গৌরাঙ্গের বাল্যলীলা”, Chapter- 1, Class-9, SEBA
“গৌরাঙ্গের বাল্যলীলা”, Chapter- 1, Class-9, SEBA
ক। সঠিক উত্তর নির্বাচন করো।
(১) ‘গৌরাঙ্গের বাল্যলীলা’ পদটি কার রচনা?
উত্তর: ঘ. মুরারি গুপ্তের।
(২) গৌরাঙ্গের গলে দোলে-
উত্তর: ক. বাঘনখ।
(৩) গোরাচাঁদ কার নাম?
উত্তর: ক. শ্রীচৈতন্যের।
(৪) গৌরাঙ্গের মায়ের নাম-
উত্তর: গ. শচী।
খ। প্রশ্নগুলোর অতি সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও।
(এই অংশের উত্তরগুলি আপনার প্রদত্ত পাঠ্যপুস্তক থেকেই সরাসরি তুলে দেওয়া হলো।)
১. শ্রীচৈতন্যের পিতার নাম কী?
উ. জগন্নাথ মিশ্র।
২. শ্রীচৈতন্যের জন্ম কোথায় এবং কত সালে হয়েছিল?
উ. ১৪৮৬ সালে, নবদ্বীপে।
৩. শ্রীচৈতন্যের আসল নাম কী?
উ. বিশ্বম্ভর।
৪. শ্রীচৈতন্যের অন্য একটি নাম বলো।
উ. গৌরাঙ্গ। (অথবা নিমাই)
৫. শ্রীচৈতন্যের মায়ের নাম কী?
উ. শচী দেবী।
গ। প্রশ্নগুলোর সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও।
ক. শ্রীচৈতন্যকে গোরাচাঁদ কেন বলা হয়?
উত্তর: শ্রীচৈতন্যের গায়ের রঙ ফর্সা বা উজ্জ্বল গৌর বর্ণের ছিল। এই কারণে তাঁকে ভালোবেসে ‘গোরাচাঁদ’ (অর্থাৎ গৌর বা ফর্সা চাঁদ) বলা হতো।
খ. গৌরাঙ্গের সাজসজ্জার বিবরণ দাও।
উত্তর: শিশু গৌরাঙ্গ ‘ভুবনমোহন সাজে’ সজ্জিত ছিলেন। তাঁর গলায় বাঘনখ দুলছিল।
গ. গৌরহরি কে?
উত্তর: ‘গৌরহরি’ হলেন শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু।
ঘ. ‘সহিতে কি পারে মায়’- এখানে মা কে?
উত্তর: এখানে ‘মায়’ (মা) বলতে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর জননী শচী দেবীকে বোঝানো হয়েছে।
ঘ। দু-তিনটি বাক্যে উত্তর দাও।
ক. গৌরহরি কে? তিনি কেন সন্ন্যাস গ্রহণ করেছিলেন?
উত্তর: গৌরহরি হলেন শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু। তিনি ছিলেন বৈষ্ণব-ভক্তি-ধর্মের প্রবক্তা। সমগ্র বাংলা ও উড়িষ্যায় এই ভক্তিধর্ম প্রচার এবং ভগবৎপ্রেমে নিজেকে উৎসর্গ করার জন্যই তিনি পরবর্তীকালে সন্ন্যাস গ্রহণ করেছিলেন।
খ. ‘গৌরাঙ্গের বাল্যলীলা’ অবলম্বনে শিশু গৌরাঙ্গের বিবরণ দাও।
উত্তর: শিশু গৌরাঙ্গ মা শচীর আঙিনায় ভুবনমোহন সাজে হামাগুড়ি দেন। তাঁর গলায় বাঘনখ দোলে, মুখ থেকে লালা গড়িয়ে বুক ভেসে যায় এবং তাঁর চাঁদের মতো মুখে বিদ্যুতের মতো হাসি ফুটে ওঠে। তিনি সারা গায়ে ধুলা মেখে খেলা করেন।
গ. ‘কাঁদিয়া আকুল’- এখানে কে এবং কেন কেঁদে আকুল হয়েছেন?
উত্তর: এখানে শিশু গৌরাঙ্গ (গোরা) কেঁদে আকুল হয়েছেন। মা শচীদেবী যখন তাঁকে ধুলামাখা অবস্থা দেখে সইতে না পেরে কোলে তুলে নেন, তখন তিনি কোল থেকে নামার জন্য কান্নাকাটি করেন এবং মাটিতে গড়াগড়ি দিতে থাকেন।
ঘ. ‘এ নহে কোলের ছেলে’- ভাষ্যটি কার? তাঁর এমন ভাষণের যুক্তি দর্শাও।
উত্তর: এই ভাষ্যটি কবি মুরারি গুপ্তের। তাঁর এমন ভাষণের যুক্তি হলো, শিশু গৌরাঙ্গের আচরণ সাধারণ শিশুর মতো নয়। মা কোলে তুলে নিলেও তিনি কোল থেকে নামার জন্য কাঁদছেন, যা সংসারের প্রতি তাঁর অনাসক্তির লক্ষণ। কবি দিব্যদৃষ্টিতে বুঝতে পেরেছেন যে, এই শিশু সাধারণ ‘কোলের ছেলে’ হয়ে থাকবে না, ইনিই ভবিষ্যতে সংসারত্যাগী সন্ন্যাসী ‘গৌরহরি’ হবেন।
ঙ। দশটি বাক্যে উত্তর দাও।
১. ‘গৌরাঙ্গের বাল্যলীলা’ অবলম্বনে শিশু গৌরাঙ্গের বাল্যলীলার বিবরণ দাও।
উত্তর: ‘গৌরাঙ্গের বাল্যলীলা’ পদে কবি মুরারি গুপ্ত শিশু শ্রীচৈতন্যের এক ভুবনমোহন রূপ তুলে ধরেছেন। শিশু গৌরাঙ্গ মা শচীর উঠানে হামাগুড়ি দিয়ে বেড়ান। তিনি কখনো মায়ের আঙুল ধরে হাঁটতে শেখেন এবং আছাড় খেয়ে পড়ে যান। তাঁর গলায় বাঘনখ দুলতে থাকে। শিশুসুলভ হাসিতে তাঁর মুখমণ্ডল উজ্জ্বল হয়ে ওঠে, যাকে কবি ‘হাসির বিজুলি’ বলেছেন। মুখ থেকে গড়িয়ে পড়া লালায় তাঁর বুক ভেসে যায়। তিনি মাটিতে গড়াগড়ি দেন এবং সারা গায়ে ধুলা মাখেন। স্নেহবশত মা শচী তাঁকে কোলে তুলে নিতে গেলে তিনি সইতে পারেন না। শিশু গোরাচাঁদ তখন কেঁদে আকুল হন এবং কোল থেকে নামার জন্য জেদ করেন। মাটিতে নেমেই তিনি আবার গড়াগড়ি দিতে থাকেন।
২. ‘গৌরাঙ্গের বাল্যলীলা’ কবিতাটির সার-সংক্ষেপ করো।
উত্তর: ‘গৌরাঙ্গের বাল্যলীলা’ পদটিতে কবি মুরারি গুপ্ত শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর শিশুকালের এক মনোমুগ্ধকর চিত্র এঁকেছেন। মা শচীর আঙিনায় শিশু গৌরাঙ্গ অপরূপ সাজে হামাগুড়ি দেন এবং হাঁটতে গিয়ে আছাড় খান। তাঁর গলায় বাঘনখ, মুখে লালা ও হাসির দ্যুতি। তিনি মাটিতে ধুলা মেখে খেলতে ভালোবাসেন। মমতাময়ী মা শচী ধুলামাখা সন্তানকে সইতে না পেরে কোলে তুলে নিলে, গৌরাঙ্গ কোল থেকে নামার জন্য কেঁদে আকুল হন এবং মাটিতে গড়াগড়ি দেন। এই দৃশ্য দেখে কবি মুরারি গুপ্ত মন্তব্য করেছেন যে, এই শিশু সাধারণ ‘কোলের ছেলে’ নয়, ইনিই ভবিষ্যতে সন্ন্যাসী ‘গৌরহরি’ হবেন।
চ। রচনাধর্মী উত্তর লেখো।
১. ‘গৌরাঙ্গের বাল্যলীলা’ কবিতার ভাবার্থ তোমার নিজের ভাষায় বর্ণনা করো।
উত্তর: ‘গৌরাঙ্গের বাল্যলীলা’ কবিতায় কবি মুরারি গুপ্ত মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যের বাল্যকালের এক স্নেহমধুর চিত্র বর্ণনা করেছেন। কবিতাটির শুরুতেই দেখা যায়, শিশু গৌরাঙ্গ মা শচীর উঠানে অপরূপ সাজে হামাগুড়ি দিচ্ছেন। তিনি মায়ের আঙুল ধরে হাঁটতে চেষ্টা করছেন, আবার কখনো আছাড় খেয়ে পড়ে যাচ্ছেন। তাঁর গলায় বাঘনখ দুলছে, মুখে চাঁদের মতো হাসি এবং মুখনিঃসৃত লালায় বুক ভেসে যাচ্ছে। শিশুটি মাটিতে গড়াগড়ি দিয়ে সারা গায়ে ধুলা মেখে ফেলেছেন। মমতাময়ী মা শচীদেবী সন্তানের এই ধুলামাখা রূপ সইতে না পেরে যেই তাকে কোলে তুলে নিয়েছেন, অমনি গৌরাঙ্গ কোল থেকে নামার জন্য কেঁদে আকুল হয়েছেন এবং মাটিতে গড়াগড়ি দিতে শুরু করেছেন। এই লীলা দেখে কবি মুরারি গুপ্ত উপলব্ধি করেছেন যে, এই শিশু সাধারণ নয়। এই ছেলেই ভবিষ্যতে সংসারত্যাগী সন্ন্যাসী ‘গৌরহরি’ হবেন। এই পদের মাধ্যমে কবি একইসাথে মাতৃস্নেহের চিরন্তন রূপ এবং শ্রীচৈতন্যের অলৌকিক দেবসত্তার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
৩. ‘সন্ন্যাসী হইবে গৌরহরি’- উক্তিটি কার? তাঁর এমন ধারণার কারণ সবিস্তারে বিশ্লেষণ করো।
উত্তর: উদ্ধৃত উক্তিটি কবি মুরারি গুপ্তের।
তাঁর এমন ধারণার কারণ হলো শিশু গৌরাঙ্গের অলৌকিক ও ব্যতিক্রমী আচরণ। কবিতায় বর্ণিত হয়েছে, শিশু গৌরাঙ্গ মাটিতে গড়াগড়ি দিয়ে ধুলা মাখছেন। মা শচীদেবী সন্তানের এই ধুলামাখা রূপ সহ্য করতে না পেরে তাঁকে কোলে তুলে নেন। কিন্তু সাধারণ শিশুরা যেখানে মায়ের কোল পেলে শান্ত হয়, সেখানে শিশু গোরাচাঁদ ঠিক তার উল্টো আচরণ করছেন। তিনি কোল থেকে নামার জন্য ‘কাঁদিয়া আকুল’ হচ্ছেন এবং জেদ করে মাটিতে নেমে আবার গড়াগড়ি দিচ্ছেন।
শিশুর এই আচরণ—এই মাটির প্রতি টান এবং মাতৃস্নেহের বন্ধন থেকে মুক্ত হওয়ার আকুলতা—কবি মুরারি গুপ্তের কাছে এক বিশেষ তাৎপর্য বহন করেছে। তিনি বুঝতে পেরেছেন, এই শিশু সাধারণ ‘কোলের ছেলে’ নয়, যে কেবল মায়ের স্নেহ-বন্ধনে আবদ্ধ থাকবে। তাঁর এই পার্থিব বস্তুর প্রতি অনাসক্তি এবং মুক্তভাবে মাটিতে গড়াগড়ি দেওয়ার মধ্যেই কবি তাঁর ভবিষ্যৎ জীবনের ছায়া দেখতে পেয়েছেন। তিনি দিব্যদৃষ্টিতে উপলব্ধি করেছেন যে, এই শিশুই বড় হয়ে ‘গৌরহরি’ নামে পরিচিত হবেন এবং সংসার ত্যাগ করে সন্ন্যাসী হবেন।
ছ। শুদ্ধাশুদ্ধ নির্ণয় করো।
ক. বাল্যকালে গৌরাঙ্গ সিংহের নখ গলায় পরতেন।
উত্তর: অশুদ্ধ। (সঠিক: বাল্যকালে গৌরাঙ্গ বাঘনখ গলায় পরতেন।)
খ. হাসিয়া মুরারি শচীর কোলে চড়লেন।
উত্তর: অশুদ্ধ। (সঠিক: হাসিয়া মুরারি বললেন যে গোরাচাঁদ কোলের ছেলে নন।)
জ। শূন্যস্থান পূর্ণ করো।
ক. ধুলামাখা সর্ব গায় সহিতে কি পারে মায়।
খ. হাসিয়া মুরারি বোলে এ নহে কোলের ছেলে।
গ. শচীর আঙিনা মাঝে ভুবনমোহন সাজে।
(সঠিক শব্দ নির্বাচন করে শূন্যস্থান পূরণ করো।)
* আঙিনা
ঝ। ব্যাকরণ।
১. …পাঁচটি তদ্ভব শব্দ লেখো।
উত্তর: হাত (হস্ত থেকে), পা (পদ থেকে), কান (কর্ণ থেকে), মা (মাতৃ থেকে), চাঁদ (চন্দ্র থেকে)।
২. …ক্রিয়াপদগুলো বাছাই করে লিখ।
উত্তর: দেয়, ধরি, চলে, খাইয়া যায়, পড়ি, দোলে, ভাসি যায়, মাখা, সহিতে কি পারে, লয় তুলি, কাঁদিয়া, নামে, দেয় (গড়াগড়ি), হাসিয়া, বোলে, হইবে। [cite: 53-55]
৩. ধ্বন্যাত্মক শব্দ লেখো। …দশটি ধ্বন্যাত্মক শব্দ লেখো।
উত্তর:
* [cite_start]কবিতা থেকে: গুড়িগুড়ি।
* অন্যান্য: ঝমঝম, কলকল, শনশন, গুনগুন, কিচিরমিচির, খাঁখাঁ, ছমছম, ঝিকমিক, টলমল।
৪. …বিশেষ্য বা নামবাচক শব্দগুলি বাছাই করো।
উত্তর: শচী, আঙিনা, ভুবন, গোরাচাঁদ, মায়ের, অঙ্গুলি, আছাড়, বাঘনখ, গলে, বুক, লালে, চাঁদমুখে, হাসি, বিজুলি, ধুলা, গায়, মায়, বুকের, উপর, কোল, ভূমে, মুরারি, ছেলে, সন্ন্যাসী, গৌরহরি। [cite: 53-55, 95]
৫. …বিশেষ্য শব্দগুলির সঙ্গে নির্দেশক প্রত্যয়- টা, টি, খানা, খানি… যোগ করো।
উত্তর:
* [cite_start]আঙিনা: আঙিনাটি, আঙিনাখানা, আঙিনাখানি।
* ছেলে: ছেলেটা, ছেলেটি।
* বুক: বুকটা, বুকখানা।
* মুখ: মুখটা, মুখখানা, মুখখানি।
* গা: গা-টা।
৬. তিনটি স্ত্রী-প্রত্যয় লেখো। শব্দে তার ব্যবহার দেখাও।
উত্তর: (পাঠ্যপুস্তকের উদাহরণ অনুসারে [cite: 104-108])
* ঈ: পুংলিঙ্গ – ছাত্র, স্ত্রীলিঙ্গ – ছাত্রী।
* নী/নি: পুংলিঙ্গ – কামার, স্ত্রীলিঙ্গ – কামারনি।
* আ: পুংলিঙ্গ – নবীন, স্ত্রীলিঙ্গ – নবীনা।
৯. ব্যাসবাক্য সহ সমাসের নাম লেখো।
[cite_start]উত্তর: (পাঠ্যপুস্তক অনুসারে)
* চন্দ্রচূড়: চন্দ্র চূড়াতে যাহার (শিব) – (বহুব্রীহি সমাস)
* জটাজালে: জটা রূপ জালে – (রূপক কর্মধারয় সমাস)
* ত্রিভুবন: তিন ভুবনের সমাহার (দ্বিগু সমাস)
* স্ববলে: বলের সহিত (অব্যয়ীভাব সমাস)
* দ্বৈপায়ন: দ্বীপে জন্ম যার (ব্যাসদেব) – (বহুব্রীহি সমাস)
১০. বাক্য রচনা করো।
উত্তর:
* জটাজাল: শিবের জটাজাল থেকে পবিত্র গঙ্গা নদীর উৎপত্তি হয়েছে।
* দ্বৈপায়ন: মহর্ষি দ্বৈপায়ন ব্যাসদেব মহাভারত রচনা করেছিলেন।
* সংস্কৃত: সংস্কৃত একটি অত্যন্ত প্রাচীন ও সমৃদ্ধ বৈজ্ঞানিক ভাষা।
* তৃষ্ণায় আকুল: প্রখর রৌদ্রে পথিক তৃষ্ণায় আকুল হয়ে জলের সন্ধান করছিল।
* পুণ্যবান: পুণ্যবান ব্যক্তিরা সর্বদা পরের উপকার করেন।
১১. পদান্তর করো।
উত্তর: (পাঠ্যপুস্তক অনুসারে)
* ভারত – ভারতীয়
* সংস্কৃত – সংস্কার
* রস – রসাল
* কঠোর – কঠোরতা, কাঠিন্য
* গঙ্গা – গাঙ্গেয়
* তৃষ্ণা – তৃষিত, তৃষ্ণার্ত
১২. তুমি বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকার দরুন অনুপস্থিতির কারণ দর্শিয়ে প্রধান শিক্ষককে সম্বোধন করে একখানি আবেদন-পত্র রচনা করো।
উত্তর:
মাননীয়,
প্রধান শিক্ষক মহাশয়
(এখানে তোমার বিদ্যালয়ের নাম)
(এখানে তোমার বিদ্যালয়ের ঠিকানা)
বিষয়: অনুপস্থিতির জন্য ছুটি মঞ্জুরের আবেদন।
মহাশয়,
বিনীত নিবেদন এই যে, আমি (তোমার নাম), আপনার বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ‘ক’ বিভাগের একজন ছাত্র। গত (তারিখ) থেকে (তারিখ) পর্যন্ত, মোট (মোট দিন সংখ্যা) দিন হঠাৎ জ্বরে আক্রান্ত হওয়ায় আমি বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকতে পারিনি। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আমাকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হয়েছিল।
অতএব, মহাশয়ের নিকট আমার বিনীত প্রার্থনা, আমার উক্ত (দিন সংখ্যা) দিনের অনুপস্থিতি মঞ্জুর করে বাধিত করবেন।
ধন্যবাদান্তে,
আপনার একান্ত অনুগত ছাত্র,
(তোমার নাম)
নবম শ্রেণি, বিভাগ: ‘ক’
ক্রমিক সংখ্যা: (তোমার রোল নম্বর)
তারিখ: (আবেদনপত্র জমা দেওয়ার তারিখ)
১৩. অতিরিক্ত জ্ঞাতব্য বিষয়।
১. বিশ্বসাহিত্যে কে প্রথম সনেট রচনা করেন?
উত্তর: ইতালিয়ান কবি পেত্রার্ক প্রথম সনেট রচনা করেন।
২. বাংলা ভাষায় সর্বপ্রথম সনেটের প্রবর্তক কে?
উত্তর: (প্রদত্ত পাঠ্যে এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া নেই। তবে, উত্তরটি হলো কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত।)
৩. সনেটের প্রধান বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তর: সনেটের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এটি চৌদ্দটি পঙ্ক্তিতে (লাইনে) লেখা একটি বিশেষ ধরনের ক্ষুদ্র কবিতা। এর প্রতিটি পঙ্ক্তি সাধারণত চৌদ্দটি অক্ষরে (মাত্রায়) সীমিত থাকে। এই চৌদ্দ পঙ্ক্তির মধ্যেই কবির একটি একক অনুভূতি বা ভাবনা প্রকাশিত হয়।
