চলো বাগানে যাই, Chapter -5, Class -3, SEBA, EVS New Book
চলো বাগানে যাই, Chapter -5, Class -3, SEBA, EVS New Book
পৃষ্ঠা ২৯ (এসো বলি)
* প্রশ্ন: প্রণব, আরতি, জেনিফার ও সাজিদা বাগানে কী কী গাছপালা দেখেছিলো?
* উত্তর: প্রণব, আরতি, জেনিফার ও সাজিদা বাগানে বকুল গাছ, গোলাপ, গাঁদা, জবা, জুঁই, পুঁইশাকের গাছ ও লাউগাছ দেখেছিলো।
পৃষ্ঠা ৩০
* প্রশ্ন: (ক্রিয়াকলাপ ১) তোমার দেখা গাছগুলো গঠন অনুযায়ী তালিকাতে শ্রেণি বিভাজন করো-
* উত্তর: (এটি ছাত্রছাত্রীদের নিজেদের তালিকা প্রস্তুত করার জন্য। পাঠ অনুযায়ী উদাহরণ:)
* উঁচু ও শাখা প্রশাখাযুক্ত (বৃক্ষ) – বকুল, আম, কঁঠাল, জাম, অশ্বত্থ, শাল, হলং।
* খাটো ও ঝোপযুক্ত (গুল্ম) – গোলাপ, গাঁদা, জবা, ডালিম, লেবু, মেহেন্দি।
* বেয়ে উঠা গাছ (লতা) – পুঁইশাক, লাউ, পান, গোলমরিচ (আরোহী), মিষ্টিকুমড়ো, তরমুজ।
* ছোট ও কোমল কাণ্ড (তৃণ) – ঘাস, দূর্বাঘাস, ধান, বাঁশ।
* প্রশ্ন: (ক্রিয়াকলাপ ২) শিক্ষকের সাহায্য নিয়ে বর্ষা ও শীতকালের শস্যের তালিকা প্রস্তুত করো-
* উত্তর: (এটি ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষকের সাহায্যে করার কাজ। পাঠ্যপুস্তকে এই তালিকা দেওয়া নেই।)
পৃষ্ঠা ৩১
* প্রশ্ন: (ক্রিয়াকলাপ ৩) তোমাদের অঞ্চলে ঔষধি গুণ যুক্ত কী কী উদ্ভিদ আছে সেগুলোর নামগুলি লিখে তালিকা প্রস্তুত করো।
* উত্তর: (এটি ছাত্রছাত্রীদের নিজেদের তালিকা প্রস্তুত করার জন্য। পাঠ অনুযায়ী উদাহরণ:) নিম, ঘৃতকুমারী, তুলসী, কারিপাতা, থানকুনি, ভাদালি পাতা, মেছো পাতা, পাথরকুচি, পুদিনা ইত্যাদি।
* প্রশ্ন: (এসো করে দেখি) মাটির উপরের অংশটির নাম কী?
* উত্তর: মাটির উপরের অংশটির নাম কাণ্ড।
* প্রশ্ন: (এসো করে দেখি) মাটির নিচের অংশটির নাম কী?
* উত্তর: মাটির নিচের অংশটির নাম শিকড়।
* প্রশ্ন: (এসো লিখি) একটি বড় গাছকে তুলে আনতে চেষ্টা করো। পারবে কি? যদি না পারো, কেন?
* উত্তর: না, পারব না। কারণ বড় গাছের শিকড় মাটিকে শক্ত করে আঁকড়ে ধরে গাছকে দাঁড়িয়ে থাকতে সাহায্য করে।
পৃষ্ঠা ৩২ (এসো লিখি)
* প্রশ্ন: নিচে দেওয়া উদ্ভিদের পাতাগুলো চিনতে পেরেছো কি? তাদের নামগুলো লিখো।
* উত্তর: (ছবি অনুযায়ী)
* ১. কলা পাতা
* ২. লাউ পাতা (বা কুমড়ো পাতা)
* ৩. কাঁঠাল পাতা
* ৪. আম পাতা
* ৫. বাঁশ পাতা
* ৬. পেঁপে পাতা
* ৭. কচু পাতা
* ৮. পদ্ম পাতা
* প্রশ্ন: এই পাতগুলো কী কী কাজে ব্যবহৃত হয়, শিক্ষক-শিক্ষয়িত্রীর থেকে জেনে নাও।
* উত্তর: (এটি ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষকের সাহায্যে করার কাজ।)
পৃষ্ঠা ৩৩
* প্রশ্ন: (ক্রিয়াকলাপ ৪) পাতাগুলোর আকার, আকৃতি, রঙ নির্ণয় করে তালিকাভুক্ত করো-
* উত্তর: (এটি ছাত্রছাত্রীদের নিজেদের তালিকা প্রস্তুত করার জন্য। পাঠের উদাহরণ অনুযায়ী:)
* কোন গাছের পাতা – আম পাতা, পাতার আকৃতি – লম্বা।
* কোন গাছের পাতা – পদ্ম পাতা, পাতার আকৃতি – বৃত্তাকার।
* প্রশ্ন: (এসো করে দেখি) এখন পাতার সাঁজটি লক্ষ্য করো ও কী দেখলে বলো।
* উত্তর: পাতার সাঁজটিতে শিরা-উপশিরা দেখতে পাবো।
পৃষ্ঠা ৩৪ (এসো লিখি)
* প্রশ্ন: নিচের ছবিতে থাকা ফুলগুলো সনাক্ত করে ছবির নিচে তাদের নামগুলো লিখো।
* উত্তর: (ছবি অনুযায়ী)
* ১. অর্কিড (কপৌ ফুল)
* ২. গোলাপ
* ৩. জবা
* ৪. সূর্যমুখী
* ৫. গাঁদা
* ৬. পদ্ম
* ৭. শিউলি
* ৮. ডালিয়া
পৃষ্ঠা ৩৫ (ক্রিয়াকলাপ ৫)
* প্রশ্ন: গন্ধযুক্ত, গন্ধবিহীন, শীতকালীন ও বসন্তকালীন ফুলের তালিকা প্রস্তুত করো-
* উত্তর: (এটি ছাত্রছাত্রীদের নিজেদের তালিকা প্রস্তুত করার জন্য। পাঠ অনুযায়ী উদাহরণ:)
* গন্ধযুক্ত – গোলাপ, জুঁই, হাসনা হানা, শিউলি।
* গন্ধ বিহীন – জবা, ডালিয়া, সূর্যমুখী, পদ্ম।
* শীতকালীন – ডালিয়া, গাঁদা।
* বসন্তকালীন – অর্কিড (পরগাছা), টগর, নাগেশ্বর।
পৃষ্ঠা ৩৬ (অনুশীলনী)
১। উত্তর লেখো –
* (ক) প্রশ্ন: একটি আরোহীলতার নাম।
* উত্তর: একটি আরোহীলতার নাম পান (বা গোলমরিচ)।
* (খ) প্রশ্ন: চারটি বৃক্ষজাতীয় উদ্ভিদের নাম।
* উত্তর: চারটি বৃক্ষজাতীয় উদ্ভিদের নাম হলো আম, কঁঠাল, জাম ও অশ্বত্থ।
* (গ) প্রশ্ন: দুটি গুল্মজাতীয় উদ্ভিদের নাম।
* উত্তর: দুটি গুল্মজাতীয় উদ্ভিদের নাম হলো গোলাপ ও ডালিম (বা জবা/লেবু)।
* (ঘ) প্রশ্ন: বর্ষাকালের দুরকম শাক সবজির নাম।
* উত্তর: (পাঠ্যপুস্তকে বর্ষাকালের শাক-সবজির নির্দিষ্ট তালিকা নেই, তবে পাঠে পুঁইশাক ও লাউ-এর উল্লেখ আছে যা বর্ষায় পাওয়া যায়।)
* (ঙ) প্রশ্ন: দুরকম অসমের মূল্যবান কাঠের নাম।
* উত্তর: দুরকম অসমের মূল্যবান কাঠের নাম হলো শাল ও হলং (বা বনসোম/তিতাচাপা)।
২। শূন্যস্থান পূর্ণ করো
* (ক) গাছ শিকড়ের সাহায্যে জল শুষে নেয়।
* (খ) মৌ-মাছি ফুলের রস আহরণ করে মধু তৈরি করে।
* (গ) অর্কিড বসন্ত কালে ফোটে।
* (ঘ) পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু তৃণজাতীয় উদ্ভিদটি হল বাঁশগাছ।
* (ঙ) ডালিম গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ।
৩। শুদ্ধ শব্দটিতে ‘✓’ চিহ্ন দাও
* (ক) বাঁশ গাছ গুল্ম / বৃক্ষ / তৃণজাতীয় উদ্ভিদ।
* (খ) বৃক্ষজাতীয় উদ্ভিদের কাণ্ড শক্ত / কোমল/ফাঁপা।
* (গ) উদ্ভিদ কাণ্ড/ শিকড়ের সাহায্যে মাটি থেকে জল শোষণ করে।
* (ঘ) উদ্ভিদের কাণ্ড / শিকড় থেকে, ডাল-পাতা বের হয়।
* (ঙ) ঘৃতকুমারী তৃণ/ গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। (পাঠের শ্রেণিবিভাগ অনুযায়ী এটি গুল্মের অন্তর্ভুক্ত)
৪। প্রশ্ন: আকার ও গঠনের উপর ভিত্তি করে উদ্ভিদকে কয়টিভাগে বিভক্ত করা হয়েছে? ভাগ কয়টি কী কী?
* উত্তর: আকার ও গঠনের উপর ভিত্তি করে উদ্ভিদকে চারটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। ভাগ চারটি হলো- তৃণ, লতা, গুল্ম ও বৃক্ষ।
৫। প্রশ্ন: একটি গাছ এঁকে তার বিভিন্ন অংশগুলো চিহ্নিত করো।
* উত্তর: (এটি ছাত্রছাত্রীদের আঁকার কাজ। অংশগুলো হবে- শিকড়, কাণ্ড, পাতা, ফুল, ফল।)
৬। প্রশ্ন: ‘গাছ-পালা’ সংরক্ষণ এর প্রতি সচেতনতার জন্য শ্লোগান লিখে পোষ্টার তৈরি করো।
* উত্তর: (এটি ছাত্রছাত্রীদের নিজেদের লেখার কাজ।)
