পাঠ – ১১: অমলপ্রভা দাস, Class 5, Chapter 11,

পাঠ – ১১: অমলপ্রভা দাস, Class 5, Chapter 11, Bengali, SEBA New Book, Bengali Medium

Next chapter

ক – পাঠভিত্তিক (পৃষ্ঠা ৯৪)

(ক) অমলপ্রভা দাসের পিতা ও মাতার নাম কী?

উত্তর: অমলপ্রভা দাসের পিতার নাম ড° হরিকৃষ্ণ দাস এবং মাতার নাম হেমপ্রভা দাস।

(খ) গুয়াহাটির শরণিয়া পাহাড়ে অমলপ্রভা কী কী উদ্যোগ স্থাপন করেছিলেন?

উত্তর: গুয়াহাটির শরণিয়া পাহাড়ে অমলপ্রভা দেশের যুবক-যুবতীদের স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে তেল উৎপাদনের জন্য ঘানি, কাগজ তৈরি, সাবান তৈরি, কাপড় বোনার তাঁত ইত্যাদি কুটির শিল্প স্থাপন করেছিলেন।

(গ) ১৯২১ সালে মহাত্মা গান্ধির কোন আন্দোলনের প্রভাব অসমেও পড়েছিল?

উত্তর: ১৯২১ সালে মহাত্মা গান্ধির অসহযোগ আন্দোলনের প্রভাব অসমেও পড়েছিল। এর ফলে অসমেও ‘বিদেশী বস্ত্র বর্জন’ ও ‘স্বদেশী বস্ত্র গ্রহণ’ কর্মকাণ্ড শুরু হয়।

(ঘ) অমলপ্রভা দাস কত বছর বয়স থেকে সুতা কাটতে আরম্ভ করেছিলেন?

উত্তর: দশ বছর বয়স থেকে অমলপ্রভা দাস সুতা কাটতে আরম্ভ করেছিলেন।

(ঙ) আচার্য বিনোবা ভাবের সঙ্গে তিনি কোন কোন আন্দোলনের সূত্রে সমগ্র অসম ভ্রমণ করেছিলেন?

উত্তর: আচার্য বিনোবা ভাবের শ্রমদান এবং ভূ-দান আন্দোলনের সহযোগী হয়ে তিনি সমগ্র অসম ভ্রমণ করেছিলেন।

কে, কাকে, কেন বলেছিলেন, বলো ও লেখো।

“আমি সামান্যভাবে যে-টুকু দেশসেবা করতে পেরেছি, তাকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। কিন্তু আমি এই সম্মান গ্রহণ করতে অসমর্থ, কারণ এ-টি আমার মনে অহংকার ভাব এনে দেবে। এ জন্য অনুগ্রহ করে আমাকে মার্জনা করবেন।”

উত্তর:

* কে: এই কথাগুলি অমলপ্রভা দাস বলেছিলেন।

* কাকে: তিনি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুকে চিঠিতে এই কথা লিখেছিলেন।

* কেন: ১৯৫৫ সালে ভারত-সরকার তাঁকে সমাজহিতকর কাজকর্মের জন্য ‘পদ্মবিভূষণ’ সম্মানে সম্মানিত করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি সেই রাষ্ট্রীয় সম্মান গ্রহণ করতে চাননি, কারণ তাঁর মনে হয়েছিল এই সম্মান তাঁর মনে অহংকার ভাব এনে দিতে পারে।

(পৃষ্ঠা ৯৫)

স্কুল জীবনে অমলপ্রভা দাস পড়াশোনা করা ছাড়াও মা-বাবাকে কী কী কাজে সাহায্য করতেন?

উত্তর: স্কুল জীবনে অমলপ্রভা দাস পড়াশোনা করা ছাড়াও মা-বাবাকে সংসারের কাজ-কর্মে সাহায্য করা, বাগানে ফুলগাছ লাগানো এবং গাছে জল দেওয়া ইত্যাদি কাজ খুব আনন্দের সঙ্গে করতেন।

কটন মহাবিদ্যালয়ে তাঁকে পড়তে দেওয়া হয়নি কেন?

উত্তর: কটন মহাবিদ্যালয়ে তাঁকে পড়তে দেওয়া হয়নি কারণ সেই সময় কটন মহাবিদ্যালয়ে সহ-শিক্ষার (অর্থাৎ ছাত্র ও ছাত্রীর একত্রে পড়ার) কোনো প্রচলন ছিল না। সেখানে কেবল ছেলেরাই পড়তে পারত।

তিনি নিজের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য কেন পরিত্যাগ করেছিলেন?

উত্তর: স্বরাজ আন্দোলনের সত্যাগ্রহী হিসেবে গ্রামে গ্রামে ঘোরার সময় অমলপ্রভা দাস গ্রামের মানুষের দারিদ্র্যের স্বরূপ নিজের চোখে প্রত্যক্ষ করেন। দেশের এই দরিদ্র জনতাকে উদ্ধার করার এবং তাদের দুঃখ মোচন করার আকাঙ্ক্ষাতেই তিনি তাঁর ব্যক্তিগত সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য সবকিছু পরিত্যাগ করেন।

এসো, শব্দের অর্থ জানি।

* সর্বস্ব – সব কিছু

* পন্থা – পথ, উপায়

* বিপ্লবী – বিপ্লবের সমর্থক

* স্বাবলম্বন – জীবিকা বা উপার্জনের ক্ষেত্রে নিজে নির্ভরশীল, আত্ম নির্ভরশীলতা

* স্বরাজ – স্বায়ত্ত শাসন, দেশবাসীর নিজেদের হাতে দেশশাসনের ক্ষমতা

* নিরহংকার – যার অহংকার নেই, অহংকারহীন

* সহ-শিক্ষা – ছাত্র ও ছাত্রীর একত্রে শিক্ষা

খ- ভাষা-অধ্যয়ন (ব্যবহারিক ব্যাকরণ) (পৃষ্ঠা ৯৫)

পাঠ থেকে নীচের যুক্তবর্ণ-যুক্ত শব্দ খুঁজে বের করে লেখো।

* ঘ্ন – বাধা-বিঘ্ন

* হ্ন – (পাঠ্যপুস্তকে এই যুক্তবর্ণটি পাওয়া যায়নি)

* স্ব – সর্বস্ব, স্বদেশী, স্বরাজ, স্বাবলম্বী

* স্ম – (পাঠ্যপুস্তকে এই যুক্তবর্ণটি পাওয়া যায়নি)

* ম্ম – সম্মান, সম্মানিত, সমর্পণ

* প্ল – (পাঠ্যপুস্তকে এই যুক্তবর্ণটি পাওয়া যায়নি)

* দ্ম – পদ্মবিভূষণ

(পৃষ্ঠা ৯৬)

উদাহরণের মতো শব্দ গঠন করো।

* নম্র – নম্রতা

* স্বাধীন – স্বাধীনতা

* ভদ্র – ভদ্রতা

* সার্থক – সার্থকতা

* সরল – সরলতা

* উজ্জ্বল – উজ্জ্বলতা

এবার এই উদাহরণের মতো আরো কয়েকটি শব্দ গঠন করো।

* উপযোগী – উপযোগিতা

* দূরদর্শী – দূরদর্শিতা

* দূরবর্তী – দূরবর্তিতা

এক কথায় প্রকাশ করো।

* (ক) সমাজের সেবা করেন যিনি – সমাজসেবী / সমাজসেবিকা

* (খ) দেশকে ভালোবাসেন যে ব্যক্তি – দেশপ্রেমী

* (গ) বিপ্লব পন্থার অনুগামী – বিপ্লবী

* (ঘ) দেশের জন্য মৃত্যুবরণ করেছেন যিনি – শহিদ

* (ঙ) জীবকার ক্ষেত্রে নিজের উপর নির্ভরশীল যে ব্যক্তি – স্বাবলম্বী

* (চ) কোনো কাজ করার ক্ষেত্রে যে ব্যক্তির সংকল্প দৃঢ় – দৃঢ়চেতা

(পৃষ্ঠা ৯৭)

অর্থের পার্থক্য দেখিয়ে নীচের শব্দগুলো দিয়ে একেকটি বাক্য রচনা করো।

* অন্য – বিনোদকে দিয়ে একাজ হবে না, অন্য লোক দেখো।

* অন্ন – এক মুঠো অন্নের জন্য লোকে কী না করে।

* ধনি – ভোরের বেলা পাখির ধনি শুনতে ভালো লাগে।

* ধনী – তিনি গ্রামের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি।

* দিন – আজ আমার ছুটির দিন।

* দীন – আমাদের দীন-দুঃখীদের সাহায্য করা উচিত।

* বিশ – আমার কাছে বিশ টাকা আছে।

* বিষ – সাপের দাঁতে বিষ থাকে।

* কমল – পুকুরে কমল ফুটেছে।

* কোমল – শিশুটির গাল খুব কোমল।

* বিনা – বিনা পরিশ্রমে ফল লাভ হয় না।

* বীণা – সরস্বতী দেবীর হাতে বীণা থাকে।

* শোনা – আমি গান শোনা পছন্দ করি।

* সোনা – সোনা একটি মূল্যবান ধাতু।

* যজ্ঞ – ঋষিরা যজ্ঞ করছিলেন।

* যোগ্য – তিনি এই পদের যোগ্য প্রার্থী।

* শাপ – রাজা মুনির শাপ থেকে মুক্ত হলেন।

* সাপ – বর্ষাকালে সাপের উপদ্রব বাড়ে।

নীচের অনুচ্ছেদটি পড়ো এবং উদাহরণের মতো বাক্সে বিশেষ্য, বিশেষণ ও সর্বনাম পদগুলো খুঁজে বের করে খাতায় লেখো।

* বিশেষ্য – পিতা-মাতা, জীবন-যাপন, দেশপ্রেম, সমাজ সেবা, পরিবেশ, অমলপ্রভা, পড়াশোনা, আগ্রহ, বই-পত্র, বিদ্যালয়, ছুটি, বাড়ি, মা-বাবা, সংসার, কাজ-কর্ম, বাগান, ফুলগাছ, জল, নাচ-গান।

* বিশেষণ – অবস্থাপন্ন, অনাড়ম্বর, সরল, বিরাজিত, ছোটোবেলা, অদম্য, মেধাবী, অনবরত, ব্যস্ত, আনন্দে, সমান, দক্ষ।

* সর্বনাম – তাঁর, তাঁদের, তিনি।

এসো, ভাব- সম্প্রসারণ করি।

সোনা যতই পোড়ে, উজ্জ্বলতা তার ততই বাড়ে।

উত্তর: এই কথাটির অর্থ হলো, সোনাকে আগুনে পোড়ালে তা আরও খাঁটি হয় এবং তার উজ্জ্বলতা বেড়ে যায়। ঠিক সেইরকম, যে মানুষ জীবনের লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ, তাঁর জীবনে যতই বাধা-বিঘ্ন বা প্রতিকূলতা আসুক না কেন, তিনি সেই সব জয় করে আরও উজ্জ্বল বা সফল হয়ে ওঠেন।

গ- জ্ঞান-সম্প্রসারণ (পৃষ্ঠা ৯৮)

(ক) চন্দ্রপ্রভা শইকিয়ানির জন্ম কোথায় হয়েছিল?

উত্তর: চন্দ্রপ্রভা শইকিয়ানির জন্ম অসমের বজালির দৈশিঙরি গ্রামে হয়েছিল।

(খ) তিনি কত খ্রিস্টাব্দে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন?

উত্তর: তিনি ১৯০১ খ্রিস্টাব্দের ১৬ মার্চে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন।

(গ) তিনি কীভাবে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেছিলেন?

উত্তর: তাঁর ছোটোবেলায় গ্রামে পাঠশালা না থাকায় তিনি মাসির বাড়িতে থেকে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেছিলেন।

(ঘ) নিজের গ্রামের মেয়েদের জন্য চন্দ্রপ্রভা শইকিয়ানি কী কী করেছিলেন?

উত্তর: নিজের গ্রামের মেয়েদের জন্য চন্দ্রপ্রভা শইকিয়ানি একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় আরম্ভ করেন, যাতে গ্রামের মেয়েরা শিক্ষার আলোক লাভ করতে পারে।

(ঙ) চন্দ্রপ্রভা কীভাবে আবার পড়াশোনা শুরু করার সুযোগ পেয়েছিলেন?

উত্তর: একদিন বিদ্যালয়ের উপপরিদর্শক চন্দ্রপ্রভার বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করতে এসে অল্পবয়সি মেয়েটির সমাজসেবার মনোভাব দেখে আশ্চর্য হন এবং তাঁকে আবার পড়াশোনা শুরু করার জন্য বৃত্তি প্রদান করেন।

(চ) চন্দ্রপ্রভা নারীদের উন্নতির জন্য কী করেছিলেন?

উত্তর: চন্দ্রপ্রভা নারীসমাজের উন্নতির জন্য বদ্ধপরিকর ছিলেন। তিনি মহিলা সমিতি গঠন করে সমাজে মহিলাদের প্রতিষ্ঠিত করতে সর্বদা তৎপর ছিলেন।

(পৃষ্ঠা ৯৯)

অমলপ্রভা দাস ও চন্দ্রপ্রভা শইকিয়ানির মধ্যে কোন কোন ক্ষেত্রে মিল এবং কোন কোন ক্ষেত্রে অমিল লক্ষ করেছ, বলো ও লেখো।

উত্তর:

* মিল: অমলপ্রভা দাস এবং চন্দ্রপ্রভা শইকিয়ানি দুজনেই অসমের প্রখ্যাত সমাজসেবিকা ছিলেন। দুজনেই দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং নারীসমাজের উন্নতির জন্য কাজ করেছেন (অমলপ্রভা কুটির শিল্পের মাধ্যমে, চন্দ্রপ্রভা মহিলা সমিতির মাধ্যমে)।

* অমিল: অমলপ্রভা দাস অর্থনৈতিকভাবে অবস্থাপন্ন পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন, অন্যদিকে চন্দ্রপ্রভা এমন এক গ্রামে জন্মান যেখানে স্ত্রী শিক্ষার প্রচলনই ছিল না এবং তাঁকে মাসির বাড়িতে থেকে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করতে হয়। অমলপ্রভা উচ্চ শিক্ষায় (ব্যবহারিক রসায়ন বিদ্যায় এম. এস. সি.) শিক্ষিত ছিলেন, আর চন্দ্রপ্রভা নগাঁওয়ের মিশন স্কুল থেকে নর্মাল পাশ করে শিক্ষকতা শুরু করেন।

গান্ধিজি চরকায় সুতা কাটতেন। চরকা ছাড়াও আর কীভাবে সুতা কাটা যায়?

উত্তর: চরকা ছাড়াও ‘তকলি’ নামক যন্ত্রের সাহায্যে হাতে সুতা কাটা যায়। বর্তমানে কলকারখানায় বড় বড় আধুনিক যন্ত্র বা স্পিনিং মেশিনের সাহায্যে সুতা কাটা হয়।

 

(পৃষ্ঠা ১০০)

 

পাঠটি থেকে বিশেষ্য, বিশেষণ ও সর্বনাম পদগুলো খুঁজে নিয়ে নীচের তালিকার মতো একটি তালিকা তৈরি করো।

*বিশেষ্য – অমলপ্রভা, দেশ, দেশবাসী, কল্যাণ, পিতা-মাতা, পরিবার, দেশপ্রেম, সমাজ সেবা, পড়াশোনা, আগ্রহ, বই-পত্র, বিদ্যালয়, বাগান, ফুলগাছ, জল, নাচ-গান, কটন মহাবিদ্যালয়, সহ-শিক্ষা, কলকাতা, বেথুন কলেজ, রসায়ন বিদ্যা, গান্ধিজি, বস্ত্র, চরকা, সুতা, অভ্যাস, ছাত্রী, বিপ্লবীদল, শরণিয়া পাহাড়, কুটির শিল্প, কস্তুরবা আশ্রম, স্বরাজ, সত্যাগ্রহ, গ্রাম, মানুষ, দারিদ্র্য, জেল, শ্রমদান, ভূ-দান, অসম, চাকরি, জনসাধারণ, ভারতবর্ষ, ভারত-সরকার, পদ্মবিভূষণ, সম্মান, প্রধানমন্ত্রী, জওহরলাল নেহেরু, কৃতজ্ঞতা, অহংকার।

* বিশেষণ – প্রখ্যাত, সমাজ-সেবিকা, স্মরণীয়, সক্রিয়, স্বাধীন, সর্বাঙ্গীন, অপরিসীম, আদর্শবান, অবস্থাপন্ন, অনাড়ম্বর, সরল, অদম্য, মেধাবী, অনবরত, ব্যস্ত, দক্ষ, প্রথম, অসমিয়া, দেশব্যাপী, বিদেশী, স্বদেশী, পরম, দশ, সারাজীবন, নিয়মিত, দৃঢ় চেতা, স্পষ্টবাদী, উত্তম, অটল, গঠনমূলক, স্বাবলম্বী, বর্তমান, ব্যক্তিগত, দরিদ্র, অবিবাহিত, উচ্চ শিক্ষিত, অদম্য, সমাজহিতকর, আ

ন্তরিক, অসমর্থ, নিরহংকারী।

* সর্বনাম – তাঁদের, তিনি, নিজের, তাঁকে, সেখানে, এই, আমি, আমার, এ-টি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *