পাঠ্যবইয়ের ভিতরের এবং অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তর
আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিত্তীয় অনুষ্ঠান-প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা: উত্তর ও অনুশীলনী (পৃষ্ঠা ৮৬ – ৯৫)
পৃষ্ঠা ৮৭ (উত্তর লেখো)
প্রশ্ন ১. একটি দেশের ঘরোয়া উৎপাদন বৃদ্ধি কী নির্দেশ করে?
উত্তর ১. একটি দেশের ঘরোয়া উৎপাদন বৃদ্ধি আর্থিক উন্নয়ন সাধনকে নির্দেশ করে।
প্রশ্ন ২. রাষ্ট্রীয় আয় মানে কী?
উত্তর ২. কোনো এক নির্দিষ্ট বর্ষে বিভিন্ন অর্থনৈতিক খণ্ডসমূহে উৎপাদিত চূড়ান্ত দ্রব্য ও সেবার মুদ্রাগত মূল্যকে দেশটির রাষ্ট্রীয় আয় বলা হয়। অর্থনীতিতে এই আয়কে উৎপাদনের উপাদানসমূহের (ভূমি, শ্রম, মূলধন এবং সংগঠন) আয়ের সমষ্টি হিসাবেও প্রকাশ করা হয়।
প্রশ্ন ৩. একটি দেশে মাথাপিছু আয় কখন বৃদ্ধি হয়?
উত্তর ৩. দেশের জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার থেকে রাষ্ট্রীয় আয় বেশি হলে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পায়।
প্রশ্ন ৪. উৎপাদন বৃদ্ধি হলে কী বৃদ্ধি পায়?
উত্তর ৪. উৎপাদন বৃদ্ধি হলে দেশের আয় বৃদ্ধি পায়।
প্রশ্ন ৫. ঋণের বিনিময়ে ব্যবসায়ীরা কী আদায় করে?
উত্তর ৫. ঋণের বিনিময়ে ঋণদাতারা ঋণ গ্রহীতাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের সুদ আদায় করে।
প্রশ্ন ৬. উত্তর-পূর্ব পরিষদের কার্যালয় কোথায় অবস্থিত?
উত্তর ৬. উত্তর-পূর্ব পরিষদের মুখ্য কার্যালয় শিলং-এ অবস্থিত।
পৃষ্ঠা ৮৯ (ক্রিয়াকলাপ)
প্রশ্ন ১. বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কসমূহ কীভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের ওপর নির্ভরশীল? শিক্ষকের সাহায্যে আলোচনা করে লেখো
উত্তর ১. বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কসমূহ বিভিন্নভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক অর্থাৎ ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (RBI) ওপর নির্ভরশীল:
* মুদ্রা ছাপানো: কাগুজে মুদ্রা ছাপানোর অধিকার একমাত্র কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কেরই আছে।
* নিয়ন্ত্রণ ও নীতি: বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের বিধি-ব্যবস্থা এবং আর্থিক নীতি (যেমন সুদের হার) মেনে চলে।
* ঋণদান: কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ‘ব্যাঙ্কসমূহের ব্যাঙ্ক’ হিসেবে অন্যান্য ব্যাঙ্কের হিসেব পরীক্ষা করে। এটি বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে ঋণ প্রদান করে এবং তাদের আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
পৃষ্ঠা ৯১ (উত্তর লেখো)
প্রশ্ন ১. ব্যাঙ্ককে কী অনুষ্ঠান বলা হয়?
উত্তর ১. ব্যাঙ্ককে বিত্তীয় অনুষ্ঠান-প্রতিষ্ঠান বলা হয়।
প্রশ্ন ২. আধুনিক অর্থ ব্যবস্থায় কীসের ভূমিকা অন্যতম?
উত্তর ২. আধুনিক অর্থ ব্যবস্থায় ঋণের ভূমিকা অন্যতম।
প্রশ্ন ৩. উৎপাদনের জন্য উৎপাদনকারীর কী প্রয়োজন হয়?
উত্তর ৩. উৎপাদনের জন্য উৎপাদনকারীর বৃহৎ পরিমাণ পুঁজি বা মূলধনের প্রয়োজন হয়।
প্রশ্ন ৪. কাগুজে মুদ্রা ছাপানোর অধিকার কোন ব্যাঙ্কের আছে?
উত্তর ৪. কাগুজে মুদ্রা ছাপানোর অধিকার একমাত্র কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের (রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া)-ই আছে।
প্রশ্ন ৫. ব্যাঙ্ক কাদের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করে?
উত্তর ৫. ব্যাঙ্ক সঞ্চয়কারী এবং বিনিয়োগকারীর মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করে।
পৃষ্ঠা ৯১ (ক্রিয়াকলাপ)
প্রশ্ন ১. পাঠে উল্লিখিত বাণিজ্যিক এবং অন্যান্য ব্যাঙ্কসমূহ ছাড়াও আমাদের দেশ এবং রাজ্যে উপলব্ধ আরও কয়েকটি ব্যাঙ্কের নাম জেনে নিয়ে একটি তালিকা প্রস্তুত করো।
উত্তর ১. পাঠে উল্লিখিত ব্যাঙ্কগুলো ছাড়াও আরও কয়েকটি ব্যাঙ্ক:
* আঞ্চলিক গ্রামীণ বিকাশ ব্যাঙ্ক (Regional Rural Banks): যেমন—অসম গ্রামীণ বিকাশ ব্যাঙ্ক (AGVB)।
* ব্যক্তিগত খণ্ডের বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক: যেমন—ICICI—HDFC—Kotak Mahindra Bank।
* পেমেন্ট ব্যাঙ্ক (Payment Banks): যেমন—এয়ারটেল পেমেন্ট ব্যাঙ্ক, ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্টস ব্যাঙ্ক।
অনুশীলনী (পৃষ্ঠা ৯৫)
১। সংক্ষেপে উত্তর লেখো-
প্রশ্ন ১. (ক) দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য সরকার কী করে?
উত্তর ১. (ক) দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য সরকার বিভিন্ন ধরনের কার্যসূচি, প্রকল্প ইত্যাদি গ্রহণ করে এবং সেগুলোকে কার্যকরী করে।
প্রশ্ন ২. (খ) বিত্তীয় অনুষ্ঠান-প্রতিষ্ঠান কাকে বলে?
উত্তর ২. (খ) যে ব্যবস্থা উদ্বৃত্ত গোষ্ঠীর সঞ্চয়ের অর্থ ঘাটতি গোষ্ঠীতে স্থানান্তরিত করার ক্ষেত্রে মাধ্যম হিসাবে কার্য সম্পাদনা করে, তাকেই বিত্তীয় ব্যবস্থা বলা হয়। এই ব্যবস্থার অধীনে গড়ে ওঠা সংস্থাগুলোই হলো বিত্তীয় অনুষ্ঠান-প্রতিষ্ঠান।
প্রশ্ন ৩. (গ) ব্যাঙ্কের দুটি উল্লেখযোগ্য কাজের উদাহরণ দাও।
উত্তর ৩. (গ) ব্যাঙ্কের দুটি উল্লেখযোগ্য কাজ হলো:
* সঞ্চয় সংগ্রহ: গ্রাহকদের কাছ থেকে বিভিন্ন আমানত প্রকল্পের মাধ্যমে অর্থ সঞ্চিত করা।
* ঋণ যোগান: গ্রাহকদের সঞ্চিত অর্থ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর লোককে ঋণ হিসেবে যোগান দেওয়া।
প্রশ্ন ৪. (ঘ) আমাদের দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের নাম কী?
উত্তর ৪. (ঘ) আমাদের দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের নাম হলো রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া বা ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
প্রশ্ন ৫. (ঙ) নেডফির সাহায্যে উৎপাদিত সামগ্রীসমূহ কোথায় বিক্রি করা হয়?
উত্তর ৫. (ঙ) নেডফির সাহায্যে উৎপাদিত সামগ্রীসমূহ বিক্রির জন্য গুয়াহাটির আমবাড়িতে নেডফিহাট নামে একটি অনুষ্ঠান আছে।
২। বিশদভাবে আলোচনা করো
প্রশ্ন ১. (ক) আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কসমূহের অবদান।
উত্তর ১. (ক) আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কসমূহের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ:
* সঞ্চয় ও বিনিয়োগের যোগসূত্র: ব্যাঙ্ক সঞ্চয়কারীদের (আমানতকারী) কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে তা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ঋণ হিসেবে যোগান দেয়। এভাবে সঞ্চয় ও বিনিয়োগকারীর মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করে।
* ঋণের যোগান: উদ্যোগপতি, কৃষক, কারিগর, চাকুরীজীবী, শিক্ষার্থী ইত্যাদি সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর লোককে প্রয়োজন অনুসারে দীর্ঘকালীন এবং হ্রস্বকালীন ঋণ প্রদান করে।
* অর্থনৈতিক বিকাশে সাহায্য: ঋণ দিয়ে উৎপাদনমুখী কাজে উৎসাহ জোগানো হয়, ফলে কৃষি, উদ্যোগ, বাণিজ্য ইত্যাদির বিকাশে সাহায্য করে, যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ অবদান যোগায়।
* শিক্ষায় উৎসাহ: ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা ঋণ প্রদান করে উচ্চ শিক্ষার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি করে।
প্রশ্ন ২. (খ) উত্তর-পূর্ব ভারতের অর্থনৈতিক বিকাশে উত্তর-পূর্ব পরিষদ এবং উত্তর-পূর্ব উন্নয়ন বিত্তীয় নিগমের ভূমিকা।
উত্তর ২. (খ) উত্তর-পূর্ব ভারতের অর্থনৈতিক বিকাশে এই দুটি প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা:
* উত্তর-পূর্ব পরিষদ (NEC):
* আঞ্চলিক উন্নয়ন: সুসংহত আঞ্চলিক পরিকল্পনার মাধ্যমে সমগ্র উত্তর-পূর্ব ভারতে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য যথাযথ প্রচেষ্টা করে।
* ভারসাম্যতা রক্ষা: সুষম আঞ্চলিক উন্নয়নের মাধ্যমে আঞ্চলিক ভারসাম্যতা রক্ষা করা এবং অসমতা দূর করা।
* সহযোগিতা: রাজ্যগুলোর মধ্যে সহযোগিতা, সুসংহত প্রচেষ্টা এবং একতা বৃদ্ধি করা।
* উত্তর-পূর্ব উন্নয়ন বিত্তীয় নিগম (NEDFi):
* বিত্তীয় সাহায্য: ক্ষুদ্র উদ্যোগ, কুটির উদ্যোগ, হস্ত-তাঁত, আত্মসহায়কগোষ্ঠী ইত্যাদি উৎপাদনমুখী কাজে রেহাই হারে ঋণ প্রদান করে।
* সম্পদের ব্যবহার: অঞ্চলটির স্থানীয় সম্পদসমূহের উপযুক্ত ব্যবহারের জন্য পরিবেশ এবং পরিকাঠামোর প্রকল্পসমূহ শনাক্তকরণ এবং প্রতিপালন করতে সাহায্য করে।
* স্বাবলম্বীকরণ: মহিলাদেরকে স্ব-নির্ভর করে গড়ে তোলার জন্য ক্ষুদ্র বিত্তীয় প্রকল্প (Micro Finance Scheme) এর মাধ্যমে চেষ্টা চালিয়ে যায়।
প্রশ্ন ৩. (গ) আত্মসহায়ক গোষ্ঠী গঠনের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যসমূহ।
উত্তর ৩. (গ) আত্মসহায়ক গোষ্ঠী গঠনের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যসমূহ:
* দলগত শক্তি: আত্মসহায়ক গোষ্ঠী গঠনের মাধ্যমে সামুহিকভাবে কাজ করার শক্তি এবং উদ্যম সৃষ্টি করা।
* অর্থনৈতিক কার্যসূচি: গোষ্ঠীর সদস্য/সদস্যাদের সামুহিকভাবে অর্থনৈতিক কার্যসূচি গ্রহণ করা।
* সঞ্চয়: গোষ্ঠীর সদস্যদের মধ্যে সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তোলা।
* ঋণ গ্রহণ: উন্নয়নমূলক প্রকল্পের মাধ্যমে বিত্তীয় প্রতিষ্ঠান থেকে সামুহিকভাবে ঋণ গ্রহণের সুবিধা নেওয়া।
* আত্মনির্ভরশীলতা: গ্রামের জনসাধারণের মধ্যে সজাগতা সৃষ্টি করে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার মানসিকতা তৈরি করা।
৩। সংক্ষিপ্ত টীকা লেখো-
প্রশ্ন ১. (ক) সমবায় ব্যাঙ্ক
উত্তর ১. (ক) সমবায় ব্যাঙ্ক:
দারিদ্র শ্রেণীর মানুষকে মহাজনদের শোষণ থেকে রক্ষা করার জন্য এবং কম সুদের হারে ঋণ সহজলভ্য করার উদ্দেশ্যে সমবায় ব্যাঙ্ক ব্যবস্থার সূচনা করা হয়েছিল। এটি তিনস্তরে কাজ করে: শীর্ষ পর্যায়ে রাজ্যিক সমবায় ব্যাঙ্ক, জেলা পর্যায়ে গ্রামাঞ্চলে কৃষিভিত্তিক সমবায় ব্যাঙ্ক, এবং তৃণমূল পর্যায়ে কৃষিভিত্তিক সমবায় সমিতি। এই ব্যাঙ্ক দরিদ্র কৃষক, তাঁতি, ক্ষুদ্র উদ্যোগী ইত্যাদিকে হ্রস্বমেয়াদী ঋণের যোগান ধরে।
প্রশ্ন ২. (খ) নাবার্ড (NABARD)
উত্তর ২. (খ) নাবার্ড (NABARD):
দেশের কৃষি এবং গ্রাম উন্নয়নের লক্ষ্য সামনে রেখে ১৯৮২ খ্রিস্টাব্দে রাষ্ট্রীয় কৃষি এবং গ্রাম উন্নয়ন ব্যাঙ্ক (NABARD) স্থাপন করা হয়। এই ব্যাঙ্ক সব ধরনের কৃষি ঋণের সঙ্গে গ্রাম উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা, প্রকল্প ইত্যাদির জন্যও ঋণ প্রদান করে। এটি সমবায় ব্যাঙ্ক, ভূমি উন্নয়ন ব্যাঙ্ক, আঞ্চলিক গ্রামীণ বিকাশ ব্যাঙ্ক, বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কসমূহকে ঋণ প্রদান করে।
প্রশ্ন ৩. (গ) কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক
উত্তর ৩. (গ) কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক:
একটি দেশের সমগ্র ব্যাঙ্ক ব্যবস্থার প্রধান বা শীর্ষস্থানীয় ব্যাঙ্কটিই হচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। আমাদের দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক হলো ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI), যা ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে স্থাপন করা হয়। কাগুজে মুদ্রা ছাপানোর অধিকার একমাত্র কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কেরই আছে। এটি ‘ব্যাঙ্কসমূহের ব্যাঙ্ক’ হিসেবে অন্যান্য ব্যাঙ্কের হিসেব পরীক্ষা করে এবং সরকারের ব্যাঙ্ক হিসেবে কার্য সম্পাদন করে।
প্রশ্ন ৪. (ঘ) আত্মসহায়কগোষ্ঠী
উত্তর ৪. (ঘ) আত্মসহায়কগোষ্ঠী:
আত্মসহায়কগোষ্ঠী হলো ১০ থেকে ২০ জন সদস্য/সদস্যাকে নিয়ে গঠিত এক উৎপাদনমূলক কার্যে নিয়োজিত দল। এর মূল লক্ষ্য হলো গোষ্ঠীর সদস্যদের দারিদ্রতা দূরীকরণের জন্য সামুহিক উদ্দেশ্য সামনে নিয়ে কাজ করা। আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা এবং কর্মসংস্থান না পাওয়া শ্রেণির লোকরাই এটি গঠন করে বিত্তীয় অনুষ্ঠান থেকে ঋণ লাভ করে। এটি স্ব-নিয়োজন এবং স্ব-নির্ভরশীলতার ধারণা জনপ্রিয় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৪। শুদ্ধ/অশুদ্ধ নির্ণয় করো-
প্রশ্ন ১. (ক) বর্ধিত মাথাপিছু আয় দেশের উন্নয়নে অন্তরায় বা বাধার সৃষ্টি করে।
উত্তর ১. (ক) অশুদ্ধ (কারণ মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি উন্নয়নকে নির্দেশ করে)।
প্রশ্ন ২. (খ) ঔদ্যোগিক এবং বিনিয়োগ ব্যাঙ্ক উদ্যোগখণ্ডকে দীর্ঘকালীন ঋণ প্রদান করে।
উত্তর ২. (খ) শুদ্ধ।
প্রশ্ন ৩. (গ) আত্মসহায়কগোষ্ঠীগুলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কে সেভিংস অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়।
উত্তর ৩. (গ) অশুদ্ধ (কারণ রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট থাকে)।
প্রশ্ন ৪. (ঘ) নেডফির মুখ্য কার্যালয় শিলং-এ অবস্থিত।
উত্তর ৪. (ঘ) অশুদ্ধ (কারণ নেডফির মুখ্য কার্যালয় গুয়াহাটিতে অবস্থিত)।
প্রশ্ন ৫. (ঙ) আর্থিকভাবে সচ্ছল লোকেরা আত্মসহায়কগোষ্ঠীর সদস্য/সদস্যা হতে পারেন।
উত্তর ৫. (ঙ) অশুদ্ধ (কারণ সাধারণত আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা এবং কর্মসংস্থান না পাওয়া শ্রেণির লোকরাই এটি গঠন করে)।
