ঘোড়া গাড়ি টানে। সৈনিক ঘোড়ায় চড়ে যুদ্ধ করে।
পাঠের হাইফেন (-) যুক্ত শব্দগুলো বেছে নিয়ে লেখো।
উত্তর:
* সুখ-দুঃখ
* শক্ত-শক্ত
* লম্বা-লম্বা
* নাদুস-নুদুস
* চাষ-বাস
* কচি-কচি
* ঘন-বাদামি
* ছেলে-মেয়ে
* মনিব-বউ
* লিক-লিকে
গ- জ্ঞান-সম্প্রসারণ (পৃষ্ঠা ৭৬)
এককথায় কী হবে বলো তো।
* যে প্রাণীর চারটি পা আছে – চতুষ্পদ
* যে প্রাণী মাংস খায় – মাংসাশী
* যে প্রাণী তৃণ খেয়ে বেঁচে থাকে – তৃণভোজী
* যে প্রাণীকে গৃহে পালন করা হয় – গৃহপালিত
* যে ব্যক্তি নগরে থাকে – নাগরিক
* পরের উপকার করে যে – পরোপকারী
* কোন ঋতুতে হতে ঠান্ডা পড়ে – শীতকাল
* কোন ঋতুতে গরম পড়ে – গ্রীষ্মকাল
নীচে কয়েকটি প্রাণীর নাম দিয়ে দেওয়া হল। তাদের বাসস্থানের নাম পাশের থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো।
* গোরু – গোয়াল
* পায়রা – খোপ
* বাঘ – গুহা
* ঘোড়া – আস্তাবল
(পৃষ্ঠা ৭৭)
দলে আলোচনা করে নীচের তালিকাটি পূর্ণ করো। (আলোচনার বিষয় বস্তু – ছাগল)
* ক) বাসস্থান – গোয়াল বা খোঁয়াড়।
* খ) গৃহপালিত/বন্য – ছাগল গৃহপালিত প্রাণী, তবে বন্য ছাগলও হয়।
* গ) খাদ্য – ঘাস, লতাপাতা, গাছের পাতা খায়।
* ঘ) প্রকার – রামছাগল, যমুনাপারি, ব্ল্যাক বেঙ্গল ইত্যাদি নানা প্রকারের ছাগল হয়।
* ঙ) বর্ণ – সাদা, কালো, বাদামি বা মিশ্র রঙের হয়।
* চ) উপকারিতা – ছাগল দুধ ও মাংস দেয়। এর চামড়াও কাজে লাগে।
* ছ) প্রকৃতি (স্বভাব) – ছাগল শান্ত প্রকৃতির প্রাণী।
* জ) আকৃতি (শরীরের গঠন) – ছাগলের চারটি পা, দুটি শিং, দুটি চোখ, দুটি কান ও একটি ছোট লেজ আছে।
* ঝ) অপকারিতা – ছাগল ছোট গাছপালা খেয়ে নষ্ট করে ফেলে।
* ঞ) তাদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব – তাদের নিয়মিত খাবার ও পরিষ্কার জল দেওয়া এবং থাকার জায়গা পরিষ্কার রাখা উচিত। অসুস্থ হলে চিকিৎসা করানো দরকার।
(পৃষ্ঠা ৭৮)
কোন জন্তুর কী খাবার তা রেখা টেনে মেলাও।
* গোরু – ঘাস
* বিড়াল – মাছ
* বাঘ – মাংস
* পাখি – শস্যের দানা
* হাতি – কলাগাছ
নিম্নলিখিত পারিবারিক সম্বন্ধগুলো বুঝে নিয়ে লেখো।
* (ক) বাবার বড়ো ভাই – জ্যেঠামশাই
* (খ) বাবার বড়ো ভাইয়ের স্ত্রী – জ্যেঠাইমা
* (গ) বাবার ছোটো ভাই – কাকা
* (ঘ) বাবার ছোটো ভাইয়ের স্ত্রী – কাকিমা
* (ঙ) বাবার বোন/দিদি – পিসিমা
* (চ) বাবার বোন/দিদির স্বামী – পিশেমশাই
* (ঝ) মার ভাই/দাদা – মামা
* (এও) মার ভাই/দাদার স্ত্রী – মামি
* (ট) মার বোন – মাসিমা
* (ঠ) মার বোনের স্বামী – মেশোমশাই
(পৃষ্ঠা ৭৯)
নীচের শব্দগুলো দিয়ে … বাক্য রচনা করো।
* কুকুর: কুকুর একটি প্রভুভক্ত প্রাণী।
* গোলাপ: গোলাপ খুব সুন্দর ফুল।
* ধান: ধান থেকে চাল হয়।
* কাগজ: আমি কাগজে ছবি আঁকছি।
* লোহা: লোহা একটি শক্ত ধাতু।
নীচের ছকে অনেকগুলো জীব-জন্তুর নাম লুকিয়ে আছে, খুঁজে বের করো।
উত্তর: ছাগল, ভেড়া, গন্ডার, ময়ূর, বাঘ, হরিণ, কুমির, বাঁদর, হাতি, শিয়াল, সাপ।
দুজন বন্ধুর মধ্যে যদি কোনো কিছু নিয়ে ঝগড়া বাঁধে তুমি তাদের কী উপদেশ দেবে।
উত্তর: দুজন বন্ধুর মধ্যে ঝগড়া বাঁধলে আমি তাদের শান্ত হতে বলব। আমি বলব যে, ঝগড়া করে বন্ধুত্ব নষ্ট করা ঠিক নয়। তাদের বলব, কোনো ভুল বোঝাবুঝি হলে তা আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নেওয়া উচিত এবং একে অপরের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া উচিত।
ধাঁধা বলো।
(ক) ফরসা সাহেবেরা কালো টুপি পরে, একবার ঘসে দিলে উঠে যে জ্বলে।
উত্তর: দেশলাই ।
(খ) বড়ো একটি পুকুরের ছোটো দুটি ঘাটে, বত্রিশটি কলাগাছ, একটি পাতা তাতে।
উত্তর: মুখ, দাঁত ও জিভ।
(পৃষ্ঠা ৮০)
নীচের ছবিগুলো দেখে সেগুলোর বিষয়ে তিনটি করে বাক্য লেখো।
* (বাবুই পাখির বাসা): বাবুই পাখি খুব সুন্দর বাসা বানায়। ওরা খড়কুটো দিয়ে বাসা বোনে। ওদের বাসাকে তালগাছে ঝুলতে দেখা যায়।
* (পাখির বাসা): পাখিটি তার বাসায় বাচ্চাদের জন্য খাবার এনেছে। বাচ্চারা হাঁ করে মায়ের জন্য অপেক্ষা করছে। বাসাটি গাছের ডালে খড়কুটো দিয়ে তৈরি।
* (কাঠঠোকরা): এটি একটি কাঠঠোকরা পাখি। এর ঠোঁট খুব শক্ত। এটি গাছের গুঁড়িতে ঠোকর মেরে পোকা বের করে খায়।
* (বিড়াল): বিড়াল একটি গৃহপালিত প্রাণী। সে মাছ খেতে খুব ভালোবাসে। বিড়াল ইঁদুর ধরে আমাদের উপকার করে।
* (হাঁস): হাঁস জলে সাঁতার কাটে। হাঁস ডিম দেয়। হাঁসেরা একসাথে দল বেঁধে থাকে।
ঘ- প্রকল্প
* (ক) বিভিন্ন গৃহপালিত জীব-জন্তুর ছবি সংগ্রহ করে শক্ত কাগজে আঠা দিয়ে লাগাও এবং ছবির নীচে নাম লেখো।
* (খ) বিভিন্ন জীব-জন্তু বিষয়ক গল্প সংগ্রহ করে লেখো এবং শ্রেণিতে পড়ে শোনাও।
* (গ) ধাঁধা সংগ্রহ করো।
(পৃষ্ঠা ৮১ পাঠের মূল্যায়ন তালিকা, এতে কোনো অনুশীলনমূলক কাজ নেই।)
