ক – পাঠভিত্তিক
(ক) অম্লান ও অনন্যা কার বাড়িতে বেড়াতে এসেছে?
উত্তর: অম্লান ও অনন্যা দিল্লি থেকে লামডিং-এ মাসির বাড়ি বেড়াতে এসেছে।
(খ) মাসি তাদের কীসের বাটিতে জলখাবার খেতে দিয়েছিলেন?
উত্তর: মাসি তাদের কাঁসার বাটিতে জলখাবার খেতে দিয়েছিলেন।
(গ) কাঁসার বড়ো বাটিকে কী বলা হয়?
উত্তর: কাঁসার বড়ো বাটিকে জামবাটি বলে।
(ঘ) কাঁসা-পিতলের কারখানায় কীভাবে বাসন-কোসন গড়া হয়?
উত্তর: প্রথমে তামা আর রাং পরিমাণ মতো মিশিয়ে আগুনে গলানো হয়। তারপর কারখানায় সেই মিশ্রণকে হাতুড়ি পিটিয়ে এবং যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে নানা ধরনের বাসন-কোসন বা শিল্পসামগ্রী তৈরি করা হয়।
(ঙ) অসমে কাঁসা শিল্প কোন শিল্পের অন্তর্গত?
উত্তর: অসমে কাঁসা শিল্প একটি ‘কুটির শিল্প’ হিসেবে অন্তর্গত।
প্রশ্ন: কাঁসা শিল্প সম্বন্ধে পাঁচটি বাক্য লেখো।
উত্তর:
১. কাঁসা হলো তামা ও রাং পরিমাণ মতো মিশিয়ে তৈরি এক ধরনের মিশ্র ধাতু।
২. কাঁসার কারখানায় হাতুড়ি পিটিয়ে ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে বাসন-কোসন তৈরি করা হয়।
৩. শরাই হলো কাঁসার তৈরি একটি জিনিস যা অসমিয়া সংস্কৃতির প্রতীক।
৪. সর্থেবাড়ি কাঁসা-পিতলের শিল্পের জন্য বিখ্যাত।
৫. কাঁসাশিল্প অসমের সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ এবং এটি একটি কুটির শিল্প।
প্রশ্ন: পাঠে উল্লিখিত বিভিন্ন ধরনের কাঁসার সামগ্রীর নাম লেখো।
উত্তর: পাঠে উল্লিখিত কাঁসার সামগ্রীগুলো হলো: বাটি, থালা, গন্ডার, ঢাল-তরোয়াল, শরাই, ঘণ্টা, পিলসুজ, প্রদীপ, গ্লাস এবং জামবাটি।
প্রশ্ন: অসমের কোন কোন শহর কাঁসা-পিতলের শিল্পের জন্য বিখ্যাত?
উত্তর: অসমের সর্থেবাড়ি কাঁসা-পিতলের শিল্পের জন্য বিখ্যাত। (পাঠটিতে হাজো-তে কাঁসার কারখানা পরিদর্শনের কথাও উল্লেখ আছে)।
প্রশ্ন: পাঠে ‘ফুটফুটে জ্যোৎস্না’, ‘ঝকঝকে বাটি’, ‘ছটফটে অরুন্ধতী’ শব্দগুলো পেয়েছ। নিম্নরেখ শব্দগুলোর অর্থ জেনে নিয়ে খাতায় লেখো।
উত্তর:
* ফুটফুটে – খুব পরিষ্কার বা নির্মল।
* ঝকঝকে – খুব উজ্জ্বল বা চকচকে।
* ছটফটে – খুব চঞ্চল বা অস্থির।
(দ্রষ্টব্য: ‘শব্দ-সম্ভার থেকে নীচের শব্দের অর্থগুলো খুঁজে নিয়ে লেখো’ – এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সম্ভব নয় কারণ পাঠ্যবইয়ের শব্দ-সম্ভার অংশটি এখানে দেওয়া হয়নি।)
প্রশ্ন: নীচের বাক্যটির ভাব বুঝে নিয়ে লেখো।
“কাঁসাশিল্প আমাদের সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।”
উত্তর: এই বাক্যটির ভাবার্থ হলো, কাঁসা শিল্প অসমের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সঙ্গে এমনভাবে জড়িয়ে আছে যে তাকে আলাদা করা যায় না। অসমের ঘরে ঘরে, পূজা-পার্বণে, নামঘর-মন্দিরে কাঁসার তৈরি জিনিসপত্র (বিশেষত শরাই) ব্যবহার করা হয়। এটি অসমীয়া জীবনধারার একটি অংশে পরিণত হয়েছে, তাই এটি সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।
খ- ভাষা-অধ্যয়ন (ব্যবহারিক ব্যাকরণ)
প্রশ্ন: পাঠের যুক্তবর্ণগুলো ভেঙে দেখাও।
উত্তর:
* সন্ধ্যা (ন্ধ) = ন + ধ
* গন্ডার (ন্ড) = ণ + ড
* প্রশ্ন (শ্ন) = শ + ন
* ছোট্ট (ট্ট) = ট + ট
* শিল্প (ল্প) = ল + প
* জ্যোৎস্না (স্ন) = স + ন
* অবিচ্ছেদ্য (চ্ছ) = চ + ছ
* গম্বুজ (ম্ব) = ম + ব
প্রশ্ন: নীচের যুক্তবর্ণগুলো ভেঙে দেখাও এবং প্রত্যেকটি যুক্তবর্ণ দিয়ে দুটি করে শব্দ লেখো।
উত্তর:
* ক্র = ক + র (্র)
* দুটি শব্দ: ক্রয়, বক্র
* ন্ত = ন + ত
* দুটি শব্দ: শান্ত, অনন্ত
প্রশ্ন: বাক্য রচনা করো।
উত্তর:
* ঢাল-তরোয়াল – আগেকার দিনের যোদ্ধারা ঢাল-তরোয়াল নিয়ে যুদ্ধ করতেন।
* বাসন-কোসন – মা রান্নাঘরের বাসন-কোসন পরিষ্কার করছেন।
* থালা-বাটি – কাঁসার থালা-বাটি দেখতে খুব সুন্দর।
* কাঁসা-পিতল – সর্থেবাড়ি কাঁসা-পিতল শিল্পের জন্য পরিচিত।
* যন্ত্রপাতি – কারখানায় কাজ করার জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি দরকার।
* শিল্পসামগ্রী – কাঁসা দিয়ে নানা রকম শিল্পসামগ্রী তৈরি হয়।
প্রশ্ন: বাক্যের পাশের বন্ধনীর মধ্য থেকে উপযুক্ত শব্দ বেছে নিয়ে শূন্যস্থান পূর্ণ করো।
উত্তর:
(ক) সর্থেবাড়িতে কাঁসার বাসন-কোসন তৈরি করা হয়।
(খ) রাঁধুনি ভাত রাঁধেন।
(গ) অঞ্চলের জনগন মিলে পথটি নির্মাণ করেছেন।
প্রশ্ন: উদাহরণের মতো বাক্য গঠন করো।
উত্তর:
* (উদাহরণ) আমি ভাত খাই – আমি ভাত খেয়েছিলাম – আমি ভাত খাব
* ময়না নাচে – ময়না নেচেছিল – ময়না নাচবে
* অজয় গান গায় – অজয় গান গেয়েছিল – অজয় গান গাইবে
* রিনা পড়ে – রিনা পড়েছিল – রিনা পড়বে
* মলয়া কবিতা লেখে – মলয়া কবিতা লিখেছিল – মলয়া কবিতা লিখবে
গ- জ্ঞান-সম্প্রসারণ
প্রশ্ন: তোমরা ত্রিপুরা, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, অরুণাচল প্রদেশ, মণিপুর, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ইত্যাদি রাজ্যের রাজধানীর নাম জেনে নাও এবং খাতায় লেখো।
উত্তর:
* ত্রিপুরা – আগরতলা
* মেঘালয় – শিলং
* নাগাল্যান্ড – কোহিমা
* অরুণাচল প্রদেশ – ইটানগর
* মণিপুর – ইম্ফল
* পশ্চিমবঙ্গ – কলকাতা
* বিহার – পাটনা
প্রশ্ন: কাঁসা-শিল্প অসমের এক উল্লেখযোগ্য কুটির শিল্প। অসমের অন্যান্য কয়েকটি কুটির শিল্পের কথা শিক্ষক/শিক্ষয়িত্রীর কাছ থেকে জেনে নিয়ে তোমাদের খাতায় লেখো।
উত্তর: অসমের অন্যান্য কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কুটির শিল্প হলো:
* বস্ত্রশিল্প বা তাঁত শিল্প
* বাঁশ ও বেতের শিল্প
* মৃৎশিল্প (মাটির বাসনপত্র তৈরি)
* জাপি (অসমীয়া টুপি) শিল্প
প্রশ্ন: তোমাদের বাড়ির বাসন-কোসনগুলোর একটি তালিকা তৈরি করো। কোন বাসন কোন ধাতু দিয়ে তৈরি তা বড়োদের কাছ থেকে জেনে নিয়ে লেখো।
উত্তর: (এটি ছাত্রছাত্রীদের নিজেদের করার জন্য। একটি নমুনা উত্তর:)
* বাসনের নাম – ধাতু
* থালা – কাঁসা বা স্টিল
* বাটি – কাঁসা বা স্টিল
* গ্লাস – কাঁসা, স্টিল বা কাচ
* কড়াই – লোহা বা অ্যালুমিনিয়াম
* হাঁড়ি – অ্যালুমিনিয়াম
* চামচ – স্টিল
প্রশ্ন: ছবির সঙ্গে মিলিয়ে নাম লেখো।
উত্তর: (পাঠের ছবি অনুযায়ী):
* গ্লাস
* কলস
* থালা
* পানের বাটা
* ফুলদানি
* জামবাটি
ঘ- প্রকল্প
(এই পৃষ্ঠায় আঁকার কাজ দেওয়া হয়েছে।)
