গ্রন্থ পাঠ
“গ্রন্থ পাঠ” প্রবন্ধটির ভিত্তিতে সমস্ত প্রশ্ন ও উত্তরগুলি বাংলায় নিচে দেওয়া হলো।
—
পাঠভিত্তিক প্রশ্নাবলী ও উত্তর
প্রশ্ন ১
এসো, নীচের প্রশ্ন দুটির শুদ্ধ উত্তর এই (✔) চিহ্ন দ্বারা চিহ্নিত করি-
জ্ঞান লাভের মুখ্য উপায়
(ক) অস্থিরতা
(খ) চঞ্চল মন
(গ) গ্রন্থ পাঠ ✔
(ঘ) অসৎ সঙ্গী
জীবনে উন্নতি করতে প্রয়োজন
(ক) জড় বুদ্ধি
(খ) একাগ্রতা ✔
(গ) চঞ্চল মন
(ঘ) রত্ন
—
প্রশ্ন ২
নীচের শব্দজালে কিছু অর্থযুক্ত শব্দ আছে এবং সেই শব্দগুলোর অর্থ নীচের বাক্সে দেওয়া আছে। অর্থ অনুসারে সেই শব্দগুলো শনাক্ত করে গোল করে চিহ্নিত করো এবং নীচের বাক্সে লেখো।
(১) প্রক্রিয়া – প্রণালি
(২) অনুযায়ী – অনুসারে
(৩) বিদ্যুৎ – তড়িৎ
(৪) যে অন্যমনস্ক না হয়ে একান্তভাবে লেগে থাকে – একনিষ্ঠ
(৫) বই – গ্রন্থ
(৬) সম্পদ – ধন
(৭) যে-ঘরে বই রাখা হয় – ভাণ্ডার
(৮) মূলধন – পুঁজি
(৯) সঞ্চয় করা হয়েছে – সঞ্চিত
(১০) সুখ-দুঃখের অনুভূতি – অনুভব
—
প্রশ্ন ৩
বলো এবং লেখো—
(ক) দূরের রত্ন কীভাবে হাতের কাছে পাওয়া যায়?
Ans.পড়াশোনার মাধ্যমে দূরের মূল্যবান রত্নও হাতের কাছে পাওয়া যায়। একমাত্র বই থেকে দূর বিদেশে বসবাসকারী পণ্ডিতদের মূল্যবান উপদেশগুলো ঘরে বসেই পাওয়া যায়।
(খ) একটি গ্রন্থের মূলভাব কীভাবে উদ্ধার করতে পারা যায়?
Ans.একটি গ্রন্থের মূলভাব বুঝতে হলে বইটি মন দিয়ে পড়তে হয়। এমনিতে চোখ বুলিয়ে গেলে বইটির মূল ভাব উদ্ধার করা সম্ভব নয়।
(গ) গ্রন্থে লিখিত জ্ঞানকে কীসের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে?
Ans.গ্রন্থে লিখিত জ্ঞানকে সঞ্চিত সম্পদের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
(ঘ) প্রয়াত গুণিজনদের জ্ঞানবুদ্ধির কথা কীভাবে লাভ করতে পারি?
Ans.আমরা প্রয়াত গুণিজনদের জ্ঞান-বুদ্ধির কথা তাঁদের রচিত গ্রন্থ থেকে অতি সহজেই লাভ করতে পারি।
—
প্রশ্ন ৪
নীচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো—
(ক) গ্রন্থাকারে লিখিত জ্ঞানকে কেন সঞ্চিত সম্পদ বলা হয়েছে?
Ans.গ্রন্থাকারে লিখিত জ্ঞান মূলত সঞ্চিত সম্পদের মতো। প্রতিটি গ্রন্থই হচ্ছে এক-একজন ব্যক্তির সঞ্চিত জ্ঞান-ভাণ্ডার। লেখক অনেক পরিশ্রম করে গ্রন্থরূপী জ্ঞান-ভাণ্ডার তৈরি করেন, আর আমরা শুধু বইটি পড়েই তাঁর অর্জিত জ্ঞানটুকু খুব সহজেই লাভ করতে পারি। অন্যের অর্জিত এই বিদ্যা যদি গ্রন্থে সঞ্চয় করা না যেত, তাহলে সব বিষয় নতুন করে শিখতে হতো এবং মানুষের উন্নতি সম্ভব হতো না। এই কারণেই গ্রন্থাকারে লিখিত জ্ঞানকে সঞ্চিত সম্পদ বলা হয়েছে।
(খ) জ্ঞান লাভের উপায়কে ধন অর্জনের উপায়ের মতো বলা হয়েছে কেন?
Ans.জ্ঞান লাভের উপায়কে ধন অর্জনের উপায়ের মতো বলা হয়েছে কারণ—
আর্থিক পুঁজি কিছুটা না থাকলে যেমন অর্থ উপার্জন সম্ভব নয়, ঠিক তেমনি বিদ্যা একেবারেই না থাকলে জ্ঞান অর্জনও কঠিন হয়।
আবার, আর্থিক পুঁজি যার যত বেশি থাকে, সে তত বেশি ধন-সম্পদ লাভে সমর্থ হয়।
ঠিক এভাবেই, মূল বিদ্যা যার যত বেশি, সে তত বেশি জ্ঞান লাভ করতে পারে।
সংক্ষেপে, পড়াশোনা থেকে জ্ঞান লাভের যে সূচনা হয়, সেই সূচনার ভিত যার যত দৃঢ় সে জীবনে তত শিক্ষা-দীক্ষায় উন্নতি লাভ করে।
(গ) পড়াশোনার মাধ্যমে দূরের রত্ন কীভাবে হাতের কাছে পাওয়া যায়?
Ans.পড়াশোনার মাধ্যমে দূরের মূল্যবান রত্নও হাতের কাছে পাওয়া যায়। দূর বিদেশে বসবাসকারী পণ্ডিত ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে অনেক টাকা ও পরিশ্রমের প্রয়োজন হয়, এমনকি সাক্ষাৎ হলেও সকলের পক্ষে তাঁদের কাছ থেকে শুনে বিদ্যা লাভ সম্ভব নয়। কিন্তু একমাত্র বইয়ের মাধ্যমে আমরা বিদেশের সেই সমস্ত পণ্ডিতদের মূল্যবান উপদেশগুলো ঘরে বসেই পেয়ে যাই। এইভাবে বই হলো জ্ঞান লাভের এক সুগম উপায়।
(ঘ) পড়াশোনা থেকে কীভাবে মনের একাগ্রতা জন্মে বুঝিয়ে লেখো।
Ans.জীবনে উন্নতি করতে হলে প্রয়োজন মনের একাগ্রতা, যা পড়াশোনা থেকেই জন্ম নেয়। চঞ্চল মনকে স্থির করার জন্য এবং জড় বুদ্ধিকে সক্রিয় করে তুলতে পড়াশোনার মতো সুফলদায়ক অন্য কোনো উপায় নেই। কোনো বইয়ের মূলভাব বুঝতে হলে বইটি মন দিয়ে পড়তে হয়। সেজন্য পড়ার সময় মনকে অন্য চিন্তা থেকে সরিয়ে এনে শুধু পড়াতেই মনোনিবেশ করতে হয়। এইভাবে যে ব্যক্তি মনকে একটা বিষয়ে কেন্দ্রীভূত করতে পারে, তার মনের চঞ্চলতা আস্তে আস্তে নিয়ন্ত্রণে এসে যায় এবং ভবিষ্যতে সে যে-কোনো বিষয়ে একনিষ্ঠ হয়ে উঠতে পারে। এভাবেই পড়াশোনা থেকে মনের একাগ্রতা জন্মে।
—
প্রশ্ন ৫
‘ভালো বই পড়লে ভালো সঙ্গী এবং মন্দ বই পড়লে মন্দ সঙ্গীর সঙ্গে মেলামেশা করার ফল পাওয়া যায়।’ – পাঠ অবলম্বনে কথাটির যথার্থতা বিস্তৃতভাবে আলোচনা করো।
উত্তর:
এই কথাটির যথার্থতা সম্পূর্ণভাবে প্রমাণিত হয় মানুষের স্বভাব-চরিত্রের ওপর সঙ্গীর প্রভাবের মাধ্যমে। ভালো সঙ্গীর সংস্পর্শে মানুষের ভালো স্বভাব যে গড়ে ওঠে, সে-কথা সবাই স্বীকার করেন। যে স্বভাবের লোকের সঙ্গে সবসময় মেলামেশা করা হয়, মানুষের স্বভাব চরিত্রও ঠিক তার মতোই হয়ে যায়। ভালো লোকের সঙ্গে চলাফেরা করলে ভালো হওয়া যায়, আবার মন্দ লোকের সঙ্গে থাকলে মন্দই হয়।
ঠিক একইভাবে, বইও আমাদের স্বভাব-চরিত্রের ওপর প্রভাব বিস্তার করে—
প্রতিটি গ্রন্থেই লেখকের স্বভাব-চরিত্রের ছায়া থাকে।
যে কোনো গ্রন্থ পাঠ করলে সেই লেখকের সঙ্গে যেন আলাপচারিতা হয়ে যায়।
লেখকের গ্রন্থ বার বার পাঠ করলে যেন স্বয়ং লেখকেই সঙ্গীরূপে পাওয়া যায়।
এই কারণে, ভালো বই পড়লে তা লেখকের ভালো স্বভাব ও জ্ঞানের প্রভাবে আমাদের চরিত্রকে উন্নত করে—যা ভালো সঙ্গীর সাথে মেলামেশা করার ফলের মতোই। পক্ষান্তরে, মন্দ বই পড়লে তার বিষয়বস্তু ও লেখকের মন্দ স্বভাবের ছায়া আমাদের স্বভাবকে খারাপের দিকে ঠেলে দেয়, যা মন্দ সঙ্গীর সাথে মেলামেশার ফল।
—
ভাষা-অধ্যয়ন
প্রশ্ন ৬
নীচে দেওয়া উপসর্গগুলো ব্যবহার করে দুটো করে নতুন শব্দ লেখো।
প্র — প্রকার, প্রধান
বে — বেআইন, বেদখল
অনু — অনুকরণ, অনুগামী
অব — অবসর, অবদান
নি — নিখুঁত, নিবারণ
কু — কুনজর, কুকথা
অ — অকাল, অচেনা
বি — বিদেশ, বিজ্ঞান
—
জ্ঞান সম্প্রসারণ
প্রশ্ন ১০
পোস্টারটি পড়ে নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও—
(ক) অসম গ্রন্থমেলা ক’টা থেকে শুরু হবে?
Ans.অসম গ্রন্থমেলা সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে।
(খ) গ্রন্থমেলাটি কোথায় অনুষ্ঠিত হবে?
Ans.গ্রন্থমেলাটি অসম পশু চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ের খেলার মাঠে, খানাপাড়া, গুয়াহাটি-তে অনুষ্ঠিত হবে।
(গ) গ্রন্থমেলাটি ক’টা থেকে কয়টা পর্যন্ত খোলা থাকবে?
Ans.গ্রন্থমেলাটি সকাল ১০টা থেকে রাত্রি ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
(ঘ) গ্রন্থমেলাতে কত শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে?
Ans.গ্রন্থমেলাতে সকল গ্রন্থে ১০% ছাড় দেওয়া হবে।
(ঙ) গ্রন্থমেলাটিতে কতজন গ্রন্থ বিক্রেতা অংশগ্রহণ করবে?
Ans.গ্রন্থমেলাটিতে রাজ্যিক, রাষ্ট্রীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের দুই শতাধিক গ্রন্থ বিক্রেতা অংশগ্রহণ করবে।
