পাঠ: প্রথম, সকল দেশের সেরা, Chapter: 1, Class: 4, SEBA New book

ক – পাঠভিত্তিক
(ক) কবি ‘সকল দেশের সেরা’ বলে কোন দেশটিকে বোঝাতে চেয়েছেন?
উত্তর: কবি ‘সকল দেশের সেরা’ বলে তাঁর জন্মভূমি ভারতবর্ষকে বোঝাতে চেয়েছেন।
(খ) “এমন দেশটি কোথায় খুঁজে পাবে নাকো তুমি, সকল দেশের রানি সে যে-” এখানে ‘দেশটি’ এবং ‘সকল দেশের রানি’ বলে কাকে সম্বোধন করা হয়েছে?
উত্তর: এখানে ‘দেশটি’ এবং ‘সকল দেশের রানি’ বলে কবির জন্মভূমি ভারতবর্ষকে সম্বোধন করা হয়েছে।
(গ) এই কবিতায় কবি কী কী শব্দ প্রয়োগ করে তাঁর জন্মভূমির গুণ বর্ণনা করেছেন।
উত্তর: কবি তাঁর জন্মভূমির গুণ বর্ণনা করতে এই শব্দগুলি প্রয়োগ করেছেন: ধনধান্যপুষ্পভরা, স্বপ্ন দিয়ে তৈরি, স্মৃতি দিয়ে ঘেরা, উজল চন্দ্র সূর্য গ্রহ তারা, স্নিগ্ধ নদী, ধূম্র পাহাড়, হরিৎক্ষেত্র, পুষ্পে পুষ্পে ভরা শাখী, কুঞ্জে কুঞ্জে গাহে পাখি, এবং ভায়ের মায়ের এত স্নেহ।
(ঘ) পদ্যটি নিজের ভাষায় গদ্যে লেখো।
উত্তর: আমাদের এই পৃথিবী ধন-ধান্য এবং ফুলে ভরা। তার মাঝে একটি দেশ আছে যা সকল দেশের সেরা; সেই দেশটি স্বপ্ন দিয়ে তৈরি এবং স্মৃতি দিয়ে ঘেরা। এমন দেশ আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না, কারণ সে হলো সকল দেশের রানি—আমার জন্মভূমি।
এখানে যেমন উজ্জ্বলভাবে চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, তারা দেখা যায়, এমন আর কোথাও দেখা যায় না। এমন কালো মেঘে বিজলিও আর কোথাও খেলে না। এই দেশে আমরা পাখির ডাকে ঘুমাই এবং পাখির ডাকেই জেগে উঠি।
এমন স্নিগ্ধ নদী, ধূম্র পাহাড় আর আকাশতলে মেশা সবুজ মাঠ আর কোথায় আছে! এমন ধানের ক্ষেতের উপর দিয়ে আর কোনো দেশে বাতাস ঢেউ খেলে যায় না।
এখানকার গাছের ডাল ফুলে ফুলে ভরা; বাগানে বাগানে পাখি গান গায়; মৌমাছিরা গুনগুন করে ফুলে ফুলে ঘুরে বেড়ায় এবং ফুলের মধু খেয়ে ফুলের উপর ঘুমিয়ে পড়ে।
ভাই ও মায়ের এমন স্নেহ আর কোথায় গেলে পাওয়া যাবে! হে মা (জন্মভূমি), তোমার দুটি চরণ আমি বুকে ধরে রাখি। আমার জন্ম এই দেশে, আমি যেন এই দেশেই মরি।
(ঙ) নামের তালিকা প্রস্তুত করো।
(ক) “পুষ্পে পুষ্পে ভরা শাখী” – বারোমাস ফোটে এমন কয়েকটি ফুলের নাম লেখো।
উত্তর:
ফুলের তালিকা –
* জবা
* গাঁদা
* গোলাপ
* নয়নতারা
* রঙ্গন
(খ) “কুঞ্জে কুঞ্জে গাহে পাখি” – কয়েকটি পাখির নাম লেখো।
উত্তর:
পাখির তালিকা –
* কোকিল
* ময়না
* টিয়া
* শালিক
* বুলবুলি
পৃষ্ঠা ৩
খ- ভাষা-অধ্যয়ন (ব্যবহারিক ব্যাকরণ)
ঠিক এরকমভাবে নীচের পংক্তিগুলোকে গদ্যরূপে লেখো-
(ক) ‘ধনধান্যপুষ্পভরা আমাদের এই বসুন্ধরা!’
উত্তর: আমাদের এই বসুন্ধরা ধনধান্যপুষ্পভরা।
(খ) ‘চন্দ্র সূর্য গ্রহ তারা, কোথায় উজল এমনধারা!’
উত্তর: এমনধারা উজল চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, তারা আর কোথায় আছে!
(গ) ‘এত স্নিগ্ধ নদী কাহার, কোথায় এমন ধূম্র পাহাড়!’
উত্তর: কাহার এত স্নিগ্ধ নদী আছে, আর এমন ধূম্র পাহাড়ই বা কোথায়!
এবার “সবচেয়ে, সবচাইতে, সকলের চেয়ে, সবার মধ্যে” ইত্যাদি প্রয়োগ করে নীচের বাক্যগুলো সম্পূর্ণ করো।
(ক) ভারতের নদীগুলোর মধ্যে গঙ্গা ………. দীর্ঘ ও ব্রহ্মপুত্র ………. প্রশস্ত।
উত্তর: ভারতের নদীগুলোর মধ্যে গঙ্গা সবচেয়ে দীর্ঘ ও ব্রহ্মপুত্র সবচেয়ে প্রশস্ত।
(খ) মাজুলি পৃথিবীর মধ্যে ………. বড়ো নদীদ্বীপ।
উত্তর: মাজুলি পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বড়ো নদীদ্বীপ।
(গ) কাজিরাঙার জীব-জন্তুদের মধ্যে একশৃঙ্গ গন্ডার ………. মূল্যবান।
উত্তর: কাজিরাঙার জীব-জন্তুদের মধ্যে একশৃঙ্গ গন্ডার সবচেয়ে মূল্যবান।
(ঘ) অন্যের জিনিসের ওপর লোভ ………. খারাপ গুণ।
উত্তর: অন্যের জিনিসের ওপর লোভ সবচেয়ে খারাপ গুণ।
(ঙ) আমাদের দেশ ………. সেরা।
উত্তর: আমাদের দেশ সকলের চেয়ে সেরা।

Q. এবার ‘চেয়ে’, ‘চাইতে’, ‘থেকে’ ব্যবহার করে তিনটি বাক্য লেখো।
উত্তর:
১. রামের চেয়ে শ্যাম লম্বা।
২. রুপার চাইতে সোনা বেশি দামি।
৩. গীতার থেকে সীতা ভালো গান গায়।
Q. নীচের বাক্যগুলোর সাহায্যে তুলনামূলক বাক্য তৈরি করো।
* অভিজিৎ রোগা; রাজেশ মোটা।
   উত্তর: অভিজিৎ রাজেশের চেয়ে রোগা। (অথবা) রাজেশ অভিজিতের চেয়ে মোটা।
* আমলকি গাছ উঁচু; বেগুন গাছ নিচু।
   উত্তর: আমলকি গাছ বেগুন গাছের চেয়ে উঁচু।
* জয়সাগর পুকুর বড়ো; আমাদের বাড়ির পুকুর ছোটো।
   উত্তর: জয়সাগর পুকুর আমাদের বাড়ির পুকুরের চেয়ে বড়ো।

Q. শব্দ গঠন করো।
উত্তর:
* জন্ম + ভূমি = জন্মভূমি
* চির + কাল = চিরকাল
* দিন + কাল = দিনকাল
* জন্ম + দিন = জন্মদিন
* চির + স্থায়ী = চিরস্থায়ী
* জন্ম + স্থান = জন্মস্থান
* চির + স্মরণীয় = চিরস্মরণীয়
Q. নীচের বাক্যাংশের উপযুক্ত শব্দ পাশের পাত্র থেকে বেছে নিয়ে এককথায় প্রকাশ করো।
উত্তর:
* অতীতের কথা – স্মৃতি
* যে ভূমিতে জন্ম – জন্মভূমি
* আদর করা – স্নেহ
* গুণগুণ রব – গুঞ্জরিয়া
* সবুজ মাঠ – হরিৎক্ষেত্র
Q. বাক্য রচনা করো।
উত্তর:
* স্বপ্ন – আমি রাতে একটি সুন্দর স্বপ্ন দেখেছি।
* কালো মেঘ – আকাশে কালো মেঘ জমেছে, বৃষ্টি হবে।
* স্নিগ্ধ – সকালের স্নিগ্ধ বাতাস খুব ভালো লাগে।
* পাহাড় – আমরা ছুটিতে পাহাড় দেখতে গিয়েছিলাম।

গ- জ্ঞান-সম্প্রসারণ

(ক) তুমি তোমার জন্মভূমিকে ভালোবাসো কি? কেন?
উত্তর: হ্যাঁ, আমি আমার জন্মভূমিকে ভালোবাসি। কারণ এই দেশেই আমি জন্মগ্রহণ করেছি। এখানকার আলো, বাতাস, জল, অন্ন গ্রহণ করে আমি বড়ো হয়েছি। এই দেশের প্রকৃতি, সবুজ মাঠ, স্নিগ্ধ নদী এবং এখানকার মানুষজন, ভাই-বোনের স্নেহ আমার খুব প্রিয়।
(খ) তুমি কী কী কাজ করলে তোমার মা-বাবা সুখী কিংবা দুঃখী হন?
উত্তর:
* সুখী হন: আমি ভালোভাবে পড়াশোনা করলে, তাঁদের কথা শুনলে, বাড়ির কাজে সাহায্য করলে এবং ভালো ব্যবহার করলে মা-বাবা সুখী হন।
* দুঃখী হন: আমি দুষ্টুমি করলে, পড়াশোনায় অবহেলা করলে, বা তাঁদের অবাধ্য হলে তাঁরা দুঃখী হন।
(গ) তোমার বিষয়ে অন্য লোক কোন কথা বললে তুমি লজ্জা পাও আর কোন কথা বললে তুমি গর্বিত হও।
উত্তর:
* লজ্জা পাই: যদি কেউ আমার কোনো ভুলের বা খারাপ অভ্যাসের কথা বলে (যেমন, আমি মিথ্যা বলেছি বা অবাধ্যতা করেছি), তখন আমি লজ্জা পাই।
* গর্বিত হই: যখন কেউ আমার ভালো ফলাফলের, ভালো ব্যবহারের বা কোনো ভালো কাজের প্রশংসা করেন, তখন আমি গর্বিত হই।
নীচের বাক্যটি দুইবার লেখো।
উত্তর:
জননী ও জন্মভূমি স্বর্গের চেয়ে শ্রেষ্ঠ।
জননী ও জন্মভূমি স্বর্গের চেয়ে শ্রেষ্ঠ।

ঘ- প্রকল্প

Q. তোমার জানা বা শোনা প্রাকৃতিক সম্পদের একটি তালিকা প্রস্তুত করো এবং সেই সম্পদের উপকারিতা সম্বন্ধে দুটি করে বাক্য রচনা করো।
উত্তর:
* সম্পদ: উদাহরণ – বাঁশ
উপকারিতা:
   ১। বাঁশ দিয়ে কাগজ তৈরি করা হয়।
   ২। বাঁশ বেড়া, ঘর তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
* সম্পদ: ২। মাটি
উপকারিতা:
   ১। মাটিতে আমরা ফসল ফলাই।
   ২। মাটি দিয়ে মাটির পাত্র, ইট এবং বাড়ি তৈরি করা হয়।
* সম্পদ: ৩। জল
উপকারিতা:
   ১। জল আমরা পান করি এবং রান্না ও ধোয়ার কাজে ব্যবহার করি।
   ২। জল থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়।
* সম্পদ: ৪। সূর্যরশ্মি
উপকারিতা:
   ১। সূর্যরশ্মি উদ্ভিদের খাদ্য তৈরিতে সাহায্য করে।
   ২. সূর্যরশ্মি থেকে সৌর বিদ্যুৎ তৈরি করা হয়।

Q. ছবি দেখো ও বলো।
উত্তর: ছবিতে রেশম চাষ ও তাঁত শিল্পের বিভিন্ন পর্যায় দেখা যাচ্ছে।
১. একটি ডালায় অনেক রেশম পোকা পাতা খাচ্ছে।
২. একটি রেশম পোকা গুটি (cocoon) তৈরি করছে এবং একটি প্রজাপতি গুটি থেকে বেরিয়ে আসছে।
৩. একজন মহিলা চরকায় করে রেশম গুটি থেকে সুতো বের করছেন, একটি ছোট মেয়ে তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে দেখছে।
৪. আরেকজন মহিলা তাঁতে বসে কাপড় বুনছেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *