নদীপথে
‘নদীপথে’ ভ্রমণকাহিনি থেকে সমস্ত প্রশ্নের উত্তরগুলি ও তুলে ধরা হলো—
—
পাঠভিত্তিক ক্রিয়াকলাপের সমাধান
১। নীচে প্রদত্ত প্রশ্নগুলোর শুদ্ধ উত্তর বেছে নিয়ে সঠিক বৃত্তটি কালি দিয়ে ভরাট করো–
– গৌহাটি (গুয়াহাটি) শব্দটির অর্থ কী?
– সঠিক উত্তর: (খ) সুপারির হাট
– লেখক কার লেখা উপন্যাস পড়ছিলেন?
– সঠিক উত্তর: (গ) জে.বি. প্রিস্টলি
—
৪। নীচের শব্দগুলোর সঙ্গে অর্থ দাগ টেনে মেলাও–
– মোকদ্দমা — আইনি মামলা
– কুল — নদীর তীর
– নীলাম্বরী — নীল রঙের পোশাক পরিহিতা নারী
– অকম্পিত — স্থির, যা কাঁপছে না
– কৃষ্ণাভ — কালচে
– ঐরাবত — হাতি
—
৫। নীচের প্রশ্নগুলোর উত্তর বলো আর লেখো–
(ক) মহাত্মা গান্ধী অসম সম্পর্কে কী মন্তব্য করেছিলেন?
And.– মহাত্মা গান্ধী অসহযোগ আন্দোলনের সময় অসমে এসে সেখানকার বাসিন্দাদের বলেছিলেন, “your bewitchingly beautiful country” – অর্থাৎ ‘জাদুকরী সৌন্দর্যের দেশ তোমাদের’।
(খ) পলাশবাড়ি স্টেশনে স্টিমার কখন পৌঁছেছিল?
Ans– স্টিমার বিকাল চারটের সময় পলাশবাড়ি স্টেশনে পৌঁছেছিল।
(গ) খালাসি কীসে সাবান ঘষছিল?
Ans– খালাসি একটি নীল কোর্তায় সাবান ঘষছিল।
(ঘ) স্টিমার স্টেশনের ওয়েটিং ফ্ল্যাটের নাম কী ছিল?
Ans– স্টিমার স্টেশনের ওয়েটিং ফ্ল্যাটের নাম ছিল ‘ইন্দ্র’।
(ঙ) লেখক সপ্তাহের কোন্ বারে ধুবড়ি পৌঁছেছিলেন?
Ans– লেখক সপ্তাহের শনিবার বারে ধুবড়ি পৌঁছেছিলেন।
—
৬। পাঠ্য ভ্রমণকাহিনি অবলম্বনে নীচে প্রদত্ত স্থানগুলি সম্পর্কে দুটি করে বাক্য লেখো–
(ক) পলাশবাড়ি:
– বিকাল চারটের সময় স্টিমার পলাশবাড়ি স্টেশনে পৌঁছেছিল।
– এই ঘাটে কমলালেবু, ডিম ও পায়রা বিক্রি হচ্ছিল।
(খ) পাণ্ডুঘাট:
– সন্ধ্যা সাড়ে ছটার মধ্যেই স্টিমার পাণ্ডুঘাট এসে পৌঁছয়।
– শিলং-যাত্রীদের পারাপারের স্টিমার অনেক আলো জ্বালিয়ে ঘাটে লেগেছিল।
(গ) বিলাসীপাড়া:
– বিকাল তিনটের সময় স্টিমার বিলাসীপাড়ায় এসেছিল।
– বিলাসীপাড়ার স্টেশন-ফ্ল্যাটের ঠিক পিছনেই এক সার পাহাড় দেখা যায়।
—
৭। মোটরগাড়ি দেখে লেখক কেন খুশি হয়েছিলেন, তার কারণ ব্যাখ্যা করো–
Ans– পাঁচ দিন ধরে ব্রহ্মপুত্র নদের পথে স্টিমারে ভ্রমণের সময় লেখক আধুনিক নগরজীবনের চেনা দৃশ্য থেকে দূরে ছিলেন। গৌহাটিতে পৌঁছে যখন রাস্তা দিয়ে দু’খানা মোটরগাড়ি চলে যেতে দেখলেন, তখন নাগরিক জীবনের চিহ্ন দেখে তাঁর মনটা একটু খুশি হয়ে উঠেছিল।
—
৮। তোমার পাঠা ভ্রমণকাহিনির ভিত্তিতে ব্রহ্মপুত্র নদের সৌন্দর্যের বিবরণ দাও–
– ব্রহ্মপুত্র নদের সৌন্দর্য ভ্রমণকাহিনিতে মন মুগ্ধকর রূপে বর্ণিত হয়েছে।
– পাহাড়ের দৃশ্য: ধুবড়ি ছাড়ার পর নদীর দুই ধারে গাছে-গুল্মে ঢাকা কৃষ্ণাভ সবুজ পাহাড়ের সার দেখা যায়। ব্রহ্মপুত্রের মাঝ থেকে দুই তীরে এমন পাহাড়ের দৃশ্য পৃথিবীতে খুব কমই দেখা যায়। মহাত্মা গান্ধী এই দেশকে ‘জাদুকরী সৌন্দর্যের দেশ’ বলে বর্ণনা করেছিলেন।
– জলের রূপ: শীতকালে ব্রহ্মপুত্র নিস্তরঙ্গ ও স্থির বলে মনে হয়। জলের ওপর রৌদ্রের খেলা এবং স্টিমারের ছাদে তার আলোছায়ার কাঁপন-লীলা দেখা যায়। চাঁদের আলোতে তীরের পাহাড় ও নদীতে তার ছায়া এক অবাস্তব পরিবেশ সৃষ্টি করে।
– উমানন্দ ভৈরব: স্টিমার উমানন্দ ভৈরবের কাছ দিয়ে যাওয়ার সময় ব্রহ্মপুত্রের মাঝখানে গ্রানাইট পাথরে ধার-বাঁধানো উঁচু ভিতের ওপর বড়ো বড়ো গাছের ঘন বনের মধ্যে ভৈরবের মন্দিরের চূড়া দেখা যায়।
– পাহাড়ের সারি: নদীর পাড় ঘেঁষে নিবিড় বনে ঢাকা পাহাড়ের একটার পর একটা সারি চলতে থাকে, যা দূর থেকে পাতলা নীল ওড়নার মতো ফিকে নীল কুয়াশায় ঢাকা থাকে।
—
ভাষা অধ্যয়ন
৯। নীচের শব্দগুলো দিয়ে বাক্য রচনা করো–
– নিস্তরঙ্গ: রাতের বেলা হ্রদের জল নিস্তরঙ্গ দেখায়।
– কৃষ্ণাভ: দূর থেকে পাহাড়টিকে কৃষ্ণাভ সবুজ দেখাচ্ছিল।
– ঐরাবত: পুরাণে ইন্দ্রের বাহন হলো ঐরাবত।
– পুথিপত্র: প্রাচীন পুথিপত্র থেকে আমরা ইতিহাসের অনেক তথ্য জানতে পারি।
—
১১। নীচের বাক্স থেকে উপযুক্ত অব্যয় পদ বেছে নিয়ে বাকাগুলির শূন্যস্থান পূরণ করো–
(ওরে, বরং, কিন্তু, এবং)
– অনিল দরিদ্র কিন্তু সৎ।
– সিরাজুল ভালো দাবা খেলে, কিন্তু ফুটবল খেলতে একেবারেই পারে না।
– সে রাগ তো করলই না বরং খুশি হলো।
– ওরে, আজ যাসনে তোরা ঘরের বাহিরে।
—
