
পাঠ-১৩ ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন এবং অসম , Class 5, Environment Chapter 13, SEBA, Bengali Medium
Next Chapter
অনুশীলনী
১। উত্তর লেখো-
(ক) কখন ভারত একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করে?
উত্তর- ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ১৫ ই আগস্ট ভারত একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করে।
(খ) ভারতীয় নাগরিকদের কয়টি মৌলিক কর্তব্য আছে?
উত্তর- ভারতীয় নাগরিকদের ১১টি মৌলিক কর্তব্য আছে।
(গ) সংবিধান সভার সভাপতি কে ছিলেন?
উত্তর- সংবিধান সভার সভাপতি ছিলেন ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ।
(ঘ) সংবিধান খসড়া কমিটির সভাপতি কে ছিলেন?
উত্তর- সংবিধান খসড়া কমিটির সভাপতি ছিলেন ডঃ ভীমরাও আম্বেদকার।
(ঙ) ভারতীয় সংবিধানটি কবে গৃহীত হয়েছিলো?
উত্তর- ভারতীয় সংবিধানটি ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ২৬ শে জানুয়ারি তারিখে গৃহীত হয়েছিলো।
২। শূন্যস্থান পূরণ করো-
(ক) আমরা ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দ থেকে প্রতি বছর ২৬ শে জানুয়ারি গণতন্ত্র দিবস হিসাবে পালন করি।
(খ) ভারতের সংবিধানটি একটি দীর্ঘতম সংবিধান। (টীকা: পাঠ্যপুস্তকে সরাসরি “দীর্ঘতম” শব্দটি নেই, তবে ভারতের সংবিধানের বর্ণনার প্রেক্ষিতে এটিই সঠিক উত্তর।)
(গ) ভারতবর্ষ একটি সার্বভৌম- সমাজবাদী, ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক -গণরাজ্য।
(ঘ) প্রত্যেক দেশ বা রাষ্ট্রের একটি নিজস্ব- সংবিধান -আছে।
(ঙ) ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ১৫ ই আগষ্ট ভারত স্বাধীনতা লাভ করে।
৩। মৌলিক অধিকার বলতে কী বোঝো এবং সেগুলো কী কী লেখো।
উত্তর- ভারতীয় সংবিধান দ্বারা নাগরিকদের ব্যক্তিত্বের বিকাশের জন্য যে কিছু বিশেষ অধিকার নির্ধারণ করা হয়েছে, তাকে মৌলিক অধিকার বলা হয়। এই অধিকারসমূহের সাহায্যে নাগরিকরা সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমান সুযোগ-সুবিধা লাভ করেন।
সংবিধান আমাদেরকে ছয় প্রকার মৌলিক অধিকার প্রদান করেছে। সেগুলো হল:
* সাংবিধানিক প্রতিকারের অধিকার
* স্বাধীনতার অধিকার
* সমতার অধিকার
* শিক্ষা এবং সংস্কৃতির অধিকার
* শোষণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের অধিকার
* ধর্মীয় অধিকার
৪। পোস্টার তৈরি করো-
(এটি শিক্ষার্থীদের নিজেদের করার জন্য একটি কাজ।)
৫। সংক্ষিপ্ত টীকা লেখো-
(ক) স্বাধীনতা আন্দোলন
উত্তর- ইংরেজরা ব্যবসা-বাণিজ্য করার পাশাপাশি ভারতকে নিজেদের দখলে নিয়ে শাসন করতে শুরু করে। ব্রিটিশদের অন্যায় অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ভারতীয়রা তাদের অধিকার সাব্যস্ত করতে পারছিলো না। ফলস্বরূপ, ভারতীয়রা অসন্তুষ্ট হয়ে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে এবং এই বিদ্রোহগুলোই ছিলো আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনের সূচনা। ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের সিপাহি বিদ্রোহ , মহাত্মা গান্ধির নেতৃত্বে অসহযোগ আন্দোলন , আইন অমান্য আন্দোলন এবং ভারত ছাড়ো আন্দোলন (১৯৪২) এই সংগ্রামের প্রধান অংশ ছিল।
(খ) ভারতের সংবিধান
উত্তর- কোনো দেশকে ভালোভাবে পরিচালনা এবং নাগরিকদের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যে নিয়ম-নীতি ও আইন-কানুনগুলো আছে, সেগুলোকে সামগ্রিকভাবে সংবিধান বলা হয়। ভারতের সংবিধান রচনার জন্য ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে একটি সংবিধান সভা গঠন করা হয়। ডঃ ভীমরাও আম্বেদকারের নেতৃত্বে গঠিত একটি খসড়া কমিটি এই সংবিধান রচনার কাজ ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দের ২৬ শে নভেম্বর সম্পূর্ণ করে। ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ২৬ শে জানুয়ারি তারিখে সংবিধান সভার সভাপতি ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ এতে স্বাক্ষর করেন এবং সংবিধানটি গৃহীত ও সম্পূর্ণরূপে কার্যকরী করা হয়।
(গ) মৌলিক অধিকার
উত্তর- ভারতীয় সংবিধান নাগরিকদের ব্যক্তিত্বের বিকাশের জন্য কিছু বিশেষ অধিকার প্রদান করেছে, যেগুলিকে মৌলিক অধিকার বলা হয়। এই অধিকারের মাধ্যমে নাগরিকদের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সমান সুযোগ-সুবিধা লাভ করার রক্ষণাবেক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সংবিধানে ছয় প্রকার মৌলিক অধিকারের উল্লেখ আছে, যেমন- সমতার অধিকার, স্বাধীনতার অধিকার, ধর্মীয় অধিকার ইত্যাদি।
(ঘ) মৌলিক কর্তব্য
উত্তর- দেশের কল্যাণ সাধনের জন্য নাগরিকদের শুধু মৌলিক অধিকার ভোগ করলেই হয় না, তার বিনিময়ে রাষ্ট্রের প্রতি কিছু দায়িত্বও পালন করতে হয়। দেশের প্রতি নাগরিকদের এই করণীয় কর্তব্যসমূহকে মৌলিক কর্তব্য বলে। ভারতীয় নাগরিকদের ১১টি মৌলিক কর্তব্য আছে।
