পাঠ ৪, ফলার বর্ণন, Chapter: 4, Class: 4, SEBA New book, Bengali

ক- পাঠভিত্তিক

(ক) কবিতাটি কমা, দাঁড়ি বজায় রেখে আবৃত্তি করো।
(দ্রষ্টব্য: এটি একটি আবৃত্তি করার ক্রিয়াকলাপ।)
(খ) নীচের শব্দগুলোর অর্থ শব্দ-সম্ভার থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো।
উত্তর:
* ফলার – জলখাবার বা লঘু আহার (বিশেষত ফল, মিষ্টি, দই, চিঁড়ে ইত্যাদি)।
* খাজা – ময়দা ও চিনি দিয়ে তৈরি এক ধরণের ভাজা মিষ্টি।
* নিখুতি – যার কোনো খুঁত বা ত্রুটি নেই; নিখুঁত।
* তিতি – তেতো।
* অধম – নীচ, নিকৃষ্ট।
* মতিচুর – বেসন দিয়ে তৈরি ছোট ছোট কণা বা ‘বুঁদি’ দিয়ে তৈরি এক প্রকার লাড্ডু।
(গ) উত্তর দাও।
(১) ফলার কাকে বলে?
উত্তর: সাধারণত ফল, মিষ্টি, দই, চিঁড়ে ইত্যাদি দিয়ে করা লঘু আহারকে ফলার বলে।
(২) উত্তম ফলার কাকে বলে?
উত্তর: কবি রামনারায়ণ তর্করত্নের মতে, যে ফলারে ঘিয়ে ভাজা লুচি, আদার কুচি, কচুরি, ছকা, শাকভাজা, মতিচুর, বোঁদে, খাজা, নিখুঁতি, জিলাপি, গজা, হরেক রকম মণ্ডা, ছানাবড়া, ক্ষীর এবং কাতারি দই থাকে এবং যা পেট ভরে খাওয়া যায়, তাকে উত্তম ফলার বলে। [cite: 188-191]
(৩) অধম ফলার কাকে বলে?
উত্তর: যে ফলারে গুমো (পুরনো বা গন্ধযুক্ত) চিঁড়ে, জলো দই, তেতো গুড় এবং ধেনো খই থাকে এবং যা খেয়ে পেট ভরে না, তাকে অধম ফলার বলে।
(ঘ) ক-অংশের কথাগুলোর সঙ্গে খ-অংশের কথা মিলিয়ে লেখো।
উত্তর:
ক) ছকা আর শাকভাজা – মতিচুর বোঁদে খাজা
খ) হরেক রকম মন্ডা – যদি দেয় গন্ডা গন্ডা
গ) রোদ্দুরেতে মাথা ফাটে – হাত দিয়ে পাত চাটে
ঘ) অনন্তর বাম হাতে – দক্ষিণা পানের সাথে
ঙ) গুমো চিঁড়ে জলো দই – তিতি গুড় ধেনো খই

খ- ভাষা-অধ্যয়ন (ব্যবহারিক ব্যাকরণ)

(ক) এবার নীচের শব্দগুলোর নঞর্থক রূপ ভেঙে দেখাও।
উত্তর:
* নাই + মিল = অমিল
* নাই + যুক্তি = অযুক্তি
* নাই + বিধি = অবিধি
* নাই + খ্যাতি = অখ্যাতি
* নাই + রুচি = অরুচি
* নাই + সম্মতি = অসম্মতি
* নাই + ঋণ = অঋণ
* নাই + জ্ঞান = অজ্ঞান
* নাই + সংযম = অসংযম
(খ) এবার নীচের শব্দগুলোকে একটি শব্দে প্রকাশ করো।
উত্তর:
(ক) রান্নাবান্না করার ঘর – রান্নাঘর
(খ) জলের অভাবের জন্য ক্লেশ – জলকষ্ট
(গ) খাবারের অভাব – খাদ্যাভাব
(ঘ) রান্না করেন যে মহিলা – রাঁধুনি
(ঙ) মিষ্টি মিশ্রিত অন্ন – মিষ্টান্ন

(ক) কবিতাটিতে ‘সক্সক্’ জাতীয় শব্দ পেয়েছ। এধরনের শব্দকে ধ্বন্যাত্মক শব্দ বলা হয়। তোমরা এধরনের কয়েকটি শব্দ সংগ্রহ করে খাতায় লেখো।
উত্তর: কয়েকটি ধ্বন্যাত্মক শব্দ হলো:
* ঝমঝম (বৃষ্টি পড়ার শব্দ)
* কলকল (নদীর স্রোতের শব্দ)
* মচমচ (কিছু ভাঙার শব্দ)
* টুপটাপ (ফল পড়ার শব্দ)
(খ) ওপরের উদাহরণটির মতো নীচের শব্দগুলোরও অর্থ-পার্থক্য লিখে দেখাও এবং শব্দগুলো দিয়ে বাক্য রচনা করো।
উত্তর:
* কই (ক্রিয়াপদ) – কোথায় (যেমন: তুমি কই গেলে?)
* কৈ (বিশেষ্য) – একটি মাছের নাম (যেমন: বাবা বাজার থেকে কৈ মাছ এনেছেন।)
* বিনা (অব্যয়) – ছাড়া (যেমন: পরিশ্রম বিনা সাফল্য লাভ হয় না।)
* বীণা (বিশেষ্য) – এক প্রকার বাদ্যযন্ত্র (যেমন: সরস্বতীর হাতে বীণা থাকে।)
* পড়া (ক্রিয়াপদ) – পাঠ করা (যেমন: আমি বইটি পড়ে ফেলেছি।)
* পরা (ক্রিয়াপদ) – পরিধান করা (যেমন: সে নতুন জামা পরে বাইরে গেল।)

গ- জ্ঞান-সম্প্রসারণ

(ক) তুমি খেতে ভালোবাসো এমন কয়েকটি মিষ্টির নাম লেখো।
উত্তর: আমি খেতে ভালোবাসি এমন কয়েকটি মিষ্টি হলো: রসগোল্লা, সন্দেশ, জিলাপি, লাড্ডু এবং চমচম।
(খ) তুমি কী কী শাক খাও এবং কেন খাও?
উত্তর: আমি পালং শাক, পুঁই শাক, লাউ শাক ইত্যাদি খাই। শাক খেলে শরীরে ভিটামিন ও খনিজ লবণের অভাব পূরণ হয় এবং স্বাস্থ্য ভালো থাকে, তাই আমি শাক খাই।
(গ) কয়েকটি তেতো খাবারের নাম লেখো।
উত্তর: কয়েকটি তেতো খাবার হলো করলা ভাজা, নিম পাতা ভাজা এবং উচ্ছে।
(ঘ) এই কবিতাটিতে ঘিয়ে ভাজা, শাক ভাজা ইত্যাদি কয়েক প্রকারের ভাজা খাবারের নাম পেয়েছ। অনুরূপভাবে আরও কয়েকটি ভাজা খাবারের নামের একটি তালিকা প্রস্তুত করো।
উত্তর: কয়েকটি ভাজা খাবারের নাম হলো:
* মাছ ভাজা
* বেগুন ভাজা
* আলু ভাজা
* পটল ভাজা
* ডিম ভাজা
(ঙ) মালভোগ ও জাহাজি কলা ছাড়া আর কী কী কলার নাম জানো লেখো।
উত্তর: মালভোগ ও জাহাজি কলা ছাড়া আরও কয়েক প্রকার কলা হলো: চাঁপা কলা, কাঁচকলা এবং সিঙ্গাপুরী কলা।

(ক) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সারাদিন তুমি সাধারণত কী কী খাবার খাও তার একটি তালিকা তৈরি করো।
উত্তর:
* সকালে: দুধ ও বিস্কুট/রুটি।
* দুপুরে: ভাত, ডাল, সবজি, মাছ বা ডিম।
* বিকেলে: ফল বা হালকা জলখাবার।
* রাতে: রুটি বা ভাত এবং সবজি।
(খ) প্রাণীগুলো কে কী খায়? (হাতি, মানুষ, বাঘ, মাছরাঙা, বাদুড়, কাঠবেড়ালি, বাঁদর, বেড়াল, শালিক, বক, পায়রা, শেয়াল, হাঁস, কাক)
উত্তর:
* হাতি – ঘাস, পাতা, কলা গাছ খায়।
* মানুষ – ভাত, মাছ, মাংস, সবজি, ফল খায়।
* বাঘ – মাংস খায়।
* মাছরাঙা – মাছ খায়।
* বাদুড় – ফল বা পোকা খায়।
* কাঠবেড়ালি – ফল বা বাদাম খায়।
* বাঁদর – ফল, পাতা, সবজি খায়।
* বেড়াল – মাছ, দুধ, ভাত খায়।
* শালিক – পোকা, ফল, ভাত খায়।
* বক – মাছ খায়।
* পায়রা – শস্যদানা খায়।
* শেয়াল – ছোট প্রাণী বা মাংস খায়।
* হাঁস – শামুক, মাছ, ভাত খায়।
* কাক – এঁটো খাবার, পোকা, ফল খায়।

প্রশ্ন: ভাব বুঝে অর্থ লেখো।
“অল্প অর্জন, বিস্তর ভোজন,
সেই পুরুষের দরিদ্র লক্ষণ।।”
উত্তর: ভাবার্থ – যে লোক আয় বা উপার্জন কম করে, কিন্তু খায় অনেক বেশি (অর্থাৎ আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি করে), সেই লোকের মধ্যে ভবিষ্যতে দরিদ্র বা গরিব হওয়ার লক্ষণ প্রকাশ পায়।

(ক) নীচের ধাঁধাটির উত্তর দাও।
“পাখা আছে মোর না পারি উড়তে,
আঁখি আছে মোর না পারি মুদতে।
পা নেই মোর তবুও ঘুরি,
জীবন কাটাই জলে চরি।
যদি তুমি আমায় চিনতে পারো
তবে মোর নামটি মনে করো।”
উত্তর: মাছ।
ঘ- প্রকল্প:

প্রশ্ন: তোমার বাড়ির বড়োদের জিজ্ঞেস করে তিনটি প্রবাদ সংগ্রহ করো এবং সেই তিনটির ভাব বুঝে নিয়ে লেখো।
উত্তর:
১. প্রবাদ: অতি লোভে তাঁতি নষ্ট।
* ভাব: খুব বেশি লোভ করলে শেষে নিজেরই ক্ষতি হয়, যা আছে তাও হারাতে হয়।
২. প্রবাদ: নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা।
* ভাব: নিজে কোনো কাজ ঠিকমতো করতে না পেরে সেই ব্যর্থতার জন্য অন্যকে বা পরিস্থিতিকে দোষ দেওয়া।
৩. প্রবাদ: দশের লাঠি একের বোঝা।
* ভাব: দশজন মিলে কোনো কাজ করলে তা সহজেই হয়ে যায়, কিন্তু সেই কাজটা একা একজনকে করতে হলে তা বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। (অর্থাৎ একতাই বল)।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *