পড়ার হিসাব, Chapter -7,Class-7, SEBA board
এখানে পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্ন ও উত্তরগুলি দেওয়া হল।
৩। নীচের শব্দগুলোর অর্থ লেখো।
* পুঁথি – বই, পুস্তক।
* হদ্দ – খুব বেশি, চূড়ান্ত।
* ঝাড়া – অনর্গল, গড়গড় করে।
* সাঙ্গ – শেষ, সমাপ্ত।
* সাড়া – উত্তর, জবাব।
* মুখস্থ – কণ্ঠস্থ, স্মৃতি থেকে বলা।
৪। বলো ও লেখো।
(ক) সবাই কোথায় ফিরছে?
উত্তর: ছুটি শেষ হওয়ায় সবাই ইস্কুলে ফিরছে।
(খ) বগলে কী নিয়ে সবাই গুটি গুটি চলেছে?
উত্তর: বগলে বই নিয়ে সবাই গুটি গুটি চলেছে।
(গ) কী ধরনের বই ছাত্ররা পড়েছে?
উত্তর: ছাত্ররা পড়ার পুঁথি এবং গল্পের বই পড়েছে।
(ঘ) গুরুমশাই ক্লাশে এসে গদাইকে কী জিজ্ঞেস করলেন?
উত্তর: গুরুমশাই ক্লাশে এসে গদাইকে জিজ্ঞেস করলেন যে, সে ছুটিতে কিছু পড়েছে নাকি কেবলই খেলেছে।
(ঙ) গদাই মামার বাড়ি গিয়ে কী করেছিল?
উত্তর: গদাই মামার বাড়ি গিয়ে গাছে চড়েছিল এবং গাছ থেকে ধপাস করে পড়ে গিয়েছিল।
৫। সপ্রসঙ্গ ব্যাখ্যা করো।
(ক) পড়ার পরে কার কি রকম মনটি ছিল এবার, সময় এল এখন তারই হিসেবখানা দেবার।
উত্তর:
* উৎস: উক্তিটি সুকুমার রায়ের ‘পড়ার হিসাব’ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।
* প্রসঙ্গ: ছুটির পর ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে ফিরেছে। তাদের ছুটির পড়াশোনার মূল্যায়ন করার সময় এসেছে—এই প্রসঙ্গে কবি কথাটি বলেছেন।
* ব্যাখ্যা: ছুটির সময় কে কেমনভাবে পড়াশোনা করেছে বা করেনি, এখন তার হিসাব বা পরীক্ষা দেওয়ার সময় এসেছে। এই লাইনের মাধ্যমে কবি ছাত্রছাত্রীদের ছুটির কার্যকলাপের মূল্যায়নের পরিস্থিতিটি তুলে ধরেছেন।
(খ) কেউ পড়েছেন পড়ার পুঁথি, কেউ পড়েছেন গল্প, কেউ পড়েছেন হদ্দমতন, কেউ পড়েছেন অল্প।
উত্তর:
* উৎস: উক্তিটি সুকুমার রায়ের ‘পড়ার হিসাব’ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।
* প্রসঙ্গ: ছুটির পর স্কুলে ফেরা বিভিন্ন ছাত্রছাত্রীর পড়াশোনার ধরন বর্ণনা করার প্রসঙ্গে কবি এই উক্তিটি করেছেন।
* ব্যাখ্যা: সব ছাত্রছাত্রীর পড়াশোনার ধরন একরকম হয় না। কেউ ছুটির সময়েও পাঠ্যবই পড়েছে, কেউ গল্পের বই পড়ে সময় কাটিয়েছে। আবার কেউ প্রচুর পড়াশোনা করেছে, এবং কেউ বা খুবই কম পড়েছে। এই লাইনের মাধ্যমে কবি ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে পড়াশোনার প্রতি মনোযোগের বৈচিত্র্যকে রসিকতার সঙ্গে তুলে ধরেছেন।
৬। শূন্যস্থান পূর্ণ করো।
* (ক) ফিরল সবাই ইস্কুলেতে সাঙ্গ হল ছুটি।
* (খ) সময় এল এখন তারই হিসেবখানা দেবার।
* (গ) গুরুমশাই এসেই ক্লাশে বলেন, ‘ওরে গদাই,’
* (ঘ) এক্কেবারে অগ্নি ধপাস্ পড়ার মত পড়া!’
পৃষ্ঠা নং – ৫৭
৭। নীচের শব্দগুলোর দুটি করে প্রতিশব্দ লেখো।
* ছুটি – অবকাশ, অবসর
* বই – পুস্তক, গ্রন্থ
* গাছ – বৃক্ষ, তরু
* অল্প – কম, সামান্য
* বাড়ি – গৃহ, আলয়
৮। ‘পাকা’ শব্দের বিভিন্ন রূপে প্রয়োগ করে বাক্য রচনা করো।
* পাকা মাথা (অভিজ্ঞ) – গ্রামের বিচারে পাকা মাথার লোকেরাই ডাক পায়।
* পাকা কথা (চূড়ান্ত) – ছেলের বাড়ির লোক বিয়ের পাকা কথা বলতে এসেছে।
* পাকা রাঁধুনি (দক্ষ) – আমার দিদা একজন পাকা রাঁধুনি।
* পাকা দেখা (স্থির হওয়া) – আগামী সপ্তাহে পাত্রীর পাকা দেখা সম্পন্ন হবে।
* পাকা রং (স্থায়ী) – এই শাড়িটির রং খুব পাকা।
* পাকা ধানে মই (সুনিশ্চিত প্রাপ্য নষ্ট হওয়া) – সব ঠিকঠাকই ছিল, কিন্তু最后的 মুহূর্তে গোলমাল হয়ে আমার পাকা ধানে মই দেওয়া হল।
৯। তোমাদের এই পাঠে একটি ধ্বন্যাত্মক শব্দ আছে তা হল গুটি গুটি। তোমরা আরও পাঁচটি এই ধরনের শব্দ দলে আলোচনা করে লেখো।
উত্তর: পাঁচটি ধ্বন্যাত্মক শব্দ হল:
১. ঝমঝম (বৃষ্টি পড়ার শব্দ)
২. কলকল (নদীর স্রোতের শব্দ)
৩. গুনগুন (ভ্রমরের ডাক)
৪. টুপটাপ (জল পড়ার শব্দ)
৫. গড়গড়িয়ে (অনর্গল বলার ভঙ্গি)
পৃষ্ঠা নং – ৫৯
১১। ‘হাত’ শব্দের সঙ্গে বিভিন্ন শব্দ যোগ করে যে বিশিষ্টার্থক শব্দ গঠন হয়েছে, সেগুলোর অর্থ বুঝে বাক্য রচনা করো।
* হাত এড়ানো (দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়া) – কোনো কাজের দায়িত্ব হাত এড়ানো উচিত নয়।
* হাত করা (বশীভূত করা) – সে তার মিষ্টি কথায় সবাইকে হাত করে নিয়েছে।
* হাত গোটানো (কাজ থেকে বিরত হওয়া) – মাঝপথে কাজ থেকে হাত গোটানো বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
* হাত টান (চুরির অভ্যাস) – ছেলেটির হাত টানের অভ্যাস থাকায় কেউ তাকে বিশ্বাস করে না।
* হাত পাতা (ভিক্ষা করা) – পরিশ্রম না করে অন্যের কাছে হাত পাতা লজ্জার।
* হাত বদল (মালিকানা পরিবর্তন) – পুরোনো গাড়িটা বহুবার হাত বদল হয়েছে।
* হাতযশ (দক্ষতা) – আমার মায়ের হাতের রান্নায় খুব হাতযশ আছে।
১২। তোমাদের বড়োরা কথা বলার সময় যেসব প্রবাদবাক্য, বিশিষ্টার্থক শব্দ, বান্ধারা ব্যবহার করে থাকেন সেগুলো খেয়াল করে টুকে রাখবে। তারপর সেগুলো শ্রেণিতে এসে সবাইকে পড়ে শোনাবে।
উত্তর: এটি একটি প্রকল্প-ভিত্তিক কাজ। ছাত্রদের নিজেদের পরিবেশ থেকে প্রবাদ ও বাগ্ধারা সংগ্রহ করে লিখতে হবে। নিচে কয়েকটি উদাহরণ দেওয়া হলো:
* অল্পবিদ্যা ভয়ংকরী: (সামান্য জ্ঞান বিপজ্জনক) – অল্প জেনে তর্ক করা উচিত নয়, কারণ অল্পবিদ্যা ভয়ংকরী।
* ভাগের মা গঙ্গা পায় না: (অনেকের উপর দায়িত্ব থাকলে কাজটি হয় না) – এই কাজটি দশজনকে করতে বলায়, ভাগের মা গঙ্গা পায় না অবস্থা হয়েছে।
* আকাশ থেকে পড়া: (অত্যন্ত অবাক হওয়া) – খবরটা শুনে আমি যেন আকাশ থেকে পড়লাম।
* তুলসী বনের বাঘ: (ভদ্রবেশী শয়তান) – লোকটিকে দেখে ভালো মনে হলেও সে আসলে তুলসী বনের বাঘ।
* আকাশ কুসুম: (অসম্ভব কল্পনা) – দিনের বেলায় আকাশ কুসুম ভেবে সময় নষ্ট করো না।
*
