পাঠ: ১০, ঝড়, Chapter: 10, Class: 4, SEBA New book, Bengali

ক – পাঠভিত্তিক
উত্তর দাও।
(ক) ‘ঝড়’ পদ্যটি কে রচনা করেছেন?
উত্তর: ‘ঝড়’ পদ্যটি রচনা করেছেন কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
(খ) আকাশ ভেঙে পড়ে বৃষ্টির সঙ্গে আজ কে এসেছে?
উত্তর: আকাশ ভেঙে পড়ে বৃষ্টির সঙ্গে আজ ঝড় এসেছে।
(গ) ঝড় এলে মেঘের ডাকে কী বাজে?
উত্তর: ঝড় এলে মেঘের ডাকে মৃদঙ বাজে।
(ঘ) ঝড় এলে তার সঙ্গে কে আসে?
উত্তর: ঝড় এলে তার সঙ্গে বৃষ্টি আসে।
(ঙ) পোড়ো বাড়ির ভাঙা ভিটায় কীসের হাঁক ওঠে?
উত্তর: পোড়ো বাড়ির ভাঙা ভিটায় হাওয়ার হাঁক ওঠে।
প্রশ্ন: শব্দের সঙ্গে অর্থ মেলাও
উত্তর:
* ঝড় – তুফান বা প্রচণ্ড বায়ুপ্রবাহ
* মৃদঙ – পাখোয়াজ বা খোল
* ঝাপসা – অস্পষ্ট
* ধেনু – গোরু বা গাভী
* পোড়ো বাড়ি – অনেক দিন ব্যবহার হয়নি এমন বাড়ি
* ভিত – ভিত্তি/ভিটা
* স্রোত – জলের ধারা
* উত্তরীয় – চাদর বা উড়নি
* পারাবার – সমুদ্র

উত্তর লেখো।
(ক) ঝড়ের সময় মাঠে ধেনুরা কেন ডাকে?
উত্তর: ঝড়ের সময় বৃষ্টিধারায় চারপাশ ঝাপসা হয়ে যাওয়ায় ধেনুদল (গরুর পাল) ভয় পেয়ে বা দলছুট হয়ে একে অপরকে ডাকে।
(খ) ঝড়ের সময় তালের তলে বাঁধের জল শিউরে ওঠে কেন?
উত্তর: ঝড়ের প্রচণ্ড বাতাসে বাঁধের কালো জল কেঁপে ওঠে, তাই দেখে মনে হয় জল যেন ভয়ে শিউরে উঠছে।
প্রশ্ন: পাশের থেকে শব্দ এনে বাক্যগুলো পূর্ণ করো।
(ক) তালের তলে শিউরে ওঠে বাঁধের কালো জল।
(খ) আজ যে আমার সমস্ত মন আসন মেলে আছে।
(গ) পোড়ো বাড়ির ভাঙা ভিতে ওঠে হাওয়ার হাঁক।
(ঘ) কাজল মেঘে ঘনিয়ে ওঠে সজল ব্যাকুলতা।
(ঙ) দুলছে দূরে বনের শাখা, বৃষ্টি পড়ে বেগে।
প্রশ্ন: ঝড় এলে চারিদিকে কীরকম অবস্থার সৃষ্টি হয় বলে কবি লিখেছেন?
উত্তর: কবি লিখেছেন, ঝড় এলে আকাশ ভেঙে বৃষ্টি পড়ে, মেঘ ডেকে ওঠে। মাঠ ঝাপসা হয়ে যায় এবং ধেনুরা ডাকতে থাকে। বাঁধের কালো জল কেঁপে ওঠে। পোড়ো বাড়ির ভাঙা ভিতে হাওয়ার হাঁক শোনা যায়। বনের শাখা দুলতে থাকে এবং এলোমেলো হাওয়ায় কথা যেন খেই হারিয়ে ফেলে।
প্রশ্ন: পদ্যটির গদ্যরূপ নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তর: আজ আকাশ ভেঙে বৃষ্টি পড়ছে আর ঝড় এসেছে। মেঘের ডাকের সাথে তাল মিলিয়ে মৃদঙ বেজে উঠছে। এমন দিনে কী গান গাওয়া যায়? কালো আকাশ নীল ছায়ায় বুক ভরিয়ে দিয়েছে। বৃষ্টিতে ঝাপসা হয়ে আসা মাঠে গরুর দল ডাকছে। তালের গাছের নিচে বাঁধের কালো জল ভয়ে কেঁপে উঠছে।
পুরোনো পোড়ো বাড়ির ভাঙা ভিটাতে বাতাস যেন হাঁক দিচ্ছে। শূন্য মাঠের এক প্রান্ত যেন অন্য প্রান্তকে ডাকছে। তোমরা সবাই ঘরে এসো, আমার কাছে এসে বোসো। আজ আমার মন তোমাদের জন্য আসন পেতে আছে।
জল, স্থল আর বাতাসে আজ কী যেন ছুটে বেড়াচ্ছে। ঝড়ের পরে আমার প্রাণ উত্তরীয় উড়িয়ে দিচ্ছে।
বৃষ্টিধারার স্রোতে ভেসে তোমরা কারা আসছ? কোন পাগল সমুদ্রের ওপার থেকে আসছ? তোমরা কি ভিজে বনের কান্না আর গন্ধরাজ ফুলের মালা হাতে নিয়ে আসছ?
কাজল মেঘে আজ জলের ব্যাকুলতা ঘনিয়ে উঠেছে, এলোমেলো বাতাসে এলোমেলো কথা উড়ছে। দূরে বনের ডালপালা দুলছে, জোরে বৃষ্টি পড়ছে। মেঘের ডাকে কোন অশান্ত মন বার বার জেগে উঠছে?
পৃষ


খ- ভাষা-অধ্যয়ন (ব্যবহারিক ব্যাকরণ)

প্রশ্ন: নিম্নলিখিত শব্দগুলোর বিপরীতার্থক অর্থ লেখো।
উত্তর:
(ক) কালো – সাদা
(খ) তলে – উপরে
(গ) ভাঙা – গড়া
(ঘ) শূন্য – পূর্ণ
(ঙ) ঝাপসা – স্পষ্ট
প্রশ্ন: নীচের শব্দগুলো দিয়ে এক একটি বাক্য লেখো।
উত্তর:
* ঝড় – কাল রাতের ঝড়-এ অনেক গাছপালা ভেঙে গেছে।
* ভিত – বাড়িটার ভিত খুব মজবুত।
* মেঘ – আকাশে কালো মেঘ জমেছে।
* বৃষ্টি – আমার বৃষ্টি-তে ভিজতে খুব ভালো লাগে।
* গান – পাখিটা মিষ্টি সুরে গান গাইছে।
* ভাঙা – ভাঙা কাচের টুকরোগুলো সাবধানে তোলো।

প্রশ্ন: নীচের শব্দগুলোর লিঙ্গ পরিবর্তন করে লেখো।
উত্তর:
* স্ত্রীলিংগ: রাগিনী – পুংলিংগ: রাগ
* স্ত্রীলিংগ: মা – পুংলিংগ: বাবা
* স্ত্রীলিংগ: পিসি – পুংলিংগ: পিসে
* পুংলিংগ: দাদা – স্ত্রীলিংগ: দিদি
* পুংলিংগ: ভাই – স্ত্রীলিংগ: বোন
প্রশ্ন: তোমরা ওপর থেকে তোমাদের পছন্দের জোড়া শব্দ বেছে নিয়ে বাক্য রচনা করো।
উত্তর:
* ভাল-মন্দ – জীবনে ভাল-মন্দ দুটো দিকই থাকে।
* সুখ-দুঃখ – সুখ-দুঃখ নিয়েই মানুষের জীবন।
* কাপড়-চোপড় – মা আলমারিতে কাপড়-চোপড় গুছিয়ে রাখছেন।
* টাকা-পয়সা – বিপদের দিনের জন্য কিছু টাকা-পয়সা সঞ্চয় করা উচিত।
* দিনেদিনে – ছেলেটা দিনেদিনে খুব দুষ্টু হচ্ছে।

গ- জ্ঞান-সম্প্রসারণ

প্রশ্ন: ঝড় এলে তুমি কী কী সাবধানতা অবলম্বন করবে শিক্ষক বা অভিভাবককে জিজ্ঞেস করে জেনে নাও।
উত্তর: ঝড় এলে আমি এই সাবধানতাগুলো অবলম্বন করব:
১. আমি পাকা বাড়ির ভেতরে থাকব, বাইরে বের হব না।
২. টিনের চাল বা কাঁচা বাড়ির নিচে থাকব না।
৩. আমি গাছপালা বা বিদ্যুতের খুঁটির নিচে দাঁড়াব না।
৪. ঘরের দরজা-জানালা ভালোভাবে বন্ধ করে রাখব।
৫. বিদ্যুতের মেইন সুইচ এবং গ্যাসের নব বন্ধ করে রাখব।
প্রশ্ন: তোমাদের অঞ্চলে কী কী লোক-উৎসব পালন করা হয় শিক্ষকের সহায়তায় জেনে নাও।
উত্তর: (অসমের প্রেক্ষাপটে উত্তর)
আমাদের অঞ্চলে বিভিন্ন লোক-উৎসব পালন করা হয়। এর মধ্যে প্রধান হলো বিহু (বোহাগ বিহু, মাঘ বিহু ও কাতি বিহু)। এছাড়া দুর্গা পূজা, কালী পূজা, ঈদ, বড়দিন ইত্যাদিও খুব আনন্দের সাথে পালন করা হয়।
এবার নীচের প্রশ্নগুলোর উত্তর বলো।
(ক) আমাদের কয়টি ঋতু আছে?
উত্তর: আমাদের ছয়টি ঋতু আছে।
(খ) ঋতুগুলোর নাম বলো?
উত্তর: ঋতুগুলোর নাম হলো: গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত।

প্রশ্ন: নীচের বাক্যগুলো পড়ো এবং সেগুলোর অর্থ বুঝে নাও।
উত্তর:
(ক) জলে কুমির ডাঙায় বাঘ। – অর্থ: উভয় দিকেই বিপদ।
(খ) দশের লাঠি একের বোঝা। – অর্থ: অনেকে মিলে কোনো কাজ করলে তা সহজ হয়ে যায়, যা একজনের পক্ষে কঠিন। (একতাই বল)।
(গ) আপনি ভালো তো জগৎ ভালো। – অর্থ: নিজে ভালো হলে বা সৎ হলে অন্যের কাছেও ভালো ব্যবহার পাওয়া যায় বা জগতকে ভালো মনে হয়।
(ঘ) মশা মারতে কামান দাগা। – অর্থ: সামান্য কাজের জন্য বিরাট আয়োজন করা।
(ঙ) নাচতে না-জানলে উঠোন বাঁকা। – অর্থ: নিজের অক্ষমতা ঢাকার জন্য অন্যকে বা পরিস্থিতিকে দোষ দেওয়া।
(চ) সবুরে মেওয়া ফলে। – অর্থ: ধৈর্য ধরলে তার ভালো ফল অবশ্যই পাওয়া যায়।
প্রশ্ন: নীচের শব্দগুলো দিয়ে ছড়া তৈরি করো। (ঝড়, গাছপালা, জল, মেঘ)
উত্তর:
আকাশেতে মেঘ হাসে,
ঝড় এল ওই।
গাছপালা সব নুইয়ে পড়ে,
জল পাব কই?

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *