জীবের বৈচিত্র্য,Chapter -7, Class -9, SEBA, Science

জীবের বৈচিত্র্য,Chapter -7

জীবের বৈচিত্র্য,Chapter -7

এখানে অনুশীলনীর (Anushiloni) সমস্ত প্রশ্ন এবং উত্তরগুলি দেওয়া হলো:
অনুশীলনী
১. জীবজগতকে শ্রেণীবিন্যাস করলে কি সুবিধা?
উত্তর: জীবজগতকে শ্রেণীবিন্যাস করলে বিভিন্ন জীব-জন্তুর বৈচিত্র্য সম্বন্ধে জানা সহজ হয়। লক্ষ লক্ষ জীবের মধ্যে সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য খুঁজে বের করে তাদের বিভিন্ন শ্রেণীতে ভাগ করে অধ্যয়ন করা সুবিধাজনক হয়।
২. শ্রেণীবিন্যাসের, (হায়ার আর্কিব) বা বর্গক্রমের উন্নতির জন্যে দু’টি বৈশিষ্ট্যর মধ্যে কোনটা পছন্দ করবে?
উত্তর: (দ্রষ্টব্য: প্রশ্নটি অসম্পূর্ণ; এটি দুটি নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের উল্লেখ করেনি। তবে, শ্রেণীবিভাগের নীতির উপর ভিত্তি করে উত্তর দেওয়া হলো।)
শ্রেণীবিন্যাসের বর্গক্রমের জন্য, জীবের মৌলিক বা ভিত্তিগত বৈশিষ্ট্য (যেমন কোষের গঠন—প্রোক্যারিওটিক না ইউক্যারিওটিক), বাহ্যিক বা অগভীর বৈশিষ্ট্যের (যেমন বসবাস করার স্থান) চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। মৌলিক বৈশিষ্ট্য জীবের বিবর্তনগত সম্পর্ক এবং দৈহিক সংগঠনের মূল পার্থক্য বুঝতে সাহায্য করে, যা শ্রেণীবিভাগের ভিত্তি স্থাপন করে।
৩. জীবজগতকে পাঁচটি ভাগে ভাগ করার মৌলিকতা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: রবার্ট হোয়াইটেকার (Robert Whittaker) জীবজগতকে পাঁচটি রাজ্যে (মোনেরা, প্রোটিষ্টা, ফাঞ্জাই, প্ল্যান্টি, এ্যানিম্যালিয়া) ভাগ করেন। এই শ্রেণীবিভাগের মৌলিক ভিত্তিগুলি হলো:
* কোষের গঠন: জীবটি প্রোক্যারিওটিক (প্রকোষ-কেন্দ্রীয়) না ইউক্যারিওটিক (সংকোষ-কেন্দ্রীয়)।
* দৈহিক সংগঠন (কোষের সংখ্যা): জীবটি এককোষী না বহুকোষী।
* পুষ্টির উপায়: জীবটি স্বপোষী (যেমন সালোকসংশ্লেষণকারী) না পরপোষী।
* কোষ প্রাচীরের উপস্থিতি: কোষে কোষ প্রাচীর আছে কি না।
৪. উদ্ভিদ জগতের প্রধান শ্রেণী কয়টা কি কি? ঐ শ্রেণীবিন্যাসের মূল কি?
উত্তর: উদ্ভিদ জগতকে প্রধান পাঁচটি ভাগে ভাগ করা হয়। সেগুলি হলো:
* থ্যালোফাইটা
* ব্রায়োফাইটা
* টেরিডোফাইটা
* নগ্নবীজী (জিমনোস্পার্ম)
* গুপ্তবীজী (এ্যাঞ্জিওস্পার্ম)
এই শ্রেণীবিন্যাসের মূল ভিত্তিগুলি হলো:
* উদ্ভিদের দেহ সুগঠিত (মূল, কাণ্ড, পাতায় বিভক্ত) কি না।
* জল ও অন্যান্য দ্রব্য পরিবহনের জন্য বিশেষ সংবহন কলা উপস্থিত আছে কি না।
* উদ্ভিদটি বীজ ধারণ করতে সক্ষম কি না।
* বীজ ফলের ভেতরে আবৃত থাকে (গুপ্তবীজী) না নগ্ন বা অনাবৃত থাকে (ব্যক্তবীজী)।
৫. উদ্ভিদজগতকে শ্রেণীবিভাগ করা এবং প্রাণী জগতের শ্রেণীবিভাগ করার পদ্ধতির মধ্যে কি পার্থক্য?
উত্তর: উদ্ভিদ জগত এবং প্রাণী জগতের শ্রেণীবিভাগের পদ্ধতির মধ্যে মূল পার্থক্য তাদের ভিত্তিগত বৈশিষ্ট্যের উপর নির্ভরশীল:
* উদ্ভিদ জগতের শ্রেণীবিভাগ: এটি প্রধানত উদ্ভিদের দৈহিক সংগঠনের (দেহ মূল, কাণ্ড, পাতায় বিভক্ত কি না), সংবহন কলার উপস্থিতি বা অনুপস্থিতি, এবং বীজ ধারণ ক্ষমতা ও বীজের অবস্থানের (নগ্নবীজী বা গুপ্তবীজী) উপর ভিত্তি করে করা হয়।
* প্রাণী জগতের শ্রেণীবিভাগ: এটি প্রধানত দৈহিক সংগঠনের স্তর (কোষীয় না কলা স্তর), দৈহিক প্রতিসাম্য (যেমন দ্বিপার্শ্বীয় প্রতিসম), দেহ গহ্বর (সিলোম) এর উপস্থিতি বা অনুপস্থিতি, এবং নটোকর্ডের উপস্থিতির মতো দৈহিক আকৃতি ও গঠনের ওপর ভিত্তি করে করা হয়।
৬. মেরুদণ্ডী প্রাণীদের পরবর্তী কি কি ভাগে ভাগ করা হয়।
উত্তর: মেরুদণ্ডী প্রাণীদের (Vertebrates) পরবর্তীকালে পাঁচটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়। সেগুলি হলো:
* মাছ (Pisces)
* উভচর (Amphibia)
* সরীসৃপ (Reptilia)
* পক্ষী (Aves)
* স্তন্যপায়ী প্রাণী (Mammalia)

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *