পাঠ – ৮: রঙের রহস্য, Class 5, Chapter 8, Bengali, SEBA New Book, Bengali Medium

ক – পাঠভিত্তিক (পৃষ্ঠা ৬৩)
উত্তর দাও।
(ক) রঙের রহস্য কে আবিষ্কার করেছেন?
উত্তর: স্যার আইজাক নিউটন রঙের রহস্য আবিষ্কার করেছেন।
(খ) সূর্যের আলোয় কয়টি রং থাকে?
উত্তর: সূর্যের আলোয় সাতটি রং থাকে।
(গ) সাদা রং কীভাবে সৃষ্টি হয়?
উত্তর: সূর্যের আলোয় থাকা সেই সাতটি রং মিলেই সাদা রং হয়।
(ঘ) আদিম মানুষেরা গুহার গায়ে কী আঁকত?
উত্তর: আদিম মানুষেরা গুহার গায়ে রঙিন ছবি আঁকত।
(ঙ) কোন কোন প্রাণী আমাদের মতো রং চেনে?
উত্তর: গরিলা, গিবন, শিম্পাঞ্জী এবং ওরাংওটাং জাতীয় বন-মানুষরা এবং কিছু পাখিও আমাদের মতো রং চিনতে পারে।
কার কী রং দাগ টেনে মেলাও।
* আকাশ – নীল
* গাছের পাতা – সবুজ
* দুধ – সাদা
* সর্ষে ফুল – হলুদ
* বেগুন – বেগুনি
শূন্যস্থান পূর্ণ করো।
* (ক) স্যার আইজাক নিউটন-এর মতো অতবড়ো বিজ্ঞানী হাজার বছরে দুজন পাওয়া দুষ্কর।
* (খ) কুমির সব জিনিসকেই মাটির রং-এ দেখতে পায়।
* (গ) মৌ-মাছিরা অতি-বেগুনি রংটি দেখতে পায়।
খ- ভাষা-অধ্যয়ন (ব্যবহারিক ব্যাকরণ) (পৃষ্ঠা ৬৪)
রেখাঙ্কিত যুক্তবর্ণগুলো ভেঙে দেখাও।
* মুগ্ধ – গ্ধ = গ + ধ
* দুষ্কর – ষ্কর = ষ + ক + র (অথবা, ষ্ক = ষ + ক)
* অস্ত – স্ত = স + ত
* অনুসন্ধান – ন্ধ = ন + ধ
* বিজ্ঞানী – জ্ঞ = জ + ঞ
* নিশ্চয় – শ্চ = শ + চ
* স্বয়ং – স্ব = স + ব
* বয়স্ক – স্ক = স + ক
* শিম্পাঞ্জী – ম্প = ম + প; ঞ্জ = ঞ + জ
* ওড়াচ্ছে – চ্ছ = চ + ছ
বাক্য রচনা করো।
* আমোদ – কচি খোকার মতো বুদবুদ নিয়ে খেলা করা এক অদ্ভুত আমোদ।
* বুদবুদ – নিউটন বুদবুদের গায়ে রামধনুর রং নিয়ে অনুসন্ধান করছিলেন।
* দুষ্কর – নিউটনের মতো অতবড়ো বিজ্ঞানী পাওয়া দুষ্কর।
* রামধনু – বুদবুদের গায়ে যে রামধনুর রং দেখা যায়, নিউটন তার কারণ খুঁজছিলেন।
* আকর্ষণ – আদিম মানুষেরও রঙের প্রতি আকর্ষণ ছিল।
নীচের বিশেষণ পদে উপযুক্ত বিশেষ্য পদ বসাও।
* (ক) লাল – ফুল
* (খ) সবুজ – পাতা
* (গ) হলুদ – পাখি
গ- জ্ঞান-সম্প্রসারণ (পৃষ্ঠা ৬৬)
একটি রামধনুর ছবি এঁকে নীচের রংগুলো অনুযায়ী ব্যবহার করো।
(এটি একটি ছবি আঁকার কাজ। ছাত্রছাত্রীরা রামধনুর ছবি এঁকে তাতে VIBGYOR অনুযায়ী রং করবে।)
(পৃষ্ঠা ৬৭)
এখন নীচের রংগুলো মেশালে কী নতুন রঙের সৃষ্টি হয় সেটা দেখে লেখো।
* (ক) লাল + নীল = বেগুনি
* (খ) লাল + হলুদ = কমলা
* (গ) হলুদ + নীল = সবুজ
* (ঘ) লাল + নীল + হলুদ = কালো (বা বাদামি)
দলে আলোচনা করে সংক্ষেপে নীচের বিষয় নিয়ে লেখো।
* বিজ্ঞানী – যিনি বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা করেন, তিনিই বিজ্ঞানী। যেমন স্যার আইজাক নিউটন একজন বড়ো বিজ্ঞানী ছিলেন।
* রামধনু – সূর্যের আলোয় থাকা সাতটি রঙের ছটা, যা বুদবুদের গায়ে বা আকাশে দেখা যায়।
* বায়ুমণ্ডল – পৃথিবীর চারপাশের গ্যাসের আবরণ। ভোরের সূর্যের লাল আভা দেখার কারণ হলো বায়ুমণ্ডল অন্য রং শোষণ করে নেয়।
* গুহা – আদিম মানুষেরা গুহার ভেতরের দেয়ালে রঙিন ছবি আঁকত।
* আদিম মানুষ – বহুকাল আগের মানুষেরা, যাদের রঙের প্রতি বিশেষ আকর্ষণ ছিল।
* আবিষ্কার – নতুন কিছু খুঁজে বের করা। নিউটন আবিষ্কার করেছিলেন যে সূর্যের আলোয় সাতটি রং আছে।
আমরা সারাদিন চোখের সামনে বিভিন্ন রঙের অনেক জিনিস দেখতে পাই। রংভেদে সেসব জিনিসের একটি তালিকা প্রস্তুত করো।
* সাদা – দুধ, ভাত, কাগজ
* লাল – রক্ত, গোলাপ ফুল, জবা ফুল
* কালো – চুল, কালি, ব্ল্যাকবোর্ড
* নীল – আকাশ, অপরাজিতা ফুল
* হলদে – হলুদ, সর্ষে ফুল, গাঁদা ফুল
* সবুজ – গাছের পাতা, ঘাস, কাঁচা আম
ঘ- প্রকল্প (পৃষ্ঠা ৬৮)
রঙীন কাগজ দিয়ে ফুল, ফুলের মালা, শেকল বা ঘর সাজানোর সামগ্রী তৈরি করো।
(এটি একটি手工 (craft) কাজ।)
কী হয় দেখো এবং খাতায় লেখো।
* চুনের জলের সঙ্গে হলুদ মেশালে – রং লাল হয়ে যায়।
* হলুদ জলের সঙ্গে সাবান মেশালে – রং লাল হয়ে যায়।
* পুঁই শাকের লাল বীচি হাতে মাখলে – হাতে লালচে-বেগুনি রং লাগে।
* মেহেন্দি পাতা বেটে হাতে লাগালে – হাতে কমলা-লাল রং লাগে।
দেখতে কেমন লাগবে তা খাতায় লেখো।
* একটি লাল ফুলকে ভিন্ন ভিন্ন রঙের পাতলা কাগজ বা কাচের মধ্য দিয়ে দেখলে – যদি লাল রঙের কাচের মধ্য দিয়ে দেখি, তবে ফুলটিকে লালই দেখাবে। কিন্তু যদি সবুজ বা নীল রঙের কাচের মধ্য দিয়ে দেখি, তবে ফুলটিকে কালো দেখাবে।
ছবিগুলোতে রং করো।
