প্রশ্ন: নীচের উক্তিগুলো কে কাকে বলেছিল, বলো।
(ক) “প্রথমে ছেঁড়া কাঁটা ভাগ করি, এসো।”
উত্তর: নেপাল তার ভাই গোপালকে বলেছিল।
(খ) “বাবা, তুমি এত কষ্ট করছ কেন?”
উত্তর: পাশের বাড়ির বুড়িমা গোপালকে বলেছিলেন।
(গ) “কী করব, দাদা যে আমার চেয়ে বড়ো।”
উত্তর: গোপাল পাশের বাড়ির বুড়িমাকে বলেছিল।
প্রশ্ন: নেপাল ও গোপালের পূর্বপুরুষের সম্পত্তি বলতে কী কী ছিল?
(ক) ছেঁড়া কাঁথা
(খ) বাগানের ফলন্ত গাছ
(গ) শ্যামলী গাই
প্রশ্ন: নীচের উত্তরগুলো বলো ও লেখো।
(ক) নেপাল ও গোপাল কার সম্পত্তি ভাগাভাগি করে নিয়েছিল?
উত্তর: নেপাল ও গোপাল তাদের পূর্বপুরুষের সম্পত্তি ভাগাভাগি করে নিয়েছিল।
(খ) কীভাবে নেপাল ও গোপাল ছেঁড়া কাঁthaটা ভাগাভাগি করেছিল?
উত্তর: নেপাল ঠিক করল যে শীতকালে রাতে সে কাঁথাটা গায়ে দেবে, আর গোপাল দিনের বেলা সেটা ব্যবহার করবে।
(গ) গোপালের দুঃখ দেখে পাশের বাড়ির বুড়িমা কী বলেছিলেন?
উত্তর: গোপালের দুঃখ দেখে পাশের বাড়ির বুড়িমা তাকে একটা বুদ্ধি দিলেন। তিনি গোপালকে বললেন দিনের বেলায় কাঁথাটা ভিজিয়ে রাখতে, নেপাল গাছে উঠলে গাছের গোড়া কাটার ভান করতে, এবং দুধ দোয়ানোর সময় শ্যামলী গাইয়ের কানে সুড়সুড়ি দিতে।
(ঘ) বুড়িমার কথামতো গোপাল কী করেছিল?
উত্তর: বুড়িমার কথামতো গোপাল দিনের বেলায় ছেঁড়া কাঁথাটা ভিজিয়ে রাখল, নেপাল গাছে ফল পাড়তে উঠলে কুড়ুল দিয়ে গাছের গোড়া কাটার ভান করল এবং দুধ দোয়ানোর সময় শ্যামলীর কানে সুড়সুড়ি দিতে লাগল।
প্রশ্ন: বাক্যগুলো সম্পূর্ণ করো।
(ক) নেপাল আর গোপাল ………. ।
উত্তর: নেপাল আর গোপাল দুই ভাই।
(খ) গোপাল ………. রাতে কাঁপতে থাকে।
উত্তর: গোপাল প্রচণ্ড শীতের রাতে অন্ধকার কোণে বসে কাঁপতে থাকে।
(গ) গোপাল ………. জল, সার দেয় আর নেপাল ………. তার ফল খায়।
উত্তর: গোপাল গাছের গোড়ায় জল, সার দেয় আর নেপাল মহানন্দে তার ফল খায়।
(ঘ) ছোটোভাই ………. যত্ন করে খাওয়ায় আর বড়োভাই মজা করে তার দুধ খায়।
উত্তর: ছোটোভাই শ্যামলীকে যত্ন করে খাওয়ায় আর বড়োভাই মজা করে তার দুধ খায়।
(ঙ) দুই ভাই ………. সুখে দিন কাটাতে লাগল।
উত্তর: দুই ভাই মিলেমিশে সুখে দিন কাটাতে লাগল।
খ- ভাষা-অধ্যয়ন (ব্যবহারিক ব্যাকরণ)
প্রশ্ন: এবার এরকম আরও কয়েকটি শব্দের অর্থ জেনে বাক্য রচনা করো। (ছুটন্ত, ঝুলন্ত, ঘুমন্ত, জীবন্ত)
উত্তর:
* ছুটন্ত: ছুটন্ত ট্রেন থেকে নামা উচিত নয়।
* ঝুলন্ত: আমরা একটা ঝুলন্ত সাঁকো পার হলাম।
* ঘুমন্ত: ঘুমন্ত শিশুটির মুখে চাঁদের আলো পড়েছে।
* জীবন্ত: জাদুঘরে যেন জীবন্ত ইতিহাস কথা বলছে।
প্রশ্ন: এবার শিক্ষকের সাহায্যে পাঠের অন্যান্য বিশেষণ পদগুলো খুঁজে বের করো এবং খাতায় লেখো।
উত্তর: পাঠে ব্যবহৃত অন্যান্য বিশেষণ পদগুলি হলো:
* ছেঁড়া (কাঁথা)
* ফলন্ত (গাছের)
* প্রচণ্ড (শীতের)
* অন্ধকার (কোণে)
* পাকা (ফল)
* ছোটো (ভাই)
প্রশ্ন: এবার নীচের শব্দগুলোর বিপরীতার্থক শব্দ কী হবে ভেবে বলো ও লেখো।
উত্তর:
* সম্মতি – অসম্মতি
* শুকনো – ভিজা
* শীতকাল – গ্রীষ্মকাল
* আরাম – কষ্ট
* রাজি – নারাজ
* সামনে – পিছন
* চালাকি – সরলতা
প্রশ্ন: এসো, যুক্তবর্ণ ভেঙে লিখি
উত্তর:
* জ (ব্জ) = জ + র-ফলা (্)
* ন্ধ = ন + ধ
* শ্চ = শ + চ
* ণ্ড = ণ + ড
* ষ্ট = ষ + ট
প্রশ্ন: এসো বাক্য রচনা করি।
উত্তর:
* মুখ চোরা (লাজুক) – রাজু খুব মুখ চোরা ছেলে, সহজে কথা বলে না।
* মুখ ঝামটা (বকা, তিরস্কার) – খারাপ ব্যবহার করায় মা তাকে মুখ ঝামটা দিলেন।
* মুখ সামলান (সাবধানে কথা বলা) – শিক্ষকের সামনে মুখ সামলে কথা বলা উচিত।
* মুখ রক্ষা (সম্মান রক্ষা) – পরীক্ষায় প্রথম হয়ে সে পরিবারের মুখ রক্ষা করেছে।
* মুখ চুন হওয়া (লজ্জা পাওয়া) – মিথ্যা কথা ধরা পড়ায় তার মুখ চুন হয়ে গেল।
* মুখ ভার (অভিমান) – খেলতে যেতে না পারায় গোপালের মুখ ভার।
গ- জ্ঞান-সম্প্রসারণ
প্রশ্ন: শ্যামলী গাই নেপাল ও গোপালকে দুধ দিত। এইভাবে আর কী কী গৃহপালিত জন্তু আমাদের জীবিকা নির্বাহে সাহায্য করে?
উত্তর: গরু ছাড়াও ছাগল (দুধ ও মাংস দেয়), হাঁস ও মুরগি (ডিম ও মাংস দেয়) এবং বলদ (জমি চাষে সাহায্য করে) আমাদের জীবিকা নির্বাহে সাহায্য করে।
প্রশ্ন: ‘নেপাল ও গোপাল’ গল্পটিতে তোমরা দেখলে যে- শেষে নেপাল দারুণ জব্দ হল আর লজ্জাও পেল খুব। এরকম খারাপ কাজের ফল কখনও ভালো হয় না। তোমরা কোন কাজগুলোকে খারাপ বলে ভাব?
উত্তর: আমরা মিথ্যা কথা বলা, চুরি করা, লোভ করা, অন্যকে ঠকানো, বড়দের কথা না শোনা এবং পড়াশোনায় অবহেলা করাকে খারাপ কাজ বলে ভাবি।
প্রশ্ন: তোমরা খবরে শুনেছ, চিতা বাঘ অরণ্য ছেড়ে লোকালয়ে প্রবেশ করছে। বলতে পারো কারণ কী?
উত্তর: মানুষ জঙ্গল কেটে ফেলায় বাঘেদের থাকার জায়গা কমে যাচ্ছে। জঙ্গলে তাদের খাবারেরও অভাব হচ্ছে। তাই বাঘ খাবারের খোঁজে অরণ্য ছেড়ে লোকালয়ে প্রবেশ করছে।
প্রশ্ন: যদি তোমাদের অঞ্চলে বাঘ বা অন্য প্রাণী হঠাৎ চলে আসে তবে তুমি কী করবে?
উত্তর: যদি আমাদের অঞ্চলে বাঘ বা অন্য প্রাণী চলে আসে, আমি সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির ভেতরে বা কোনো নিরাপদ জায়গায় চলে যাব। আমি বড়দের খবর দেব এবং বন বিভাগে (Forest Department) ফোন করতে বলব।
প্রশ্ন: নীচের ছবিটি দেখো এবং লেপ কীভাবে তৈরি করা হয় তা আলোচনা করে লেখো।
উত্তর: ছবিটি দেখে বোঝা যাচ্ছে, লেপ তৈরি করার জন্য প্রথমে একজন কারিগর ধুনুরির সাহায্যে তুলো ধুনে সেগুলোকে হালকা ও পরিষ্কার করে নেন। এরপর সেই তুলো লেপের খোল বা আবরণের মধ্যে সমানভাবে বিছিয়ে দেওয়া হয়। সবশেষে, সুচ ও মোটা সুতো দিয়ে সেলাই করে লেপটি সম্পূর্ণ করা হয়।
