পাঠ – ২: চিরকালের শরাইঘাট
ক – পাঠভিত্তিক
১। পাঠটি শুদ্ধ ও স্পষ্ট উচ্চারণ করে পড়ো
উত্তর: এটি একটি অনুশীলনমূলক কাজ, নিজে করো।
২। উত্তর দাও
(ক) রামসিংহ কে ছিলেন?
উত্তর: রামসিংহ ছিলেন মোগল সৈন্যের পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সেনাপতি বা রাজা।
(খ) তিনি কেন অসমে এসেছিলেন?
উত্তর: তিনি ১৬৭১ সনের শরাইঘাটের যুদ্ধে মোগলদের হয়ে আহোমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য অসমে এসেছিলেন। এই যুদ্ধই ছিল মোগলদের অসমে সাম্রাজ্য বিস্তারের শেষ প্রচেষ্টা।
(গ) শরাইঘাটের যুদ্ধ কার কার মধ্যে সংঘটিত হয়েছিল?
উত্তর: শরাইঘাটের যুদ্ধ আহোম এবং মোগলদের মধ্যে সংঘটিত হয়েছিল।
(ঘ) কোন সনে মালিগাঁওয়ে এনএফ রেলওয়ের সদর দপ্তর স্থাপিত হয়েছিল?
উত্তর: ১৯৫৬ সালে মালিগাঁওয়ে এনএফ রেলওয়ের সদর দপ্তর স্থাপিত হয়েছিল।
৩। পাঠের কঠিন শব্দগুলো খুঁজে নিয়ে অর্থ জেনে নিজের খাতায় লেখো
তাৎপর্য – গুরুত্ব, সার্থকতা, মর্ম
স্বর্ণাক্ষরে – সোনালী অক্ষরে, খুব গুরুত্ব সহকারে
অদম্য – দমন করা যায় না এমন, অপ্রতিরোধ্য
পর্যুদস্ত – সম্পূর্ণরূপে পরাজিত
অম্লান – যা ম্লান হয় না, উজ্জ্বল, অক্ষয়
অনতিদূরে – খুব কাছে, বেশি দূরে নয়
কিংবদন্তিমূলক – লোকমুখে প্রচলিত কাহিনী বা প্রবাদসম্পর্কিত
নিরলসভাবে – ক্লান্তিহীনভাবে, অক্লান্তভাবে
৪। নীচের বাক্যগুলো পাঠের অবলম্বনে পূর্ণ করো
(ক) মহাবলী ব্রহ্মপুত্র প্রকৃতপক্ষে অসমকে দুটি ভাগে বিভক্ত করে রেখেছে- শদিয়া থেকে ধুবড়ি আঁকাবাঁকা বিচিত্র পথে সে এগিয়ে চলেছে। সে-মানুষের সুখ-দুঃখের সাক্ষী… তার গতি-চাঞ্চল্য উপত্যকাকে সবুজ রাখতে সাহায্য করেছে।
(খ) বর্তমান শরাইঘাট সেতুর দুপাশে বিশাল ফাঁকা জমি- একদিকে গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয় ও পশ্চাদভাগে সদিলাপুর গ্রাম।
(গ) কোনোরূপ বিদেশী প্রযুক্তি ছাড়াই এই বিশাল কাজ সম্পন্ন হয়েছিল। এই ব্রিজ তৈরির স্থপতি শ্রীবিসি গাঙ্গুলি ও শ্রীবিকে মিত্রের অবদান এখনও অমলিন।
(ঘ) ব্রহ্মপুত্রের বুকের উপর এই সেতুর নামকরণ নিয়ে প্রথমে জটিলতা ছিল। পরে ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নামকরণ হয় ‘শরাইঘাট দলং’।
৫। উত্তর বলো ও লেখো
(ক) শরাইঘাট যুদ্ধ জয়ের মূল কথাগুলো কী?
উত্তর: শরাইঘাট যুদ্ধ জয়ের মূল কথাগুলো হলো
অসমের সৈন্যদের কর্মদক্ষতা ও সময় অনুযায়ী কর্তব্যবোধ
আভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলার প্রকাশ
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অদম্য দেশপ্রেমের ভাব
সেনাপতি লাচিত বরফুকনের সুতীক্ষ্ণ যুদ্ধ কৌশল
মোগলদের দুর্বল নৌ বাহিনীর ব্যবস্থা খুঁজে বের করে সেখানে আঘাত হানা
(খ) গুয়াহাটি মানুষকে কেন আকর্ষণ করে চলছে?
উত্তর: গুয়াহাটি (প্রাচীন প্রাগজ্যোতিষপুর) অতি প্রাচীনকাল থেকে বর্তমান কাল পর্যন্ত অসংখ্য মানুষকে আকর্ষণ করে চলেছে। এর প্রধান কারণগুলো হলো
এটি মন্দিরময়-পর্বতময় স্থান
এখানে রয়েছে কামাখ্যা মন্দির, ভুবনেশ্বরী মন্দির, উমাপতি উমানন্দ ভৈরবের মন্দির এবং ব্রহ্মর্ষি বশিষ্টদেবের আশ্রম
(গ) এখানে মানুষ কেন আসে?
উত্তর: মানুষ উত্তর-পূর্ব ভারতে আসে মনের টানে, প্রাণের টানে, এবং কাজের টানে।
(ঘ) শরাইঘাট সেতুকে উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রাণস্বরূপ বলা হয়েছে কেন?
উত্তর: শরাইঘাট সেতুকে উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রাণস্বরূপ বলা হয়েছে কারণ
এটি সমগ্র দেশের সঙ্গে অসম তথা উত্তর-পূর্ব ভারতের সংযোগ সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে
দেশ বিভাগের পর যখন উত্তর-পূর্ব ভারত সারা দেশ থেকে অনেকটা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল, তখন এই সেতুটি যোগাযোগ রক্ষার মূল দায়িত্ব পালন করে চলেছে
এটি দেশের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ ও সংস্কৃতির আদানপ্রদানে চিরকালের সম্পদ হয়ে থাকবে
৬। প্রসঙ্গের সঙ্গে সংগতি রেখে ব্যাখ্যা করো
(ক) ‘শরাইঘাটের যুদ্ধ’ লাচিত বরফুকনের সঙ্গে মোগলদের যুদ্ধের এক সোনালি ইতিহাস
ব্যাখ্যা:
উৎস ও প্রসঙ্গ: উদ্ধৃতাংশটি ‘চিরকালের শরাইঘাট’ প্রবন্ধের অংশ। এখানে ১৬৭১ সনের শরাইঘাট যুদ্ধ-এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব এবং সেনাপতি লাচিত বরফুকন-এর ভূমিকার কথা বলা হয়েছে।
মূল ভাব: শরাইঘাটের যুদ্ধ ছিল আহোম এবং মোগলদের মধ্যে অসমের বুকে সাম্রাজ্য বিস্তারের শেষ প্রচেষ্টা। এই যুদ্ধে লাচিত বরফুকন নিজের সুদক্ষ নেতৃত্ব, অদম্য দেশপ্রেম এবং সুতীক্ষ্ণ রণকৌশল-এর মাধ্যমে মোগলদের বিশাল বাহিনীকে পরাস্ত করেছিলেন।
তাৎপর্য: যেহেতু লাচিতের এই বিজয় অসমকে মোগল আক্রমণ থেকে রক্ষা করেছিল এবং তাঁর বীরত্ব ও দেশপ্রেম এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল, তাই এই যুদ্ধ অসমের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে জ্বলজ্বল করছে এবং একে ‘সোনালি ইতিহাস’ বলে অভিহিত করা হয়েছে।
(খ) দেশের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ ও সংস্কৃতির আদানপ্রদানে ‘শরাইঘাট সেতু’ চিরকালের সম্পদ হয়ে থাকবে
ব্যাখ্যা:
উৎস ও প্রসঙ্গ: এটি ‘চিরকালের শরাইঘাট’ প্রবন্ধের শেষাংশ। এখানে ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর নির্মিত শরাইঘাট সেতুর আধুনিক গুরুত্ব ও দূর-দূরান্তের যোগাযোগে এর ভূমিকার কথা বলা হয়েছে।
মূল ভাব: শরাইঘাট সেতুটি উত্তর-পূর্ব ভারত এবং দেশের মূল ভূখণ্ডের মধ্যে একটি অপরিহার্য সংযোগকারী পথ। দেশ বিভাগের পর যোগাযোগের যে অসুবিধা দেখা দিয়েছিল, তা এই সেতু দূর করেছে।
তাৎপর্য: এই সেতু কেবল রেল বা সড়ক যোগাযোগের ‘life line’ নয়, এটি সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক আদানপ্রদানেরও মূল ভিত্তি। এক অঞ্চলের মানুষ অন্য অঞ্চলের মানুষের সঙ্গে সহজেই মিশতে পারছে, যার ফলে আঞ্চলিক সংস্কৃতি ও জাতীয় সংহতি দৃঢ় হচ্ছে। তাই শরাইঘাট সেতু তার ঐতিহাসিক প্রয়োজন সিদ্ধ করে, উত্তর-পূর্ব ভারতের জন্য এক চিরকালের সম্পদ হয়ে থাকবে।
খ- ভাষা-অধ্যয়ন
৭। নীচের বাক্যে নিম্নরেখ পদগুলো ভালো করে লক্ষ করো
উত্তর: এটি একটি শিক্ষণীয় অংশ, এখানে কারক ও বিভক্তির ধারণা দেওয়া হয়েছে।
৮। এভাবে শব্দের সঙ্গে যুক্ত ‘কে’, ‘এর’, ‘শূন্য’ ইত্যাদিকে ব্যাকরণের ভাষায় ‘বিভক্তি’ বলা হয়
উত্তর: এটি একটি সংজ্ঞা এবং প্রকারভেদ জানানোর অংশ।
৯। নীচের বাক্যেগুলোর নিম্নরেখ পদের বিভক্তি-চিহ্ন এবং বিভক্তি-পরিচয় বের করো
(ক) অসমসৈন্য মোগলদের পরাস্ত করে – মোগলদের, -দের, দ্বিতীয় বা চতুর্থী বিভক্তি
(খ) তোমরা সুখে ঘরে ফিরে যাও – ঘরে, -এ, সপ্তমী বিভক্তি
(গ) লাচিত মহাবীর ছিলেন – লাচিতØ, শূন্য বিভক্তি, প্রথমা বিভক্তি
(ঘ) সেনাদের যুদ্ধে এগিয়ে যেতে বলো – বলØ, শূন্য বিভক্তি, প্রথমা বিভক্তি (ক্রিয়া পদ)
(ঙ) মোগলেরা দিল্লি থেকে এসেছিলেন – দিল্লি থেকে, -থেকে, পঞ্চমী বিভক্তি
(চ) লাচিতকে ছাড়া অসমের ইতিহাস অসম্পূর্ণ – লাচিতকে, -কে, দ্বিতীয় বা চতুর্থী বিভক্তি
(ছ) জীবন যুদ্ধে সত্যের জয় হয় – যুদ্ধে, -এ, সপ্তমী বিভক্তি
১০। বাক্য রচনা করো
প্রত্যেক: প্রত্যেক ছাত্রের বিদ্যালয়ে আসা উচিত
রাজাদেশ: প্রজা সাধারণ নত মস্তকে রাজাদেশ পালন করল
মহৌষধি: এই গাছটির পাতা একটি মহৌষধি গুণসম্পন্ন
যথেষ্ট: পরীক্ষায় ভালো ফল করতে হলে যথেষ্ট মনোযোগ প্রয়োজন
যথোচিত: শিক্ষককে যথোচিত সম্মান দেওয়া আমাদের কর্তব্য
১১, ১২, ১৩। স্বরসন্ধি – শশাঙ্ক, মহেশ, মহর্ষি
উত্তর: এই অংশগুলি স্বরসন্ধির বিভিন্ন সূত্র এবং উদাহরণ বোঝার জন্য দেওয়া হয়েছে
১৪। সন্ধি করো
মহা + ওষধি = মহৌষধি (আ + ও = ঔ)
দেব + ইন্দ্র = দেবেন্দ্র (অ + ই = এ)
মাতৃ + আদেশ = মাত্রাদেশ (ঋ + আ = রা)
পৌ + অক = পাবক (ঐ + অ = আব্)
১৫। নিম্নলিখিত শব্দগুলোর সন্ধি-বিচ্ছেদ করো
স্বর্ণাক্ষর = স্বর্ণ + অক্ষর, স্বরসন্ধি (অ+অ = আ)
দেবালয় = দেব + আলয়, স্বরসন্ধি (অ+আ = আ)
রবীন্দ্র = রবি + ইন্দ্র, স্বরসন্ধি (ই+ই = ঈ)
হিমালয় = হিম + আলয়, স্বরসন্ধি (অ+আ = আ)
কথামৃত = কথা + অমৃত, স্বরসন্ধি (আ+অ = আ)
শশীন্দ্র = শশী + ইন্দ্র, স্বরসন্ধি (ঈ+ই = ঈ)
লঘুর্মি = লঘু + ঊর্মি, স্বরসন্ধি (উ+ঊ = ঊ)
নরেন্দ্র = নর + ইন্দ্র, স্বরসন্ধি (অ+ই = এ)
যথোচিত = যথা + উচিত, স্বরসন্ধি (আ+উ = ও)
ক্ষুধার্ত = ক্ষুধা + ঋত, স্বরসন্ধি (আ+ঋ = আর্)
জ্ঞানেশ = জ্ঞান + ঈশ, স্বরসন্ধি (অ+ঈ = এ)
শয়ন = শে + অন, স্বরসন্ধি (এ+অ = অয়)
গায়ক = গৈ + অক, স্বরসন্ধি (ঐ+অ = আয়)
পবন = পো + অন, স্বরসন্ধি (ও+অ = অব্)
বনৌষধি = বন + ওষধি, স্বরসন্ধি (অ+ও = ঔ)
মহৌষধি = মহা + ওষধি, স্বরসন্ধি (আ+ও = ঔ)
স্বাগত = সু + আগত, স্বরসন্ধি (উ+আ = বা)
১৬। পদান্তর করো
প্রকৃতি → প্রাকৃতিক
জয় → বিজয়ী
দেশ → দেশীয়
দিন → দৈনিক
বাদশাহ → বাদশাহী
জাতি → জাতীয়
অন্বেষণ → অন্বেষণীয়
শৃঙ্খলা → সুশৃঙ্খল
বিশেষণ → বিশেষ্য
সামরিক → সমর
নির্ভীক → নির্ভীকতা
স্বার্থ → স্বার্থকতা
বিজয় → বিজয়ী
ধ্বংস → ধ্বংসাত্মক
গ্রাম্য → গ্রাম
দেশী → দেশ
বৈদিক → বেদ
শত্রু → শত্রুতাপূর্ণ
চেতনা → সচেতন
জাগ্রত → জাগরণ
প্রকাশ → প্রকাশিত
গ-জ্ঞান-সম্প্রসারণ
১৮। শরাইঘাট সেতুর উত্তর ও দক্ষিণ পারে দুজন বীরের প্রতিমূর্ত্তি আছে। সেই বীর দুজন কে? তাঁদের বীরত্বের কাহিনি
লাচিত বরফুকন: আহোম সৈন্যের দায়িত্বে থাকা সেনাপতি। ১৬৭১ সনের শরাইঘাটের যুদ্ধে অদম্য দেশপ্রেম ও সুতীক্ষ্ণ যুদ্ধ কৌশল-এর মাধ্যমে মোগলদের বিশাল নৌ-বাহিনী পরাস্ত করেন। এক ঘটনা হলো, যুদ্ধের আগে বাঁধ নির্মাণের দায়িত্বে মামা অলসতা করায় লাচিত নিজে তাকে হত্যা করেন, “মোমাইতকৈ দেশ ডাঙর” উক্তি দিয়ে দেশপ্রেমের নজির স্থাপন করেন।
রামসিংহ: মোগল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের পাঠানো সেনাপতি। বিশাল সৈন্যদল নিয়ে অসমে এসেছিলেন, কিন্তু লাচিত বরফুকনের কৌশলের কাছে পরাজিত হন। মোগলরা কিছু সময় গুয়াহাটির দখল নিয়েছিলেন, ১৬৮২ সনে আহোমরা পুনরায় নিয়ন্ত্রণে এনেছিল।
১৯। সংক্ষিপ্ত উত্তর
(ক) ‘চিলারায় দিবস’ কোন তারিখে পালন করা হয়?
উত্তর: মাঘী পূর্ণিমা বা ১১ ফেব্রুয়ারি।
(খ) ‘লাচিত দিবস’ কোন তারিখে পালন করা হয়?
উত্তর: ২৪ নভেম্বর।
(গ) ‘চুকাফা দিবস’ (অসম দিবস) কখন পালন করা হয়?
উত্তর: ২ ডিসেম্বর।
২০। রচনা
(ক) অসমের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য:
উত্তর: অসম হলো প্রকৃতির লীলা নিকেতন। মহাবাহু ব্রহ্মপুত্র নদ রাজ্যকে দুটি ভাগে বিভক্ত করেছে। নদীর গতি-চাঞ্চল্য উপত্যকাকে সবুজ ও উর্বর করেছে। পাহাড় ও চা-বাগানের দৃশ্য মনোমুগ্ধকর। গুয়াহাটির মন্দিরময়-পর্বতময় শহর থেকে কাজিরাঙ্গার অভয়ারণ্য পর্যন্ত মানুষকে আকর্ষণ করে।
(খ) শরাইঘাটের যুদ্ধ:
উত্তর: ১৬৭১ সনের শরাইঘাটের যুদ্ধে লাচিত বরফুকনের নেতৃত্বে আহোম সেনারা মোগল বাহিনীকে পরাজিত করে। যুদ্ধের মূল গুণ হলো দেশপ্রেম, কৌশল ও সাহস।
২১। সংক্ষিপ্ত টীকা
(ক) শরাইঘাট দলং: ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর নির্মিত ঐতিহাসিক সেতু। উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রথম রেল ও সড়ক সেতু। ১৯৬২-২০১২ সালে পঞ্চাশ বছর পূর্ণ করেছে। স্থপতি শ্রীবিসি গাঙ্গুলি ও শ্রীবিকে মিত্র।
(খ) লাচিত বরফুকন: ১৬৭১ সনের শরাইঘাটের আহোম সেনাপতি। অদম্য দেশপ্রেম ও সাহসিকতার জন্য বিশাল মোগল বাহিনী পরাস্ত।
(গ) রামসিংহ: মোগল সৈন্যের পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সেনাপতি। লাচিত বরফুকনের কৌশলের কাছে পরাজিত।
ঘ – প্রকল্প
২২। লাচিতের স্মৃতি রক্ষার্থে নেওয়া ব্যবস্থা
লাচিত দিবস প্রতি বছর ২৪ নভেম্বর পালন
মূর্তি: শরাইঘাট সেতুর উভয় পাড়ে
জাতীয় প্রতিরক্ষা অ্যাকাডেমিতে স্বর্ণ পদক
স্মৃতিসৌধ ও পার্ক
শিক্ষা ও সাহিত্যে প্রচার
২৩। লাচিতের মতো দেশ রক্ষার্থে লড়াই করা দুজন বীর
১। ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ: মারাঠা সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা। অউরঙ্গজেবের বিরুদ্ধে গরিলা যুদ্ধ কৌশলে লড়াই, স্বরাজ প্রতিষ্ঠা।
২। মহারানা প্রতাপ: মেবারের রাজপুত শাসক। আকবরের বিরুদ্ধে হলদিঘাটির যুদ্ধে সীমিত সৈন্য নিয়ে বীরত্বপূর্ণ লড়াই।
—
সবকিছু বাংলায়, টেবিল ছাড়া, মূল কাঠামো অনুযায়ী উপস্
