তারকা ও সৌরজগৎ ,Chapter -17, Science, Class-8 ,SEBA
তারকা ও সৌরজগৎ ,Chapter -17, Science, Class-8 ,SEBA
অনুশীলনী (Exercises)
প্রশ্ন 1-3 এর মধ্যে শুদ্ধ উত্তর বেছে বের করো
1. নিচের কোনটি সৌরজগতের সদস্য নয়?
(a) গ্রহাণুপুঞ্জ
(b) উপগ্রহ
(c) তারামণ্ডল
(d) ধূমকেতু
উত্তর: (c) তারামণ্ডল
(ব্যাখ্যা: সৌরজগত সূর্য এবং তার চারদিকে ঘোরা বস্তু যেমন গ্রহ, ধূমকেতু, গ্রহাণু, উল্কা ও উপগ্রহ নিয়ে গঠিত। তারামণ্ডল হলো অনেকগুলো তারকার সমষ্টি যা একটি নির্দিষ্ট আকৃতি গঠন করে, এবং এটি সৌরজগতের অংশ নয়।)
2. নিচের কোনটি সূর্যের গ্রহ নয়?
(a) সাইরিয়াস বা লুব্ধক
(b) বুধ
(c) শনি
(d) পৃথিবী
উত্তর: (a) সাইরিয়াস বা লুব্ধক
(ব্যাখ্যা: বুধ, শনি এবং পৃথিবী হলো সূর্যের গ্রহ। সাইরিয়াস বা লুব্ধক একটি নক্ষত্র (তারা)।)
3. চন্দ্র কলার উৎপত্তির কারণ
(a) আমরা চন্দ্রের সেই অংশই দেখতে পাই যেখানে আলো প্রতিফলিত হয়ে আমাদের কাছে আসে।
(b) চন্দ্র থেকে আমাদের দূরত্ব পরিবর্তনশীল
(c) পৃথিবীর ছায়া চন্দ্র পৃষ্ঠের একটি অংশের উপর
(d) চন্দ্রের বায়ুমণ্ডলের ঘনত্ব স্থির নয়।
উত্তর: (a) আমরা চন্দ্রের সেই অংশই দেখতে পাই যেখানে আলো প্রতিফলিত হয়ে আমাদের কাছে আসে।
(ব্যাখ্যা: চন্দ্রের নিজস্ব কোনো আলো নেই। আমরা চন্দ্রকে দেখতে পাই কারণ সূর্যের আলো চন্দ্রের উপর প্রতিফলিত হয়ে আমাদের কাছে আসে। তাই আমরা চন্দ্রের কেবল সেই অংশই দেখতে পাই যেখানে সূর্যের আলো পড়ে।)
4. শূন্যস্থান পূর্ণ করো।
(a) সূর্য থেকে সবচেয়ে দূরের গ্রহ নেপচুন।
(b) লাল রঙের গ্রহটি হল মঙ্গল।
(c) একগুচ্ছ তারকা আকাশে একটি আকৃতির মত মনে হয় তাকে বলে তারকাপুঞ্জ।
(d) নভোমণ্ডলীয় বস্তু যা গ্রহের চারিদিকে ঘুরে তাকে উপগ্রহ বলে।
(e) দ্রুতগামী তারকা আসলে তারকা না।
(f) মঙ্গল এবং বৃহস্পতি এর কক্ষপথের মাঝখানে গ্রহাণুপুঞ্জ অবস্থিত।
5. নীচের বাক্যগুলি সত্য (T) না মিথ্যা (F) লিখো।
(a) ধ্রুবতারকা সৌরজগতের সদস্য।
উত্তর: মিথ্যা (F)
(ব্যাখ্যা: ধ্রুবতারা একটি নক্ষত্র। সৌরজগত সূর্য ও তার গ্রহগুলো নিয়ে গঠিত।)
(b) বুধ সৌর জগতের সবচেয়ে ছোট গ্রহ।
উত্তর: সত্য (T)
(c) ইউরেনাস সৌর জগতের সবচেয়ে দূরের গ্রহ।
উত্তর: মিথ্যা (F)
(ব্যাখ্যা: নেপচুন সৌরজগতের সবচেয়ে দূরের গ্রহ।)
(d) INSAT একটি কৃত্রিম উপগ্রহ।
উত্তর: সত্য (T)
(e) সৌরজগতের নয়টি গ্রহ আছে।
উত্তর: মিথ্যা (F)
(ব্যাখ্যা: সৌরজগতের আটটি গ্রহ আছে। প্লুটোকে এখন আর গ্রহ হিসেবে গণ্য করা হয় না।)
(f) তারামণ্ডলের কালপুরুষ কেবল দূরবীক্ষণ যন্ত্র দ্বারা দেখা যায়।
উত্তর: মিথ্যা (F)
(ব্যাখ্যা: কালপুরুষ একটি অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণ ও পরিচিত তারামণ্ডল যা শীতকালে সন্ধ্যার পর খালি চোখে দেখা যায়।)
6. স্তম্ভ ‘A’র বস্তুগুলোর সঙ্গে এক বা ততোধিক স্তম্ভ ‘B’ এর বস্তু মিলিয়ে লিখো।
উত্তর:
* (i) অন্তঃগ্রহ: (e) পৃথিবী, (g) মঙ্গল
* (ii) বহিঃগ্রহ: (a) শনি
* (iii) তারামণ্ডল: (c) সপ্তর্ষিমণ্ডল, (f) কালপুরুষ
* (iv) পৃথিবীর উপগ্রহ: (d) চন্দ্র
7. আকাশের কোনদিকে তোমরা শুক্রকে দেখতে পাবে যদি সেটা সন্ধ্যাতারা রূপে দেখা যায়।
উত্তর: শুক্রকে সন্ধ্যাতারা রূপে দেখা গেলে সূর্যাস্তের পর পশ্চিম আকাশে দেখা যায়।
8. সৌরজগতের সবচেয়ে বড় গ্রহের নাম কী?
উত্তর: সৌরজগতের সবচেয়ে বড় গ্রহের নাম বৃহস্পতি।
9. তারামণ্ডল কী? দুটো তারামণ্ডলের নাম লিখো।
উত্তর:
* তারামণ্ডল: যে সকল তারকা সমূহ আকাশে একটি বোধগম্য আকৃতিতে দলবেঁধে থাকে, তাকে তারকাপুঞ্জ বা তারামণ্ডল (Constellation) বলে।
* দুটি তারামণ্ডলের নাম: সপ্তর্ষিমণ্ডল (ঊর্ষা মেজর) এবং কালপুরুষ (ওরিয়ন)।
10. (a) ঊর্ষা মেজর এবং (b) কালপুরুষ উজ্জ্বল তারকার অবস্থান দেখিয়ে চিত্র অংকন করো।
উত্তর: (যেহেতু এখানে চিত্র আঁকা সম্ভব নয়, তাই চিত্রগুলির বিবরণ দেওয়া হলো যেমনটি পাঠ্যপুস্তকে আছে):
* (a) ঊর্ষা মেজর (সপ্তর্ষিমণ্ডল): এটি দেখতে একটি বড় হাতা বা প্রশ্নচিহ্নের মতো হয়। এটিতে সাতটি সুস্পষ্ট তারকা থাকে, যার মধ্যে তিনটি তারকা হাতলে এবং চারটি তারকা বাটির মতো অংশে থাকে। (পাঠ্যপুস্তকের চিত্র 17.11 (a) এবং 17.13 দ্রষ্টব্য)।
* (b) কালপুরুষ (ওরিয়ন): এটি আকাশের একটি অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণ তারামণ্ডল যার ৭ বা ৮ টি উজ্জ্বল তারকা আছে। একে শিকারীও বলা হয়। তিনটি মধ্যবর্তী তারা শিকারীর কোমরের কোমরবন্ধ বোঝায় এবং চারটি উজ্জ্বল তারকা একটি চতুর্ভুজের মতো সাজানো থাকে। (পাঠ্যপুস্তকের চিত্র 17.11 (b) এবং 17.15 দ্রষ্টব্য)।
11. গ্রহ ছাড়া অন্য দুটো বস্তুর নাম লিখো যারা সৌরজগতের সদস্য।
উত্তর: গ্রহ ছাড়া সৌরজগতের অন্য দুটি সদস্য হলো ধূমকেতু এবং গ্রহাণুপুঞ্জ (বা গ্রহাণু)। (উল্কাও একটি সঠিক উত্তর)।
12. ঊষা মেজর দ্বারা কিভাবে ধ্রুব তারকার অবস্থান নিরূপণ করবে ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: ঊষা মেজর বা সপ্তর্ষিমণ্ডলের সাহায্যে ধ্রুবতারাকে চেনার উপায়:
* প্রথমে আকাশের উত্তর দিকে ঊষা মেজরকে (সপ্তর্ষিমণ্ডল) চিহ্নিত করতে হবে।
* ঊষা মেজরের বাটির মতো অংশের শেষের দুটি তারার দিকে তাকাতে হবে।
* এই দুটি তারকার মধ্য দিয়ে একটি সরলরেখা কল্পনা করে সেটিকে উত্তর দিকে বাড়াতে হবে (তারকা দুটির দূরত্বের প্রায় পাঁচ গুণ)।
* এই সরলরেখাটি একটি তারকায় গিয়ে মিলবে যা খুব বেশি উজ্জ্বল নয়।
* এই তারকাটিই হলো ধ্রুবতারা।
13. আকাশের সকল তারকাই কি চলাচল করে? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: না, আকাশের সকল তারকা চলাচল করে (বলে মনে হয়) না।
* বেশিরভাগ তারকাসমূহকে পূর্ব থেকে পশ্চিমে গতি করছে বলে মনে হয়। এর কারণ হলো পৃথিবী তার অক্ষের উপর পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ঘোরে।
* কিন্তু ধ্রুবতারা (Pole Star) নামে একটি নক্ষত্র আছে যা চলাচল করে না বা স্থির বলে মনে হয়। এর কারণ হলো, ধ্রুবতারা পৃথিবীর ঘূর্ণন অক্ষের কাছাকাছি অবস্থিত।
14. কেন নক্ষত্রের দূরত্ব আলোকবর্ষে প্রকাশ করা হয়? একটি তারকা পৃথিবী থেকে আট আলোক বর্ষ দূরে অবস্থিত বলতে তোমরা কী বোঝ?
উত্তর:
* কারণ: নক্ষত্রসমূহ পৃথিবী থেকে লক্ষ লক্ষ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই 엄청 বড় দূরত্বকে কিলোমিটারে প্রকাশ করা সহজ নয় বা সুবিধাজনক নয়। তাই, এই বড় দূরত্ব প্রকাশ করার জন্য আলোকবর্ষ (Light year) নামে অন্য একটি একক ব্যবহার করা হয়।
* অর্থ: আলোকবর্ষ হলো আলো এক বছরে যে দূরত্ব অতিক্রম করে। সুতরাং, “একটি তারকা পৃথিবী থেকে আট আলোক বর্ষ দূরে অবস্থিত” বলতে বোঝায় যে, ওই তারকাটি থেকে আলো পৃথিবীতে এসে পৌঁছাতে আট বছর সময় লাগে।
15. বৃহস্পতির ব্যাস পৃথিবীর ব্যাস থেকে 11 গুণ বড়ো বৃহস্পতি ও পৃথিবীর আয়তনের অনুপাত বের করো। কয়টি পৃথিবীকে বৃহস্পতি ধারণ করতে পারবে।
উত্তর:
দেওয়া আছে, বৃহস্পতির ব্যাস পৃথিবীর ব্যাসের ১১ গুণ।
গোলকের আয়তন তার ব্যাসের ঘনফলের সমানুপাতিক। অতএব, বৃহস্পতির আয়তন ও পৃথিবীর আয়তনের অনুপাত = (বৃহস্পতির ব্যাস)³ / (পৃথিবীর ব্যাস)³ = (১১ × পৃথিবীর ব্যাস)³ / (পৃথিবীর ব্যাস)³ = ১১³ = ১১ × ১১ × ১১ = ১৩৩১
অতএব, বৃহস্পতি ও পৃথিবীর আয়তনের অনুপাত ১৩৩১ : ১। অর্থাৎ বৃহস্পতি প্রায় ১৩৩১টি পৃথিবীকে ধারণ করতে পারবে (পাঠ্যপুস্তকে এই সংখ্যাটিকে প্রায় ১৩০০টি বলা হয়েছে)।
16. প্রজ্ঞান সৌরজগতের সৌরজগতের চিত্র নিচে অংকন করল (চিত্র 17.29) এই চিত্র শুদ্ধ কি? যদি না হয়, শুদ্ধ করে আঁকো।
উত্তর: না, চিত্র 17.29 টি সম্পূর্ণ শুদ্ধ নয়।
* ভুল: চিত্রটিতে শুক্র (Venus) এবং ইউরেনাস (Uranus) গ্রহের সূর্যকে প্রদক্ষিণ করার দিক (কক্ষপথের গতি) ঘড়ির কাঁটার দিকে (clockwise) দেখানো হয়েছে (তীরচিহ্নগুলি দেখুন)।
* শুদ্ধ রূপ: সৌরজগতের সমস্ত গ্রহই, অন্যান্য গ্রহের মতো, সূর্যকে ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে (counter-clockwise) প্রদক্ষিণ করে। (যদিও শুক্র ও ইউরেনাস তাদের নিজের অক্ষের উপর পূর্ব থেকে পশ্চিমে ঘোরে, কিন্তু তাদের সূর্য প্রদক্ষিণের দিক অন্যান্য গ্রহের মতোই)।
(শুদ্ধ চিত্রটি হলো পাঠ্যপুস্তকের চিত্র 17.17, যেখানে সমস্ত গ্রহের প্রদক্ষিণের দিক একই (ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে) দেখানো হয়েছে)।
