পাঠ-৯ পরিবেশ প্রদূষণ , Class 5, Chapter 9,

এখানে পাঠ-৯ পরিবেশ প্রদূষণ , Class 5, Environment Chapter 9, SEBA, Bengali Medium

Next Chapter 

অনুশীলনী
১। উত্তর লেখো-
(ক) পরিবেশ প্রদূষণ বলতে কী বোঝো?
উত্তর- যখন কোনো অবাঞ্ছিত পদার্থ বা জিনিস বায়ু, জল এবং মাটির সঙ্গে মিশ্রিত হয়, তখন পরিবেশ প্রদূষিত হয়। এই অবস্থাকেই পরিবেশ প্রদূষণ বলে।
(খ) প্রদূষণ কয় প্রকার এবং কী কী?
উত্তর- পাঠ্যপুস্তক অনুসারে, প্রদূষণ প্রধানত চার প্রকার। সেগুলি হলো:
* বায়ু প্রদূষণ
* জল প্রদূষণ
* মাটি প্রদূষণ
* শব্দ প্রদূষণ
(গ) বায়ু প্রদূষণের দুটি কারণ লেখো।
উত্তর- বায়ু প্রদূষণের দুটি কারণ হলো:
* যানবাহন থেকে নির্গত ধোঁয়া।
* কল-কারখানা বা উদ্যোগ থেকে নির্গত বিষাক্ত গ্যাস ও ধোঁয়া।
(ঘ) জল প্রদূষণ কোন কোন দিকে প্রভাব ফেলতে পারে? যে কোনো দুটি দিকের উল্লেখ করো।
উত্তর- জল প্রদূষণ যে দুটি দিকে প্রভাব ফেলে, তা হলো:
* উদ্যোগ থেকে নির্গত বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থের ফলে জলের মাছ এবং অন্যান্য জলজ প্রাণী রোগাক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করে।
* এই দূষিত জল ব্যবহার করলে মানুষ কলেরা, জন্ডিস, টাইফয়েড এবং আমাশয়-এর মতো জলবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়।
(ঙ) মাটি প্রদূষণের দুটি কারণ উল্লেখ করো।
উত্তর- মাটি প্রদূষণের দুটি কারণ হলো:
* কৃষিক্ষেত্রে অধিক শস্য উৎপাদনের জন্য রাসায়নিক সার ব্যবহার, যা মাটির গুণাগুণ নষ্ট করে।
* টিন ও প্লাস্টিক জাতীয় সামগ্রী, যেগুলি সহজে পচে মাটিতে মেশে না, সেগুলি মাটিতে ফেলে রাখা।
(চ) পরিবেশে শব্দ প্রদূষণ কীভাবে সৃষ্টি হয়?
উত্তর- মানুষের বিভিন্ন কাজের ফলে পরিবেশে শব্দ প্রদূষণ সৃষ্টি হয়। যেমন:
* অপ্রয়োজনে জোরে গাড়ির হর্ন বাজানো।
* জোরে মাইক, রেডিয়ো, মিউজিক সিস্টেম বা বাদ্যযন্ত্র বাজানো।
* পটকা বা আতশবাজি ফুটানো।
* কল-কারখানার যন্ত্রপাতির শব্দ।
২। শূন্যস্থান পূরণ করো-
(ক) পরিবেশ প্রদূষিত করার পদার্থগুলোকে প্রদূষক বলা হয়।
(খ) ইন্ধন পোড়ালে বায়ুমণ্ডলে কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাসের পরিমাণ বেড়ে যায়।
(গ) কৃষি কার্যে রাসায়নিক সারের পরিবর্তে জৈবিক সার ব্যবহার করা উচিত।
(ঘ) শব্দ প্রদূষণের ফলে মানুষের শ্রবণ শক্তি কমে যেতে পারে।
(ঙ) পরিবেশের প্রত্যেকটি উপাদানকে প্রদূষণমুক্ত করে রাখা আমাদের সবার কর্তব্য ও দায়িত্ব।
৩। নীচের বাক্যগুলো শুদ্ধ করে লেখো-
(ক) যানবাহন থেকে নির্গত ধোঁয়া বায়ু প্রদূষিত করে না।
উত্তর- যানবাহন থেকে নির্গত ধোঁয়া বায়ু প্রদূষিত করে।
(খ) উদ্যোগের আশপাশে গাছের চারা রোপণ না করা।
উত্তর- উদ্যোগ ক্ষেত্রের চারপাশে যথেষ্ট গাছের চারা রোপণ করতে হবে।
(গ) সৌরশক্তির পরিবর্তে কয়লা, পেট্রোল ইত্যাদি ইন্ধন হিসাবে ব্যবহার করা উচিত।
উত্তর- কয়লা, পেট্রোল, ডিজেল, কেরোসিন ইত্যাদির পরিবর্তে সৌরশক্তি, গোবর গ্যাস ইত্যাদি ইন্ধন হিসাবে ব্যবহার করতে পারি।
(ঘ) পুনরাবর্তন প্রক্রিয়ায় পরিবেশ প্রদূষণ রোধ করা যায় না।
উত্তর- পুনরাবর্তন প্রক্রিয়ার দ্বারা আমরা পরিবেশ প্রদূষণ রোধ করতে পারি।
(ঙ) বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করার দরকার নেই।
উত্তর- জলের ব্যবস্থা নেই এমন স্থানে বৃষ্টির জল সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা উচিত।
৪। বায়ু প্রদূষণ রোধ করার জন্য দুটি ব্যবস্থার উল্লেখ করো।
উত্তর- বায়ু প্রদূষণ রোধ করার দুটি ব্যবস্থা হলো:
* পারতপক্ষে যানবাহনের ব্যবহার কম করা উচিত। কম দূরত্বের জায়গায় হেঁটে অথবা সাইকেলে যাওয়া উচিত।
* যানবাহন এবং উদ্যোগসমূহে প্রদূষক নিয়ন্ত্রক ফিল্টার লাগানো উচিত।
৫। জল প্রদূষণ রোধ করার জন্য তিনটি ব্যবস্থার উল্লেখ করো।
উত্তর- জল প্রদূষণ রোধ করার তিনটি ব্যবস্থা হলো:
* উদ্যোগগুলো থেকে নির্গত বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ ও উত্তপ্ত জল সরাসরি নদী বা খালে ফেলা বন্ধ করা। (তথ্যসূত্র:)
* নদ-নদী, খাল-বিল বা পুকুরে স্নান করা, কাপড় ধোয়া, গোরু-মহিষকে স্নান করানো এবং আবর্জনা বা জীবজন্তুর মৃতদেহ ফেলা বন্ধ করা। (তথ্যসূত্র:)
* কৃষিকার্যে ব্যবহৃত রাসায়নিক সার বা কীটনাশক দ্রব্য যাতে বৃষ্টির জলের সঙ্গে মিশে জলাশয়ে পড়তে না পারে, সেদিকে লক্ষ্য রাখা। (তথ্যসূত্র:)
৬। মাটি প্রদূষণ কীভাবে রোধ করা যায় লেখো।
উত্তর- মাটি প্রদূষণ রোধ করার উপায়গুলি হলো:
* কৃষিক্ষেত্রে রাসায়নিক সারের পরিবর্তে জৈবিক সার, যেমন কেঁচো সার বা পচন সার, ব্যবহার করা।
* প্লাস্টিকের ব্যাগের পরিবর্তে কাপড় বা পাটের ব্যাগ ব্যবহার করা, কারণ প্লাস্টিক সহজে মাটিতে মেশে না।
* ঘরোয়া আবর্জনা, শাক-সবজির অপ্রয়োজনীয় অংশ ইত্যাদি যেখানে-সেখানে না ফেলে সেগুলি দিয়ে পচন সার বা কেঁচো সার প্রস্তুত করা।
৭। শব্দ প্রদূষণের ফলে কী কী সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
উত্তর- শব্দ প্রদূষণের ফলে মানুষের শ্রবণ শক্তি কমে যেতে পারে। এছাড়া, এই প্রদূষণ উচ্চ রক্তচাপের রোগীর হৃদযন্ত্রের সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *